শিমূল ইউসুফ
আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। ভয়াবহ সেই দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেছেন শিমূল ইউসুফ। অনুলিখনে মীর রাকিব হাসান
১৯৭১ সালে আমার বয়স মাত্র ১৪ বছর। থাকতাম ৩৭০ রাজারবাগ আউটার সার্কুলার রোডে। রাজারবাগে পুলিশ লাইনসের উল্টো দিকেই আমাদের বাড়ি। ২৫ মার্চ রাতে বাঙালি পুলিশেরা বলেছিলেন আপনারা লাইট অফ করে ভেতরে চলে যান। অ্যাটাক হতে পারে। আমার ভাইয়েরা আবার ব্যারিকেড দিতে গিয়েছিল মালিবাগের মোড়ে। আমরা বুঝতে পারিনি, এমন ভারী অস্ত্র নিয়ে ওরা নামবে। বাঙালিরা বাঁশ, গাছ ফেলে এসব প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল। ওই রাতে পুলিশ ব্যারাকে পাকিস্তানিরা আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আগুনের তাপে আমাদের বাড়ি, মেঝে পর্যন্ত গরম হয়ে গিয়েছিল। সারা রাত পানি ঢালতে হয়েছে মেঝেতে। ঘরের সব লাইট অফ করে চুপ হয়ে বসে ছিলাম।
বাংলাদেশি পুলিশেরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওরা যখন আর পারল না, তখন আশপাশের বাড়িগুলোয় লুঙ্গি বা সিভিল ড্রেসের জন্য এসেছিল। আমার ভাইদের লুঙ্গি এবং গেঞ্জি ওদের দেওয়া হয়েছিল। ওরা আমার মাকে সালাম করে বলেছিলেন, যদি বেঁচে থাকি আবার দেখা হবে। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে যাচ্ছি। ওনারা বেঁচে আছেন কি না, জানি না। আর দেখা হয়নি।
পরদিন শুনলাম শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তখন যেটা আমাদের অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো ছিল। ২৬ তারিখ ছিল কারফিউ। আমার ভগ্নিপতি ও সংগীতগুরু শহীদ আলতাফ মাহমুদ ২৭ তারিখ সকালে বের হয়েছিলেন। কিছু সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করেছিল। ভাইয়ার গাড়িতেই আমরা বের হয়েছিলাম। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের পানির টেংকির মধ্যে দেখি লাশ পড়ে আছে। অসংখ্য লাশ দেখেছি সেদিন। বীভৎস সব স্মৃতি। ওই দিনই আমরা বাড়ি থেকে চলে আসি। কারণ, বাড়িটা ছিল রাস্তার পাশে। সারাক্ষণ আর্মিরা আসা-যাওয়া করত। বাড়ি বাড়ি এসে খোঁজখবর নিত। প্রায় তিন মাস পর আমরা বাড়িতে ফিরি।
আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। ভয়াবহ সেই দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেছেন শিমূল ইউসুফ। অনুলিখনে মীর রাকিব হাসান
১৯৭১ সালে আমার বয়স মাত্র ১৪ বছর। থাকতাম ৩৭০ রাজারবাগ আউটার সার্কুলার রোডে। রাজারবাগে পুলিশ লাইনসের উল্টো দিকেই আমাদের বাড়ি। ২৫ মার্চ রাতে বাঙালি পুলিশেরা বলেছিলেন আপনারা লাইট অফ করে ভেতরে চলে যান। অ্যাটাক হতে পারে। আমার ভাইয়েরা আবার ব্যারিকেড দিতে গিয়েছিল মালিবাগের মোড়ে। আমরা বুঝতে পারিনি, এমন ভারী অস্ত্র নিয়ে ওরা নামবে। বাঙালিরা বাঁশ, গাছ ফেলে এসব প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল। ওই রাতে পুলিশ ব্যারাকে পাকিস্তানিরা আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আগুনের তাপে আমাদের বাড়ি, মেঝে পর্যন্ত গরম হয়ে গিয়েছিল। সারা রাত পানি ঢালতে হয়েছে মেঝেতে। ঘরের সব লাইট অফ করে চুপ হয়ে বসে ছিলাম।
বাংলাদেশি পুলিশেরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওরা যখন আর পারল না, তখন আশপাশের বাড়িগুলোয় লুঙ্গি বা সিভিল ড্রেসের জন্য এসেছিল। আমার ভাইদের লুঙ্গি এবং গেঞ্জি ওদের দেওয়া হয়েছিল। ওরা আমার মাকে সালাম করে বলেছিলেন, যদি বেঁচে থাকি আবার দেখা হবে। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে যাচ্ছি। ওনারা বেঁচে আছেন কি না, জানি না। আর দেখা হয়নি।
পরদিন শুনলাম শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তখন যেটা আমাদের অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো ছিল। ২৬ তারিখ ছিল কারফিউ। আমার ভগ্নিপতি ও সংগীতগুরু শহীদ আলতাফ মাহমুদ ২৭ তারিখ সকালে বের হয়েছিলেন। কিছু সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করেছিল। ভাইয়ার গাড়িতেই আমরা বের হয়েছিলাম। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের পানির টেংকির মধ্যে দেখি লাশ পড়ে আছে। অসংখ্য লাশ দেখেছি সেদিন। বীভৎস সব স্মৃতি। ওই দিনই আমরা বাড়ি থেকে চলে আসি। কারণ, বাড়িটা ছিল রাস্তার পাশে। সারাক্ষণ আর্মিরা আসা-যাওয়া করত। বাড়ি বাড়ি এসে খোঁজখবর নিত। প্রায় তিন মাস পর আমরা বাড়িতে ফিরি।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এখন শুধু বাংলার নন, বলিউডেও তাঁর ব্যস্ততা বেড়েছে। তবু বাংলাদেশের সিরিজে অভিনয়ের প্রস্তাব পেতেই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলেন। বাংলাদেশে আসতে পারবেন, এটাই ছিল তাঁর প্রধান আগ্রহের বিষয়। সৈয়দ আহমেদ শাওকীর পরিচালনায় ‘গুলমোহর’ সিরিজের শুটিং করতে গত বছর ঢাকায় এসেছিলেন শাশ্বত।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম ধনী সংগীতশিল্পী সেলেনা গোমেজ। গত বছর বিলিয়নিয়ার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। সেই সেলেনাই নাকি হিমশিম খাচ্ছেন কর্মীদের বেতন দিতে। প্রতিষ্ঠান চালাতে তাঁর মা ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন। ফোর্বসে এমন খবর প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন সেলেনা।
১০ ঘণ্টা আগেকিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিক বানিয়েছিলেন সৃজিত মুখার্জি। ‘পদাতিক’ নামের সিনেমাটিতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেন বাংলাদেশের চঞ্চল চৌধুরী। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর সিনেমাটি এবার আসছে টিভির পর্দায়।
১০ ঘণ্টা আগে১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু নেমেসিস ব্যান্ডের। প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পর ২০০৫ সালে প্রকাশ পেয়েছিল ব্যান্ডের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘অন্বেষণ’। এরপর ২০১১ ও ২০১৭ সালে আসে ‘তৃতীয় যাত্রা’ ও ‘গণজোয়ার’ নামের আরও দুটি স্টুডিও অ্যালবাম। প্রতিটি অ্যালবামে ছিল ৬ বছরের গ্যাপ। তবে চতুর্থ অ্যালবাম প্রকাশ করতে আরও বেশি সময়
১ দিন আগে