Ajker Patrika

পুতুলনাচে সচেতনতা সৃষ্টিতে চম্পা বেগমকে সম্মাননা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় শিশু-কিশোরদের বয়ঃসন্ধিকালীন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সচেতনতার বার্তা দেওয়াসহ পুতুলনাট্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে নানামুখী বার্তা ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে ‘ঝুমুর বীণা পুতুলনাচ’। সেই অবদানের পুরস্কার পেলেন ‘ঝুমুর বীণা পুতুলনাচ’-এর স্বত্বাধিকারী চম্পা বেগম।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব পুতুলনাট্য দিবসে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে পুতুলনাট্য শিল্পী চম্পা বেগমকে। দিনটি উদ্‌যাপন করা হয় সম্মাননা, আলোচনা ও পুতুলনাট্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্টুডিও থিয়েটার হলে সম্মাননা দেওয়া হয় চম্পা বেগমকে। অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে আমার স্বামী পুতুলনাচ করত। এরপর আমি আর আমার ছেলে চালাই। আমার একটাই কথা, শুধু আমি না বাংলাদেশে যাঁরা পুতুলনাচ করেন তাঁদের এ শিল্প এগিয়ে নিতে যেন সহযোগিতা করা হয়।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক পুতুলনাট্য গবেষক রশীদ হারুন বলেন, ‘আমরা যদি বাইরে যাই তাহলে কী পরিচয় দেব। আমরা শেক্‌সপিয়ারের নাটক নিয়ে যেতে পারব না। আমাদের ঐতিহ্য মলুয়া-মহুয়া নিয়ে যেতে হবে। তাই আমাদের ঐতিহ্যকে আমাদের শিশুদের চেনাতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাচটা কেন ভাইরাল হলো, কারণ এটা আমাদের মনের মধ্যে। আমাদের ভালো লেগেছে। তাই এ শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।’
নাট্যজন গোলাম সারোয়ার বলেন, 

এটা হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার অবস্থায় চলে গিয়েছিল এ শিল্প। সেখানে একাডেমির পরিচর্যা এবং বিভিন্ন শিল্পীর চেষ্টায় আজকে আবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।

তবে নিজের একটার আশঙ্কার কথাও তুলে ধরেন গোলাম সারওয়ার। তিনি বলেন, ‘এখন নানাভাবে পাপেট হচ্ছে। কিন্তু সুতা দিয়ে আমাদের যে পুতুলনাচ, সেটা কি বিদেশি পুতুলনাচের বা পাপেটের আড়ালে হারিয়ে যাবে? তাহলে কিন্তু একটা খারাপ ব্যাপার হয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত