মীর রাকিব হাসান
করোনায় গত মাস থেকেই কোনো শুটিংয়ে অংশ নেননি দিলারা জামান। সচেতনতায় বাসায় নিজের কাজ নিজেই করছেন। বেশির ভাগ সময় বাসায় একাই থাকেন। টেলিভিশন দেখে, পত্রিকা পড়ে ও মোবাইল ফোনে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর সময় কাটে। করোনা এবার যে হারে বাড়ছে, তাতে আপাতত তাঁর ঘরের বাইরে যাওয়া একদমই নিষেধ পরিবার থেকে। প্রতিদিন ২০ মিনিট সতর্কতার সঙ্গে বাইরে হাঁটতে বের হতেন, সেটাও লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে। সুস্থ থাকতে বাধ্য হয়ে ঘর ও ছাদে হাঁটতে হচ্ছে তাঁকে। বঙ্গবন্ধুর মা সাহেরা খাতুনের ভূমিকায় অভিনয় করছেন দিলারা জামান। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর ভারতের অংশ শুটিং শেষ করে এলাম। কঠোর নিরাপত্তায় শুটিং করতে হয়েছে। ৪ দিনের প্রয়োজনে ১০ দিন অতিরিক্ত সময় থাকতে হয়েছিল ভারতে। আপাতত করোনার মধ্যে কোনো শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন না। পরিস্থিতি বুঝেই শুটিং শুরু করবেন তিনি।
জানুয়ারিতে ওপেন হার্ট সার্জারি হয় বরেণ্য অভিনয়শিল্পী কোহিনুর আক্তার সুচন্দার। তাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা নিতেও অনুষ্ঠানস্থলে যেতে পারেননি তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে দিন কাটাচ্ছেন। গেল সপ্তাহে চিকিৎসকের সবুজসংকেত পেয়ে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন সুচন্দা। তিনি জানালেন, দুই মাস পর করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন। এই সময়ে শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা আছে কি না– জানতে চাইলে সুচন্দা বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীরা একের পর এক চলে যাচ্ছেন। এসব খবর শুনে মন ভালো নেই। শারীরিক অবস্থা বলতে এখন ভালো আছি। ভালোমন্দর খবর মিনিটের ব্যবধানে বদলায়। অস্থির একটা সময় পার করছি আমরা। এই বুঝি আমি নেই, এই বুঝি কোনো আপনজন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন কিছু না বলেই।’ শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠার পরই তাঁর দ্বিতীয় ছবিটি নির্মাণের কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন সুচন্দা। বাসায় এই ছবির স্ক্রিপ্টের কাজ করছেন বলেও জানান।
চিত্রনায়িকা ববিতা বাসাতেই আছেন। কোথাও বের হন না। এর মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাসায় ছাদবাগান রয়েছে, সেগুলোর পরিচর্যা এবং পাখিদের সঙ্গেই আমার সময় কেটে যাচ্ছে। এ ছাড়া ছেলে দেশের বাইরে রয়েছে, তার সঙ্গে প্রতিদিন তিনবার করে কথা হচ্ছে। আমার ভাইয়াও দেশের বাইরে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি নিয়মিত। চেনা পরিচিত যত মানুষ আছেন সবার খোঁজ রাখার চেষ্টা করছি। এভাবেই সময় চলে যাচ্ছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘একে একে আপনজনরা হুট করে চলে যাচ্ছেন। নিজের ভালো থাকাই শেষ কথা না, আমি যদি বেঁচে থাকি তো কাকে নিয়ে বাঁচব। সবাই তো আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কবরী আপা, ওয়াসিম ভাই চলে গেছেন। ফারুক লড়ছেন জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। প্রতিদিন কেউ না কেউ অকালে আপনজন হারাচ্ছেন। কেমন আছি–এর উত্তর দেওয়ার আর কিছু নেই।’
কেউ খোঁজখবরও নেয় না। তবে সহশিল্পীদের মধ্যে কেউ মারা গেলে সাংবাদিকেরা তাঁর খোঁজখবর নেন বলে জানান আনোয়ারা। খানিকটা রসিকতার সুরে বললেন, ‘…কেউ মারা গেলে আমার বেশি খোঁজখবর নেয়। বিশেষ করে সাংবাদিক ভাই-বোনেরা আমাকে ভালোবাসেন। যার জন্য উনারা ফোন করে জানতে চান, আমার শরীর কেমন? তখন আমি বলি, মরি নাই। বেঁচে আছি এখনো। ভালোভাবেই বেঁচে আছি আল্লাহর রহমতে। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর স্বামী মহিতুল ইসলাম স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আনোয়ারা বলেন,‘ স্বামীর সেবা করেই আমার সময়গুলো কাটে। এই বিষয়টিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। উনি এখন কথা বলতে পারেন। শুধু হাঁটতে পারেন না। আমি একটা সময় আমার বাচ্চা-স্বামীকে সময় দিতে পারিনি। এখন যদি উনাদের সময় দিলে খুশি থাকেন, তাহলে আমিও খুশি থাকি।’ আনোয়ারা করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। গত মাসে তিনি টিকার প্রথম ডোজ নেন। করোনায় তিনি গত বছর তাঁর একমাত্র ভাই হুমায়ূন কবিরকে হারিয়েছেন।
বয়স বাড়ার কারণে তাঁর দেহে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে। তাই মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত দুই দিন যাবৎ তিনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন। প্রতিদিন তাঁর হার্ট, প্রেশার, সুগার ঠিক রাখতে ১১টার মতো মেডিসিন নিতে হয়। এদিকে অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে পারেন না জানিয়ে আক্ষেপের সুরে সোহেল রানা বলেন, ‘গত তিন বছর হলো রোজা রাখতে পারি না। মনটা তাই খারাপ। কিছু করার নেই। সময়মতো মেডিসিনগুলো না নিতে পারলে শরীরের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে।’ তবে রোজা না রাখতে পারলেও নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত করে ইবাদতে মশগুল থাকছেন এই অভিনেতা।
দীর্ঘদিন ক্যামেরার সামনে নেই প্রবীর মিত্র। তাই তো এই অভিনেতার খবর চোখে মেলে না খুব একটা। সবশেষ এই অভিনেতা খবরের শিরোনামে এসেছিলেন গত বছর, ৭৯ বছর বয়সে করোনাভাইরাস জয় করে। ঢাকাই সিনেমার ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ খ্যাত প্রবীর মিত্রের খবর নিতে গিয়ে প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইয়াসমিন জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন তাঁর শ্বশুর। তাঁর হাড়ে ক্ষয় ধরেছে। ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। মাঝেমধ্যে হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, আবার কদিন ভালো থাকেন। কারও সাহায্য ছাড়া চলতেও পারেন না। ইদানীং কানেও কম শুনছেন। থেমে থেমে জোরে কথা বলতে হয়।’
কীভাবে এই অভিনেতার অবসর কাটে– এমন প্রশ্নে পুত্রবধূ জানিয়েছেন, ‘উনি বই পড়েন, পত্রিকা পড়েন। হঠাৎ মাঝে মাঝে ছুটির দিনে আমাদের সঙ্গে টিভি দেখেন।’
জনপ্রিয় অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক ড. ইনামুল হক। করোনাকালে তিনি নিজ বাসায়ই অবস্থান করছেন। বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। তাঁর শারীরিক অবস্থার খবর জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শরীর ভালো আছে। করোনায় বের হই না। বাসায় বসে লিখছি। না লিখে তো থাকতে পারি না! গত বছর বাসায় বসে তিনটি বইয়ের অনুবাদ একসঙ্গে করেছি। নাম ‘নো এক্সিট’, ‘ম্যান উইদাউট স্যাডো’ ও ‘ফ্লাইস’। আর লাকী তো ঘরে বসে থাকতে পারে না। শিশু একাডেমিতে যেতে হয়। বিশেষ কোনো মিটিং থাকলে যায়। আমাদের দলের জন্য অনলাইন মিটিংয়েও সে অংশ নেয়। আর হৃদি তো শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘১৯৭১ সেইসব দিন’। এই নিয়েই আছি আমাদের পরিবার।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেতা, নির্মাতা আবুল হায়াত। শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। বর্তমানে বাসাতেই আছেন। তবে কোভিড–পরবর্তী কিছু শারীরিক সমস্যা আছে বলে জানান। নায়ক ফারুকের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এমনটা জানালেন তাঁর ছেলে রোশান হোসেন পাঠান শরৎ। তিনি বলেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো আছে। কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।’ তবে ফারুক এখনো খুব একটা কথা বলছেন না বলে জানালেন শরৎ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এখন জ্বর নেই তাঁর, দিতে হচ্ছে না কৃত্রিম অক্সিজেনও। দু–তিন দিনের মধ্যে তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে আবার। পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এলেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। বাসায় থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে চলছেন নৃত্যশিল্পী ও নায়ক ইলিয়াস জাভেদ। কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তিনি। কথা বলতে সমস্যা হয়। টানা কথা বলতে পারেন না।
করোনায় গত মাস থেকেই কোনো শুটিংয়ে অংশ নেননি দিলারা জামান। সচেতনতায় বাসায় নিজের কাজ নিজেই করছেন। বেশির ভাগ সময় বাসায় একাই থাকেন। টেলিভিশন দেখে, পত্রিকা পড়ে ও মোবাইল ফোনে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর সময় কাটে। করোনা এবার যে হারে বাড়ছে, তাতে আপাতত তাঁর ঘরের বাইরে যাওয়া একদমই নিষেধ পরিবার থেকে। প্রতিদিন ২০ মিনিট সতর্কতার সঙ্গে বাইরে হাঁটতে বের হতেন, সেটাও লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে। সুস্থ থাকতে বাধ্য হয়ে ঘর ও ছাদে হাঁটতে হচ্ছে তাঁকে। বঙ্গবন্ধুর মা সাহেরা খাতুনের ভূমিকায় অভিনয় করছেন দিলারা জামান। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর ভারতের অংশ শুটিং শেষ করে এলাম। কঠোর নিরাপত্তায় শুটিং করতে হয়েছে। ৪ দিনের প্রয়োজনে ১০ দিন অতিরিক্ত সময় থাকতে হয়েছিল ভারতে। আপাতত করোনার মধ্যে কোনো শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন না। পরিস্থিতি বুঝেই শুটিং শুরু করবেন তিনি।
জানুয়ারিতে ওপেন হার্ট সার্জারি হয় বরেণ্য অভিনয়শিল্পী কোহিনুর আক্তার সুচন্দার। তাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা নিতেও অনুষ্ঠানস্থলে যেতে পারেননি তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে দিন কাটাচ্ছেন। গেল সপ্তাহে চিকিৎসকের সবুজসংকেত পেয়ে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন সুচন্দা। তিনি জানালেন, দুই মাস পর করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন। এই সময়ে শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা আছে কি না– জানতে চাইলে সুচন্দা বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীরা একের পর এক চলে যাচ্ছেন। এসব খবর শুনে মন ভালো নেই। শারীরিক অবস্থা বলতে এখন ভালো আছি। ভালোমন্দর খবর মিনিটের ব্যবধানে বদলায়। অস্থির একটা সময় পার করছি আমরা। এই বুঝি আমি নেই, এই বুঝি কোনো আপনজন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন কিছু না বলেই।’ শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠার পরই তাঁর দ্বিতীয় ছবিটি নির্মাণের কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন সুচন্দা। বাসায় এই ছবির স্ক্রিপ্টের কাজ করছেন বলেও জানান।
চিত্রনায়িকা ববিতা বাসাতেই আছেন। কোথাও বের হন না। এর মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাসায় ছাদবাগান রয়েছে, সেগুলোর পরিচর্যা এবং পাখিদের সঙ্গেই আমার সময় কেটে যাচ্ছে। এ ছাড়া ছেলে দেশের বাইরে রয়েছে, তার সঙ্গে প্রতিদিন তিনবার করে কথা হচ্ছে। আমার ভাইয়াও দেশের বাইরে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি নিয়মিত। চেনা পরিচিত যত মানুষ আছেন সবার খোঁজ রাখার চেষ্টা করছি। এভাবেই সময় চলে যাচ্ছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘একে একে আপনজনরা হুট করে চলে যাচ্ছেন। নিজের ভালো থাকাই শেষ কথা না, আমি যদি বেঁচে থাকি তো কাকে নিয়ে বাঁচব। সবাই তো আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কবরী আপা, ওয়াসিম ভাই চলে গেছেন। ফারুক লড়ছেন জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। প্রতিদিন কেউ না কেউ অকালে আপনজন হারাচ্ছেন। কেমন আছি–এর উত্তর দেওয়ার আর কিছু নেই।’
কেউ খোঁজখবরও নেয় না। তবে সহশিল্পীদের মধ্যে কেউ মারা গেলে সাংবাদিকেরা তাঁর খোঁজখবর নেন বলে জানান আনোয়ারা। খানিকটা রসিকতার সুরে বললেন, ‘…কেউ মারা গেলে আমার বেশি খোঁজখবর নেয়। বিশেষ করে সাংবাদিক ভাই-বোনেরা আমাকে ভালোবাসেন। যার জন্য উনারা ফোন করে জানতে চান, আমার শরীর কেমন? তখন আমি বলি, মরি নাই। বেঁচে আছি এখনো। ভালোভাবেই বেঁচে আছি আল্লাহর রহমতে। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর স্বামী মহিতুল ইসলাম স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আনোয়ারা বলেন,‘ স্বামীর সেবা করেই আমার সময়গুলো কাটে। এই বিষয়টিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। উনি এখন কথা বলতে পারেন। শুধু হাঁটতে পারেন না। আমি একটা সময় আমার বাচ্চা-স্বামীকে সময় দিতে পারিনি। এখন যদি উনাদের সময় দিলে খুশি থাকেন, তাহলে আমিও খুশি থাকি।’ আনোয়ারা করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। গত মাসে তিনি টিকার প্রথম ডোজ নেন। করোনায় তিনি গত বছর তাঁর একমাত্র ভাই হুমায়ূন কবিরকে হারিয়েছেন।
বয়স বাড়ার কারণে তাঁর দেহে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে। তাই মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত দুই দিন যাবৎ তিনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন। প্রতিদিন তাঁর হার্ট, প্রেশার, সুগার ঠিক রাখতে ১১টার মতো মেডিসিন নিতে হয়। এদিকে অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে পারেন না জানিয়ে আক্ষেপের সুরে সোহেল রানা বলেন, ‘গত তিন বছর হলো রোজা রাখতে পারি না। মনটা তাই খারাপ। কিছু করার নেই। সময়মতো মেডিসিনগুলো না নিতে পারলে শরীরের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে।’ তবে রোজা না রাখতে পারলেও নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত করে ইবাদতে মশগুল থাকছেন এই অভিনেতা।
দীর্ঘদিন ক্যামেরার সামনে নেই প্রবীর মিত্র। তাই তো এই অভিনেতার খবর চোখে মেলে না খুব একটা। সবশেষ এই অভিনেতা খবরের শিরোনামে এসেছিলেন গত বছর, ৭৯ বছর বয়সে করোনাভাইরাস জয় করে। ঢাকাই সিনেমার ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ খ্যাত প্রবীর মিত্রের খবর নিতে গিয়ে প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইয়াসমিন জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন তাঁর শ্বশুর। তাঁর হাড়ে ক্ষয় ধরেছে। ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। মাঝেমধ্যে হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, আবার কদিন ভালো থাকেন। কারও সাহায্য ছাড়া চলতেও পারেন না। ইদানীং কানেও কম শুনছেন। থেমে থেমে জোরে কথা বলতে হয়।’
কীভাবে এই অভিনেতার অবসর কাটে– এমন প্রশ্নে পুত্রবধূ জানিয়েছেন, ‘উনি বই পড়েন, পত্রিকা পড়েন। হঠাৎ মাঝে মাঝে ছুটির দিনে আমাদের সঙ্গে টিভি দেখেন।’
জনপ্রিয় অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক ড. ইনামুল হক। করোনাকালে তিনি নিজ বাসায়ই অবস্থান করছেন। বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। তাঁর শারীরিক অবস্থার খবর জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শরীর ভালো আছে। করোনায় বের হই না। বাসায় বসে লিখছি। না লিখে তো থাকতে পারি না! গত বছর বাসায় বসে তিনটি বইয়ের অনুবাদ একসঙ্গে করেছি। নাম ‘নো এক্সিট’, ‘ম্যান উইদাউট স্যাডো’ ও ‘ফ্লাইস’। আর লাকী তো ঘরে বসে থাকতে পারে না। শিশু একাডেমিতে যেতে হয়। বিশেষ কোনো মিটিং থাকলে যায়। আমাদের দলের জন্য অনলাইন মিটিংয়েও সে অংশ নেয়। আর হৃদি তো শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘১৯৭১ সেইসব দিন’। এই নিয়েই আছি আমাদের পরিবার।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেতা, নির্মাতা আবুল হায়াত। শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। বর্তমানে বাসাতেই আছেন। তবে কোভিড–পরবর্তী কিছু শারীরিক সমস্যা আছে বলে জানান। নায়ক ফারুকের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এমনটা জানালেন তাঁর ছেলে রোশান হোসেন পাঠান শরৎ। তিনি বলেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো আছে। কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।’ তবে ফারুক এখনো খুব একটা কথা বলছেন না বলে জানালেন শরৎ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এখন জ্বর নেই তাঁর, দিতে হচ্ছে না কৃত্রিম অক্সিজেনও। দু–তিন দিনের মধ্যে তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে আবার। পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এলেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। বাসায় থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে চলছেন নৃত্যশিল্পী ও নায়ক ইলিয়াস জাভেদ। কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তিনি। কথা বলতে সমস্যা হয়। টানা কথা বলতে পারেন না।
গত শনিবার হয়ে গেল অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন। ২০২৫-২৮ মেয়াদের সভাপতি হয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। গত কমিটির কিছু কার্যক্রম পড়েছিল প্রশ্নের মুখে। তাই নতুন কমিটির চ্যালেঞ্জটা এবার একটু বেশি। অভিনয়শিল্পী সংঘ নিয়ে নতুন সভাপতি আজাদ আবুল...
৯ ঘণ্টা আগেকবি জীবনানন্দ দাশের জীবন ও কর্ম অবলম্বনে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাট্যদল থিয়েটার ফ্যাক্টরি। ‘কমলা রঙের বোধ’ নামের নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন অলোক বসু। রাজধানীর মহিলা সমিতির মঞ্চে আগামী ৯ মে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে নাটকটির। একই স্থানে ১০ ও ১১ মে কমলা রঙের বোধ নাটকের আরও চারটি প্রদর্শনী করার...
১০ ঘণ্টা আগেঅদ্ভুত দাবি ঊর্বশী রাওতেলার। ভারতের উত্তরাখন্ডে নাকি তাঁর নামে রয়েছে মন্দির! সেখানে ভক্তরা পূজা দিতে আসে, প্রদীপ জ্বালায়, নিজেদের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে। তাঁর ছবির নিচে মাথা ঠেকিয়ে করে প্রণাম। ঊর্বশীর এই বিস্ময়কর দাবিতে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ক্ষোভে ফুঁসছেন উত্তর ভারতের পুরোহিত সম্প্রদায়।
১০ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান...
১ দিন আগে