
গরমে নাভিশ্বাস। প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিগত ৫৮ বছরের ইতিহাসে এত গরম পড়েনি ঢাকায়। এমনকি সারা বাংলাদেশেই এত গরম পড়েনি আগে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। টানা ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়া অফিস বলছে, গতকাল শনিবার ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গত ৫৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। প্রশ্ন হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বিভিন্ন রকম হয় কেন?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে তাপমাত্রার প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্য। যে জায়গায় যত বেশি সূর্যের আলো পড়বে, সেই জায়গার তাপমাত্রা তত বেশি হবে।
কিন্তু সূর্যের আলো কোথায় কী পরিমাণে পড়বে, সেটি নির্ভর করে বিষুবরেখার ওপর। বিষুবরেখা থেকে যে জায়গা যত দূরে থাকে, সে জায়গায় সূর্যের আলো তত কম পড়ে।
মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বিষুবরেখা আবার কী? বিষুবরেখা হচ্ছে পৃথিবীকে বিভক্তকারী একটি কাল্পনিক বৃত্ত। বিষুবরেখাকে নিরক্ষরেখাও বলা হয়। এই রেখার ওপরের দিকে থাকা জায়গাগুলো পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়েছে। আর নিরক্ষরেখার নিচের জায়গাগুলো পড়েছে দক্ষিণ গোলার্ধে।
তাপমাত্রার ভিন্নতার আরেক কারণ ‘সমুদ্র থেকে দূরত্ব’
কোন জায়গার তাপমাত্রা কেমন হবে সেটি পরিমাপ করার আরেকটি উপায় হচ্ছে, জায়গাটি সমুদ্র থেকে কত দূরে অবস্থিত। কারণ পানির কারণে সমতলভূমির তাপমাত্রার ওঠানামা অনেক দ্রুত হয়। অর্থাৎ সমতলভূমি যেমন দ্রুত গরম হয়, তেমনি দ্রুত শীতলও হয়।
সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি জায়গাগুলো গ্রীষ্মকালে খুব একটা উত্তপ্ত হয় না। কারণ জায়গাগুলো পানির কাছাকাছি থাকে। আবার শীতকালেও এই জায়গাগুলো খুব একটা ঠান্ডা হয় না, কারণ তারা উষ্ণ সমুদ্রের কাছাকাছি থাকে।
এ ছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আপনি যত ওপরে উঠবেন, তাপমাত্রা তত কম অনুভব করবেন। এ কারণে পাহাড়চূড়া বেশির ভাগ সময় ঠান্ডা থাকে এবং তুষারাবৃত থাকে।
বলে রাখা ভালো, সমুদ্রের উচ্চতা কত তা বোঝাতে ‘সমুদ্রপৃষ্ঠ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
এই সবকিছু মিলিয়ে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার তাপমাত্রা যে আলাদা আলাদা হয়, তার পেছনে দায়ী মূলত বিষুবরেখা ও সমুদ্রপৃষ্ঠ।
১. অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকাকে বলা হয় পৃথিবীর শীতলতম স্থান। এখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এর কারণ হচ্ছে, অ্যান্টার্কটিকা বিষুবরেখা থেকে অনেক দূরে।
সাধারণত সূর্যের তাপ ও আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে যায় এবং যেতে যেতে এটি একটি বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকায় সূর্যের আলো খুব কম পড়ে বলে জায়গাটি প্রচণ্ড শীতল থাকে।
২. ডেথ ভ্যালি
যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ জায়গাগুলোর একটি। সেখানে তাপমাত্রা ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। ডেথ ভ্যালি এত গরম হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এর উচ্চতা। এই জায়গার কিছু অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৬ মিটার নিচে অবস্থিত। এ কারণে জায়গাটিতে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
৩. গ্লাসগো
সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি জায়গাগুলো গ্রীষ্মে শীতল এবং শীতকালে উষ্ণ হতে থাকে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো জায়গাটি সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি হওয়ায় এটি গ্রীষ্মে উচ্চ তাপমাত্রা ধারণ করে না।
৪. মস্কো
রাশিয়ার মস্কো শহরটি সমুদ্র উপকূল থেকে অনেক দূরে। এ কারণে গ্রীষ্মকালে শহরটিতে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং শীতকালে তাপমাত্রা কমতে থাকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অবলম্বনে মারুফ ইসলাম
আরও খবর পড়ুন:

গরমে নাভিশ্বাস। প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিগত ৫৮ বছরের ইতিহাসে এত গরম পড়েনি ঢাকায়। এমনকি সারা বাংলাদেশেই এত গরম পড়েনি আগে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। টানা ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়া অফিস বলছে, গতকাল শনিবার ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গত ৫৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। প্রশ্ন হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বিভিন্ন রকম হয় কেন?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে তাপমাত্রার প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্য। যে জায়গায় যত বেশি সূর্যের আলো পড়বে, সেই জায়গার তাপমাত্রা তত বেশি হবে।
কিন্তু সূর্যের আলো কোথায় কী পরিমাণে পড়বে, সেটি নির্ভর করে বিষুবরেখার ওপর। বিষুবরেখা থেকে যে জায়গা যত দূরে থাকে, সে জায়গায় সূর্যের আলো তত কম পড়ে।
মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বিষুবরেখা আবার কী? বিষুবরেখা হচ্ছে পৃথিবীকে বিভক্তকারী একটি কাল্পনিক বৃত্ত। বিষুবরেখাকে নিরক্ষরেখাও বলা হয়। এই রেখার ওপরের দিকে থাকা জায়গাগুলো পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়েছে। আর নিরক্ষরেখার নিচের জায়গাগুলো পড়েছে দক্ষিণ গোলার্ধে।
তাপমাত্রার ভিন্নতার আরেক কারণ ‘সমুদ্র থেকে দূরত্ব’
কোন জায়গার তাপমাত্রা কেমন হবে সেটি পরিমাপ করার আরেকটি উপায় হচ্ছে, জায়গাটি সমুদ্র থেকে কত দূরে অবস্থিত। কারণ পানির কারণে সমতলভূমির তাপমাত্রার ওঠানামা অনেক দ্রুত হয়। অর্থাৎ সমতলভূমি যেমন দ্রুত গরম হয়, তেমনি দ্রুত শীতলও হয়।
সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি জায়গাগুলো গ্রীষ্মকালে খুব একটা উত্তপ্ত হয় না। কারণ জায়গাগুলো পানির কাছাকাছি থাকে। আবার শীতকালেও এই জায়গাগুলো খুব একটা ঠান্ডা হয় না, কারণ তারা উষ্ণ সমুদ্রের কাছাকাছি থাকে।
এ ছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আপনি যত ওপরে উঠবেন, তাপমাত্রা তত কম অনুভব করবেন। এ কারণে পাহাড়চূড়া বেশির ভাগ সময় ঠান্ডা থাকে এবং তুষারাবৃত থাকে।
বলে রাখা ভালো, সমুদ্রের উচ্চতা কত তা বোঝাতে ‘সমুদ্রপৃষ্ঠ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
এই সবকিছু মিলিয়ে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার তাপমাত্রা যে আলাদা আলাদা হয়, তার পেছনে দায়ী মূলত বিষুবরেখা ও সমুদ্রপৃষ্ঠ।
১. অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকাকে বলা হয় পৃথিবীর শীতলতম স্থান। এখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এর কারণ হচ্ছে, অ্যান্টার্কটিকা বিষুবরেখা থেকে অনেক দূরে।
সাধারণত সূর্যের তাপ ও আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে যায় এবং যেতে যেতে এটি একটি বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকায় সূর্যের আলো খুব কম পড়ে বলে জায়গাটি প্রচণ্ড শীতল থাকে।
২. ডেথ ভ্যালি
যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ জায়গাগুলোর একটি। সেখানে তাপমাত্রা ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। ডেথ ভ্যালি এত গরম হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এর উচ্চতা। এই জায়গার কিছু অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৬ মিটার নিচে অবস্থিত। এ কারণে জায়গাটিতে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
৩. গ্লাসগো
সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি জায়গাগুলো গ্রীষ্মে শীতল এবং শীতকালে উষ্ণ হতে থাকে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো জায়গাটি সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি হওয়ায় এটি গ্রীষ্মে উচ্চ তাপমাত্রা ধারণ করে না।
৪. মস্কো
রাশিয়ার মস্কো শহরটি সমুদ্র উপকূল থেকে অনেক দূরে। এ কারণে গ্রীষ্মকালে শহরটিতে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং শীতকালে তাপমাত্রা কমতে থাকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অবলম্বনে মারুফ ইসলাম
আরও খবর পড়ুন:

গরমে নাভিশ্বাস। প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিগত ৫৮ বছরের ইতিহাসে এত গরম পড়েনি ঢাকায়। এমনকি সারা বাংলাদেশেই এত গরম পড়েনি আগে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। টানা ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়া অফিস বলছে, গতকাল শনিবার ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গত ৫৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। প্রশ্ন হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বিভিন্ন রকম হয় কেন?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে তাপমাত্রার প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্য। যে জায়গায় যত বেশি সূর্যের আলো পড়বে, সেই জায়গার তাপমাত্রা তত বেশি হবে।
কিন্তু সূর্যের আলো কোথায় কী পরিমাণে পড়বে, সেটি নির্ভর করে বিষুবরেখার ওপর। বিষুবরেখা থেকে যে জায়গা যত দূরে থাকে, সে জায়গায় সূর্যের আলো তত কম পড়ে।
মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বিষুবরেখা আবার কী? বিষুবরেখা হচ্ছে পৃথিবীকে বিভক্তকারী একটি কাল্পনিক বৃত্ত। বিষুবরেখাকে নিরক্ষরেখাও বলা হয়। এই রেখার ওপরের দিকে থাকা জায়গাগুলো পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়েছে। আর নিরক্ষরেখার নিচের জায়গাগুলো পড়েছে দক্ষিণ গোলার্ধে।
তাপমাত্রার ভিন্নতার আরেক কারণ ‘সমুদ্র থেকে দূরত্ব’
কোন জায়গার তাপমাত্রা কেমন হবে সেটি পরিমাপ করার আরেকটি উপায় হচ্ছে, জায়গাটি সমুদ্র থেকে কত দূরে অবস্থিত। কারণ পানির কারণে সমতলভূমির তাপমাত্রার ওঠানামা অনেক দ্রুত হয়। অর্থাৎ সমতলভূমি যেমন দ্রুত গরম হয়, তেমনি দ্রুত শীতলও হয়।
সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি জায়গাগুলো গ্রীষ্মকালে খুব একটা উত্তপ্ত হয় না। কারণ জায়গাগুলো পানির কাছাকাছি থাকে। আবার শীতকালেও এই জায়গাগুলো খুব একটা ঠান্ডা হয় না, কারণ তারা উষ্ণ সমুদ্রের কাছাকাছি থাকে।
এ ছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আপনি যত ওপরে উঠবেন, তাপমাত্রা তত কম অনুভব করবেন। এ কারণে পাহাড়চূড়া বেশির ভাগ সময় ঠান্ডা থাকে এবং তুষারাবৃত থাকে।
বলে রাখা ভালো, সমুদ্রের উচ্চতা কত তা বোঝাতে ‘সমুদ্রপৃষ্ঠ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
এই সবকিছু মিলিয়ে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার তাপমাত্রা যে আলাদা আলাদা হয়, তার পেছনে দায়ী মূলত বিষুবরেখা ও সমুদ্রপৃষ্ঠ।
১. অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকাকে বলা হয় পৃথিবীর শীতলতম স্থান। এখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এর কারণ হচ্ছে, অ্যান্টার্কটিকা বিষুবরেখা থেকে অনেক দূরে।
সাধারণত সূর্যের তাপ ও আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে যায় এবং যেতে যেতে এটি একটি বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকায় সূর্যের আলো খুব কম পড়ে বলে জায়গাটি প্রচণ্ড শীতল থাকে।
২. ডেথ ভ্যালি
যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ জায়গাগুলোর একটি। সেখানে তাপমাত্রা ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। ডেথ ভ্যালি এত গরম হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এর উচ্চতা। এই জায়গার কিছু অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৬ মিটার নিচে অবস্থিত। এ কারণে জায়গাটিতে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
৩. গ্লাসগো
সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি জায়গাগুলো গ্রীষ্মে শীতল এবং শীতকালে উষ্ণ হতে থাকে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো জায়গাটি সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি হওয়ায় এটি গ্রীষ্মে উচ্চ তাপমাত্রা ধারণ করে না।
৪. মস্কো
রাশিয়ার মস্কো শহরটি সমুদ্র উপকূল থেকে অনেক দূরে। এ কারণে গ্রীষ্মকালে শহরটিতে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং শীতকালে তাপমাত্রা কমতে থাকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অবলম্বনে মারুফ ইসলাম
আরও খবর পড়ুন:

গরমে নাভিশ্বাস। প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিগত ৫৮ বছরের ইতিহাসে এত গরম পড়েনি ঢাকায়। এমনকি সারা বাংলাদেশেই এত গরম পড়েনি আগে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। টানা ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়া অফিস বলছে, গতকাল শনিবার ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গত ৫৮ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। প্রশ্ন হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বিভিন্ন রকম হয় কেন?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে তাপমাত্রার প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্য। যে জায়গায় যত বেশি সূর্যের আলো পড়বে, সেই জায়গার তাপমাত্রা তত বেশি হবে।
কিন্তু সূর্যের আলো কোথায় কী পরিমাণে পড়বে, সেটি নির্ভর করে বিষুবরেখার ওপর। বিষুবরেখা থেকে যে জায়গা যত দূরে থাকে, সে জায়গায় সূর্যের আলো তত কম পড়ে।
মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বিষুবরেখা আবার কী? বিষুবরেখা হচ্ছে পৃথিবীকে বিভক্তকারী একটি কাল্পনিক বৃত্ত। বিষুবরেখাকে নিরক্ষরেখাও বলা হয়। এই রেখার ওপরের দিকে থাকা জায়গাগুলো পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়েছে। আর নিরক্ষরেখার নিচের জায়গাগুলো পড়েছে দক্ষিণ গোলার্ধে।
তাপমাত্রার ভিন্নতার আরেক কারণ ‘সমুদ্র থেকে দূরত্ব’
কোন জায়গার তাপমাত্রা কেমন হবে সেটি পরিমাপ করার আরেকটি উপায় হচ্ছে, জায়গাটি সমুদ্র থেকে কত দূরে অবস্থিত। কারণ পানির কারণে সমতলভূমির তাপমাত্রার ওঠানামা অনেক দ্রুত হয়। অর্থাৎ সমতলভূমি যেমন দ্রুত গরম হয়, তেমনি দ্রুত শীতলও হয়।
সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি জায়গাগুলো গ্রীষ্মকালে খুব একটা উত্তপ্ত হয় না। কারণ জায়গাগুলো পানির কাছাকাছি থাকে। আবার শীতকালেও এই জায়গাগুলো খুব একটা ঠান্ডা হয় না, কারণ তারা উষ্ণ সমুদ্রের কাছাকাছি থাকে।
এ ছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আপনি যত ওপরে উঠবেন, তাপমাত্রা তত কম অনুভব করবেন। এ কারণে পাহাড়চূড়া বেশির ভাগ সময় ঠান্ডা থাকে এবং তুষারাবৃত থাকে।
বলে রাখা ভালো, সমুদ্রের উচ্চতা কত তা বোঝাতে ‘সমুদ্রপৃষ্ঠ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
এই সবকিছু মিলিয়ে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার তাপমাত্রা যে আলাদা আলাদা হয়, তার পেছনে দায়ী মূলত বিষুবরেখা ও সমুদ্রপৃষ্ঠ।
১. অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকাকে বলা হয় পৃথিবীর শীতলতম স্থান। এখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এর কারণ হচ্ছে, অ্যান্টার্কটিকা বিষুবরেখা থেকে অনেক দূরে।
সাধারণত সূর্যের তাপ ও আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে যায় এবং যেতে যেতে এটি একটি বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকায় সূর্যের আলো খুব কম পড়ে বলে জায়গাটি প্রচণ্ড শীতল থাকে।
২. ডেথ ভ্যালি
যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ জায়গাগুলোর একটি। সেখানে তাপমাত্রা ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। ডেথ ভ্যালি এত গরম হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এর উচ্চতা। এই জায়গার কিছু অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৬ মিটার নিচে অবস্থিত। এ কারণে জায়গাটিতে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
৩. গ্লাসগো
সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি জায়গাগুলো গ্রীষ্মে শীতল এবং শীতকালে উষ্ণ হতে থাকে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো জায়গাটি সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি হওয়ায় এটি গ্রীষ্মে উচ্চ তাপমাত্রা ধারণ করে না।
৪. মস্কো
রাশিয়ার মস্কো শহরটি সমুদ্র উপকূল থেকে অনেক দূরে। এ কারণে গ্রীষ্মকালে শহরটিতে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং শীতকালে তাপমাত্রা কমতে থাকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অবলম্বনে মারুফ ইসলাম
আরও খবর পড়ুন:

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
৫ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহরের তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৫, যা গতকাল ছিল ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ নবম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল তৃতীয়।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৬২, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং, পাকিস্তানের করাচি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ২০৮, ১৭৩ ও ১৭০।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহরের তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৫, যা গতকাল ছিল ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ নবম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল তৃতীয়।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৬২, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং, পাকিস্তানের করাচি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ২০৮, ১৭৩ ও ১৭০।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

গরমে নাভিশ্বাস। প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিগত ৫৮ বছরের ইতিহাসে এত গরম পড়েনি ঢাকায়। এমনকি সারা বাংলাদেশেই এত গরম পড়েনি আগে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। টানা ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৩
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ‘মোন্থা’। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র ঝুঁকি কেটে গেলেও বাংলাদেশে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া এই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের যেকোনো সময় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ‘মোন্থা’। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র ঝুঁকি কেটে গেলেও বাংলাদেশে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া এই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের যেকোনো সময় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

গরমে নাভিশ্বাস। প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিগত ৫৮ বছরের ইতিহাসে এত গরম পড়েনি ঢাকায়। এমনকি সারা বাংলাদেশেই এত গরম পড়েনি আগে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। টানা ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৩
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
৫ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গরমে নাভিশ্বাস। প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিগত ৫৮ বছরের ইতিহাসে এত গরম পড়েনি ঢাকায়। এমনকি সারা বাংলাদেশেই এত গরম পড়েনি আগে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। টানা ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৩
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
৫ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউএলএবি) ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাপন, ভোগ, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে শুধু তাদের ভবিষ্যৎ নয়, পৃথিবীর ভবিষ্যৎও।
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দায়িত্ববোধ, সততা ও টেকসই চিন্তাধারাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি পেশা, উদ্ভাবন ও নীতি পৃথিবীকে হয় সুস্থ করতে পারে, নয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সর্বদা সুস্থতার পথকেই বেছে নিতে হবে।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে উপদেষ্টা আরও বলেন, আজ তোমরা সাফল্যের প্রতীক হিসেবে গাউন ও ক্যাপ পরেছ, কাল দায়িত্বের প্রতীক পরবে। সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে চলো। মানুষের, দেশের ও পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ব কখনো ভুলে যেও না।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ইউএলএবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দা মাদিহা মুরশেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মানজুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম।
অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ডিগ্রি, স্বর্ণপদক ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউএলএবি) ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাপন, ভোগ, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে শুধু তাদের ভবিষ্যৎ নয়, পৃথিবীর ভবিষ্যৎও।
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দায়িত্ববোধ, সততা ও টেকসই চিন্তাধারাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি পেশা, উদ্ভাবন ও নীতি পৃথিবীকে হয় সুস্থ করতে পারে, নয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সর্বদা সুস্থতার পথকেই বেছে নিতে হবে।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে উপদেষ্টা আরও বলেন, আজ তোমরা সাফল্যের প্রতীক হিসেবে গাউন ও ক্যাপ পরেছ, কাল দায়িত্বের প্রতীক পরবে। সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে চলো। মানুষের, দেশের ও পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ব কখনো ভুলে যেও না।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ইউএলএবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দা মাদিহা মুরশেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মানজুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম।
অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ডিগ্রি, স্বর্ণপদক ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

গরমে নাভিশ্বাস। প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিগত ৫৮ বছরের ইতিহাসে এত গরম পড়েনি ঢাকায়। এমনকি সারা বাংলাদেশেই এত গরম পড়েনি আগে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। টানা ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৩
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
৫ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে