Ajker Patrika

বেড়ায় বেড়েছে মৌসুমি পাখি শিকার ও বিক্রি

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, ১৩: ১০
Thumbnail image

পাবনার বেড়া উপজেলায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে একটি চক্র অভিনব পদ্ধতিতে মৌসুমি পাখি শিকারে মেতে উঠেছে। তারা বিভিন্ন নদী, হাওর, বিল, জলাশয় থেকে বক, পানকৌড়ি, বালিহাঁসসহ নানা প্রজাতির পাখি শিকার করে জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

জানা গেছে, নদী, বিল, ডোবা ও জলাশয়বেষ্টিত বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের পেঁচাকোলা, মহনগঞ্জ, নাকালিয়া; কৈতলা ইউনিয়নের রাকসা, মাছখালী; পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নাটিয়াবাড়ী, নগরবাড়ী; মাসুন্দিয়া ইউনিয়নের নটাখোলা ও কাজীরহাট এলাকায় সন্ধ্যার পর পাখি শিকারিরা তাঁদের শিকার করা পাখি বিক্রি শুরু করেন। শিকারিরা মূলত বক বেশি শিকার করেন। এক জোড়া ‘বক’ পাখি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন তাঁরা। তাঁরা সারা দিন ধরে পাখিগুলো ওই সব এলাকার বিভিন্ন জলাশয়ে ফাঁদ পেতে শিকার করেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, চলতি সময়ে নদী, বিল, ডোবার জল কমে চর জেগে ওঠায় প্রতিদিন শত শত বক ওই সব স্থানে খাদ্যের সন্ধানে বিচরণ করে। এ সময় শিকারিরা ফাঁদ পেতে পাখিগুলো আটক করে। পরে শত শত পাখি খাঁচাবন্দী করে রাখে। সন্ধ্যার পর সেগুলো বিক্রি করতে পাড়া-মহল্লার সরু গলিগুলোকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নেয় শিকারিরা। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় ক্রেতারও সেগুলো কিনে নেয়।

বেড়া উপজেলার মনজুর কাদের ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বক শিকার করায় আমাদের প্রাকৃতিক ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। শিকারিরা পাড়া-মহল্লার সরু গলিগুলোকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়ে পাখি বিক্রি করে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আটক করা সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সবুর আলী বলেন, পাখি শিকার ও ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ ও তথ্য পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত