আজাদুল আদনান, ঢাকা

জ্বর, কোমরব্যথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বাড়ির পাশের কমিউনিটি ক্লিনিকে এসেছিলেন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার অন্বয়পুর ইউনিয়নের আনুলিয়া গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব মালা বেগম। বেলা সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখেন, ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত (প্রোভাইডার) চিকিৎসক সৈয়দ আফরোজ কল্প নেই। দুজন সহকারী সবকিছু গুটিয়ে ক্লিনিক বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এই প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে মালা বেগম খুব আক্ষেপ করে বললেন, ‘এত কষ্ট করি আইল্যাম, এহন দেখি ডাক্তার নাই। ওমন হলে গরিব মানুষ কেমনে বাঁচে বাবা?’
বৃদ্ধার কথা শুনে ক্লিনিকের সহকারী দুজন চুপচাপ। চলে যাওয়ার মুহূর্তে রোগী আসায় তাঁরা বিরক্ত। একই সঙ্গে তাঁদের মুখে অসহায়ের সুর, এখানে তো ওষুধ নেই, চিকিৎসা হবে কীভাবে?
সেখান থেকে একটু দূরে গোয়ালখালী কমিউনিটি ক্লিনিক। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক নিগার সুলতানা বললেন, ‘দেখুন, এ জায়গায় বয়স্ক ও গর্ভবতীদের আসার কোনো ব্যবস্থা নেই। বর্ষা হলে অবস্থা বেহাল। চারদিকে পানি থাকে, কেউ আসতে পারে না।’
তারপরও যাঁরা আসেন, তাঁরা কি চিকিৎসা পান? এমন প্রশ্নের জবাবে নিগার সুলতানা বলেন, ‘আমাদের কাছে যে পরিমাণ ওষুধ আসে, তাতে ২০ শতাংশ মানুষকেও সেবা দিতে পারি না। দেখতেই পাচ্ছেন, জটিল রোগের চিকিৎসা তো দূরের কথা, গর্ভবতী মায়েদের ওজন মাপার যন্ত্রটি পর্যন্ত নেই।’
চরবেষ্টিত তেওতা ইউনিয়নের ত্রিশুণ্ডি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা হলো সেখানকার কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু ক্লিনিক বলতে চরের মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি টিনের ঘর। মাসে দু-একবার খোলা হয়, বন্ধ থাকে বেশির ভাগ সময়।
কমিউনিটি ক্লিনিকের এই বেহাল অবস্থা দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নিজের জেলা মানিকগঞ্জের। দেশের অন্য জেলার চিত্র কী তা মনে হয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী অবশ্য নিজেও এসব দুর্দশার কথা স্বীকার করলেন। তিনি বলেন, আগের চেয়ে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ওষুধপত্রের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বললেন, মানিকগঞ্জ জেলার সাত উপজেলায় ১৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। নতুন করে আরও ২টি ক্লিনিকের কাজ চলছে। তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, স্বাস্থ্যসেবা না দিয়ে শুধু ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়িয়ে কী লাভ? জবাবে তিনি বললেন, ‘আমাদের সামর্থ্যও বুঝতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এসব ক্লিনিক গড়ে তোলা হলেও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে শুরু থেকেই ঘাটতি দেখা গেছে। কোথাও অনেকটা ভালোমতো চললেও অধিকাংশ জায়গাতেই অব্যবস্থাপনা। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তদারকিতে, যা নেই বললেই চলে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এগুলোতে নজর দেন না, এটাই বড় সমস্যা।
তৃণমূল পর্যায়ের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা ট্রাস্ট গঠন করে সরকার। এই ট্রাস্টের কাজই হলো গ্রামপর্যায়ে গড়ে তোলা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো দেখভাল করা। ১৫ সদস্যের এই ট্রাস্টের প্রধান ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। সারা দেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ১৪১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, এসব ক্লিনিক দেখার কেউ নেই। কোথাও চিকিৎসক নেই, কোথাও ওষুধ নেই, আবার কোথাও চিকিৎসার সরঞ্জামও নেই। শুধু নেই আর নেই নিয়েই আছে কমিউনিটি ক্লিনিক। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে।
প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবার এমন অবস্থার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের এমন দুরবস্থার বিষয়টি সবারই জানা। নতুন করে দায়িত্বে আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠিয়েছি বহুবার। আজও (গতকাল) চিঠি দিয়েছি। ফাইল আটকে রয়েছে, কাজ না বোঝার কারণেই এমন হচ্ছে।’

এই প্রতিবেদক অন্তত ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে দেখতে পান, সর্বত্র একই দশা। বেশির ভাগ ক্লিনিকেই কোনো তদারকি নেই। ফলে স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন মানুষ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হলো প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রে। এসব ক্লিনিকে প্রসূতি মা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সেবার দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা কোনো সেবাই পাচ্ছেন না।
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের একটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেল, সেখানে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার একমাত্র ভরসা হলো কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি)। কিন্তু এখানে না আছে ওষুধ, না আছে চিকিৎসক।
বগুড়া সদরে ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেশির ভাগ ভবনই জরাজীর্ণ। পৌর এলাকায় সেবার মান নিয়ে কিছুটা সন্তোষজনক তথ্য পাওয়া গেলেও গ্রামীণ ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে আছে রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং চাহিদামতো ওষুধ না দেওয়ার অভিযোগ।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকে মানুষের সেবা না-পাওয়ার চিত্র সারা দেশে কিন্তু এক রকম না। এলাকাভেদে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে। কোথাও বিদ্যুৎ নাই, কোথাও বসার জায়গা নাই, কোথাও আবার ওষুধ ফুরিয়ে গেছে, এসব সমস্যা সমাধানে প্রথমত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব নিয়ে সমাধান করতে হবে। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনিক কাজ করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা। তাঁরা যদি সমস্যা সমাধান করতে না পারেন, পর্যায়ক্রমে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট সমাধান করবে।’
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা কোনো নিয়মনীতি মানছেন না। ইচ্ছেমতো আসেন, ইচ্ছেমতোই চলে যান। তাঁদের ওপর কারও কোনো তদারকিও নেই।
তবে ভালো খবরও আছে। হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রসূতি মায়েদের ভরসাই হলো সেখানকার কমিউনিটি ক্লিনিক। যদিও সব ক্লিনিক এখনো প্রসূতির নিরাপদ সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করতে পারেনি। তবে এই অঞ্চলের ক্লিনিকগুলো প্রসূতি মায়েদের জন্য আশা জাগিয়েছে।
জামালগঞ্জ উপজেলায় উপজেলার প্রায় ২ লাখ জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা অংশের হাওরে বাস। যাদের হেমন্তে পা আর বর্ষায় নৌকা যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এই অঞ্চলটির প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেখানে অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনাসহ বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সরকারিভাবে ‘হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, একজন পরিকল্পনাকর্মী ও স্বাস্থ্য সহকারী ছাড়া আর কোনো পদ নেই। সে কারণে ক্লিনিকের আসবাব রক্ষণাবেক্ষণসহ সুইপার ও ঝাড়ুদারের কাজও তাঁদেরই করতে হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষণায় উঠে এসেছে, ছয় বছর আগেও এসব ক্লিনিকে যে সেবা পাওয়া যেত, এখনো তা-ই আছে। শুধু গ্রাম নয়, শহরাঞ্চলেও সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পর্যাপ্ত নয়। আর এ কারণে রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
আর বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বৈশ্বিক অনুশীলনের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বুশরা বিনতে আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো অনেক সুন্দর। প্রান্তিক পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল এবং বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। তারপরও কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবার মানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটি করতে পারলে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অনেক বড় উপকার হবে।’

জ্বর, কোমরব্যথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বাড়ির পাশের কমিউনিটি ক্লিনিকে এসেছিলেন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার অন্বয়পুর ইউনিয়নের আনুলিয়া গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব মালা বেগম। বেলা সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখেন, ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত (প্রোভাইডার) চিকিৎসক সৈয়দ আফরোজ কল্প নেই। দুজন সহকারী সবকিছু গুটিয়ে ক্লিনিক বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এই প্রতিবেদকের উপস্থিতিতে মালা বেগম খুব আক্ষেপ করে বললেন, ‘এত কষ্ট করি আইল্যাম, এহন দেখি ডাক্তার নাই। ওমন হলে গরিব মানুষ কেমনে বাঁচে বাবা?’
বৃদ্ধার কথা শুনে ক্লিনিকের সহকারী দুজন চুপচাপ। চলে যাওয়ার মুহূর্তে রোগী আসায় তাঁরা বিরক্ত। একই সঙ্গে তাঁদের মুখে অসহায়ের সুর, এখানে তো ওষুধ নেই, চিকিৎসা হবে কীভাবে?
সেখান থেকে একটু দূরে গোয়ালখালী কমিউনিটি ক্লিনিক। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক নিগার সুলতানা বললেন, ‘দেখুন, এ জায়গায় বয়স্ক ও গর্ভবতীদের আসার কোনো ব্যবস্থা নেই। বর্ষা হলে অবস্থা বেহাল। চারদিকে পানি থাকে, কেউ আসতে পারে না।’
তারপরও যাঁরা আসেন, তাঁরা কি চিকিৎসা পান? এমন প্রশ্নের জবাবে নিগার সুলতানা বলেন, ‘আমাদের কাছে যে পরিমাণ ওষুধ আসে, তাতে ২০ শতাংশ মানুষকেও সেবা দিতে পারি না। দেখতেই পাচ্ছেন, জটিল রোগের চিকিৎসা তো দূরের কথা, গর্ভবতী মায়েদের ওজন মাপার যন্ত্রটি পর্যন্ত নেই।’
চরবেষ্টিত তেওতা ইউনিয়নের ত্রিশুণ্ডি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা হলো সেখানকার কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু ক্লিনিক বলতে চরের মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি টিনের ঘর। মাসে দু-একবার খোলা হয়, বন্ধ থাকে বেশির ভাগ সময়।
কমিউনিটি ক্লিনিকের এই বেহাল অবস্থা দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নিজের জেলা মানিকগঞ্জের। দেশের অন্য জেলার চিত্র কী তা মনে হয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী অবশ্য নিজেও এসব দুর্দশার কথা স্বীকার করলেন। তিনি বলেন, আগের চেয়ে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ওষুধপত্রের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বললেন, মানিকগঞ্জ জেলার সাত উপজেলায় ১৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। নতুন করে আরও ২টি ক্লিনিকের কাজ চলছে। তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, স্বাস্থ্যসেবা না দিয়ে শুধু ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়িয়ে কী লাভ? জবাবে তিনি বললেন, ‘আমাদের সামর্থ্যও বুঝতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এসব ক্লিনিক গড়ে তোলা হলেও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে শুরু থেকেই ঘাটতি দেখা গেছে। কোথাও অনেকটা ভালোমতো চললেও অধিকাংশ জায়গাতেই অব্যবস্থাপনা। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তদারকিতে, যা নেই বললেই চলে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এগুলোতে নজর দেন না, এটাই বড় সমস্যা।
তৃণমূল পর্যায়ের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা ট্রাস্ট গঠন করে সরকার। এই ট্রাস্টের কাজই হলো গ্রামপর্যায়ে গড়ে তোলা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো দেখভাল করা। ১৫ সদস্যের এই ট্রাস্টের প্রধান ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। সারা দেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ১৪১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, এসব ক্লিনিক দেখার কেউ নেই। কোথাও চিকিৎসক নেই, কোথাও ওষুধ নেই, আবার কোথাও চিকিৎসার সরঞ্জামও নেই। শুধু নেই আর নেই নিয়েই আছে কমিউনিটি ক্লিনিক। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে।
প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবার এমন অবস্থার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের এমন দুরবস্থার বিষয়টি সবারই জানা। নতুন করে দায়িত্বে আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠিয়েছি বহুবার। আজও (গতকাল) চিঠি দিয়েছি। ফাইল আটকে রয়েছে, কাজ না বোঝার কারণেই এমন হচ্ছে।’

এই প্রতিবেদক অন্তত ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে দেখতে পান, সর্বত্র একই দশা। বেশির ভাগ ক্লিনিকেই কোনো তদারকি নেই। ফলে স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন মানুষ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হলো প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রে। এসব ক্লিনিকে প্রসূতি মা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সেবার দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা কোনো সেবাই পাচ্ছেন না।
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের একটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেল, সেখানে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার একমাত্র ভরসা হলো কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি)। কিন্তু এখানে না আছে ওষুধ, না আছে চিকিৎসক।
বগুড়া সদরে ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেশির ভাগ ভবনই জরাজীর্ণ। পৌর এলাকায় সেবার মান নিয়ে কিছুটা সন্তোষজনক তথ্য পাওয়া গেলেও গ্রামীণ ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে আছে রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং চাহিদামতো ওষুধ না দেওয়ার অভিযোগ।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকে মানুষের সেবা না-পাওয়ার চিত্র সারা দেশে কিন্তু এক রকম না। এলাকাভেদে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে। কোথাও বিদ্যুৎ নাই, কোথাও বসার জায়গা নাই, কোথাও আবার ওষুধ ফুরিয়ে গেছে, এসব সমস্যা সমাধানে প্রথমত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব নিয়ে সমাধান করতে হবে। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনিক কাজ করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা। তাঁরা যদি সমস্যা সমাধান করতে না পারেন, পর্যায়ক্রমে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট সমাধান করবে।’
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা কোনো নিয়মনীতি মানছেন না। ইচ্ছেমতো আসেন, ইচ্ছেমতোই চলে যান। তাঁদের ওপর কারও কোনো তদারকিও নেই।
তবে ভালো খবরও আছে। হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রসূতি মায়েদের ভরসাই হলো সেখানকার কমিউনিটি ক্লিনিক। যদিও সব ক্লিনিক এখনো প্রসূতির নিরাপদ সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করতে পারেনি। তবে এই অঞ্চলের ক্লিনিকগুলো প্রসূতি মায়েদের জন্য আশা জাগিয়েছে।
জামালগঞ্জ উপজেলায় উপজেলার প্রায় ২ লাখ জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা অংশের হাওরে বাস। যাদের হেমন্তে পা আর বর্ষায় নৌকা যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এই অঞ্চলটির প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেখানে অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনাসহ বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সরকারিভাবে ‘হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, একজন পরিকল্পনাকর্মী ও স্বাস্থ্য সহকারী ছাড়া আর কোনো পদ নেই। সে কারণে ক্লিনিকের আসবাব রক্ষণাবেক্ষণসহ সুইপার ও ঝাড়ুদারের কাজও তাঁদেরই করতে হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষণায় উঠে এসেছে, ছয় বছর আগেও এসব ক্লিনিকে যে সেবা পাওয়া যেত, এখনো তা-ই আছে। শুধু গ্রাম নয়, শহরাঞ্চলেও সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পর্যাপ্ত নয়। আর এ কারণে রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
আর বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বৈশ্বিক অনুশীলনের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বুশরা বিনতে আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো অনেক সুন্দর। প্রান্তিক পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল এবং বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। তারপরও কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবার মানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটি করতে পারলে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অনেক বড় উপকার হবে।’

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের এমন দুরবস্থার বিষয়টি সবারই জানা। নতুন করে দায়িত্বে আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠিয়েছি বহুবার। আজও (গতকাল) চিঠি দিয়েছি। ফাইল আটকে রয়েছে, কাজ না বোঝার কারণেই এমন হচ্ছে
৩১ মার্চ ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের এমন দুরবস্থার বিষয়টি সবারই জানা। নতুন করে দায়িত্বে আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠিয়েছি বহুবার। আজও (গতকাল) চিঠি দিয়েছি। ফাইল আটকে রয়েছে, কাজ না বোঝার কারণেই এমন হচ্ছে
৩১ মার্চ ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের এমন দুরবস্থার বিষয়টি সবারই জানা। নতুন করে দায়িত্বে আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠিয়েছি বহুবার। আজও (গতকাল) চিঠি দিয়েছি। ফাইল আটকে রয়েছে, কাজ না বোঝার কারণেই এমন হচ্ছে
৩১ মার্চ ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের এমন দুরবস্থার বিষয়টি সবারই জানা। নতুন করে দায়িত্বে আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠিয়েছি বহুবার। আজও (গতকাল) চিঠি দিয়েছি। ফাইল আটকে রয়েছে, কাজ না বোঝার কারণেই এমন হচ্ছে
৩১ মার্চ ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫