এমন কোনো বিজ্ঞান নেই যা নির্দেশ করে যে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। এমনটাই বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৮ এর সভাপতি ও দেশটির শিল্প ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী সুলতান আহমেদ আল-জাবের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্মেলনে বিশ্ব মানবাধিকার, শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠান কাজ করা সংগঠন এল্ডার্স গ্রুপের চেয়ার মেরি রবিনসনের এক প্রশ্নের জবাবে সুলতান আহমেদ আল-জাবের এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বন্ধ হয়ে যাবে এবং বিশ্বকে আবারও গুহাযুগে ফিরিয়ে নিতে না চাইলে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করা যাবে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি এডনকের প্রধান নির্বাহীও সুলতান আহমেদ আল-জাবের। তাঁর এই মন্তব্য ‘অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক’ এবং তা ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফলকে অস্বীকার করে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই মন্তব্য সরাসরি তাদের এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অবস্থানের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ।
সম্মেলনে মেরি রবিনসন বলেন, ‘আমরা একটি চরম সংকটের মধ্যে রয়েছি, যা নারী ও শিশুদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং এর কারণ, আমরা এখনো জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হইনি। এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই কপ-২৮ গ্রহণ করতে পারে।’ এ সময় তিনি সুলতান আহমেদ আল-জাবেরকে ইঙ্গিত করে বলেন, এডনকের প্রধান হিসেবে আপনি এটিকে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে বিবেচনা করতে পারেন।’
জবাবে আল-জাবের বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি একটি ধীরস্থির ও পরিপক্ব আলোচনার জন্য। আমি কোনোভাবেই বিপজ্জনক কোনো আলোচনায় অংশ নিতে চাই না। এমন কোনো বিজ্ঞান নেই বা কোনো দৃশ্যকল্প নেই যা নির্দেশ করে যে, জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ হলেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে।’
পরে মেরি রবিনসন আল-জাবেরকে বলেছেন, ‘আমি জেনেছি যে, আপনার প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে আরও বিপুল বিনিয়োগ করছে।’ প্রতিক্রিয়ায় আল-জাবের বলেন, ‘আপনি আপনাদের নিজস্ব গণমাধ্যমে এই খবর পড়েছেন যা পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলছি।’
আল-জাবের আরও বলেন, ‘দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন; আপনারা যদি পৃথিবীকে গুহাযুগে ফিরিয়ে নিতে না চান তবে আমাকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের জন্য একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেখান যা টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেবে।’ এডনকের সিইও আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, কারও দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জলবায়ু সমস্যা সমাধানে সক্ষম হবেন। আমাকে সমাধান দেখান, অভিযোগের আঙুল তোলা বন্ধ করুন।’
এদিকে, এরই মধ্যে বিশ্বের ১ শতাধিক দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ক্রমে বন্ধ সমর্থন দিয়েছে। তবে বিষয়টি কীভাবে করা হবে তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। এর আগে, গুতেরেস গত শুক্রবার এই সম্মেলনে বলেন—‘বিজ্ঞান খুবই পরিষ্কার; ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা তখনই অর্জন করা সম্ভব যখন আমরা সব ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো বন্ধ করব। কমানো কোনো সমাধান। একটি স্পষ্ট সময়সীমার মধ্যে পর্যায়ক্রমে এর ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
এমন কোনো বিজ্ঞান নেই যা নির্দেশ করে যে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। এমনটাই বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৮ এর সভাপতি ও দেশটির শিল্প ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী সুলতান আহমেদ আল-জাবের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্মেলনে বিশ্ব মানবাধিকার, শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠান কাজ করা সংগঠন এল্ডার্স গ্রুপের চেয়ার মেরি রবিনসনের এক প্রশ্নের জবাবে সুলতান আহমেদ আল-জাবের এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বন্ধ হয়ে যাবে এবং বিশ্বকে আবারও গুহাযুগে ফিরিয়ে নিতে না চাইলে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করা যাবে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি এডনকের প্রধান নির্বাহীও সুলতান আহমেদ আল-জাবের। তাঁর এই মন্তব্য ‘অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক’ এবং তা ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফলকে অস্বীকার করে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই মন্তব্য সরাসরি তাদের এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অবস্থানের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ।
সম্মেলনে মেরি রবিনসন বলেন, ‘আমরা একটি চরম সংকটের মধ্যে রয়েছি, যা নারী ও শিশুদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং এর কারণ, আমরা এখনো জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হইনি। এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই কপ-২৮ গ্রহণ করতে পারে।’ এ সময় তিনি সুলতান আহমেদ আল-জাবেরকে ইঙ্গিত করে বলেন, এডনকের প্রধান হিসেবে আপনি এটিকে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে বিবেচনা করতে পারেন।’
জবাবে আল-জাবের বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি একটি ধীরস্থির ও পরিপক্ব আলোচনার জন্য। আমি কোনোভাবেই বিপজ্জনক কোনো আলোচনায় অংশ নিতে চাই না। এমন কোনো বিজ্ঞান নেই বা কোনো দৃশ্যকল্প নেই যা নির্দেশ করে যে, জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ হলেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে।’
পরে মেরি রবিনসন আল-জাবেরকে বলেছেন, ‘আমি জেনেছি যে, আপনার প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে আরও বিপুল বিনিয়োগ করছে।’ প্রতিক্রিয়ায় আল-জাবের বলেন, ‘আপনি আপনাদের নিজস্ব গণমাধ্যমে এই খবর পড়েছেন যা পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলছি।’
আল-জাবের আরও বলেন, ‘দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন; আপনারা যদি পৃথিবীকে গুহাযুগে ফিরিয়ে নিতে না চান তবে আমাকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের জন্য একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেখান যা টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেবে।’ এডনকের সিইও আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, কারও দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জলবায়ু সমস্যা সমাধানে সক্ষম হবেন। আমাকে সমাধান দেখান, অভিযোগের আঙুল তোলা বন্ধ করুন।’
এদিকে, এরই মধ্যে বিশ্বের ১ শতাধিক দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ক্রমে বন্ধ সমর্থন দিয়েছে। তবে বিষয়টি কীভাবে করা হবে তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। এর আগে, গুতেরেস গত শুক্রবার এই সম্মেলনে বলেন—‘বিজ্ঞান খুবই পরিষ্কার; ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা তখনই অর্জন করা সম্ভব যখন আমরা সব ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো বন্ধ করব। কমানো কোনো সমাধান। একটি স্পষ্ট সময়সীমার মধ্যে পর্যায়ক্রমে এর ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আজ রোববার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগেরও দু–এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টিপাত কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেস্বস্তি মিলছে না ঢাকার বাতাসে। আজও রাজধানী শহরের বাতাসের অবস্থা অস্বাস্থ্যকর। আজ রোববার, বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স–একিউআইয়ের সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, বায়ুমান ১৮৬ নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
৪ ঘণ্টা আগেপাসিজা, ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের ৫৫ বছর বয়সী এক নারী। প্রতিদিন সকালে তাঁর ঘুম ভাঙে সমুদ্রের শব্দে। বিষয়টি শুনতে রোমান্টিক মনে হলেও, পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। সমুদ্র উপকূলে রেজোসারী সেনিক নামের এই ছোট গ্রামে তাঁর বাড়িটিই এখন একমাত্র টিকে থাকা ঘর। জাভার উত্তর উপকূলে একসময় গ্রামটি শুষ্ক ভূমিতে..
১ দিন আগেঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে ঢাকার বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু ছুটি শেষে ব্যস্ত শহুরে জীবন শুরু হওয়ার পর থেকে বায়ুদূষণ ক্রমেই বাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েক দিন ধরে ঢাকা আবারও বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানেই থাকছে। আজ শনিবারও ঢাকা আছে তালিকার শীর্ষে।
১ দিন আগে