ব্রাজিলের আমাজনাস রাজ্যে চলছে প্রচণ্ড খরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে জলের ওপর ভাসমান একটি গ্রাম এখন দাঁড়িয়ে আছে শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের মাটির ওপর। খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর জ্বালানি—সবকিছুর হাহাকার চলছে এই এলাকায় বাস করা মানুষের মধ্যে।
আমাজনাস রাজ্যের রাজধানী মানাউসের পূর্বে পুরাকুয়েকুয়ারা হ্রদের পানির স্তর নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। এতে নৌকা ও ভাসমান ঘরগুলো পানির বদলে দাঁড়িয়ে আছে কাদার ওপর। ব্রাজিলের এই অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপ ও খরার সর্বশেষ উদাহরণ বলা চলে একে। এই মাসের গোড়ার দিকে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক ডলফিনের মৃতদেহ তীরে ভেসে আসে।
রিও নেগ্রো রিভার সিস্টেমের একটি অংশ পুরাকুয়েকুয়ারা হ্রদ। রাজ্যের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের মতে, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই এখানকার পানি প্রায় রেকর্ড পরিমাণ নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘পানির স্তর কমে যাওয়া বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।’
কিছু কিছু স্থানীয় বাসিন্দা পানি পাওয়ার আশায় ফাটলযুক্ত হ্রদের মেঝেতে কূপ খনন করছেন।
‘আমাদের দোকানে কোনো ক্রেতা নেই। আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। নৌকাগুলো হ্রদে প্রবেশ করতে বা এখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারছে না।’ স্থানীয় বাসিন্দা আইজ্যাক রড্রিগেস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের জল না পাঠানো পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকছি।’
মোটামুটি গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ খরা। রাজ্যের ৬২টির মধ্যে ৪২টি পৌরসভা জরুরি পরিস্থিতিতে আছে এবং ভুক্তভোগীর সংখ্যা ৩ লাখের বেশি বলে সিএনএনকে সোমবার জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৫ লাখের বেশি মানুষ এবং ৫০টি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ‘যেহেতু আরও কয়েকটি মাস কম বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছি আমরা’ কারণ হিসেবে বলেন রাজ্যের মুখপাত্র।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আমাজনাস রাজ্যের গভর্নর উইলসন লিমা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং খরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্যসহ বিভিন্ন সহায়তার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
‘অনেক লোকের ইতিমধ্যেই খাবার, পানীয় জল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পেতে অসুবিধা হচ্ছে।’ ওই সময়ে এক বিবৃতিতে বলেন তিনি।
রাজ্যের নদীগুলোর বন্যপ্রাণীদের জন্যও বিপদ ডেকে এনেছে এই খরা। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, অক্টোবরের শুরুতে পশ্চিম মানাউসের লেক তেফেতে শতাধিক ডলফিনের মৃত্যুর সঙ্গে পানির উচ্চ তাপমাত্রার সম্পর্ক থাকতে পারে।
‘এ ধরনের মারাত্মক ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য সময়টা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। তবে আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সঙ্গে নিশ্চিতভাবেই অনাবৃষ্টি ও লেক তেফের উচ্চ তাপমাত্রার সম্পর্ক আছে। কোনো কোনো জায়গায় এটি ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে।’ সিএনএন ব্রাজিলকে তখন জানানো হয় ব্রাজিলের মিনিস্ট্রি অব সায়েন্সের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান মামিরাওয়া ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে।
বর্তমানে আমাজনে শুষ্ক মৌসুম চলছে। কিন্তু এল নিনোর কারণে খরা আরও বেড়েছে। এল নিনো একটি প্রাকৃতিক জলবায়ু প্যাটার্ন, যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরে এর সৃষ্টি হয়। সারা বিশ্বের আবহাওয়াকেই এটি প্রভাবিত করে।
এল নিনো বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। আর এটি এখন দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিস্তার করছে। এল নিনো ঘন ঘন খরা ও তাপের মতো গুরুতর ঘটনার জন্য দায়ী।
আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ব্রাজিলে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ওপরে তাপমাত্রা অনুভূত হয়। মানবসৃষ্ট জলবায়ুসংকটের কারণে এমনটা ঘটার কমপক্ষে ১০০ গুণ বেশি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বলে ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানানো হয়।
ব্রাজিলের আমাজনাস রাজ্যে চলছে প্রচণ্ড খরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে জলের ওপর ভাসমান একটি গ্রাম এখন দাঁড়িয়ে আছে শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের মাটির ওপর। খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর জ্বালানি—সবকিছুর হাহাকার চলছে এই এলাকায় বাস করা মানুষের মধ্যে।
আমাজনাস রাজ্যের রাজধানী মানাউসের পূর্বে পুরাকুয়েকুয়ারা হ্রদের পানির স্তর নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। এতে নৌকা ও ভাসমান ঘরগুলো পানির বদলে দাঁড়িয়ে আছে কাদার ওপর। ব্রাজিলের এই অঞ্চলে প্রচণ্ড তাপ ও খরার সর্বশেষ উদাহরণ বলা চলে একে। এই মাসের গোড়ার দিকে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক ডলফিনের মৃতদেহ তীরে ভেসে আসে।
রিও নেগ্রো রিভার সিস্টেমের একটি অংশ পুরাকুয়েকুয়ারা হ্রদ। রাজ্যের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের মতে, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই এখানকার পানি প্রায় রেকর্ড পরিমাণ নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘পানির স্তর কমে যাওয়া বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।’
কিছু কিছু স্থানীয় বাসিন্দা পানি পাওয়ার আশায় ফাটলযুক্ত হ্রদের মেঝেতে কূপ খনন করছেন।
‘আমাদের দোকানে কোনো ক্রেতা নেই। আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। নৌকাগুলো হ্রদে প্রবেশ করতে বা এখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারছে না।’ স্থানীয় বাসিন্দা আইজ্যাক রড্রিগেস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের জল না পাঠানো পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকছি।’
মোটামুটি গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ খরা। রাজ্যের ৬২টির মধ্যে ৪২টি পৌরসভা জরুরি পরিস্থিতিতে আছে এবং ভুক্তভোগীর সংখ্যা ৩ লাখের বেশি বলে সিএনএনকে সোমবার জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৫ লাখের বেশি মানুষ এবং ৫০টি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ‘যেহেতু আরও কয়েকটি মাস কম বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছি আমরা’ কারণ হিসেবে বলেন রাজ্যের মুখপাত্র।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আমাজনাস রাজ্যের গভর্নর উইলসন লিমা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং খরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্যসহ বিভিন্ন সহায়তার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
‘অনেক লোকের ইতিমধ্যেই খাবার, পানীয় জল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পেতে অসুবিধা হচ্ছে।’ ওই সময়ে এক বিবৃতিতে বলেন তিনি।
রাজ্যের নদীগুলোর বন্যপ্রাণীদের জন্যও বিপদ ডেকে এনেছে এই খরা। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, অক্টোবরের শুরুতে পশ্চিম মানাউসের লেক তেফেতে শতাধিক ডলফিনের মৃত্যুর সঙ্গে পানির উচ্চ তাপমাত্রার সম্পর্ক থাকতে পারে।
‘এ ধরনের মারাত্মক ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য সময়টা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। তবে আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সঙ্গে নিশ্চিতভাবেই অনাবৃষ্টি ও লেক তেফের উচ্চ তাপমাত্রার সম্পর্ক আছে। কোনো কোনো জায়গায় এটি ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে।’ সিএনএন ব্রাজিলকে তখন জানানো হয় ব্রাজিলের মিনিস্ট্রি অব সায়েন্সের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান মামিরাওয়া ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে।
বর্তমানে আমাজনে শুষ্ক মৌসুম চলছে। কিন্তু এল নিনোর কারণে খরা আরও বেড়েছে। এল নিনো একটি প্রাকৃতিক জলবায়ু প্যাটার্ন, যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরে এর সৃষ্টি হয়। সারা বিশ্বের আবহাওয়াকেই এটি প্রভাবিত করে।
এল নিনো বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। আর এটি এখন দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিস্তার করছে। এল নিনো ঘন ঘন খরা ও তাপের মতো গুরুতর ঘটনার জন্য দায়ী।
আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ব্রাজিলে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ওপরে তাপমাত্রা অনুভূত হয়। মানবসৃষ্ট জলবায়ুসংকটের কারণে এমনটা ঘটার কমপক্ষে ১০০ গুণ বেশি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বলে ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানানো হয়।
পাসিজা, ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের ৫৫ বছর বয়সী এক নারী। প্রতিদিন সকালে তাঁর ঘুম ভাঙে সমুদ্রের শব্দে। বিষয়টি শুনতে রোমান্টিক মনে হলেও, পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। সমুদ্র উপকূলে রেজোসারী সেনিক নামের এই ছোট গ্রামে তাঁর বাড়িটিই এখন একমাত্র টিকে থাকা ঘর। জাভার উত্তর উপকূলে একসময় গ্রামটি শুষ্ক ভূমিতে..
১৪ ঘণ্টা আগেঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে ঢাকার বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু ছুটি শেষে ব্যস্ত শহুরে জীবন শুরু হওয়ার পর থেকে বায়ুদূষণ ক্রমেই বাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েক দিন ধরে ঢাকা আবারও বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানেই থাকছে। আজ শনিবারও ঢাকা আছে তালিকার শীর্ষে।
১৭ ঘণ্টা আগেসবচেয়ে বিস্তৃতভাবে পাওয়া গেছে ক্যাডমিয়াম ধাতু, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার কিছু অংশে এই ধাতুর উপস্থিতি আশঙ্কাজনক ভাবে বেশি।
১ দিন আগেসাধারণত বৃষ্টি হলে কমে আসে দূষণ। তবে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে তুমুল বৃষ্টির পরও বায়ুমানে তেমন উন্নতি নেই। আজ শুক্রবার, বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআইয়ের সকাল ৯টা ৫০ এর রেকর্ড অনুযায়ী, বায়ুমান ১৬১ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা। যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক...
২ দিন আগে