সাখাওয়াত ফাহাদ
ঢাকা: করোনার প্রকোপে বন্ধ শিল্পকলা একাডেমীসহ প্রায় সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম। দীর্ঘদিন সংস্কৃতি চর্চার বাইরে থেকে হতাশ সংস্কৃতিকর্মীরাও। বাজেটকে ঘিরে কিঞ্চিত আশার সঞ্চার হলেও সে আশায় গুড়েবালি। মৃতপ্রায় সংস্কৃতি অঙ্গনকে বাঁচিয়ে তুলতে মোট বাজেটের অন্তত ১ শতাংশ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশিষ্ট সংস্কৃতিকর্মীরা। এবারের বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৮৭ কোটি টাকা। যা প্রস্তাবিত বাজেটের মাত্র ০.০৯৮ শতাংশ। বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, মামুনুর রশিদ, লিয়াকত আলী লাকী ও ঝুনা চৌধুরী জানিয়েছেন বাজেটকে ঘিরে তাঁদের মতামত।
রামেন্দু মজুমদার
অভিনেতা ও মঞ্চ নির্দেশক
বাজেটে এবারের বরাদ্দ দেখে আমি হতাশ। ১০ বছর ধরে এ নিয়ে কথা বলছি কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। এই দৃষ্টিভঙ্গির বদল হওয়া প্রয়োজন। করোনায় তৃণমূল পর্যায়ের সংস্কৃতিকর্মীরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদি দেশব্যাপী সংস্কৃতির জাগরণ চাই তবে তৃণমূলে যেসব সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ক্লাব আছে, ওদের প্রণোদনা দিতে হবে। যাতে তারা নিজেদের মতো করে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে।
আতাউর রহমান
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি
সংস্কৃতি খাতে যা বাজেট হয়েছে আমি মনে করি তা যথেষ্ট। অবকাঠামোর কথা যদি বলেন তবে দেখবেন এখন দেশের প্রত্যেকটি জেলা শহরে, মফঃস্বলে শিল্পকলা একাডেমীর অফিস আছে, অডিটরিয়াম আছে। আর দলগুলোকে প্রত্যেক বছর যথেষ্ট পরিমানে অনুদান দেওয়া হয়। নাটক যারা নামাতে পারে না তারাই বাজেট নিয়ে কথা বলে। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে যা বাজেট দেওয়া হয় টা থেকে আরো ফেরত যায়। সুতরাং আমি মনে করি না এরচেয়ে বেশি বাজেটের প্রয়োজন আছে।
মামুনুর রশিদ
নাট্যব্যক্তিত্ব
সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার এটা বহু বছর ধরে বলা হলেও সরকার শোনেনি। এক্ষেত্রে সরকারের এমন অবহেলায় সত্যিই আমরা খুব মর্মাহত। দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে বন্ধ থাকা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এই খাতে অন্তত ১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া খুব প্রয়োজন ছিল।
লিয়াকত আলী লাকী
মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
জেলা শিল্পকলা একাডেমী, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী কমপ্লেক্স, ২১ জন সাংস্কৃতিক মনীষীদের নিয়ে প্রকল্প ও হাতিরঝিলের ঢাকা অপেরা হাউজসহ অন্যান্য প্রকল্পগুলো যদি অনুমোদিত হয় তাহলেই বাজেট অনেক বেড়ে যাবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও আছে তাদেরও অনেক পরিকল্পনা আছে। দলগুলোকে যে অনুদান দেওয়া হয় সেই অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করা, অসচ্ছল শিল্পীদের সম্মানীর সংখ্যা এবং পরিমাণ উভয়ই বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে প্রদত্ত অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এগুলো ঠিকমত হলে সামনে সংস্কৃতি খাতে বাজেট আরো বাড়বে। আর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেট সবসময়ই একটু কম থাকে।
ঝুনা চৌধুরী
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব
যে বাজেটটা দেওয়া হয়েছে আমরা সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন মিলে তা প্রত্যাখ্যান করেছি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে যে বাজেট দেওয়া হয় সেটাই খরচ হয় না। খরচ হবে কিভাবে? ওরা তো সংস্কৃতির সমস্যাই জানে না। সংস্কৃতির মূল সংকটটা তো আমরা জানি। বাজেট করার আগে আমাদেরকে নিয়ে বসুক। তৃণমূল পর্যায়ে তো কোন কাজই হচ্ছে না। শিল্পের উন্নয়নটা কোথায় হচ্ছে? আমাদের দাবী হচ্ছে, বাজেট বাড়াতে হবে। তৃণমূলের সংস্কৃতি অঙ্গণের লোকজনের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। যারা সংস্কৃতি বিষয়টা বোঝে তৃণমূলে তাদের দায়িত্ব দেওয়া দরকার।
ঢাকা: করোনার প্রকোপে বন্ধ শিল্পকলা একাডেমীসহ প্রায় সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম। দীর্ঘদিন সংস্কৃতি চর্চার বাইরে থেকে হতাশ সংস্কৃতিকর্মীরাও। বাজেটকে ঘিরে কিঞ্চিত আশার সঞ্চার হলেও সে আশায় গুড়েবালি। মৃতপ্রায় সংস্কৃতি অঙ্গনকে বাঁচিয়ে তুলতে মোট বাজেটের অন্তত ১ শতাংশ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশিষ্ট সংস্কৃতিকর্মীরা। এবারের বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৮৭ কোটি টাকা। যা প্রস্তাবিত বাজেটের মাত্র ০.০৯৮ শতাংশ। বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, মামুনুর রশিদ, লিয়াকত আলী লাকী ও ঝুনা চৌধুরী জানিয়েছেন বাজেটকে ঘিরে তাঁদের মতামত।
রামেন্দু মজুমদার
অভিনেতা ও মঞ্চ নির্দেশক
বাজেটে এবারের বরাদ্দ দেখে আমি হতাশ। ১০ বছর ধরে এ নিয়ে কথা বলছি কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। এই দৃষ্টিভঙ্গির বদল হওয়া প্রয়োজন। করোনায় তৃণমূল পর্যায়ের সংস্কৃতিকর্মীরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদি দেশব্যাপী সংস্কৃতির জাগরণ চাই তবে তৃণমূলে যেসব সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ক্লাব আছে, ওদের প্রণোদনা দিতে হবে। যাতে তারা নিজেদের মতো করে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে।
আতাউর রহমান
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি
সংস্কৃতি খাতে যা বাজেট হয়েছে আমি মনে করি তা যথেষ্ট। অবকাঠামোর কথা যদি বলেন তবে দেখবেন এখন দেশের প্রত্যেকটি জেলা শহরে, মফঃস্বলে শিল্পকলা একাডেমীর অফিস আছে, অডিটরিয়াম আছে। আর দলগুলোকে প্রত্যেক বছর যথেষ্ট পরিমানে অনুদান দেওয়া হয়। নাটক যারা নামাতে পারে না তারাই বাজেট নিয়ে কথা বলে। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে যা বাজেট দেওয়া হয় টা থেকে আরো ফেরত যায়। সুতরাং আমি মনে করি না এরচেয়ে বেশি বাজেটের প্রয়োজন আছে।
মামুনুর রশিদ
নাট্যব্যক্তিত্ব
সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার এটা বহু বছর ধরে বলা হলেও সরকার শোনেনি। এক্ষেত্রে সরকারের এমন অবহেলায় সত্যিই আমরা খুব মর্মাহত। দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে বন্ধ থাকা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এই খাতে অন্তত ১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া খুব প্রয়োজন ছিল।
লিয়াকত আলী লাকী
মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি
জেলা শিল্পকলা একাডেমী, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী কমপ্লেক্স, ২১ জন সাংস্কৃতিক মনীষীদের নিয়ে প্রকল্প ও হাতিরঝিলের ঢাকা অপেরা হাউজসহ অন্যান্য প্রকল্পগুলো যদি অনুমোদিত হয় তাহলেই বাজেট অনেক বেড়ে যাবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও আছে তাদেরও অনেক পরিকল্পনা আছে। দলগুলোকে যে অনুদান দেওয়া হয় সেই অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করা, অসচ্ছল শিল্পীদের সম্মানীর সংখ্যা এবং পরিমাণ উভয়ই বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে প্রদত্ত অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এগুলো ঠিকমত হলে সামনে সংস্কৃতি খাতে বাজেট আরো বাড়বে। আর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেট সবসময়ই একটু কম থাকে।
ঝুনা চৌধুরী
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব
যে বাজেটটা দেওয়া হয়েছে আমরা সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন মিলে তা প্রত্যাখ্যান করেছি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে যে বাজেট দেওয়া হয় সেটাই খরচ হয় না। খরচ হবে কিভাবে? ওরা তো সংস্কৃতির সমস্যাই জানে না। সংস্কৃতির মূল সংকটটা তো আমরা জানি। বাজেট করার আগে আমাদেরকে নিয়ে বসুক। তৃণমূল পর্যায়ে তো কোন কাজই হচ্ছে না। শিল্পের উন্নয়নটা কোথায় হচ্ছে? আমাদের দাবী হচ্ছে, বাজেট বাড়াতে হবে। তৃণমূলের সংস্কৃতি অঙ্গণের লোকজনের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। যারা সংস্কৃতি বিষয়টা বোঝে তৃণমূলে তাদের দায়িত্ব দেওয়া দরকার।
সৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান...
৬ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
১২ ঘণ্টা আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
১২ ঘণ্টা আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
১২ ঘণ্টা আগে