বাপ্পি চৌধুরী
ছোটবেলায় আমি ঘুমাতাম মা পাহারা দিত। এখন মা ঘুমায়, আমি মায়ের দিকে অপলক চেয়ে থাকি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি যে মানুষটাকে ভালোবাসবেন, তাঁকে চাইলেও সহজে বারবার ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটা বলতে পারবেন না, বলার প্রয়োজনও পড়ে না। এই যেমন মাকে অনেক দিন বলা হয়নি, ‘তুমি কি জানো, তুমি আমার কলিজার টুকরা? একদমই জানো না। জানলে এত বকাঝকা করতা না সারাদিন।’
বাসায় আছি। খুব শিগগিরই নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করব। নিজের টুকটাক কাজ ছাড়া এখন মাকেই সময় দেওয়া হচ্ছে। মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে মনে হলো মাকে নিয়ে কিছু লিখি। বিশ্ব মা দিবসেই কেন শুধু মাকে নিয়ে বলব। আজ না হয় কিছু কথা বললাম। খুব তাড়না হচ্ছে মাকে নিয়ে কিছু বলি। মা যখন কাজে ব্যস্ত, আমি লুকিয়ে লুকিয়ে মাকে দেখি। মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। লুকিয়ে দেখি কারণ, যদি দেখে ফেলেন তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি, তাহলে ধমক দেবেন। আমি কিন্তু এখনো প্রচুর বকাঝকা খাই। মায়ের বকা কে না খায়! আমারও এখনো প্রচুর বকা খাওয়া হয়। বিশেষ করে কোনো অনিয়ম করলে। যেমন ধরুন, সময় মতন না খাওয়া কিংবা রাত জাগা। ঘুমানোর আগে খোঁজ নিয়ে যাবেন আমি বিছানায় গেলাম কি-না। তবে ইদানীং বেশি বকা খাচ্ছি পারিবারিক ব্যবসায় না বসার কারণে। পরিবার থেকে সবাই চাচ্ছেন, আমি যেন ব্যবসায় থিতু হই। পরিবারের এই ভাবনার কারণও আছে। সিনেমার অস্থিরতার খবর যখন তাদের কানে যায়। তখন তো ভেবে অস্থির হন যে, ছেলের ভবিষ্যৎ কী!
আমাকে আরেকটা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়—বিয়ে করছি কবে! তবে এই চাপ আমার পরিবার থেকে খুব একটা নেই। মা এখনো মনে করেন, আমি বড় হইনি। হা হা হা। মায়ের কথা—‘ব্যবসায় বসো, সেটেল হও।’
আগে বিভিন্ন গণমাধ্যম এত লেখালেখি করত আমার বিয়ে নিয়ে যে, পরিবারও জোর জবরদস্তি শুরু করেছিল। কিন্তু এখন আপাতত সেই চাপ নেই। অনেক ধরনের রিউমার আমাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। শুধু মা না, পরিবারের সবাই মিলে তা নিয়ে হাসাহাসি করে। কারণ, এমন সব বিষয় লেখা হয়, যার কোনো অস্তিত্বই নেই। এসব মনগড়া খবর পায় কোথায়, তা নিয়েই আমরা হাসি। পরিবারের থেকে বেশি আপনাকে আর কে চিনবে বলুন? তাঁরা জানেন তাঁদের ছেলের দৌড় কত দূর।
আমাকে প্রথম সিনেমা হলে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। ছবির নাম ছিল ‘অন্তরে অন্তরে’। আমার প্রথম ছবি দেখেছিলেন ‘অনেক সাধের ময়না’। দেখে বলেছিলেন, ‘ভালো হচ্ছে।’ জানেন, মা-ই কিন্তু আমাকে স্ক্রিনে দেখে বলেন ফিট থাকতে। আমার তো শুটিং আর জিম ছাড়া প্রতিটা মুহূর্তই বাসায় কাটে। তাই ফ্রি সময় পুরোটাই মায়ের কাছেই থাকা হয়। মা তখন বলেন, অভিনয়ের পাশাপাশি ফিটও থাকতে হবে। তাঁর আরও কত টিপস। তিনি আমার সিনেমার পাক্বা সমালোচক। তাই কোনো শট খারাপ হলে টেনশনে থাকি কোনোভাবে মায়ের চোখে পড়লে তো বকা খেতে হবে।
সত্যি বলতে, আমার জীবনে খারাপ সময় তেমন একটা আসেনি। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে যখন যা চেয়েছি তার থেকে বেশি পেয়েছি। তবে অসুস্থ হলে মা অস্থির হয়ে যান। পুরোটা সময় সঙ্গে থাকেন। অনেক সময় সিনেমা মুক্তির পর মন খারাপ থাকে। মনে হয় এই দৃশ্যগুলো আরও ভালো করতে পারতাম। ইস! গল্পের মোড়টা এমন হলে আরও বেশি জমত। সেসব ভেবে মন খারাপ থাকে। তখন মা আমাকে সাহস দেন, ভরসা দেন। আমি বাইরে জীবনে যত বড় তারকাই হই, ঘরে ঢোকার সময় তারকা তকমাটা দরজার বাইরে রেখেই ঢুকি। আমি তাঁর সেই ছোট্ট খোকা হয়েই আজীবন তাঁর কোলে এমনিভাবে থাকতে চাই।
ছোটবেলায় আমি ঘুমাতাম মা পাহারা দিত। এখন মা ঘুমায়, আমি মায়ের দিকে অপলক চেয়ে থাকি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি যে মানুষটাকে ভালোবাসবেন, তাঁকে চাইলেও সহজে বারবার ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটা বলতে পারবেন না, বলার প্রয়োজনও পড়ে না। এই যেমন মাকে অনেক দিন বলা হয়নি, ‘তুমি কি জানো, তুমি আমার কলিজার টুকরা? একদমই জানো না। জানলে এত বকাঝকা করতা না সারাদিন।’
বাসায় আছি। খুব শিগগিরই নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করব। নিজের টুকটাক কাজ ছাড়া এখন মাকেই সময় দেওয়া হচ্ছে। মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে মনে হলো মাকে নিয়ে কিছু লিখি। বিশ্ব মা দিবসেই কেন শুধু মাকে নিয়ে বলব। আজ না হয় কিছু কথা বললাম। খুব তাড়না হচ্ছে মাকে নিয়ে কিছু বলি। মা যখন কাজে ব্যস্ত, আমি লুকিয়ে লুকিয়ে মাকে দেখি। মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। লুকিয়ে দেখি কারণ, যদি দেখে ফেলেন তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি, তাহলে ধমক দেবেন। আমি কিন্তু এখনো প্রচুর বকাঝকা খাই। মায়ের বকা কে না খায়! আমারও এখনো প্রচুর বকা খাওয়া হয়। বিশেষ করে কোনো অনিয়ম করলে। যেমন ধরুন, সময় মতন না খাওয়া কিংবা রাত জাগা। ঘুমানোর আগে খোঁজ নিয়ে যাবেন আমি বিছানায় গেলাম কি-না। তবে ইদানীং বেশি বকা খাচ্ছি পারিবারিক ব্যবসায় না বসার কারণে। পরিবার থেকে সবাই চাচ্ছেন, আমি যেন ব্যবসায় থিতু হই। পরিবারের এই ভাবনার কারণও আছে। সিনেমার অস্থিরতার খবর যখন তাদের কানে যায়। তখন তো ভেবে অস্থির হন যে, ছেলের ভবিষ্যৎ কী!
আমাকে আরেকটা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়—বিয়ে করছি কবে! তবে এই চাপ আমার পরিবার থেকে খুব একটা নেই। মা এখনো মনে করেন, আমি বড় হইনি। হা হা হা। মায়ের কথা—‘ব্যবসায় বসো, সেটেল হও।’
আগে বিভিন্ন গণমাধ্যম এত লেখালেখি করত আমার বিয়ে নিয়ে যে, পরিবারও জোর জবরদস্তি শুরু করেছিল। কিন্তু এখন আপাতত সেই চাপ নেই। অনেক ধরনের রিউমার আমাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। শুধু মা না, পরিবারের সবাই মিলে তা নিয়ে হাসাহাসি করে। কারণ, এমন সব বিষয় লেখা হয়, যার কোনো অস্তিত্বই নেই। এসব মনগড়া খবর পায় কোথায়, তা নিয়েই আমরা হাসি। পরিবারের থেকে বেশি আপনাকে আর কে চিনবে বলুন? তাঁরা জানেন তাঁদের ছেলের দৌড় কত দূর।
আমাকে প্রথম সিনেমা হলে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। ছবির নাম ছিল ‘অন্তরে অন্তরে’। আমার প্রথম ছবি দেখেছিলেন ‘অনেক সাধের ময়না’। দেখে বলেছিলেন, ‘ভালো হচ্ছে।’ জানেন, মা-ই কিন্তু আমাকে স্ক্রিনে দেখে বলেন ফিট থাকতে। আমার তো শুটিং আর জিম ছাড়া প্রতিটা মুহূর্তই বাসায় কাটে। তাই ফ্রি সময় পুরোটাই মায়ের কাছেই থাকা হয়। মা তখন বলেন, অভিনয়ের পাশাপাশি ফিটও থাকতে হবে। তাঁর আরও কত টিপস। তিনি আমার সিনেমার পাক্বা সমালোচক। তাই কোনো শট খারাপ হলে টেনশনে থাকি কোনোভাবে মায়ের চোখে পড়লে তো বকা খেতে হবে।
সত্যি বলতে, আমার জীবনে খারাপ সময় তেমন একটা আসেনি। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে যখন যা চেয়েছি তার থেকে বেশি পেয়েছি। তবে অসুস্থ হলে মা অস্থির হয়ে যান। পুরোটা সময় সঙ্গে থাকেন। অনেক সময় সিনেমা মুক্তির পর মন খারাপ থাকে। মনে হয় এই দৃশ্যগুলো আরও ভালো করতে পারতাম। ইস! গল্পের মোড়টা এমন হলে আরও বেশি জমত। সেসব ভেবে মন খারাপ থাকে। তখন মা আমাকে সাহস দেন, ভরসা দেন। আমি বাইরে জীবনে যত বড় তারকাই হই, ঘরে ঢোকার সময় তারকা তকমাটা দরজার বাইরে রেখেই ঢুকি। আমি তাঁর সেই ছোট্ট খোকা হয়েই আজীবন তাঁর কোলে এমনিভাবে থাকতে চাই।
বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
৪ ঘণ্টা আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
৪ ঘণ্টা আগেকালজয়ী রূপকথা ‘স্নো হোয়াইট’কে নতুনভাবে পর্দায় নিয়ে এসেছে ডিজনি। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি হয়েছে স্নো হোয়াইট। ডিজনির অন্যতম ব্যয়বহুল এই মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছিল। গত ২১ মার্চে মুক্তির পর বিতর্ক বেড়েছে আরও।
৪ ঘণ্টা আগে