Ajker Patrika

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব নিয়ে পাঁচ সিনেমা

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব নিয়ে পাঁচ সিনেমা

রুফ নকিং (২০১৭)

রমজান মাস। গাজা নগরীতে এক নারী তাঁর পরিবারের জন্য ইফতার বানাচ্ছিলেন। এমন সময় ফোন আসে তাঁর কাছে। ফোনে এক ইসরায়েলি সৈন্য জানায়, তাঁদের ভবনটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। হাতে আছে মাত্র দশ মিনিট। এরইমধ্যে তাঁকে নিজের জীবন বাঁচাতে হবে। বাঁচাতে হবে পরিবারের সবার জীবন। টানটান উত্তেজনার সিনেমাটি বানিয়েছেন সিনা সালিমি।

‘ওয়েডিং ইন গালিলি’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: ফেসবুকওয়েডিং ইন গালিলি (১৯৮৭)

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পরবর্তী ঘটনা। ফিলিস্তিনের মিলিটারি গভর্নর শাসিত একটি গ্রাম। সেখানে অনুষ্ঠিত এক বিয়ের গল্প নিয়ে বানানো হয়েছে এই সিনেমা। এর আড়ালে উঠে এসেছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব। ওই গ্রামে তখন কারফিউ চলছে।

এরমধ্যেই গ্রাম প্রধান, যার নাম মুকতার, তাঁর ছেলের বিয়ে উদযাপন করতে চান। কিন্তু বাঁধা দেয় ইসরায়েলি সৈন্যরা। তবে পরবর্তীতে বিয়ে অনুষ্ঠান উদযাপন হয়। ইসরায়েলি সৈন্যরাও আমন্ত্রণ পায় অনুষ্ঠানে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ফিলিস্তিনের নির্মাতা মাইকেল খালেইফি।

‘দ্য টাইম দ্যাট রিমেইনস’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: ফেসবুকদ্য টাইম দ্যাট রিমেইনস (২০০৯)

ফিলিস্তিনের নির্মাতা এলিয়া সুলাইমান বানিয়েছেন সিনেমাটি। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় থেকে এ সিনেমা নির্মাণকাল পর্যন্ত প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। কান ও টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় এটি। এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডে পায় গ্র্যান্ড জুরি পদক।

‘প্যারাডাইস নাও’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: ফেসবুকপ্যারাডাইস নাও (২০০৫)

দুজন ফিলিস্তিনি নাগরিক। যারা ইসরায়েলে আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাঁদের নিয়েই সিনেমাটির গল্প। উঠে এসেছে তাঁদের মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন। ছোটবেলা থেকে বন্ধু তাঁরা। তেলআবিবে তাঁদের আত্মঘাতী হামলার দিন কয়েক আগে থেকে গল্প শুরু হয়। বানিয়েছেন হানি আবু-আসাদ।

এটি সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কার জিতেছিল। একই বিভাগে মনোনীত হয়েছিল একাডেমি পুরষ্কারের জন্য।

ডেভিড অ্যান্ড ফাতেমা সিনেমার দৃশ্য। ছবি: ফেসবুকডেভিড অ্যান্ড ফাতেমা (২০০৮)

সিনেমাটি আসলে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েটের আদলে তৈরি। গল্পে তাঁরা একজন ইহুদি, অন্যজন মুসলিম। ইহুদি পরিবারের ছেলে ডেভিড প্রেমে পড়ে মুসলিম ফাতেমার। তাঁদের এই সম্পর্ক সমাজের চোখে নিষিদ্ধ। রাষ্ট্রের কাছেও। বিষয়টি খুব মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় যখন এ সম্পর্কের কথা প্রকাশ হয়ে পড়ে।

যদিও এ গল্প খুবই সাধারণ। কিন্তু অসাধারণ চিত্রনাট্য আর অনবদ্য অভিনয়ের কারনে ‘ডেভিড অ্যান্ড ফাতেমা’ হয়ে উঠেছে পুরোপুরি রাজনৈতিক সিনেমা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত