শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ইতিমধ্যে ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে দেখেছি আমরা। কিন্তু গড় এই তাপমাত্রা আরেকটু বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে গেলেই পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে এমন ভয়াবহ গরম অনুভূত হবে যে, মানবস্বাস্থ্যের জন্য তা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই পৃথিবীর বিশাল অঞ্চলে অনুভূত হওয়া গরম মানুষের সহ্যসীমার বাইরে চলে যেতে পারে। অন্তত এক বিলিয়ন হেক্টর জমি এই ধরনের চরম গরমের শিকার হতে পারে।
৪ ফেব্রুয়ারি ‘নেচার রিভিউজ আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই প্রায় এক বিলিয়ন হেক্টর জমি চরম তাপমাত্রার শিকার হতে পারে। এই পরিমাণ জমি যুক্তরাষ্ট্রের মোট ভূমির সমান।
নিউইয়র্ক সিটির কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুলে গবেষণারত জলবায়ু বিজ্ঞানী র্যাডলি হর্টন জানিয়েছেন, বর্তমানে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে পৃথিবীর যতটুকু অঞ্চলে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি ভূমিতে অসহ্য গরম ছড়িয়ে পড়বে।
র্যাডলি বলেন, ‘যদি পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়ে, তাহলে পুরো দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল এমন চরম গরম অনুভব করবে, যা তরুণ ও সুস্থ ব্যক্তিদের জন্যও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।’
ভয়ের কথা হলো, এই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি খুব দূরের বিষয় নয়। ২০২৪ সালেই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
র্যাডলি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় যে আমরা বিপজ্জনক সীমার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বুধবার সায়েন্স নিউজ জানিয়েছে, গবেষকেরা গ্লোবাল ক্লাইমেট মডেল ও বাস্তব জগতের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার তথ্য ব্যবহার করে এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। তাঁদের বিশ্লেষণ বলছে, ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর অনেক ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে প্রতি ৩০ বছরে অন্তত একবার ভয়াবহ তাপপ্রবাহ দেখা দেবে।
এমন পরিস্থিতিতে মানুষ তাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা মৃত্যুও ঘটতে পারে।
গবেষণাটি বলছে, শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের চেয়ে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা যদি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়, তবে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ! এমন হলে বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ এলাকাগুলোতে চরম তাপমাত্রার কারণে মানুষের শরীর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে।
র্যাডলি বলেন, ‘শরীরের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যাওয়া প্রায় সবার জন্যই প্রাণঘাতী।’
এই দুই পরিস্থিতির (২ ডিগ্রি বা ৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি) মধ্যে বয়স্ক মানুষদের জন্য ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য অতিরিক্ত গরম অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। ফলে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জন্য বিশাল এলাকাজুড়ে পরিস্থিতি অসহনীয় ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে।
শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ইতিমধ্যে ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে দেখেছি আমরা। কিন্তু গড় এই তাপমাত্রা আরেকটু বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে গেলেই পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে এমন ভয়াবহ গরম অনুভূত হবে যে, মানবস্বাস্থ্যের জন্য তা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই পৃথিবীর বিশাল অঞ্চলে অনুভূত হওয়া গরম মানুষের সহ্যসীমার বাইরে চলে যেতে পারে। অন্তত এক বিলিয়ন হেক্টর জমি এই ধরনের চরম গরমের শিকার হতে পারে।
৪ ফেব্রুয়ারি ‘নেচার রিভিউজ আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই প্রায় এক বিলিয়ন হেক্টর জমি চরম তাপমাত্রার শিকার হতে পারে। এই পরিমাণ জমি যুক্তরাষ্ট্রের মোট ভূমির সমান।
নিউইয়র্ক সিটির কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুলে গবেষণারত জলবায়ু বিজ্ঞানী র্যাডলি হর্টন জানিয়েছেন, বর্তমানে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে পৃথিবীর যতটুকু অঞ্চলে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি ভূমিতে অসহ্য গরম ছড়িয়ে পড়বে।
র্যাডলি বলেন, ‘যদি পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়ে, তাহলে পুরো দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল এমন চরম গরম অনুভব করবে, যা তরুণ ও সুস্থ ব্যক্তিদের জন্যও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।’
ভয়ের কথা হলো, এই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি খুব দূরের বিষয় নয়। ২০২৪ সালেই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
র্যাডলি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় যে আমরা বিপজ্জনক সীমার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বুধবার সায়েন্স নিউজ জানিয়েছে, গবেষকেরা গ্লোবাল ক্লাইমেট মডেল ও বাস্তব জগতের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার তথ্য ব্যবহার করে এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। তাঁদের বিশ্লেষণ বলছে, ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর অনেক ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে প্রতি ৩০ বছরে অন্তত একবার ভয়াবহ তাপপ্রবাহ দেখা দেবে।
এমন পরিস্থিতিতে মানুষ তাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা মৃত্যুও ঘটতে পারে।
গবেষণাটি বলছে, শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের চেয়ে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা যদি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়, তবে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ! এমন হলে বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ এলাকাগুলোতে চরম তাপমাত্রার কারণে মানুষের শরীর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে।
র্যাডলি বলেন, ‘শরীরের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যাওয়া প্রায় সবার জন্যই প্রাণঘাতী।’
এই দুই পরিস্থিতির (২ ডিগ্রি বা ৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি) মধ্যে বয়স্ক মানুষদের জন্য ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য অতিরিক্ত গরম অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। ফলে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জন্য বিশাল এলাকাজুড়ে পরিস্থিতি অসহনীয় ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, মাতুয়াইল, আমিনবাজারসহ উন্মুক্ত স্থানে কেউ বর্জ্য পোড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্জ্য পোড়ানোর ঘটনায় দায়ী সরকারি, বেসরকারি ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬ ঘণ্টা আগেআজ দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরটির বায়ুমান ৬৭৪। যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক। এ ছাড়া বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে— ভারতের দিল্লি (২১০), পাকিস্তানের লাহোর (১৭১), চীনের বেইজিং (১৭০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৬৫)।
১৫ ঘণ্টা আগেচলতি বছর বর্ষাকালে ভারতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। যদিও বৃষ্টিপাতের সময় ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ফলে অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলছে আবহাওয়া দপ্তর।
১ দিন আগেআজ মঙ্গলবার বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে আছে বাহরাইনের মানামা। আজ বেলা ৮টা ৪০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী শহরটির বায়ুমান ২ হাজার ১৯৬। আর ঢাকার অবস্থান ২০তম। ঢাকার বায়ুমান ১১৫।
২ দিন আগে