প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার
হাওর, পাহাড়, চা বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। সবুজের এ রাজ্য করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে পুনরায় খুলে দেওয়া হলো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘ বিরতির পর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের পর্যটন কেন্দ্রের ন্যায় খোলা হয়েছে মৌলভীবাজার এর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পর্যটন কেন্দ্রগুলো মানুষের আনাগোনায় আবার মুখরিত হবে। ব্যস্ততা বাড়বে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও হোটেল রিসোর্ট কটেজগুলোয়। জেলার হামহাম জলপ্রপাত, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, জলের গ্রাম অন্তেহরী, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বাইক্কা বিল হাইল হাওর, হাকালুকি হাওর, সারি সারি চা বাগান, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, বধ্যভূমি ৭১, সাত লেয়ারের চা, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানে পর্যটকেরা আবার ফিরবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তিন তারকা মানের হোটেল রেস্ট ইন এর ব্যবস্থাপক সতরোজিত আচার্য জানান, দীর্ঘদিন পর সবকিছু খুলে দেওয়ায় তাঁরা ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে ২৪ জন পর্যটক তাদের হোটেলে আছেন। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া পাঁচতারকা মানের দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, শ্রীমঙ্গল উপজেলার গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, টি-বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম, রাঙ্গাউটি রিসোর্ট, লেমন গার্ডেন রিসোর্ট, নভেম ইকো রিসোর্ট, টি হ্যাভেন রিসোর্ট, বালিশিরা রিসোর্টসহ প্রায় দুই শত হোটেল-মোটেল লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে দেখছেন। রিসোর্ট কটেজ হোটেলের ৬০ শতাংশ স্টাফকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে কিছু স্টাফ এসে যুক্ত হয়েছেন। বাকিদের পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে যুক্ত করা হবে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান দফায় দফায় বন্ধ এবং লকডাউনের ফলে পর্যটন খাতে কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এখন পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে। জেলায় আগে প্রতিদিনই বেড়াতে আসত অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ। কিন্তু এখন করোনার কারণ ও আর্থিক সংকট এর কারণে মানুষ কম আসার সম্ভাবনাই বেশি।
শ্রীমঙ্গলের পাঁচতারকা হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আরমান খান জানান, করোনায় বন্ধের দীর্ঘদিন পর আবার উন্মুক্ত করা হয়েছে। তারা কার্যক্রম শুরু করেছেন। দেশি পর্যটকেরা আসলেও বিদেশি পর্যটক এখন আসবে না। তাঁদের হোটেল বিদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। বিদেশি পর্যটক না আসলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে বলে জানান তিনি।
মৌলভীবাজারের হোটেল ও রিসোর্টের অধিকাংশই শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। পর্যটন গন্তব্য হিসেবে এই জায়গা বেশ জনপ্রিয়। এখানে আছে প্রায় ১০০টি হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, রিসোর্ট ও কটেজ। এর মধ্যে পাঁচতারকা হোটেল এবং তিন তারকা মানের রিসোর্ট পাঁচটির বেশি।
শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডে গ্রীন লীফ গেস্ট হাউসের স্বত্বাধিকারী এবং শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এসকে দাস সুমন বলেন, ‘মানুষ এখন অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এরই মধ্যে করোনা আতঙ্ক। পর্যটন কেন্দ্র খোলা হলেও মানুষ তেমন আসবে না। এই সময়ে পেটের ক্ষুধার চেয়ে মনের ক্ষুধা নিবারণ মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফলে আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন। আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘরে তুলেছি রিসোর্ট-কটেজ, সরকার সেখান থেকে অনেক রাজস্ব পাচ্ছে। কিন্তু করোনার সময় আমরা কোন সহযোগিতা পাই নাই। আমাদের ব্যাংক লোন কয়েক কোটি টাকা। আমরা কীভাবে সেগুলো পরিশোধ করব!’
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘এই জেলা দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পর্যটন নির্ভর লোকের সংখ্যা বেশি। পর্যটন কেন্দ্র সহ অন্যান্য সেক্টর খুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে সবাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ২০০ রিসোর্ট, কটেজ, হোটেল কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে সব সময় সহযোগিতা করা হবে।’
হাওর, পাহাড়, চা বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। সবুজের এ রাজ্য করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে পুনরায় খুলে দেওয়া হলো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘ বিরতির পর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের পর্যটন কেন্দ্রের ন্যায় খোলা হয়েছে মৌলভীবাজার এর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পর্যটন কেন্দ্রগুলো মানুষের আনাগোনায় আবার মুখরিত হবে। ব্যস্ততা বাড়বে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও হোটেল রিসোর্ট কটেজগুলোয়। জেলার হামহাম জলপ্রপাত, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, জলের গ্রাম অন্তেহরী, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বাইক্কা বিল হাইল হাওর, হাকালুকি হাওর, সারি সারি চা বাগান, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, বধ্যভূমি ৭১, সাত লেয়ারের চা, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানে পর্যটকেরা আবার ফিরবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তিন তারকা মানের হোটেল রেস্ট ইন এর ব্যবস্থাপক সতরোজিত আচার্য জানান, দীর্ঘদিন পর সবকিছু খুলে দেওয়ায় তাঁরা ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে ২৪ জন পর্যটক তাদের হোটেলে আছেন। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া পাঁচতারকা মানের দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, শ্রীমঙ্গল উপজেলার গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, টি-বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম, রাঙ্গাউটি রিসোর্ট, লেমন গার্ডেন রিসোর্ট, নভেম ইকো রিসোর্ট, টি হ্যাভেন রিসোর্ট, বালিশিরা রিসোর্টসহ প্রায় দুই শত হোটেল-মোটেল লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে দেখছেন। রিসোর্ট কটেজ হোটেলের ৬০ শতাংশ স্টাফকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে কিছু স্টাফ এসে যুক্ত হয়েছেন। বাকিদের পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে যুক্ত করা হবে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান দফায় দফায় বন্ধ এবং লকডাউনের ফলে পর্যটন খাতে কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এখন পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে। জেলায় আগে প্রতিদিনই বেড়াতে আসত অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ। কিন্তু এখন করোনার কারণ ও আর্থিক সংকট এর কারণে মানুষ কম আসার সম্ভাবনাই বেশি।
শ্রীমঙ্গলের পাঁচতারকা হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আরমান খান জানান, করোনায় বন্ধের দীর্ঘদিন পর আবার উন্মুক্ত করা হয়েছে। তারা কার্যক্রম শুরু করেছেন। দেশি পর্যটকেরা আসলেও বিদেশি পর্যটক এখন আসবে না। তাঁদের হোটেল বিদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। বিদেশি পর্যটক না আসলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে বলে জানান তিনি।
মৌলভীবাজারের হোটেল ও রিসোর্টের অধিকাংশই শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। পর্যটন গন্তব্য হিসেবে এই জায়গা বেশ জনপ্রিয়। এখানে আছে প্রায় ১০০টি হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, রিসোর্ট ও কটেজ। এর মধ্যে পাঁচতারকা হোটেল এবং তিন তারকা মানের রিসোর্ট পাঁচটির বেশি।
শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডে গ্রীন লীফ গেস্ট হাউসের স্বত্বাধিকারী এবং শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এসকে দাস সুমন বলেন, ‘মানুষ এখন অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এরই মধ্যে করোনা আতঙ্ক। পর্যটন কেন্দ্র খোলা হলেও মানুষ তেমন আসবে না। এই সময়ে পেটের ক্ষুধার চেয়ে মনের ক্ষুধা নিবারণ মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফলে আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন। আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘরে তুলেছি রিসোর্ট-কটেজ, সরকার সেখান থেকে অনেক রাজস্ব পাচ্ছে। কিন্তু করোনার সময় আমরা কোন সহযোগিতা পাই নাই। আমাদের ব্যাংক লোন কয়েক কোটি টাকা। আমরা কীভাবে সেগুলো পরিশোধ করব!’
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘এই জেলা দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পর্যটন নির্ভর লোকের সংখ্যা বেশি। পর্যটন কেন্দ্র সহ অন্যান্য সেক্টর খুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে সবাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ২০০ রিসোর্ট, কটেজ, হোটেল কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে সব সময় সহযোগিতা করা হবে।’
দক্ষিণ ফিলিপাইনের উপকূলে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বার্তা সংস্থা এএফপি মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)-এর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার রাজধানী ঢাকায় এবং আশপাশের অঞ্চলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও জানিয়েছে, হালকা বৃষ্টি হলেও দিনের তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন হবে না।
১১ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণের হিসাবে আজ সকালে ঢাকার মানুষের জন্য ভালো খবর রয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ শনিবার ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা অনেক কমেছে। দূষণ সহনীয় মাত্রায় থাকার ফলে এর অবস্থান পিছিয়ে ৩৩-এ গিয়ে ঠেকেছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ছিল ১১ তম।
১১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়ছে। সাধারণত বর্ষাকালে ঢাকায় দূষণের মাত্রা কমে যায়। তবে গতকালের চেয়ে আজ শুক্রবার বাতাসে দূষণ বেড়েছে। বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় প্রায়ই শীর্ষে থাকা ঢাকা আজ রয়েছে ১১তম স্থানে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার অবস্থান ছিল ১৫তম।
১ দিন আগে