Ajker Patrika

ধর্মঘটে যাত্রীর নেই চাপ দৌলতদিয়ায়

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৩৩
ধর্মঘটে যাত্রীর নেই চাপ দৌলতদিয়ায়

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের টানা তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট অনেকটাই যানবাহন শূন্য হয়ে পড়েছে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে কিছু প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস দৌলতদিয়া ঘাটে আসতে দেখা গেছে। অন্যদিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটা ফেরিতেই ছিল ছোট যানবাহন।

তবে ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের তিনগুণ ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট বড় ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া ঘাট ছেড়ে যাওয়া অধিকাংশ ফেরিগুলো ফাঁকা। হাতে গোনা কয়েকটি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার পার হচ্ছে ফেরিতে। দূরপাল্লার যানবাহন না চলাচল করায় ঘাট একেবারে শূন্য।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সামান্য কিছু ট্রাক, প্রাইভেট ও মাইক্রোবাস পার হচ্ছে। তবে ফেরির সংখ্যা কমানো হয়নি। ১৭টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। কখন চাপ বাড়ে তা তো বলা যায় না।’

তবে আজ থেকে ধর্মঘট উঠে যাবে বলে ধারণা করছেন এই কর্মকর্তা।

এ দিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাহেন্দ্র ও মোটরসাইকেলে যাত্রী গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ টাকা। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। কয়েকজন যাত্রী অভিযোগের সুরে বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকার অজুহাতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

রাজবাড়ী থেকে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছিলেন ইলিয়াস মোল্লা। বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে তিনি ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন। অফিসের চাপে ঢাকা যেতে হচ্ছে। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকায় যেতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আর নির্বারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।’

নদী পার হয়ে আসা যাত্রীদের মাইক্রোবাসে তুলে দিচ্ছেন কয়েকজন ব্যক্তি। তারা জানান, গণপরিবহনে যাত্রী তোলার কাজ করি। বিনিময়ে পরিবহনের সুপারভাইজার যাত্রী প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা দেয়। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপদে পড়েছি। কাজ না থাকায় মাইক্রোবাসে যাত্রী তুলে দিচ্ছি। অনেকেই ঘাটে যাত্রী তোলার কাজ করছেন। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। গণপরিবহন না থাকায় বিভিন্ন ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকা যাচ্ছি। এতে প্রায় তিন গুন বেশি ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। জানি না ঢাকায় যেতে আর কত টাকা গুনতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিড়াল মনিবকে কেন মৃত প্রাণী ‘উপহার’ দেয়

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

বৃষ্টি অপেক্ষায় রেখেছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়েকে

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রত্যাহার করতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত