Ajker Patrika

সুড়ঙ্গ করায় সড়কে ধস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

লক্ষ্মীপুর ও রামগতি প্রতিনিধি
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার-সোনাপুর আঞ্চলিক সড়কের শেখের কিল্লা এলাকায় সড়কের নিচে করা সুড়ঙ্গের দুই পাশ ধসে গেছে। ফলে গত রোববার বিকেল থেকে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীর সীমান্ত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

গতকাল সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, সড়কের নিচ দিয়ে ছিদ্র করে পানিনিষ্কাশনের জন্য সুড়ঙ্গ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে কেউ জানাননি বা অনুমতিও নেননি। এই সুড়ঙ্গের কারণে সড়ক ধসে যায়। ফলে সড়কের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সড়কের ধসে যাওয়া স্থানে মেরামতের কাজ চলছে। শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সড়কের পূর্ব পাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যায়। উপজেলা প্রশাসন ও চেয়ারম্যানের কাছে পানিনিষ্কাশনের পথ তৈরি করতে আবেদন করা হয়। কেউ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় জলাবদ্ধতা দূর করতে দুই জায়গায় সড়কের নিচ দিয়ে ছিদ্র করে পানিনিষ্কাশনের উদ্যোগ নেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা সড়কের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ করে পাইপ বসানোর চেষ্টা করেন। এক জায়গায় পাইপ বসাতে পারলেও অন্য জায়গায় পাইপ বসানো সম্ভব হয়নি। এতে পানির চাপে বিশাল সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়কের দুই পাশ ধসে পড়ে।

 এ কারণে রোববার বিকেল থেকে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে এ অঞ্চলের হাজারো মানুষ। দ্রুত সমস্যা সমাধান করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহজাহান বলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও সোনাপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কের দুই পাশ ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সড়কের মেরামত শেষ হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। এখন সড়কের এক পাশ দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করছে। এ নিয়ে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটতে পারে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু চৌধুরী বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যেহেতু সড়কটি জনপথ বিভাগের, সে কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছুই করা যাচ্ছে না। তারপরও যেন দ্রুত সমস্যা সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত