Ajker Patrika

ক্রিস্টোফার নোলানের সমালোচনায় জেমস ক্যামেরন

বিনোদন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ ২০২৩ সালে বক্স অফিসে নতুন ইতিহাস গড়েছিল। প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছিল প্রেক্ষাগৃহে। ১৩টি বিভাগে অস্কারে মনোনীত হয়, যার মধ্যে ৭টি অস্কার জেতে ওপেনহাইমার। এ সিনেমায় কিলিয়ান মারফিকে দেখা যায় অ্যাটম বোমার আবিষ্কারক জে রবার্ট ওপেনহাইমারের ভূমিকায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে ওপেনহাইমারের তৈরি এই পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করে আমেরিকা। কেন এই বোমা তৈরি করার কথা ভাবেন ওপেনহাইমার, বোমা মেরে দুটি শহরকে উড়িয়ে দেওয়ার পর কী রকম অনুশোচনা হয়েছিল তাঁর, পরবর্তী সময়ে আমেরিকান রাজনীতিবিদেরা তাঁকে কীভাবে কোণঠাসা করেন—এসবই ছিল ক্রিস্টোফার নোলানের ওপেনহাইমার সিনেমার বিষয়বস্তু।

তবে সবচেয়ে জরুরি বিষয়টিই এড়িয়ে গিয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান। পারমাণবিক বোমা ফেলার পর হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর কিংবা সেখানকার মানুষের ক্ষয়ক্ষতির কোনো উল্লেখ নেই ওপেনহাইমারের সিনেমায়। এ কারণে নির্মাতা সমালোচিতও হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে নোলান অবশ্য বলেছিলেন, ‘আমি ওপেনহাইমারের চোখ দিয়ে পুরো গল্পটা বলতে চেয়েছি। সারা পৃথিবী যখন হিরোশিমা-নাগাসাকিতে অ্যাটম বোমা পড়ার কথা জানতে পারে, ওপেনহাইমারও একই সময়ে সেটা জানতে পেরেছিলেন। বুঝতে পারছিলেন, তিনি কত বড় ভুল করে ফেলেছেন।’

তবে নোলানের এমন বক্তব্যে সন্তুষ্ট হননি সমালোচকেরা। এবার ‘টার্মিনেটর’, ‘টাইটানিক’, ‘অ্যাভাটার’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরনও সমালোচনা করলেন নোলানের। জেমস ক্যামেরন বরাবরই তাঁর সিনেমায় আমেরিকার সামরিক শক্তির ঔদ্ধত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অ্যাভাটারে তিনি আমেরিকান সেনাবাহিনীকে ভিলেনরূপে উপস্থাপন করেছেন, নায়ক হিসেবে দেখিয়েছেন ভিনগ্রহের প্রাণীদের। ফলে ওপেনহাইমার সিনেমায় জাপান বিষয়ে নোলানের দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ হয়নি জেমস ক্যামেরনের।

ডেডলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘এ সিনেমায় নোলান যেভাবে জাপানের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন, সেটা উল্লেখ করার মতো। ওপেনহাইমার সিনেমার নির্মাণশৈলী আমার ভালো লেগেছে। তবে আমার মনে হয়, বোমা ফেলার পর জাপানে কী ঘটেছিল, তা না দেখিয়ে নোলান নৈতিক দায় এড়িয়েছেন। এমন নয় যে ওপেনহাইমার জানতেন না, এই বোমার প্রভাব কী হতে পারে!’

এত দিন পর ওপেনহাইমার সিনেমা প্রসঙ্গে জেমস ক্যামেরনের সমালোচনার একটা কারণ আছে। তিনিও একটি সিনেমা তৈরি করতে যাচ্ছেন হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনা নিয়ে। চার্লস পেলোগ্রিনের ‘গোস্টস অব হিরোশিমা’ বই অবলম্বনে তৈরি হবে সিনেমাটি। ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া দুই শতাধিক ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে লেখা হয়েছে বইটি। ফরেনসিক প্রত্নতত্ত্বের সহায়তাও নেওয়া হয়েছে। নোলানের ওপেনহাইমারের চেয়ে এটি কতটা আলাদা হতে যাচ্ছে, এ প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন ক্যামেরন। নির্মাতা জানান, বর্তমান সময়ে এ সিনেমার প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশি। তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটা সিনেমা বানাতে চাই, যা মানুষকে মনে করিয়ে দেবে, এ সমস্ত অস্ত্রের ব্যবহার কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি ইসিতে জমা দিয়েও নিবন্ধন পেল না এনসিপি

বিধি লঙ্ঘন করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন এনসিপি নেতা

এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কুৎসা, বরখাস্ত নিরাপত্তাপ্রহরী

নোয়াখালীতে খালের ওপরের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা, বাঁধ ও সড়ক উচ্ছেদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত