খায়রুল বাসার নির্ঝর
গত মাসেই ফকির আলমগীরের সঙ্গে আমার শেষ দেখা। গত ৫ জুন ছিল আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী। ওই উপলক্ষে আলোচনা করতে চ্যানেল আইতে গিয়েছিলাম আমি ও ফকির আলমগীর। অনুষ্ঠানের আগে–পরে কত স্মৃতিচারণা হলো, কত আড্ডা–গল্প! কে জানত সেটাই হবে ওর সঙ্গে আমার শেষ দেখা!
ফকির আলমগীরের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৭৩ সালে। ও গণসংগীত করত। তারপর খুব দ্রুতই পপসংগীতে চলে এল। আমরা একসঙ্গেই গান করতাম। নিজের চেষ্টা ও মেধা দিয়ে সে সাফল্যের শিখরে যেতে পেরেছে। পৌঁছাতে পেরেছে সাধারণ মানুষের কাছে। এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তার নিজের। তার সবচেয়ে বড় গুণ হলো, সে একসঙ্গে দুটো ঘরানা ধারণ করতে পারত। একটা পপসংগীত আরেকটা গণসংগীত। দুটো মাধ্যমেই সে যেমন সফল, তেমনি অসাধারণ সব কাজ দিয়ে দুটো মাধ্যমকেই জনপ্রিয় করে তুলেছে। আমি মনে করি, সে আমার চেয়েও গুণী শিল্পী।
ফকির আলমগীরের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিল খুব নিবিড়। তার বিয়ের মুকুটটা আমিই মাথায় পরিয়ে দিয়েছিলাম। ওই দিনের ঘটনাটা খুবই মনে পড়ে। আসলে এত বছরের সম্পর্ক, এত মায়া–মমতা; মনে তো পড়বেই।
আগাগোড়া প্রাণবন্ত একটা মানুষ ছিল ফকির আলমগীর। সবার সঙ্গেই তার বন্ধুসুলভ ভাব ছিল। তাকে আমি বলতাম, তুমি বাংলার সংগীতের বাঘ। ওর শেষনিশ্বাস ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশে গণসংগীতের ক্ষেত্রটা শূন্য হয়ে গেল। এ দেশে ফকির আলমগীরই একমাত্র গণসংগীতটা এমনভাবে ধরে রেখেছিল, যেটা আর কেউ পারেননি বা করেননি। এটা খুবই আশাব্যঞ্জক একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু সে তো চলে গেল। আজ থেকে বাংলাদেশ গণসংগীতহীন হয়ে গেল। আজ থেকে সংগীতের এই অসাধারণ ধারাটিতে শূন্যতা তৈরি হলো। এই ঘাটতি কবে কে পূরণ করবে, জানি না। আদৌ হবে কি না, তাও জানি না।
ফকির আলমগীরের এই অকালপ্রস্থানের কারণ করোনাভাইরাস। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। ওর এই চলে যাওয়া আমাদের আরও সচেতন করুক, সেই প্রত্যাশা করি।
অনুলিখন: খায়রুল বাসার নির্ঝর
আরও পড়ুন
গত মাসেই ফকির আলমগীরের সঙ্গে আমার শেষ দেখা। গত ৫ জুন ছিল আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী। ওই উপলক্ষে আলোচনা করতে চ্যানেল আইতে গিয়েছিলাম আমি ও ফকির আলমগীর। অনুষ্ঠানের আগে–পরে কত স্মৃতিচারণা হলো, কত আড্ডা–গল্প! কে জানত সেটাই হবে ওর সঙ্গে আমার শেষ দেখা!
ফকির আলমগীরের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৭৩ সালে। ও গণসংগীত করত। তারপর খুব দ্রুতই পপসংগীতে চলে এল। আমরা একসঙ্গেই গান করতাম। নিজের চেষ্টা ও মেধা দিয়ে সে সাফল্যের শিখরে যেতে পেরেছে। পৌঁছাতে পেরেছে সাধারণ মানুষের কাছে। এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তার নিজের। তার সবচেয়ে বড় গুণ হলো, সে একসঙ্গে দুটো ঘরানা ধারণ করতে পারত। একটা পপসংগীত আরেকটা গণসংগীত। দুটো মাধ্যমেই সে যেমন সফল, তেমনি অসাধারণ সব কাজ দিয়ে দুটো মাধ্যমকেই জনপ্রিয় করে তুলেছে। আমি মনে করি, সে আমার চেয়েও গুণী শিল্পী।
ফকির আলমগীরের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিল খুব নিবিড়। তার বিয়ের মুকুটটা আমিই মাথায় পরিয়ে দিয়েছিলাম। ওই দিনের ঘটনাটা খুবই মনে পড়ে। আসলে এত বছরের সম্পর্ক, এত মায়া–মমতা; মনে তো পড়বেই।
আগাগোড়া প্রাণবন্ত একটা মানুষ ছিল ফকির আলমগীর। সবার সঙ্গেই তার বন্ধুসুলভ ভাব ছিল। তাকে আমি বলতাম, তুমি বাংলার সংগীতের বাঘ। ওর শেষনিশ্বাস ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশে গণসংগীতের ক্ষেত্রটা শূন্য হয়ে গেল। এ দেশে ফকির আলমগীরই একমাত্র গণসংগীতটা এমনভাবে ধরে রেখেছিল, যেটা আর কেউ পারেননি বা করেননি। এটা খুবই আশাব্যঞ্জক একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু সে তো চলে গেল। আজ থেকে বাংলাদেশ গণসংগীতহীন হয়ে গেল। আজ থেকে সংগীতের এই অসাধারণ ধারাটিতে শূন্যতা তৈরি হলো। এই ঘাটতি কবে কে পূরণ করবে, জানি না। আদৌ হবে কি না, তাও জানি না।
ফকির আলমগীরের এই অকালপ্রস্থানের কারণ করোনাভাইরাস। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। ওর এই চলে যাওয়া আমাদের আরও সচেতন করুক, সেই প্রত্যাশা করি।
অনুলিখন: খায়রুল বাসার নির্ঝর
আরও পড়ুন
সৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান...
১২ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
১৯ ঘণ্টা আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
১৯ ঘণ্টা আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
১৯ ঘণ্টা আগে