আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামাল দিতে এবার সূর্যের আলো কমানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। সূর্যালোক প্রতিফলন বা ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সূর্যের আলো কিছুটা ঠেকিয়ে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করা হবে। এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরুর জন্য সরকারি অনুমোদন মিলতে পারে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। এ লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি গবেষণা তহবিল গঠন করেছে যুক্তরাজ্যের ‘অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেনশন এজেন্সি’ (এআরআইএ)।
গবেষকেরা বলছেন, সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছানোর আগে আংশিকভাবে প্রতিফলিত করার মাধ্যমে তাপমাত্রা বাড়ার হার কমানো সম্ভব। মেঘ উজ্জ্বল করা বা বায়ুমণ্ডলে নির্দিষ্ট ধরনের কণিকা ছড়িয়ে আলো প্রতিফলনের উপায় খোঁজা হচ্ছে।
এআরআইএর প্রোগ্রাম পরিচালক অধ্যাপক মার্ক সাইমস বলেন, ‘এগুলো হবে ছোট পরিসরের নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার সময়সীমা এবং সেগুলো কতটা সহজে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। পাশাপাশি, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহারে আমরা অনুমোদন দিচ্ছি না।’
‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ বলতে এমন কিছু প্রস্তাবিত প্রযুক্তিকে বোঝানো হয়, যেগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীতে আসা সূর্যের আলো আংশিকভাবে মহাকাশে প্রতিফলিত করে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর চেষ্টা করা হয়।
তবে সমালোচকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের প্রকল্প উল্টো প্রভাব ফেলতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, এমনকি বিরূপ আবহাওয়া সৃষ্টি করতে পারে।
সূর্যের আলো কমানোর প্রস্তাবিত কৌশলের মধ্যে রয়েছে স্ট্র্যাটোসফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশন, যেখানে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে সূর্যালোক প্রতিফলিত করতে ক্ষুদ্র কণিকা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আরেকটি পদ্ধতি হলো মেরিন ক্লাউড ব্রাইটেনিং, যেখানে মেঘের প্রতিফলনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য জাহাজ থেকে সমুদ্রের লবণপানি আকাশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেখা গেছে, জাহাজ চলাচলের পথে আকাশে থাকা মেঘগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল।
জাহাজগুলোর সালফার-ভিত্তিক জ্বালানি পোড়ানোর ফলে মেঘগুলো সূর্যের আলো বেশি প্রতিফলিত করে। এর ফলে পুরো অঞ্চলেই হালকা অন্ধকারাচ্ছন্ন ও শীতল প্রভাব সৃষ্টি হয়।
জলবায়ুবিদ জিম হেইউড বলেন, ‘জাহাজ চলাচলের পথে মেঘ অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে থাকে, কারণ ধোঁয়ায় থাকা সালফার কণিকা আলো প্রতিফলনে সাহায্য করে। ২০১৪ সালে আইসল্যান্ডে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পরও দেখা গেছে, সালফার ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছড়ানোর ফলে মেঘ উজ্জ্বল হয় এবং পৃথিবী ঠান্ডা হয়ে যায়। এই পর্যবেক্ষণগুলো থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বাস্তব ক্ষেত্রেও পরীক্ষার পরিকল্পনা করছি।’

বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, পরীক্ষাগুলো সফল হলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই এই প্রকল্প বড় পরিসরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
এই পরীক্ষার পাশাপাশি এআরআইএ অর্থায়ন করবে নতুন মডেলিং গবেষণা, গবেষণাগারে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, জলবায়ু পর্যবেক্ষণ এবং জিওইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে জনমত যাচাইয়ের উদ্যোগেও।
এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে যেসব জিওইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্প বর্তমানে পরীক্ষাধীন রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—বিশাল বড় ফ্যানের মাধ্যমে বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ, ‘ওশান ফার্টিলাইজেশন’ অর্থাৎ, সাগরের ওপরের স্তরে পুষ্টি উপাদান যোগ করে জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটানো এবং যেখানে আগে বন ছিল না, সেখানে নতুন করে গাছ লাগানো।
২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিমভাবে পৃথিবীকে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া যদি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে তা আমাদের গ্রহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, যদি বায়ুমণ্ডলে কণিকা ছড়িয়ে ঠান্ডা করার পদ্ধতি শুরু করে পরে হঠাৎ থামিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে পৃথিবীর উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ গুণ দ্রুত বাড়তে পারে।
আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, এই প্রযুক্তি একটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল’, যা আমাদের আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারা ভেঙে দিতে পারে। ফলে পৃথিবীতে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ খরা কিংবা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়।
নিউজার্সির রাটগারস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হলে আবহাওয়ার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
গবেষণার সহলেখক অধ্যাপক অ্যালান রোব্যাক বলেন, ‘জিওইঞ্জিনিয়ারিং হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে দ্রুত উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই প্রযুক্তি কখনো হঠাৎ থেমে যায়, তবে এর পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। তাই এটি ধাপে ধাপে বন্ধ করা সম্ভব কিনা, সেই নিশ্চয়তা থাকা জরুরি। কারণ বাস্তবে অনেক পরিস্থিতি কল্পনা করা যায়, যা এই ধাপে ধাপে বন্ধ করাটাকেও অসম্ভব করে তুলবে।’
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামাল দিতে এবার সূর্যের আলো কমানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। সূর্যালোক প্রতিফলন বা ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সূর্যের আলো কিছুটা ঠেকিয়ে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করা হবে। এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরুর জন্য সরকারি অনুমোদন মিলতে পারে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। এ লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি গবেষণা তহবিল গঠন করেছে যুক্তরাজ্যের ‘অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেনশন এজেন্সি’ (এআরআইএ)।
গবেষকেরা বলছেন, সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছানোর আগে আংশিকভাবে প্রতিফলিত করার মাধ্যমে তাপমাত্রা বাড়ার হার কমানো সম্ভব। মেঘ উজ্জ্বল করা বা বায়ুমণ্ডলে নির্দিষ্ট ধরনের কণিকা ছড়িয়ে আলো প্রতিফলনের উপায় খোঁজা হচ্ছে।
এআরআইএর প্রোগ্রাম পরিচালক অধ্যাপক মার্ক সাইমস বলেন, ‘এগুলো হবে ছোট পরিসরের নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার সময়সীমা এবং সেগুলো কতটা সহজে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। পাশাপাশি, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহারে আমরা অনুমোদন দিচ্ছি না।’
‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ বলতে এমন কিছু প্রস্তাবিত প্রযুক্তিকে বোঝানো হয়, যেগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীতে আসা সূর্যের আলো আংশিকভাবে মহাকাশে প্রতিফলিত করে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর চেষ্টা করা হয়।
তবে সমালোচকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের প্রকল্প উল্টো প্রভাব ফেলতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, এমনকি বিরূপ আবহাওয়া সৃষ্টি করতে পারে।
সূর্যের আলো কমানোর প্রস্তাবিত কৌশলের মধ্যে রয়েছে স্ট্র্যাটোসফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশন, যেখানে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে সূর্যালোক প্রতিফলিত করতে ক্ষুদ্র কণিকা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আরেকটি পদ্ধতি হলো মেরিন ক্লাউড ব্রাইটেনিং, যেখানে মেঘের প্রতিফলনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য জাহাজ থেকে সমুদ্রের লবণপানি আকাশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেখা গেছে, জাহাজ চলাচলের পথে আকাশে থাকা মেঘগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল।
জাহাজগুলোর সালফার-ভিত্তিক জ্বালানি পোড়ানোর ফলে মেঘগুলো সূর্যের আলো বেশি প্রতিফলিত করে। এর ফলে পুরো অঞ্চলেই হালকা অন্ধকারাচ্ছন্ন ও শীতল প্রভাব সৃষ্টি হয়।
জলবায়ুবিদ জিম হেইউড বলেন, ‘জাহাজ চলাচলের পথে মেঘ অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে থাকে, কারণ ধোঁয়ায় থাকা সালফার কণিকা আলো প্রতিফলনে সাহায্য করে। ২০১৪ সালে আইসল্যান্ডে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পরও দেখা গেছে, সালফার ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছড়ানোর ফলে মেঘ উজ্জ্বল হয় এবং পৃথিবী ঠান্ডা হয়ে যায়। এই পর্যবেক্ষণগুলো থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বাস্তব ক্ষেত্রেও পরীক্ষার পরিকল্পনা করছি।’

বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, পরীক্ষাগুলো সফল হলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই এই প্রকল্প বড় পরিসরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
এই পরীক্ষার পাশাপাশি এআরআইএ অর্থায়ন করবে নতুন মডেলিং গবেষণা, গবেষণাগারে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, জলবায়ু পর্যবেক্ষণ এবং জিওইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে জনমত যাচাইয়ের উদ্যোগেও।
এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে যেসব জিওইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্প বর্তমানে পরীক্ষাধীন রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—বিশাল বড় ফ্যানের মাধ্যমে বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ, ‘ওশান ফার্টিলাইজেশন’ অর্থাৎ, সাগরের ওপরের স্তরে পুষ্টি উপাদান যোগ করে জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটানো এবং যেখানে আগে বন ছিল না, সেখানে নতুন করে গাছ লাগানো।
২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিমভাবে পৃথিবীকে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া যদি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে তা আমাদের গ্রহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, যদি বায়ুমণ্ডলে কণিকা ছড়িয়ে ঠান্ডা করার পদ্ধতি শুরু করে পরে হঠাৎ থামিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে পৃথিবীর উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ গুণ দ্রুত বাড়তে পারে।
আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, এই প্রযুক্তি একটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল’, যা আমাদের আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারা ভেঙে দিতে পারে। ফলে পৃথিবীতে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ খরা কিংবা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়।
নিউজার্সির রাটগারস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হলে আবহাওয়ার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
গবেষণার সহলেখক অধ্যাপক অ্যালান রোব্যাক বলেন, ‘জিওইঞ্জিনিয়ারিং হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে দ্রুত উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই প্রযুক্তি কখনো হঠাৎ থেমে যায়, তবে এর পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। তাই এটি ধাপে ধাপে বন্ধ করা সম্ভব কিনা, সেই নিশ্চয়তা থাকা জরুরি। কারণ বাস্তবে অনেক পরিস্থিতি কল্পনা করা যায়, যা এই ধাপে ধাপে বন্ধ করাটাকেও অসম্ভব করে তুলবে।’
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামাল দিতে এবার সূর্যের আলো কমানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। সূর্যালোক প্রতিফলন বা ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সূর্যের আলো কিছুটা ঠেকিয়ে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করা হবে। এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরুর জন্য সরকারি অনুমোদন মিলতে পারে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। এ লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি গবেষণা তহবিল গঠন করেছে যুক্তরাজ্যের ‘অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেনশন এজেন্সি’ (এআরআইএ)।
গবেষকেরা বলছেন, সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছানোর আগে আংশিকভাবে প্রতিফলিত করার মাধ্যমে তাপমাত্রা বাড়ার হার কমানো সম্ভব। মেঘ উজ্জ্বল করা বা বায়ুমণ্ডলে নির্দিষ্ট ধরনের কণিকা ছড়িয়ে আলো প্রতিফলনের উপায় খোঁজা হচ্ছে।
এআরআইএর প্রোগ্রাম পরিচালক অধ্যাপক মার্ক সাইমস বলেন, ‘এগুলো হবে ছোট পরিসরের নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার সময়সীমা এবং সেগুলো কতটা সহজে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। পাশাপাশি, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহারে আমরা অনুমোদন দিচ্ছি না।’
‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ বলতে এমন কিছু প্রস্তাবিত প্রযুক্তিকে বোঝানো হয়, যেগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীতে আসা সূর্যের আলো আংশিকভাবে মহাকাশে প্রতিফলিত করে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর চেষ্টা করা হয়।
তবে সমালোচকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের প্রকল্প উল্টো প্রভাব ফেলতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, এমনকি বিরূপ আবহাওয়া সৃষ্টি করতে পারে।
সূর্যের আলো কমানোর প্রস্তাবিত কৌশলের মধ্যে রয়েছে স্ট্র্যাটোসফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশন, যেখানে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে সূর্যালোক প্রতিফলিত করতে ক্ষুদ্র কণিকা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আরেকটি পদ্ধতি হলো মেরিন ক্লাউড ব্রাইটেনিং, যেখানে মেঘের প্রতিফলনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য জাহাজ থেকে সমুদ্রের লবণপানি আকাশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেখা গেছে, জাহাজ চলাচলের পথে আকাশে থাকা মেঘগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল।
জাহাজগুলোর সালফার-ভিত্তিক জ্বালানি পোড়ানোর ফলে মেঘগুলো সূর্যের আলো বেশি প্রতিফলিত করে। এর ফলে পুরো অঞ্চলেই হালকা অন্ধকারাচ্ছন্ন ও শীতল প্রভাব সৃষ্টি হয়।
জলবায়ুবিদ জিম হেইউড বলেন, ‘জাহাজ চলাচলের পথে মেঘ অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে থাকে, কারণ ধোঁয়ায় থাকা সালফার কণিকা আলো প্রতিফলনে সাহায্য করে। ২০১৪ সালে আইসল্যান্ডে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পরও দেখা গেছে, সালফার ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছড়ানোর ফলে মেঘ উজ্জ্বল হয় এবং পৃথিবী ঠান্ডা হয়ে যায়। এই পর্যবেক্ষণগুলো থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বাস্তব ক্ষেত্রেও পরীক্ষার পরিকল্পনা করছি।’

বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, পরীক্ষাগুলো সফল হলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই এই প্রকল্প বড় পরিসরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
এই পরীক্ষার পাশাপাশি এআরআইএ অর্থায়ন করবে নতুন মডেলিং গবেষণা, গবেষণাগারে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, জলবায়ু পর্যবেক্ষণ এবং জিওইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে জনমত যাচাইয়ের উদ্যোগেও।
এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে যেসব জিওইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্প বর্তমানে পরীক্ষাধীন রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—বিশাল বড় ফ্যানের মাধ্যমে বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ, ‘ওশান ফার্টিলাইজেশন’ অর্থাৎ, সাগরের ওপরের স্তরে পুষ্টি উপাদান যোগ করে জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটানো এবং যেখানে আগে বন ছিল না, সেখানে নতুন করে গাছ লাগানো।
২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিমভাবে পৃথিবীকে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া যদি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে তা আমাদের গ্রহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, যদি বায়ুমণ্ডলে কণিকা ছড়িয়ে ঠান্ডা করার পদ্ধতি শুরু করে পরে হঠাৎ থামিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে পৃথিবীর উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ গুণ দ্রুত বাড়তে পারে।
আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, এই প্রযুক্তি একটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল’, যা আমাদের আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারা ভেঙে দিতে পারে। ফলে পৃথিবীতে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ খরা কিংবা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়।
নিউজার্সির রাটগারস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হলে আবহাওয়ার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
গবেষণার সহলেখক অধ্যাপক অ্যালান রোব্যাক বলেন, ‘জিওইঞ্জিনিয়ারিং হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে দ্রুত উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই প্রযুক্তি কখনো হঠাৎ থেমে যায়, তবে এর পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। তাই এটি ধাপে ধাপে বন্ধ করা সম্ভব কিনা, সেই নিশ্চয়তা থাকা জরুরি। কারণ বাস্তবে অনেক পরিস্থিতি কল্পনা করা যায়, যা এই ধাপে ধাপে বন্ধ করাটাকেও অসম্ভব করে তুলবে।’
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামাল দিতে এবার সূর্যের আলো কমানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। সূর্যালোক প্রতিফলন বা ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সূর্যের আলো কিছুটা ঠেকিয়ে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করা হবে। এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরুর জন্য সরকারি অনুমোদন মিলতে পারে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। এ লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি গবেষণা তহবিল গঠন করেছে যুক্তরাজ্যের ‘অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেনশন এজেন্সি’ (এআরআইএ)।
গবেষকেরা বলছেন, সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছানোর আগে আংশিকভাবে প্রতিফলিত করার মাধ্যমে তাপমাত্রা বাড়ার হার কমানো সম্ভব। মেঘ উজ্জ্বল করা বা বায়ুমণ্ডলে নির্দিষ্ট ধরনের কণিকা ছড়িয়ে আলো প্রতিফলনের উপায় খোঁজা হচ্ছে।
এআরআইএর প্রোগ্রাম পরিচালক অধ্যাপক মার্ক সাইমস বলেন, ‘এগুলো হবে ছোট পরিসরের নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার সময়সীমা এবং সেগুলো কতটা সহজে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। পাশাপাশি, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহারে আমরা অনুমোদন দিচ্ছি না।’
‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ বলতে এমন কিছু প্রস্তাবিত প্রযুক্তিকে বোঝানো হয়, যেগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীতে আসা সূর্যের আলো আংশিকভাবে মহাকাশে প্রতিফলিত করে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর চেষ্টা করা হয়।
তবে সমালোচকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের প্রকল্প উল্টো প্রভাব ফেলতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের গতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, এমনকি বিরূপ আবহাওয়া সৃষ্টি করতে পারে।
সূর্যের আলো কমানোর প্রস্তাবিত কৌশলের মধ্যে রয়েছে স্ট্র্যাটোসফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশন, যেখানে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে সূর্যালোক প্রতিফলিত করতে ক্ষুদ্র কণিকা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আরেকটি পদ্ধতি হলো মেরিন ক্লাউড ব্রাইটেনিং, যেখানে মেঘের প্রতিফলনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য জাহাজ থেকে সমুদ্রের লবণপানি আকাশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেখা গেছে, জাহাজ চলাচলের পথে আকাশে থাকা মেঘগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল।
জাহাজগুলোর সালফার-ভিত্তিক জ্বালানি পোড়ানোর ফলে মেঘগুলো সূর্যের আলো বেশি প্রতিফলিত করে। এর ফলে পুরো অঞ্চলেই হালকা অন্ধকারাচ্ছন্ন ও শীতল প্রভাব সৃষ্টি হয়।
জলবায়ুবিদ জিম হেইউড বলেন, ‘জাহাজ চলাচলের পথে মেঘ অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে থাকে, কারণ ধোঁয়ায় থাকা সালফার কণিকা আলো প্রতিফলনে সাহায্য করে। ২০১৪ সালে আইসল্যান্ডে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পরও দেখা গেছে, সালফার ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছড়ানোর ফলে মেঘ উজ্জ্বল হয় এবং পৃথিবী ঠান্ডা হয়ে যায়। এই পর্যবেক্ষণগুলো থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বাস্তব ক্ষেত্রেও পরীক্ষার পরিকল্পনা করছি।’

বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, পরীক্ষাগুলো সফল হলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই এই প্রকল্প বড় পরিসরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
এই পরীক্ষার পাশাপাশি এআরআইএ অর্থায়ন করবে নতুন মডেলিং গবেষণা, গবেষণাগারে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, জলবায়ু পর্যবেক্ষণ এবং জিওইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে জনমত যাচাইয়ের উদ্যোগেও।
এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে যেসব জিওইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্প বর্তমানে পরীক্ষাধীন রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—বিশাল বড় ফ্যানের মাধ্যমে বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ, ‘ওশান ফার্টিলাইজেশন’ অর্থাৎ, সাগরের ওপরের স্তরে পুষ্টি উপাদান যোগ করে জলজ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটানো এবং যেখানে আগে বন ছিল না, সেখানে নতুন করে গাছ লাগানো।
২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিমভাবে পৃথিবীকে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া যদি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে তা আমাদের গ্রহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, যদি বায়ুমণ্ডলে কণিকা ছড়িয়ে ঠান্ডা করার পদ্ধতি শুরু করে পরে হঠাৎ থামিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে পৃথিবীর উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ গুণ দ্রুত বাড়তে পারে।
আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, এই প্রযুক্তি একটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল’, যা আমাদের আবহাওয়ার স্বাভাবিক ধারা ভেঙে দিতে পারে। ফলে পৃথিবীতে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ খরা কিংবা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়।
নিউজার্সির রাটগারস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হলে আবহাওয়ার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
গবেষণার সহলেখক অধ্যাপক অ্যালান রোব্যাক বলেন, ‘জিওইঞ্জিনিয়ারিং হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে দ্রুত উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই প্রযুক্তি কখনো হঠাৎ থেমে যায়, তবে এর পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। তাই এটি ধাপে ধাপে বন্ধ করা সম্ভব কিনা, সেই নিশ্চয়তা থাকা জরুরি। কারণ বাস্তবে অনেক পরিস্থিতি কল্পনা করা যায়, যা এই ধাপে ধাপে বন্ধ করাটাকেও অসম্ভব করে তুলবে।’
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিসর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামাল দিতে এবার সূর্যের আলো কমানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। সূর্যালোক প্রতিফলন বা ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সূর্যের আলো কিছুটা ঠেকিয়ে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করা হবে। এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরুর জন্য সরকারি অনুমোদন মিলতে পারে আগামী কয়েক...
২৬ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামাল দিতে এবার সূর্যের আলো কমানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। সূর্যালোক প্রতিফলন বা ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সূর্যের আলো কিছুটা ঠেকিয়ে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করা হবে। এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরুর জন্য সরকারি অনুমোদন মিলতে পারে আগামী কয়েক...
২৬ এপ্রিল ২০২৫
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
২ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামাল দিতে এবার সূর্যের আলো কমানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। সূর্যালোক প্রতিফলন বা ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সূর্যের আলো কিছুটা ঠেকিয়ে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করা হবে। এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরুর জন্য সরকারি অনুমোদন মিলতে পারে আগামী কয়েক...
২৬ এপ্রিল ২০২৫
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামাল দিতে এবার সূর্যের আলো কমানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে যুক্তরাজ্য। সূর্যালোক প্রতিফলন বা ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সূর্যের আলো কিছুটা ঠেকিয়ে তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করা হবে। এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরুর জন্য সরকারি অনুমোদন মিলতে পারে আগামী কয়েক...
২৬ এপ্রিল ২০২৫
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে