উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের হিমবাহগুলো যে হারে গলতে শুরু করেছে, তাতে আগামী শতাব্দীতে আর কোনো হিমবাহ খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের অধিকাংশ হিমবাহ (শেষ বরফ যুগের অবশিষ্টাংশ) জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গলে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউরোপের আল্পস পর্বতমালায় রেকর্ড পরিমাণে হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটছে। আল্পসের তাপমাত্রা প্রতি দশকে প্রায় ০.৩ সেলসিয়াস উষ্ণ হচ্ছে, যা বৈশ্বিক গড় থেকে প্রায় দ্বিগুণ দ্রুত।
সম্প্রতি সুইস হিমবাহবিদ আন্দ্রেয়াস লিন্সবাউয়ার বলেন, আল্পসের হিমবাহগুলো সর্বোচ্চ ক্ষতির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। অন্তত ৬০ বছরের রেকর্ড তথ্য-উপাত্তের পরিপ্রেক্ষিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই উদ্বেগজনক তথ্য জানান তিনি। শীতকালে কতটা তুষারপাত হয়েছে এবং গ্রীষ্মে কতটা বরফ গলছে তার পার্থক্য দেখে বিজ্ঞানীরা পরিমাপ করতে পারেন যে কোনো বছরে একটি হিমবাহ কতটা সংকুচিত হয়েছে।
গত শীতে তুলনামূলক কম তুষারপাত হয়েছিল। অথচ গ্রীষ্মের প্রথম দিকে দুটি বড় তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে গেছে আল্পস। যার মধ্যে একটি জুলাই মাসে সুইস পাহাড়ি এলাকা জারমাটের একটি গ্রামে ৩০ সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এই তাপপ্রবাহের সময় যে উচ্চতায় জল জমেছিল, তা পরিমাপ করে হিমবাহবিদ আন্দ্রেয়াস লিন্সবাউয়ার বলেন, ‘সত্যিই সুস্পষ্ট যে, এটি একটি ভয়াবহ ঋতু’।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের আন্তসরকার প্যানেলের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন যদি বাড়তে থাকে তবে ২১০০ সালের মধ্যে আল্পসের হিমবাহগুলো তাদের বর্তমান অবস্থার ৮০ শতাংশেরও বেশি হারাতে পারে। আর অতীতের নির্গমনের হারের কারণে বর্তমানে যেই পদক্ষেপ নেওয়া হোক না কেন, অনেক হিমবাহ অদৃশ্য হয়ে যাবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আল্পসের হিমবাহ প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ২০২২ সালের মতো এমন আরও কয়েকটি বছর ধরে এটি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন ম্যাথিয়াস হুস নামের সুইজারল্যান্ডের একজন হিমবাহ পর্যবেক্ষক।
অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও ইতালির হিমবাহবিদরাও বলছেন, হিমবাহগুলো রেকর্ড ক্ষতির মুখে রয়েছে। অস্ট্রিয়ায়, ‘চূড়া পর্যন্ত হিমবাহ তুষারমুক্ত’ বলে জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেসের হিমবাহবিদ আন্দ্রেয়া ফিশার।
ইতালীয় গ্ল্যাসিওলজিকাল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্কো গিয়ার্ডিনো বলেন, ‘গ্রীষ্মের পরে চূড়ান্ত ফলাফল দেখলে আপনি সহজেই অনুমান করতে পারবেন আল্পসে হিমবাহের কেমন ক্ষতি হবে।’
উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের হিমবাহগুলো যে হারে গলতে শুরু করেছে, তাতে আগামী শতাব্দীতে আর কোনো হিমবাহ খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের অধিকাংশ হিমবাহ (শেষ বরফ যুগের অবশিষ্টাংশ) জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গলে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউরোপের আল্পস পর্বতমালায় রেকর্ড পরিমাণে হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটছে। আল্পসের তাপমাত্রা প্রতি দশকে প্রায় ০.৩ সেলসিয়াস উষ্ণ হচ্ছে, যা বৈশ্বিক গড় থেকে প্রায় দ্বিগুণ দ্রুত।
সম্প্রতি সুইস হিমবাহবিদ আন্দ্রেয়াস লিন্সবাউয়ার বলেন, আল্পসের হিমবাহগুলো সর্বোচ্চ ক্ষতির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। অন্তত ৬০ বছরের রেকর্ড তথ্য-উপাত্তের পরিপ্রেক্ষিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই উদ্বেগজনক তথ্য জানান তিনি। শীতকালে কতটা তুষারপাত হয়েছে এবং গ্রীষ্মে কতটা বরফ গলছে তার পার্থক্য দেখে বিজ্ঞানীরা পরিমাপ করতে পারেন যে কোনো বছরে একটি হিমবাহ কতটা সংকুচিত হয়েছে।
গত শীতে তুলনামূলক কম তুষারপাত হয়েছিল। অথচ গ্রীষ্মের প্রথম দিকে দুটি বড় তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে গেছে আল্পস। যার মধ্যে একটি জুলাই মাসে সুইস পাহাড়ি এলাকা জারমাটের একটি গ্রামে ৩০ সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এই তাপপ্রবাহের সময় যে উচ্চতায় জল জমেছিল, তা পরিমাপ করে হিমবাহবিদ আন্দ্রেয়াস লিন্সবাউয়ার বলেন, ‘সত্যিই সুস্পষ্ট যে, এটি একটি ভয়াবহ ঋতু’।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের আন্তসরকার প্যানেলের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন যদি বাড়তে থাকে তবে ২১০০ সালের মধ্যে আল্পসের হিমবাহগুলো তাদের বর্তমান অবস্থার ৮০ শতাংশেরও বেশি হারাতে পারে। আর অতীতের নির্গমনের হারের কারণে বর্তমানে যেই পদক্ষেপ নেওয়া হোক না কেন, অনেক হিমবাহ অদৃশ্য হয়ে যাবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আল্পসের হিমবাহ প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ২০২২ সালের মতো এমন আরও কয়েকটি বছর ধরে এটি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন ম্যাথিয়াস হুস নামের সুইজারল্যান্ডের একজন হিমবাহ পর্যবেক্ষক।
অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও ইতালির হিমবাহবিদরাও বলছেন, হিমবাহগুলো রেকর্ড ক্ষতির মুখে রয়েছে। অস্ট্রিয়ায়, ‘চূড়া পর্যন্ত হিমবাহ তুষারমুক্ত’ বলে জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেসের হিমবাহবিদ আন্দ্রেয়া ফিশার।
ইতালীয় গ্ল্যাসিওলজিকাল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্কো গিয়ার্ডিনো বলেন, ‘গ্রীষ্মের পরে চূড়ান্ত ফলাফল দেখলে আপনি সহজেই অনুমান করতে পারবেন আল্পসে হিমবাহের কেমন ক্ষতি হবে।’
বাংলাদেশ ‘নদীমাতৃক দেশ’ হলেও বেশির ভাগ নদীর উৎপত্তিই দেশের বাইরে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর ৮০ শতাংশই উৎপত্তি হয়েছে প্রতিবেশী কোনো দেশ থেকে, বিশেষ করে ভারত থেকে। এ কারণে পানির প্রবাহ ও প্রাপ্যতা বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছে এক জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্রুত বর্ধনশীল নগর
১ ঘণ্টা আগেসুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। তবে এখনো তাদের অস্তিত্ব ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য কমে যাওয়া, শিকারিদের অপতৎপরতা ও যথাযথ সুরক্ষা না থাকায় এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৭ ঘণ্টা আগেআজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ মেঘলা থাকলেও এ এলাকর আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বুধবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজও ঢাকার বাতাস সহনীয়। তবে, সহনীয় থাকলেও গতকালের তুলনায় কিছুটা অবনতি হয়েছে রাজধানীর বায়ুমানে। আজ মঙ্গলবার বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ৭৯ এবং দূষণের তালিকায় অবস্থান ২৪। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা
৮ ঘণ্টা আগে