বিনোদন প্রতিবেদক
১১ মাস ১১ দিনের চিকিৎসা শেষে ফিরে ইনস্টাগ্রামে আবেগাপ্লুত ঋষি কাপুর লিখেছিলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আবার জীবনযুদ্ধে ফিরতে পেরেছি। তিনি আমাকে ধৈর্য ধরতে শিখিয়েছেন। আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমি এখন ক্যানসারমুক্ত।’ কিন্তু সেই ফেরা ছিল সাময়িক। ছেলেকে প্রায়ই উপদেশ দিয়ে ঋষি কাপুর বলেন, সফলতা যেন তাঁর মাথায় চড়ে না বসে, ব্যর্থতা যেন তাঁকে ভেঙে চুরমার করে না ফেলে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেও তিনি বলেছিলেন, তাঁর হৃদয় এখনো তরুণ। শিগগিরই তিনি বড় পর্দায় আবারও প্রেম করবেন। তা আর হলো কোথায়! একটা তরুণ হৃদয় নিয়েই দূর আকাশের নক্ষত্র হয়ে গেলেন এই অভিনেতা। ৬৭ বছরে থেমে যায় জীবনের গান। গত বছরের ৩০ এপ্রিল মারা যান। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বোনম্যারো ক্যানসারে ভুগছিলেন ঋষি কাপুর।
কিশোর বয়সে তাঁর বলিউডে অভিষেক। টিনেজার হিরো থাকাকালীন নিজের ইমেজ ধরে রেখেছিলেন ‘চকলেট বয়’ হিসেবেই। কিন্তু পরে বয়স অনুযায়ী নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিয়ে সাহসী এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি। কখনো ভিলেন, দালাল, কখনো বা নারী চরিত্রে কিংবা সমকামী চরিত্রে, কখনো আবার ৯০ পেরোনো বৃদ্ধ। সবই করেছেন তিনি। তিনি বলতেন, ‘দর্শককে সেলসম্যানের মতো সব রকমই অভিনয় দেখাচ্ছি। কোনো না কোনোটা নিশ্চয়ই পছন্দ হবে।’
তুখোড় অভিনেতা হিসেবে আর পাঁচজন সমসাময়িকের মধ্যে একেবারে এক নম্বরে থাকত না তাঁর নাম। পুরস্কারের ঝুলিও সেভাবে উপচে পড়েনি। তবু কোনো এক অলিখিত জাদুবলে ৭০, ৮০, ৯০—এই তিন দশক ধরে চিরকালীন রোম্যান্টিক হিরো তিনি। পরবর্তীকালে তাঁর অভিনয়ক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে আরও জোরালোভাবে। বয়স বাড়ার পরে একসময় ছোট চরিত্র হলেও দেখিয়েছেন তাঁর প্রতিভা।
চকলেটের লোভে তিন বছর বয়সে ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন ঋষি কাপুর। রাজ কাপুরের ‘শ্রী ৪২০’ সিনেমায় ‘পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া’ গানের একটি দৃশ্যে শিশু অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। কিশোর বয়সে ঋষি কাপুর বলিউডে পা রেখেছিলেন ‘মেরা নাম জোকার’ ছবি দিয়ে। এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও অর্জন করেছিলেন তিনি। আর নায়ক হিসেবে ঋষি কাপুরের শুরু ‘ববি’ সিনেমায়। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। অমিতাভ বচ্চন ও বিনোদ খান্নার মতো নায়কদের মারদাঙ্গা অভিনয়ের যুগে ঋষি কাপুরকে দেখা যেত শান্ত ও রোম্যান্টিক প্রেমিক হিসেবে। এ কারণেই বলিউডের ‘চকলেট বয়’ বলা হতো সুদর্শন ঋষি কাপুরকে।
আর ঋষি কাপুর যেন সিনেমার মতোই প্রাণখোলা এক চরিত্র। তাই তিনি নিজের যে আত্মজীবনী লিখেছেন, সেখানে খুবই অকপট কলম খুঁজে পেয়েছেন পাঠকেরা। পিতার প্রণয় থেকে নিজের উত্থান-পতন, বলিউডের মারপ্যাঁচ থেকে ছেলের স্টার হওয়া—সব নিয়েই মুখ খুলেছেন তিনি।। আত্মজীবনীর নামও তাই ‘খুল্লাম খুল্লা’। তাঁর অভিনীত গানের নামেই।
১১ মাস ১১ দিনের চিকিৎসা শেষে ফিরে ইনস্টাগ্রামে আবেগাপ্লুত ঋষি কাপুর লিখেছিলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আবার জীবনযুদ্ধে ফিরতে পেরেছি। তিনি আমাকে ধৈর্য ধরতে শিখিয়েছেন। আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমি এখন ক্যানসারমুক্ত।’ কিন্তু সেই ফেরা ছিল সাময়িক। ছেলেকে প্রায়ই উপদেশ দিয়ে ঋষি কাপুর বলেন, সফলতা যেন তাঁর মাথায় চড়ে না বসে, ব্যর্থতা যেন তাঁকে ভেঙে চুরমার করে না ফেলে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেও তিনি বলেছিলেন, তাঁর হৃদয় এখনো তরুণ। শিগগিরই তিনি বড় পর্দায় আবারও প্রেম করবেন। তা আর হলো কোথায়! একটা তরুণ হৃদয় নিয়েই দূর আকাশের নক্ষত্র হয়ে গেলেন এই অভিনেতা। ৬৭ বছরে থেমে যায় জীবনের গান। গত বছরের ৩০ এপ্রিল মারা যান। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বোনম্যারো ক্যানসারে ভুগছিলেন ঋষি কাপুর।
কিশোর বয়সে তাঁর বলিউডে অভিষেক। টিনেজার হিরো থাকাকালীন নিজের ইমেজ ধরে রেখেছিলেন ‘চকলেট বয়’ হিসেবেই। কিন্তু পরে বয়স অনুযায়ী নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিয়ে সাহসী এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি। কখনো ভিলেন, দালাল, কখনো বা নারী চরিত্রে কিংবা সমকামী চরিত্রে, কখনো আবার ৯০ পেরোনো বৃদ্ধ। সবই করেছেন তিনি। তিনি বলতেন, ‘দর্শককে সেলসম্যানের মতো সব রকমই অভিনয় দেখাচ্ছি। কোনো না কোনোটা নিশ্চয়ই পছন্দ হবে।’
তুখোড় অভিনেতা হিসেবে আর পাঁচজন সমসাময়িকের মধ্যে একেবারে এক নম্বরে থাকত না তাঁর নাম। পুরস্কারের ঝুলিও সেভাবে উপচে পড়েনি। তবু কোনো এক অলিখিত জাদুবলে ৭০, ৮০, ৯০—এই তিন দশক ধরে চিরকালীন রোম্যান্টিক হিরো তিনি। পরবর্তীকালে তাঁর অভিনয়ক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে আরও জোরালোভাবে। বয়স বাড়ার পরে একসময় ছোট চরিত্র হলেও দেখিয়েছেন তাঁর প্রতিভা।
চকলেটের লোভে তিন বছর বয়সে ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন ঋষি কাপুর। রাজ কাপুরের ‘শ্রী ৪২০’ সিনেমায় ‘পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া’ গানের একটি দৃশ্যে শিশু অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। কিশোর বয়সে ঋষি কাপুর বলিউডে পা রেখেছিলেন ‘মেরা নাম জোকার’ ছবি দিয়ে। এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও অর্জন করেছিলেন তিনি। আর নায়ক হিসেবে ঋষি কাপুরের শুরু ‘ববি’ সিনেমায়। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। অমিতাভ বচ্চন ও বিনোদ খান্নার মতো নায়কদের মারদাঙ্গা অভিনয়ের যুগে ঋষি কাপুরকে দেখা যেত শান্ত ও রোম্যান্টিক প্রেমিক হিসেবে। এ কারণেই বলিউডের ‘চকলেট বয়’ বলা হতো সুদর্শন ঋষি কাপুরকে।
আর ঋষি কাপুর যেন সিনেমার মতোই প্রাণখোলা এক চরিত্র। তাই তিনি নিজের যে আত্মজীবনী লিখেছেন, সেখানে খুবই অকপট কলম খুঁজে পেয়েছেন পাঠকেরা। পিতার প্রণয় থেকে নিজের উত্থান-পতন, বলিউডের মারপ্যাঁচ থেকে ছেলের স্টার হওয়া—সব নিয়েই মুখ খুলেছেন তিনি।। আত্মজীবনীর নামও তাই ‘খুল্লাম খুল্লা’। তাঁর অভিনীত গানের নামেই।
চন্দ্র বারোটের প্রথম পরিচালনা ডন। প্রথম সিনেমাতেই ইতিহাস সৃষ্টি করেন তিনি। সেলিম-জাভেদের চিত্রনাট্যে নির্মিত ডন অমিতাভ বচ্চনের ক্যারিয়ারের অন্যতম আলোচিত সিনেমা।
১ ঘণ্টা আগেকোনালের সঙ্গে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন নিলয় ডি রকস্টার। ময়না গানের ভিডিওতে মডেল হয়েছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী এবং অভিনেতা ও নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন।
২ ঘণ্টা আগেদুজন হাতে হাত ধরে ঢোকেন অনুষ্ঠানে। সারাক্ষণ তাঁরা একসঙ্গেই ছিলেন। সুস্মিতাকে মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করতে চাইছিলেন না সৃজিত। সুস্মিতার হাত ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে দেখা যায়নি পরিচালককে।
৫ ঘণ্টা আগেগুজব রটে, ‘কিং’ সিনেমার শুটিংয়ে আহত হয়েছেন শাহরুখ। চিকিৎসার জন্য তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে, এমন খবরও আসে। তবে ভিন্ন তথ্য উঠেছে এসেছে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগে