ফয়সাল চৌধুরী, আটপাড়া
ছোট চারটি খুঁটির ওপর একটি বাক্স। দুই পাশে দুটি বাঁশের বেঞ্চ। ওপরে কয়েক পাতা টিনের একটি চালা। ১৫ হাজারেরও বেশি টাকার বই আছে এখানে। অথচ নেই কোনো তালা-চাবি। যে কেউ যেকোনো সময় চাইলেই বাক্সের দরজা খুলে পছন্দের বইটি বেঞ্চে বসে পড়তে পারছেন।
নেত্রকোনা জেলা সদরের মৌগাতি ইউনিয়নের নগুয়া কুশলগাঁও গ্রামের ঢুপিখালী নদী ও ঘন সবুজ বনের উপকূলে অবস্থিত এই পাঠাগারটি। মৌগাতি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আনুমানিক ১০০০ ফুট উত্তরের পাঠাগারটিকে ‘বইবন্ধু পাঠাগার’ নামকরণ করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা এক কিশোর। একজন কবি হিসেবেও পরিচিত। মো. রাসেল হাসান (১৬) নামের ওই কিশোর জানায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকতে একদিন পাঠাগার প্রতিষ্ঠার আলোচনায় যোগ দেয় সে। তখন থেকেই রাসেলের মাথায় পাঠাগার প্রতিষ্ঠার চিন্তা জেঁকে বসে। কিন্তু নিজের সামর্থ্যের দিকে তাকিয়ে সাহস করতে পারেনি সে। তবে মনে মনে চিন্তা ছিল এ নিয়ে। অবশেষে দশম শ্রেণিতে এসে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে রাসেল।
রাসেলে একদিন পরিকল্পনা করে—ছোট্ট একটি বাক্স বানিয়ে একটি খুঁটিতে রাস্তায় পুঁতে রাখবে। বাক্সটি থাকবে বইয়ে ভরা। মানুষ এখান থেকে নিয়ে নিয়ে বই পড়বে। এটাই হবে আমেরিকান কান্ট্রিগুলোর ন্যায় তার পথপাঠাগার।
তবে তখন তার হাতে ছিল ৬০০-৭০০ টাকা। বাজারে গিয়ে জানতে পারেন এ টাকায় বাক্স তৈরি হবে না। এরপর অনেকের কাছে সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হন। ফেসবুকে পোস্ট দিলে কেউ কেউ এগিয়ে আসেন সহযোগিতায়। বানান বাক্স। অভাব এখন লোহার খুঁটি তৈরির। তবে হাতে টাকা নাই। এ কারণে ঋণ নেওয়া হয়। বাক্স ও খুঁটি বানানো হলো। দেখা গেল ওপরে টিন না দিলে হবে না। অনেক কষ্ট করে সে অর্থ জোগাড় হয়। কিছু বইও কিনে রাখে পাঠাগারে।
রাসেল কবি নির্মলেন্দু গুণের কাছে পাঠাগারটির নাম চাইলে তিনি নাম দেন ‘বইবন্ধু পাঠাগার’। সেই সঙ্গে নিজের লেখা ৪৩টি বই ও পাঁচটি চেয়ার উপহার দেন এই পাঠাগারে।
জানতে চাইলে পাঠাগারের পাঠক ঝুমা আক্তার বলেন, ‘বইবন্ধু পাঠাগার আমাদের জ্ঞানের ক্ষুধা মিটাচ্ছে।’ বিদ্যুৎ তালুকদার আরিফ বলেন, ‘পাঠাগারটি হওয়ায় আমাদের উপকার হয়েছে। ভীষণ ভালো লাগছে।’
এ বিষয়ে মো. রাসেল হাসান বলে, ‘আমাকে অনেকে বলছিল বই চুরি হয়ে যাবে। আসলে তা না। কে চুরি করবে? যে বই পড়ে সে কখনো চুরি করবে না। আর যে চুরি করে সে তো পড়বে না।’
ছোট চারটি খুঁটির ওপর একটি বাক্স। দুই পাশে দুটি বাঁশের বেঞ্চ। ওপরে কয়েক পাতা টিনের একটি চালা। ১৫ হাজারেরও বেশি টাকার বই আছে এখানে। অথচ নেই কোনো তালা-চাবি। যে কেউ যেকোনো সময় চাইলেই বাক্সের দরজা খুলে পছন্দের বইটি বেঞ্চে বসে পড়তে পারছেন।
নেত্রকোনা জেলা সদরের মৌগাতি ইউনিয়নের নগুয়া কুশলগাঁও গ্রামের ঢুপিখালী নদী ও ঘন সবুজ বনের উপকূলে অবস্থিত এই পাঠাগারটি। মৌগাতি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আনুমানিক ১০০০ ফুট উত্তরের পাঠাগারটিকে ‘বইবন্ধু পাঠাগার’ নামকরণ করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা এক কিশোর। একজন কবি হিসেবেও পরিচিত। মো. রাসেল হাসান (১৬) নামের ওই কিশোর জানায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকতে একদিন পাঠাগার প্রতিষ্ঠার আলোচনায় যোগ দেয় সে। তখন থেকেই রাসেলের মাথায় পাঠাগার প্রতিষ্ঠার চিন্তা জেঁকে বসে। কিন্তু নিজের সামর্থ্যের দিকে তাকিয়ে সাহস করতে পারেনি সে। তবে মনে মনে চিন্তা ছিল এ নিয়ে। অবশেষে দশম শ্রেণিতে এসে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে রাসেল।
রাসেলে একদিন পরিকল্পনা করে—ছোট্ট একটি বাক্স বানিয়ে একটি খুঁটিতে রাস্তায় পুঁতে রাখবে। বাক্সটি থাকবে বইয়ে ভরা। মানুষ এখান থেকে নিয়ে নিয়ে বই পড়বে। এটাই হবে আমেরিকান কান্ট্রিগুলোর ন্যায় তার পথপাঠাগার।
তবে তখন তার হাতে ছিল ৬০০-৭০০ টাকা। বাজারে গিয়ে জানতে পারেন এ টাকায় বাক্স তৈরি হবে না। এরপর অনেকের কাছে সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হন। ফেসবুকে পোস্ট দিলে কেউ কেউ এগিয়ে আসেন সহযোগিতায়। বানান বাক্স। অভাব এখন লোহার খুঁটি তৈরির। তবে হাতে টাকা নাই। এ কারণে ঋণ নেওয়া হয়। বাক্স ও খুঁটি বানানো হলো। দেখা গেল ওপরে টিন না দিলে হবে না। অনেক কষ্ট করে সে অর্থ জোগাড় হয়। কিছু বইও কিনে রাখে পাঠাগারে।
রাসেল কবি নির্মলেন্দু গুণের কাছে পাঠাগারটির নাম চাইলে তিনি নাম দেন ‘বইবন্ধু পাঠাগার’। সেই সঙ্গে নিজের লেখা ৪৩টি বই ও পাঁচটি চেয়ার উপহার দেন এই পাঠাগারে।
জানতে চাইলে পাঠাগারের পাঠক ঝুমা আক্তার বলেন, ‘বইবন্ধু পাঠাগার আমাদের জ্ঞানের ক্ষুধা মিটাচ্ছে।’ বিদ্যুৎ তালুকদার আরিফ বলেন, ‘পাঠাগারটি হওয়ায় আমাদের উপকার হয়েছে। ভীষণ ভালো লাগছে।’
এ বিষয়ে মো. রাসেল হাসান বলে, ‘আমাকে অনেকে বলছিল বই চুরি হয়ে যাবে। আসলে তা না। কে চুরি করবে? যে বই পড়ে সে কখনো চুরি করবে না। আর যে চুরি করে সে তো পড়বে না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪