
২০১৯ সালের ২৫ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় নাট্যদল অনুস্বর। আজ দলটির ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আজ মঞ্চে আসছে দলের নতুন প্রযোজনা ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে অনুস্বর সংলাপ অনুষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনুস্বরের দলপ্রধান অভিনেতা ও নির্দেশক মোহাম্মদ বারীর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

আজ অনুস্বর নাট্যদলের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। কী থাকছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে?
নতুন নাটক ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’-এর প্রদর্শনী এবং অনুস্বর সংলাপ নামের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। প্রতিবছর এই সংলাপে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় নাট্যকর্মী ও দর্শকদের সামনে। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তিনি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় সংলাপ। দর্শকেরা অতিথিকে প্রশ্ন করেন। এবার থাকছেন নাট্য নির্দেশক ও শিক্ষক অধ্যাপক অসীম দাশ। সংলাপটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ এপ্রিল শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে, সন্ধ্যা ৭টায়। এ ছাড়া বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান নাটকটির প্রদর্শনী হবে আজ ২৫ জুলাই অনুস্বরের নিজস্ব স্টুডিওতে। বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোট দুটি প্রদর্শনী হবে।
বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান নাটকের প্রেক্ষাপট কী নিয়ে?
বর্তমান বিশ্বের যুদ্ধাবস্থা এমন কিছু প্রশ্ন নিয়ে আজ আমাদের সামনে উপস্থিত, যার উত্তর দিতে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ কুণ্ঠিত, ভয়ার্ত, লজ্জিত। যুদ্ধ প্রতিনিয়ত এমন সব বীভৎস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে, যেখানে জ্ঞান অনেকটাই অসার, নৈতিকতা ক্লান্ত আর মানবতা পরাজিত। এই পরিস্থিতি আজ গোটা মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ রকম বিভ্রান্তিময় সময়ের পাকচক্রে গভীর রাতে এক বুদ্ধিজীবীর বাসায় হাজির হয় শয়তান। এ নাটক বর্তমান বিভ্রান্তকালের এক কল্পিত রাতের গল্প। লিখেছেন সাইফ সুমন। পরে আমি কিছু জায়গায় সংযোজন করেছি। তাই নাট্যকার হিসেবে আমাদের দুজনের নাম রয়েছে। নির্দেশনা দিয়েছি আমি। অভিনয় করেছেন সাইফ সুমন, মিতু, মাজেদুল মিঠু, নুরুজ্জামান সরকার ও রিমা।
এমন বিষয় বেছে নেওয়ার কারণ কী?
এটা মূলত স্যাটায়ার নাটক। তৌফিক আল হাকিমের মিসরীয় একটি নাটক এবং খলিল আল জিবরানের দুটি গল্পের নির্যাস থেকে রচিত হয়েছে। এটি বেছে নেওয়ার কারণ, যুদ্ধের ডামাডোল পৃথিবীজুড়েই চলছে। যুদ্ধ আসলে কাদের কারণে হয়, কেন হয়, কী কারণে হয়—সে বিষয়গুলো ব্যঙ্গাত্মক জায়গা থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক সময় আমরা মনে করি, শান্তির জন্য যুদ্ধ হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল শান্তির জন্য। যুদ্ধের বিপরীতে আরেকটা জায়গা থাকে। এর সঙ্গে রক্তপাতের সম্পর্ক আছে, অমানবিকতার সম্পর্ক আছে। যুদ্ধের ক্ষেত্রে শান্তির চেয়ে মানবতার বন্দিত্বের ঘটনা বেশি ঘটে। মানুষের মুক্তির চেয়ে অন্য গোষ্ঠীকে বন্দী করার একটা কায়দা। যুগে যুগে দেখা গেছে যুদ্ধের পেছনে আছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য। ফলে মানুষের বেঁচে থাকার যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা আরও ভয়াবহভাবে নিস্পৃহ হয়।
অনুস্বরের ছয় বছর পূর্ণ হলো। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে দল গড়েছিলেন, তার কতখানি পূরণ হয়েছে বলে করেন?
প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের যথেষ্ট কর্মকাণ্ড ছিল। বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান আমাদের দ্বাদশ প্রযোজনা। এত কম সময়ে ১২টি নাটক করার অভিজ্ঞতা কম দলেরই আছে। আমাদের কাজ বলে দেয় দল হিসেবে আমরা কতটা সক্রিয়। অনুস্বরের সদস্যদের জীবনী শক্তি হলো কর্মচাঞ্চল্য। এটা ধরে রাখার চেষ্টা করছি শুরু থেকে। নাটকের বাইরে আমরা সংলাপের আয়োজন করি বিভিন্ন সময়। ভারতেও আমরা নাটক করেছি। সব মিলিয়ে ৬ বছরে আমরা যে কর্মমুখর সময় পার করেছি, তাতে ব্যক্তিগত ও দলপ্রধান হিসেবে আমি আনন্দিত।
নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোকে নির্ভর করতে হয় শিল্পকলা একাডেমি ও মহিলা সমিতির ওপর। কিন্তু আপনাদের নিজস্ব স্টুডিও আছে। এই ভাবনটা কী করে এল?
আমাদের যেহেতু রিহার্সালের জায়গা প্রয়োজন, তাই সেই জায়গাতেই যদি প্রদর্শনীর জায়গা করা যায়, তাহলে নিয়মিত কাজ করার একটি সুযোগ তৈরি করা যাবে। সেই ভাবনা থেকেই অনুস্বর স্টুডিও। অল্প আসন হলেও দর্শকদের নিয়ে প্রদর্শনী আয়োজন করা যাচ্ছে। এখানে আমরা কম দৈর্ঘ্যের নাটকগুলো করছি এবং সফল হয়েছি। এতে দর্শক যেমন ভিন্ন স্বাদের নাটক পাচ্ছেন, আমরাও হলের জন্য কারও ওপর নির্ভরশীল থাকছি না। দলের সদস্যদের নিয়মিত চর্চার একটা ব্যবস্থাও হয়েছে। অনেক দলেরই নিজস্ব জায়গা আছে। যেখানে তারা রিহার্সাল করে। তারাও চাইলে এমনটা করতে পারে। অনেকেই এখন করছে। যেমন প্রাচ্যনাট, আরণ্যক তাদের ওয়ার্কশপ প্রোগ্রামগুলো করছে।
আমাদের দেশে মঞ্চনাটকের যাত্রাটা দীর্ঘ সময়ের। গুণী অনেক শিল্পী উঠে এসেছেন মঞ্চ থেকে। কিন্তু এত বছরেও মঞ্চে কেন পেশাদারত্ব তৈরি হলো না?
একটা প্রজন্ম বিশেষ করে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নব নাট্য আন্দোলন শুরু করেছিল। মানুষকে নতুনভাবে থিয়েটারের রস খুঁজে পাওয়ার পথ তৈরি করেছিল। তাদের আমি ধন্যবাদ দিই। কিন্তু পেশাদারত্ব তৈরির কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য তাদের ছিল না। এটা হতেই পারে। কারণ তারা মাত্র শুরু করেছিল। একসময় নানা পেশায় জড়িয়ে গেছে। এ কারণেই তারা সন্ধ্যাকালীন থিয়েটার করেছে। কিন্তু থিয়েটারকে আশ্রয় করে একটা পেশার জায়গা তৈরি হতে পারে, সেটি ভাবেনি। তাদের উদ্দেশ্যহীন কর্মকাণ্ডের জন্যই থিয়েটার পেশাদারত্বের জায়গায় পৌঁছায়নি। যথাযথ চেষ্টা করলে হয়তো পেশাদারত্বের জায়গায় যাওয়া যেত। কিন্তু সন্ধ্যাকালীন অ্যামেচার থিয়েটার চর্চার মধ্যে আটকে রাখা হলো মঞ্চনাটককে। নিজস্ব পেশার বাইরে শিল্পচর্চার রস পেতে সন্ধ্যার সময়টা কাটানোর জন্য থিয়েটারকে বেছে নেওয়া হলো।
পেশাদারত্ব তৈরি করতে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
এর জন্য যে অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দরকার, স্পনসরশিপের প্রয়োজন, সেটা আমাদের নেই। একচ্ছত্রভাবে কাউকে দোষারোপ করেও লাভ নেই। এই ক্ষেত্রটাই বিকশিত হয়নি। কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে তা করবে কিসের আশায়। সেই প্রাপ্তির জায়গা তৈরি করতে হবে। অনেকেই চেষ্টা করছেন। তবে সময় লাগবে। আরও একটি আন্দোলন লাগবে পেশাদারত্ব সৃষ্টি করতে। সেটা হয়তো শুরু হয়েছে। যেমন সৈয়দ জামিল আহমেদ প্রজেক্টভিত্তিক অনেক কাজ করছেন। অনেক ছেলেমেয়ে নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের পারিশ্রমিক দিয়ে শো করছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা অন্যদেরও পথ দেখাচ্ছে, অনুপ্রাণিত করছে।
আজ অনুস্বর নাট্যদলের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। কী থাকছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে?
নতুন নাটক ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’-এর প্রদর্শনী এবং অনুস্বর সংলাপ নামের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। প্রতিবছর এই সংলাপে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় নাট্যকর্মী ও দর্শকদের সামনে। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তিনি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় সংলাপ। দর্শকেরা অতিথিকে প্রশ্ন করেন। এবার থাকছেন নাট্য নির্দেশক ও শিক্ষক অধ্যাপক অসীম দাশ। সংলাপটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ এপ্রিল শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে, সন্ধ্যা ৭টায়। এ ছাড়া বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান নাটকটির প্রদর্শনী হবে আজ ২৫ জুলাই অনুস্বরের নিজস্ব স্টুডিওতে। বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোট দুটি প্রদর্শনী হবে।
বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান নাটকের প্রেক্ষাপট কী নিয়ে?
বর্তমান বিশ্বের যুদ্ধাবস্থা এমন কিছু প্রশ্ন নিয়ে আজ আমাদের সামনে উপস্থিত, যার উত্তর দিতে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ কুণ্ঠিত, ভয়ার্ত, লজ্জিত। যুদ্ধ প্রতিনিয়ত এমন সব বীভৎস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে, যেখানে জ্ঞান অনেকটাই অসার, নৈতিকতা ক্লান্ত আর মানবতা পরাজিত। এই পরিস্থিতি আজ গোটা মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ রকম বিভ্রান্তিময় সময়ের পাকচক্রে গভীর রাতে এক বুদ্ধিজীবীর বাসায় হাজির হয় শয়তান। এ নাটক বর্তমান বিভ্রান্তকালের এক কল্পিত রাতের গল্প। লিখেছেন সাইফ সুমন। পরে আমি কিছু জায়গায় সংযোজন করেছি। তাই নাট্যকার হিসেবে আমাদের দুজনের নাম রয়েছে। নির্দেশনা দিয়েছি আমি। অভিনয় করেছেন সাইফ সুমন, মিতু, মাজেদুল মিঠু, নুরুজ্জামান সরকার ও রিমা।
এমন বিষয় বেছে নেওয়ার কারণ কী?
এটা মূলত স্যাটায়ার নাটক। তৌফিক আল হাকিমের মিসরীয় একটি নাটক এবং খলিল আল জিবরানের দুটি গল্পের নির্যাস থেকে রচিত হয়েছে। এটি বেছে নেওয়ার কারণ, যুদ্ধের ডামাডোল পৃথিবীজুড়েই চলছে। যুদ্ধ আসলে কাদের কারণে হয়, কেন হয়, কী কারণে হয়—সে বিষয়গুলো ব্যঙ্গাত্মক জায়গা থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক সময় আমরা মনে করি, শান্তির জন্য যুদ্ধ হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল শান্তির জন্য। যুদ্ধের বিপরীতে আরেকটা জায়গা থাকে। এর সঙ্গে রক্তপাতের সম্পর্ক আছে, অমানবিকতার সম্পর্ক আছে। যুদ্ধের ক্ষেত্রে শান্তির চেয়ে মানবতার বন্দিত্বের ঘটনা বেশি ঘটে। মানুষের মুক্তির চেয়ে অন্য গোষ্ঠীকে বন্দী করার একটা কায়দা। যুগে যুগে দেখা গেছে যুদ্ধের পেছনে আছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য। ফলে মানুষের বেঁচে থাকার যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা আরও ভয়াবহভাবে নিস্পৃহ হয়।
অনুস্বরের ছয় বছর পূর্ণ হলো। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে দল গড়েছিলেন, তার কতখানি পূরণ হয়েছে বলে করেন?
প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের যথেষ্ট কর্মকাণ্ড ছিল। বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান আমাদের দ্বাদশ প্রযোজনা। এত কম সময়ে ১২টি নাটক করার অভিজ্ঞতা কম দলেরই আছে। আমাদের কাজ বলে দেয় দল হিসেবে আমরা কতটা সক্রিয়। অনুস্বরের সদস্যদের জীবনী শক্তি হলো কর্মচাঞ্চল্য। এটা ধরে রাখার চেষ্টা করছি শুরু থেকে। নাটকের বাইরে আমরা সংলাপের আয়োজন করি বিভিন্ন সময়। ভারতেও আমরা নাটক করেছি। সব মিলিয়ে ৬ বছরে আমরা যে কর্মমুখর সময় পার করেছি, তাতে ব্যক্তিগত ও দলপ্রধান হিসেবে আমি আনন্দিত।
নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোকে নির্ভর করতে হয় শিল্পকলা একাডেমি ও মহিলা সমিতির ওপর। কিন্তু আপনাদের নিজস্ব স্টুডিও আছে। এই ভাবনটা কী করে এল?
আমাদের যেহেতু রিহার্সালের জায়গা প্রয়োজন, তাই সেই জায়গাতেই যদি প্রদর্শনীর জায়গা করা যায়, তাহলে নিয়মিত কাজ করার একটি সুযোগ তৈরি করা যাবে। সেই ভাবনা থেকেই অনুস্বর স্টুডিও। অল্প আসন হলেও দর্শকদের নিয়ে প্রদর্শনী আয়োজন করা যাচ্ছে। এখানে আমরা কম দৈর্ঘ্যের নাটকগুলো করছি এবং সফল হয়েছি। এতে দর্শক যেমন ভিন্ন স্বাদের নাটক পাচ্ছেন, আমরাও হলের জন্য কারও ওপর নির্ভরশীল থাকছি না। দলের সদস্যদের নিয়মিত চর্চার একটা ব্যবস্থাও হয়েছে। অনেক দলেরই নিজস্ব জায়গা আছে। যেখানে তারা রিহার্সাল করে। তারাও চাইলে এমনটা করতে পারে। অনেকেই এখন করছে। যেমন প্রাচ্যনাট, আরণ্যক তাদের ওয়ার্কশপ প্রোগ্রামগুলো করছে।
আমাদের দেশে মঞ্চনাটকের যাত্রাটা দীর্ঘ সময়ের। গুণী অনেক শিল্পী উঠে এসেছেন মঞ্চ থেকে। কিন্তু এত বছরেও মঞ্চে কেন পেশাদারত্ব তৈরি হলো না?
একটা প্রজন্ম বিশেষ করে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নব নাট্য আন্দোলন শুরু করেছিল। মানুষকে নতুনভাবে থিয়েটারের রস খুঁজে পাওয়ার পথ তৈরি করেছিল। তাদের আমি ধন্যবাদ দিই। কিন্তু পেশাদারত্ব তৈরির কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য তাদের ছিল না। এটা হতেই পারে। কারণ তারা মাত্র শুরু করেছিল। একসময় নানা পেশায় জড়িয়ে গেছে। এ কারণেই তারা সন্ধ্যাকালীন থিয়েটার করেছে। কিন্তু থিয়েটারকে আশ্রয় করে একটা পেশার জায়গা তৈরি হতে পারে, সেটি ভাবেনি। তাদের উদ্দেশ্যহীন কর্মকাণ্ডের জন্যই থিয়েটার পেশাদারত্বের জায়গায় পৌঁছায়নি। যথাযথ চেষ্টা করলে হয়তো পেশাদারত্বের জায়গায় যাওয়া যেত। কিন্তু সন্ধ্যাকালীন অ্যামেচার থিয়েটার চর্চার মধ্যে আটকে রাখা হলো মঞ্চনাটককে। নিজস্ব পেশার বাইরে শিল্পচর্চার রস পেতে সন্ধ্যার সময়টা কাটানোর জন্য থিয়েটারকে বেছে নেওয়া হলো।
পেশাদারত্ব তৈরি করতে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
এর জন্য যে অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দরকার, স্পনসরশিপের প্রয়োজন, সেটা আমাদের নেই। একচ্ছত্রভাবে কাউকে দোষারোপ করেও লাভ নেই। এই ক্ষেত্রটাই বিকশিত হয়নি। কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে তা করবে কিসের আশায়। সেই প্রাপ্তির জায়গা তৈরি করতে হবে। অনেকেই চেষ্টা করছেন। তবে সময় লাগবে। আরও একটি আন্দোলন লাগবে পেশাদারত্ব সৃষ্টি করতে। সেটা হয়তো শুরু হয়েছে। যেমন সৈয়দ জামিল আহমেদ প্রজেক্টভিত্তিক অনেক কাজ করছেন। অনেক ছেলেমেয়ে নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের পারিশ্রমিক দিয়ে শো করছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা অন্যদেরও পথ দেখাচ্ছে, অনুপ্রাণিত করছে।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৫ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৫ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

নতুন নাটক ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’-এর প্রদর্শনী এবং অনুস্বর সংলাপ নামের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। প্রতিবছর এই সংলাপে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় নাট্যকর্মী ও দর্শকদের সামনে। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তিনি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় সংলাপ। দর্শকেরা অতিথিকে প্রশ্ন করেন।
২৫ জুলাই ২০২৫
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৫ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৫ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

নতুন নাটক ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’-এর প্রদর্শনী এবং অনুস্বর সংলাপ নামের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। প্রতিবছর এই সংলাপে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় নাট্যকর্মী ও দর্শকদের সামনে। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তিনি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় সংলাপ। দর্শকেরা অতিথিকে প্রশ্ন করেন।
২৫ জুলাই ২০২৫
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৫ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

নতুন নাটক ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’-এর প্রদর্শনী এবং অনুস্বর সংলাপ নামের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। প্রতিবছর এই সংলাপে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় নাট্যকর্মী ও দর্শকদের সামনে। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তিনি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় সংলাপ। দর্শকেরা অতিথিকে প্রশ্ন করেন।
২৫ জুলাই ২০২৫
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৫ ঘণ্টা আগে
সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’
শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’
কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকে এখন প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবণতা বেড়েছে হলিউডের নতুন অভিনেত্রীদের মধ্যে। বিষয়টির সমালোচনা করেছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট বলেছেন, ‘এ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি লাইক পাওয়ার জন্য নিজেদের নিখুঁত দেখানোর প্রতি মগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা আমাকে খুব বিরক্ত করে।’
শুধু প্লাস্টিক সার্জারি নয়, ওজন কমানোর জন্য অনেকে নানা রকম ওষুধ সেবন করেন। এটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে কেট উইন্সলেট বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে, তার আত্মসম্মান নির্ধারিত হবে শুধুই তার চেহারা দিয়ে, তাহলে সেটা ভয়ানক। অনেকে ওজন কমানোর জন্য ওষুধ খাচ্ছে। বোটক্স ও ফিলারের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করছে। এসব তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে গেছে। নিজেদের শরীর ও চেহারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কিন্তু আসলে এসব ওষুধ যে তাদের কতটা ক্ষতি করছে, সে ব্যাপারে তারা সচেতন নয়। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি প্রচণ্ড অবহেলা করছে তারা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
কেট উইন্সলেট জানান, বার্ধক্য রোধের জন্য তিনি কখনো এসব উপায় অবলম্বনের চিন্তাও করেননি। অভিনেত্রী জানান, শুধু তিনি নন, হেলেন মিরেন, টনি কোলেট, আন্দ্রেয়া রাইজবোরো, সিগর্নি ওয়েভার—সবাই হলিউডের প্লাস্টিক সার্জারির প্রবণতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। কেট উইন্সলেট বলেন, ‘যখন হাতে-মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, সেটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। এটাই তো জীবন। বয়স অনুযায়ী চেহারা বদলায়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী নারী যারা, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এখনকার অনেক নারীর সৌন্দর্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই, এটা আমাকে হতাশ করে।’
কৃত্রিমতায় কোনো সৌন্দর্য নেই, নকলের আশ্রয় না নিয়ে সব সময় যেটা বাস্তব, সেটাই প্রকাশ করতে হবে—নতুন অভিনেত্রীদের প্রতি এটাই পরামর্শ কেট উইন্সলেটের।

নতুন নাটক ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’-এর প্রদর্শনী এবং অনুস্বর সংলাপ নামের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। প্রতিবছর এই সংলাপে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় নাট্যকর্মী ও দর্শকদের সামনে। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তিনি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় সংলাপ। দর্শকেরা অতিথিকে প্রশ্ন করেন।
২৫ জুলাই ২০২৫
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
৫ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
৫ ঘণ্টা আগে