নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকির মুখে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত তিন মাসে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ৩০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। আর গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে দুই শর বেশি। এটি আশঙ্কাজনক। চলতি মার্চ মাসেই দেশে কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার, ভারত ও নেপাল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের প্রধান আবহাওয়াবিদ রোবায়েত কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। অতীতে এখানে অনেক ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও আশপাশে খুব বড় ভূমিকম্প হয়নি। সাধারণত একটি বড় ভূমিকম্পের এক শ-দেড় শ বছর পর আরেকটি হয়। তাই আশঙ্কা করছি, যেকোনো সময় আমাদের দেশে বড় ভূমিকম্প হতে পারে।’
ভূত্ত্বের অনেক গভীরে রয়েছে সুবিশাল কিছু পাথরের খণ্ড, যা টেকটোনিক প্লেট নামে পরিচিত। এ প্লেটগুলো স্থির নয়; বরং সঞ্চরণশীল। অতি ধীরে নড়ার সময় একপর্যায়ে এগুলোর পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ কারণেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া, বার্মা ও এশিয়ান এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এসব প্লেটের সংযোগস্থলে অনেক বছর আগে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন থেকে এই অংশে আবার বিপুল পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে। সেই শক্তি যদি একসঙ্গে বের হয়, তাহলে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হলে এটা হবে ব্যাপক জীবনহানিকর। কারণ, ভূমিকম্পের উৎসস্থল হবে ঢাকার খুব কাছে। এ শহরের দালানকোঠা অধিকাংশ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকার নিচে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও তার ক্ষয়ক্ষতি হবে সাংঘাতিক। আর কাছাকাছি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার অবস্থা কী হবে, তা কল্পনারও বাইরে।’
সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ঢাকা শহরের ১ শতাংশ ভবনও যদি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। আরও ৮-১০ লাখ মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তখন এত বড় উদ্ধারকাজের জন্য যথেষ্ট দক্ষ লোকবলও পাওয়া যাবে না। কোন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে, তা নিরূপণ করাও কঠিন হবে।
বড় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে শহরজুড়ে থাকা গ্যাসলাইন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঢাকার অনেক বহুতল ভবনই সরকারি ভবন নির্মাণ বিধিমালা যথাযথভাবে না মেনে নির্মিত। এসব ভবন শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে সক্ষম নয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সব বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির নিচে গ্যারেজ তৈরি করার প্রবণতা নিয়ে প্রকৌশলী ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যারেজগুলো ভবনের নিচে করা হয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ। ৯৯ শতাংশ ভবনেই যেভাবে গ্যারেজ করা হয়, তাতে এর কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। আজকাল কিছু ভবনের ছাদে সুইমিংপুলও তৈরি করা হচ্ছে। এটিও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ভূমিকম্প সহনশীল করেও ছাদে সুইমিংপুল নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশের ভবনগুলোতে কতটা নিয়ম মেনে তা করা হচ্ছে, কে জানে?’
বিশেষজ্ঞদের তাগিদ
ভূতত্ত্ববিদ হুমায়ুন আখতার বলেন, স্বল্প মেয়াদে পরিকল্পনা করলে খুব কম টাকায় ভূমিকম্পের সময় ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় এবং তা ঘটার সময় করণীয় কী তা মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। এর জন্য দরকার সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা। তবে সরকারের দায়িত্বশীলদের নজর সাধারণত থাকে কেবল উদ্ধারকাজে। কারণ সেখানে কোটি কোটি টাকা আছে, কমিশন আছে।’
নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এমন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি খুবই দুর্বল পর্যায়ে রয়েছে। ভূমিকম্প সহনশীল অবকাঠামো তৈরিতে রাজউকসহ দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর কাগজ-কলমে কার্যক্রম থাকলেও, বাস্তবে সক্ষমতা নেই।
সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি রয়েছে। দেশের নগর এলাকার ৪৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শ
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে প্রাণঘাতী দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের ভূমিকম্প বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য ৯টি পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বিল্ডিং কোড ২০২০ মেনে ভূমিকম্পপ্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনের সংস্কার, অগ্নিনিরাপত্তা ও ইউটিলিটি লাইন সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া, নিয়মিত ভূমিকম্পবিষয়ক মহড়া ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, জরুরি ফোন নম্বর সংরক্ষণ ও দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো, স্বেচ্ছাসেবীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ ইত্যাদি। বাড়িতে পারিবারিক পর্যায়ে প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় কিছু জরুরি সরঞ্জাম যেমন টর্চ, রেডিও, শুকনো খাবার, পানি, জরুরি ওষুধ, ফার্স্ট এইড বক্স, বাঁশি ইত্যাদি হাতের কাছে তৈরি রাখা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য বা সহযোগিতার জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আঘাত থেকে রক্ষা পেতে শক্ত হেলমেট এবং ধ্বংসস্তূপ ভেঙে বের হতে বড় হাতুড়ি ও রড কাটার উপযোগী করাত রাখারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন দুর্যোগ মোকাবিলায় অভিজ্ঞজনেরা।

দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকির মুখে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত তিন মাসে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ৩০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। আর গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে দুই শর বেশি। এটি আশঙ্কাজনক। চলতি মার্চ মাসেই দেশে কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার, ভারত ও নেপাল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের প্রধান আবহাওয়াবিদ রোবায়েত কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। অতীতে এখানে অনেক ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও আশপাশে খুব বড় ভূমিকম্প হয়নি। সাধারণত একটি বড় ভূমিকম্পের এক শ-দেড় শ বছর পর আরেকটি হয়। তাই আশঙ্কা করছি, যেকোনো সময় আমাদের দেশে বড় ভূমিকম্প হতে পারে।’
ভূত্ত্বের অনেক গভীরে রয়েছে সুবিশাল কিছু পাথরের খণ্ড, যা টেকটোনিক প্লেট নামে পরিচিত। এ প্লেটগুলো স্থির নয়; বরং সঞ্চরণশীল। অতি ধীরে নড়ার সময় একপর্যায়ে এগুলোর পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ কারণেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া, বার্মা ও এশিয়ান এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এসব প্লেটের সংযোগস্থলে অনেক বছর আগে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন থেকে এই অংশে আবার বিপুল পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে। সেই শক্তি যদি একসঙ্গে বের হয়, তাহলে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হলে এটা হবে ব্যাপক জীবনহানিকর। কারণ, ভূমিকম্পের উৎসস্থল হবে ঢাকার খুব কাছে। এ শহরের দালানকোঠা অধিকাংশ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকার নিচে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও তার ক্ষয়ক্ষতি হবে সাংঘাতিক। আর কাছাকাছি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার অবস্থা কী হবে, তা কল্পনারও বাইরে।’
সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ঢাকা শহরের ১ শতাংশ ভবনও যদি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। আরও ৮-১০ লাখ মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তখন এত বড় উদ্ধারকাজের জন্য যথেষ্ট দক্ষ লোকবলও পাওয়া যাবে না। কোন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে, তা নিরূপণ করাও কঠিন হবে।
বড় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে শহরজুড়ে থাকা গ্যাসলাইন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঢাকার অনেক বহুতল ভবনই সরকারি ভবন নির্মাণ বিধিমালা যথাযথভাবে না মেনে নির্মিত। এসব ভবন শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে সক্ষম নয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সব বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির নিচে গ্যারেজ তৈরি করার প্রবণতা নিয়ে প্রকৌশলী ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যারেজগুলো ভবনের নিচে করা হয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ। ৯৯ শতাংশ ভবনেই যেভাবে গ্যারেজ করা হয়, তাতে এর কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। আজকাল কিছু ভবনের ছাদে সুইমিংপুলও তৈরি করা হচ্ছে। এটিও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ভূমিকম্প সহনশীল করেও ছাদে সুইমিংপুল নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশের ভবনগুলোতে কতটা নিয়ম মেনে তা করা হচ্ছে, কে জানে?’
বিশেষজ্ঞদের তাগিদ
ভূতত্ত্ববিদ হুমায়ুন আখতার বলেন, স্বল্প মেয়াদে পরিকল্পনা করলে খুব কম টাকায় ভূমিকম্পের সময় ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় এবং তা ঘটার সময় করণীয় কী তা মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। এর জন্য দরকার সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা। তবে সরকারের দায়িত্বশীলদের নজর সাধারণত থাকে কেবল উদ্ধারকাজে। কারণ সেখানে কোটি কোটি টাকা আছে, কমিশন আছে।’
নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এমন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি খুবই দুর্বল পর্যায়ে রয়েছে। ভূমিকম্প সহনশীল অবকাঠামো তৈরিতে রাজউকসহ দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর কাগজ-কলমে কার্যক্রম থাকলেও, বাস্তবে সক্ষমতা নেই।
সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি রয়েছে। দেশের নগর এলাকার ৪৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শ
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে প্রাণঘাতী দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের ভূমিকম্প বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য ৯টি পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বিল্ডিং কোড ২০২০ মেনে ভূমিকম্পপ্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনের সংস্কার, অগ্নিনিরাপত্তা ও ইউটিলিটি লাইন সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া, নিয়মিত ভূমিকম্পবিষয়ক মহড়া ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, জরুরি ফোন নম্বর সংরক্ষণ ও দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো, স্বেচ্ছাসেবীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ ইত্যাদি। বাড়িতে পারিবারিক পর্যায়ে প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় কিছু জরুরি সরঞ্জাম যেমন টর্চ, রেডিও, শুকনো খাবার, পানি, জরুরি ওষুধ, ফার্স্ট এইড বক্স, বাঁশি ইত্যাদি হাতের কাছে তৈরি রাখা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য বা সহযোগিতার জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আঘাত থেকে রক্ষা পেতে শক্ত হেলমেট এবং ধ্বংসস্তূপ ভেঙে বের হতে বড় হাতুড়ি ও রড কাটার উপযোগী করাত রাখারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন দুর্যোগ মোকাবিলায় অভিজ্ঞজনেরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকির মুখে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত তিন মাসে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ৩০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। আর গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে দুই শর বেশি। এটি আশঙ্কাজনক। চলতি মার্চ মাসেই দেশে কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার, ভারত ও নেপাল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের প্রধান আবহাওয়াবিদ রোবায়েত কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। অতীতে এখানে অনেক ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও আশপাশে খুব বড় ভূমিকম্প হয়নি। সাধারণত একটি বড় ভূমিকম্পের এক শ-দেড় শ বছর পর আরেকটি হয়। তাই আশঙ্কা করছি, যেকোনো সময় আমাদের দেশে বড় ভূমিকম্প হতে পারে।’
ভূত্ত্বের অনেক গভীরে রয়েছে সুবিশাল কিছু পাথরের খণ্ড, যা টেকটোনিক প্লেট নামে পরিচিত। এ প্লেটগুলো স্থির নয়; বরং সঞ্চরণশীল। অতি ধীরে নড়ার সময় একপর্যায়ে এগুলোর পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ কারণেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া, বার্মা ও এশিয়ান এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এসব প্লেটের সংযোগস্থলে অনেক বছর আগে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন থেকে এই অংশে আবার বিপুল পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে। সেই শক্তি যদি একসঙ্গে বের হয়, তাহলে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হলে এটা হবে ব্যাপক জীবনহানিকর। কারণ, ভূমিকম্পের উৎসস্থল হবে ঢাকার খুব কাছে। এ শহরের দালানকোঠা অধিকাংশ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকার নিচে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও তার ক্ষয়ক্ষতি হবে সাংঘাতিক। আর কাছাকাছি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার অবস্থা কী হবে, তা কল্পনারও বাইরে।’
সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ঢাকা শহরের ১ শতাংশ ভবনও যদি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। আরও ৮-১০ লাখ মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তখন এত বড় উদ্ধারকাজের জন্য যথেষ্ট দক্ষ লোকবলও পাওয়া যাবে না। কোন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে, তা নিরূপণ করাও কঠিন হবে।
বড় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে শহরজুড়ে থাকা গ্যাসলাইন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঢাকার অনেক বহুতল ভবনই সরকারি ভবন নির্মাণ বিধিমালা যথাযথভাবে না মেনে নির্মিত। এসব ভবন শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে সক্ষম নয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সব বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির নিচে গ্যারেজ তৈরি করার প্রবণতা নিয়ে প্রকৌশলী ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যারেজগুলো ভবনের নিচে করা হয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ। ৯৯ শতাংশ ভবনেই যেভাবে গ্যারেজ করা হয়, তাতে এর কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। আজকাল কিছু ভবনের ছাদে সুইমিংপুলও তৈরি করা হচ্ছে। এটিও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ভূমিকম্প সহনশীল করেও ছাদে সুইমিংপুল নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশের ভবনগুলোতে কতটা নিয়ম মেনে তা করা হচ্ছে, কে জানে?’
বিশেষজ্ঞদের তাগিদ
ভূতত্ত্ববিদ হুমায়ুন আখতার বলেন, স্বল্প মেয়াদে পরিকল্পনা করলে খুব কম টাকায় ভূমিকম্পের সময় ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় এবং তা ঘটার সময় করণীয় কী তা মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। এর জন্য দরকার সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা। তবে সরকারের দায়িত্বশীলদের নজর সাধারণত থাকে কেবল উদ্ধারকাজে। কারণ সেখানে কোটি কোটি টাকা আছে, কমিশন আছে।’
নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এমন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি খুবই দুর্বল পর্যায়ে রয়েছে। ভূমিকম্প সহনশীল অবকাঠামো তৈরিতে রাজউকসহ দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর কাগজ-কলমে কার্যক্রম থাকলেও, বাস্তবে সক্ষমতা নেই।
সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি রয়েছে। দেশের নগর এলাকার ৪৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শ
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে প্রাণঘাতী দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের ভূমিকম্প বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য ৯টি পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বিল্ডিং কোড ২০২০ মেনে ভূমিকম্পপ্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনের সংস্কার, অগ্নিনিরাপত্তা ও ইউটিলিটি লাইন সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া, নিয়মিত ভূমিকম্পবিষয়ক মহড়া ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, জরুরি ফোন নম্বর সংরক্ষণ ও দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো, স্বেচ্ছাসেবীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ ইত্যাদি। বাড়িতে পারিবারিক পর্যায়ে প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় কিছু জরুরি সরঞ্জাম যেমন টর্চ, রেডিও, শুকনো খাবার, পানি, জরুরি ওষুধ, ফার্স্ট এইড বক্স, বাঁশি ইত্যাদি হাতের কাছে তৈরি রাখা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য বা সহযোগিতার জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আঘাত থেকে রক্ষা পেতে শক্ত হেলমেট এবং ধ্বংসস্তূপ ভেঙে বের হতে বড় হাতুড়ি ও রড কাটার উপযোগী করাত রাখারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন দুর্যোগ মোকাবিলায় অভিজ্ঞজনেরা।

দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকির মুখে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত তিন মাসে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ৩০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। আর গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে দুই শর বেশি। এটি আশঙ্কাজনক। চলতি মার্চ মাসেই দেশে কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার, ভারত ও নেপাল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের প্রধান আবহাওয়াবিদ রোবায়েত কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। অতীতে এখানে অনেক ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও আশপাশে খুব বড় ভূমিকম্প হয়নি। সাধারণত একটি বড় ভূমিকম্পের এক শ-দেড় শ বছর পর আরেকটি হয়। তাই আশঙ্কা করছি, যেকোনো সময় আমাদের দেশে বড় ভূমিকম্প হতে পারে।’
ভূত্ত্বের অনেক গভীরে রয়েছে সুবিশাল কিছু পাথরের খণ্ড, যা টেকটোনিক প্লেট নামে পরিচিত। এ প্লেটগুলো স্থির নয়; বরং সঞ্চরণশীল। অতি ধীরে নড়ার সময় একপর্যায়ে এগুলোর পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ কারণেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া, বার্মা ও এশিয়ান এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এসব প্লেটের সংযোগস্থলে অনেক বছর আগে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন থেকে এই অংশে আবার বিপুল পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে। সেই শক্তি যদি একসঙ্গে বের হয়, তাহলে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হলে এটা হবে ব্যাপক জীবনহানিকর। কারণ, ভূমিকম্পের উৎসস্থল হবে ঢাকার খুব কাছে। এ শহরের দালানকোঠা অধিকাংশ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকার নিচে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও তার ক্ষয়ক্ষতি হবে সাংঘাতিক। আর কাছাকাছি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার অবস্থা কী হবে, তা কল্পনারও বাইরে।’
সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ঢাকা শহরের ১ শতাংশ ভবনও যদি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। আরও ৮-১০ লাখ মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তখন এত বড় উদ্ধারকাজের জন্য যথেষ্ট দক্ষ লোকবলও পাওয়া যাবে না। কোন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে, তা নিরূপণ করাও কঠিন হবে।
বড় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে শহরজুড়ে থাকা গ্যাসলাইন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঢাকার অনেক বহুতল ভবনই সরকারি ভবন নির্মাণ বিধিমালা যথাযথভাবে না মেনে নির্মিত। এসব ভবন শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে সক্ষম নয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সব বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির নিচে গ্যারেজ তৈরি করার প্রবণতা নিয়ে প্রকৌশলী ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যারেজগুলো ভবনের নিচে করা হয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ। ৯৯ শতাংশ ভবনেই যেভাবে গ্যারেজ করা হয়, তাতে এর কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। আজকাল কিছু ভবনের ছাদে সুইমিংপুলও তৈরি করা হচ্ছে। এটিও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ভূমিকম্প সহনশীল করেও ছাদে সুইমিংপুল নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশের ভবনগুলোতে কতটা নিয়ম মেনে তা করা হচ্ছে, কে জানে?’
বিশেষজ্ঞদের তাগিদ
ভূতত্ত্ববিদ হুমায়ুন আখতার বলেন, স্বল্প মেয়াদে পরিকল্পনা করলে খুব কম টাকায় ভূমিকম্পের সময় ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় এবং তা ঘটার সময় করণীয় কী তা মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। এর জন্য দরকার সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা। তবে সরকারের দায়িত্বশীলদের নজর সাধারণত থাকে কেবল উদ্ধারকাজে। কারণ সেখানে কোটি কোটি টাকা আছে, কমিশন আছে।’
নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এমন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি খুবই দুর্বল পর্যায়ে রয়েছে। ভূমিকম্প সহনশীল অবকাঠামো তৈরিতে রাজউকসহ দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর কাগজ-কলমে কার্যক্রম থাকলেও, বাস্তবে সক্ষমতা নেই।
সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি রয়েছে। দেশের নগর এলাকার ৪৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শ
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে প্রাণঘাতী দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের ভূমিকম্প বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য ৯টি পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বিল্ডিং কোড ২০২০ মেনে ভূমিকম্পপ্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনের সংস্কার, অগ্নিনিরাপত্তা ও ইউটিলিটি লাইন সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া, নিয়মিত ভূমিকম্পবিষয়ক মহড়া ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, জরুরি ফোন নম্বর সংরক্ষণ ও দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো, স্বেচ্ছাসেবীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ ইত্যাদি। বাড়িতে পারিবারিক পর্যায়ে প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় কিছু জরুরি সরঞ্জাম যেমন টর্চ, রেডিও, শুকনো খাবার, পানি, জরুরি ওষুধ, ফার্স্ট এইড বক্স, বাঁশি ইত্যাদি হাতের কাছে তৈরি রাখা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য বা সহযোগিতার জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আঘাত থেকে রক্ষা পেতে শক্ত হেলমেট এবং ধ্বংসস্তূপ ভেঙে বের হতে বড় হাতুড়ি ও রড কাটার উপযোগী করাত রাখারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন দুর্যোগ মোকাবিলায় অভিজ্ঞজনেরা।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩০ মার্চ ২০২৫
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩০ মার্চ ২০২৫
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১৫ ঘণ্টা আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩০ মার্চ ২০২৫
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
১ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩০ মার্চ ২০২৫
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১ দিন আগে