Ajker Patrika

নওগাঁয় তাপমাত্রা নেমে ১০ ডিগ্রিতে, হিমেল হাওয়া কাবু মানুষ

 নওগাঁ প্রতিনিধি
Thumbnail image
শীতে সড়কে কমেছে যানবাহন ও মানুষের আনাগোনা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁয় বাড়ছে শীত। হাড় কাঁপানো হিমেল হাওয়ার দাপটে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে দিনমজুর, রিকশাচালক এবং খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁর বদলগাছি আবহাওয়া কার্যালয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, এর আগের দিন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ক্রমেই কমার পাশাপাশি তীব্র হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন থেকে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ কিছুটা কমলেও হিম হাওয়ায় নাকাল তাঁরা। দিনের বেলাও দেখা নেই সূর্যের। ঠান্ডা বাতাসের কারণে মানুষজন কাজে বের হতে দ্বিধাগ্রস্ত। বিশেষ করে সন্ধ্যা নামার পর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

সদর উপজেলার বরুনকান্দি এলাকার রিকশাচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। বাতাস এত বেশি যে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে, যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না। কাজ না করতে পারলে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে পড়বে।’

এদিকে শহরের রাস্তাঘাটেও শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কমে গেছে। যাঁরা কাজে বের হচ্ছেন, তাঁরাও সময়ের আগেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে গরম পোশাকের অভাবে বাড়িতে অবস্থান করছেন।

বালুডাঙ্গা এলাকায় দিনমজুর কাশেম মন্ডল বলেন, ‘শীত এমন যে হাত-পা জমে যাচ্ছে। সকাল থেকে কাজের জন্য বের হই, কিন্তু কাজ পাই না। শীতে কেউ কাজে ডাকছে না। এই ঠান্ডায় খেতে কাজ করা বা কোনো ভারী কাজ করা একেবারেই কঠিন। আমাদের মতো গরিব মানুষের শীত মানে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই।’

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে শীতের প্রকোপের মূল কারণ হিমেল বাতাস। এটি তাপমাত্রার চেয়ে বেশি শীত অনুভব করাচ্ছে।’

অন্যদিকে শীতের এ পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ এবং সহায়তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত