Ajker Patrika

সাত কলেজ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস বাস্তবায়ন হবে?

ড. মোর্ত্তূজা আহমেদ
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ২৭
সাত কলেজ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস বাস্তবায়ন হবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ বর্তমানে এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন। দীর্ঘ সময় ধরে এই কলেজগুলো শিক্ষা মানের উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক স্বাধীনতার দাবি করে আসছে। শিক্ষার্থীরা নানা কারণে একের পর এক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে অবকাঠামোগত সংকট, কলেজের প্রশাসনিক জটিলতা এবং শিক্ষকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি এসব কলেজের সমস্যা সমাধানে কার্যকর সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তাঁদের জন্য ‘স্বতন্ত্র পরিচয়ের’ ব্যবস্থা করবেন। যা এই কলেজগুলোর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ ২০১৭ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে এটি দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই সাত কলেজের বর্তমান অবস্থা বেশ জটিল এবং তারা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন ও দাবিতে আছে। বর্তমানে এসব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদের অবকাঠামো, প্রশাসনিক কাঠামো এবং শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

সাত কলেজের অধিকাংশ ভবন অত্যন্ত পুরোনো এবং একাধিক বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, আধুনিক গবেষণাগার এবং অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ প্রায়ই অনুপস্থিত। ফলে, কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা শিক্ষার মান নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ করে থাকে। এই অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা তাঁদের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতি এবং আধুনিকীকরণে বাধা সৃষ্টি করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ হিসেবে সাত কলেজের নিজস্ব প্রশাসনিক স্বাধীনতা নেই। কলেজগুলোর অধিকাংশ প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ভাগ হয়ে থাকে। এই দ্বৈত প্রশাসনিক কাঠামো অনেক সময় কার্যকরী হতে পারে না। কারণ, একে অপরের পরিপূরক হওয়ার পরিবর্তে প্রায়ই বিরোধপূর্ণ হয়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, কলেজগুলোর শিক্ষক নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আসে, তবে একাডেমিক সিদ্ধান্ত এবং শিক্ষার মানের দিকটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্বাধীন। ফলে, এই বিভক্ত ব্যবস্থার কারণে কলেজগুলোর স্বাধীনতা ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হয়, যা তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে স্বাচ্ছন্দ্য এবং কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

ড. মোর্ত্তূজা আহমেদ
ড. মোর্ত্তূজা আহমেদ

স্বাধীনতা ও প্রশাসনিক কাঠামো না থাকার কারণে, সাত কলেজে শিক্ষার মানের মধ্যে বেশ কিছু অমীমাংসিত সমস্যা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর পাঠ্যক্রম, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক শিক্ষা সুবিধা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত উদ্যোগের অভাব রয়েছে। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার গুণগত মান কমতে শুরু করেছে এবং তারা দেশের অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে।

এই কলেজগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি হলো তারা তাদের নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো, পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষাব্যবস্থার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায়। শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা মনে করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকার ফলে তাঁদের মৌলিক চাহিদাগুলো সঠিকভাবে পূর্ণ হয় না এবং তাঁরা পর্যাপ্ত সেবা ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এসব কলেজ স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলে তাঁদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক কাঠামো উন্নত হবে, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের উন্নতি ঘটাবে। এই অবস্থায়, সাত কলেজের বর্তমান পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের জন্য সরকারের সদিচ্ছা এবং কার্যকরী পদক্ষেপের প্রয়োজন, যাতে তাঁরা স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করতে পারে এবং তাঁদের শিক্ষার মান এবং প্রশাসনিক কাঠামো সমৃদ্ধ করতে পারে।

শিক্ষা উপদেষ্টা সম্প্রতি এক সভায় সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয়ের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার সাত কলেজকে স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হবে। এটি শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং কলেজগুলোর প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও কার্যকরিতা আনবে। তবে, এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে কিছু সময় এবং পর্যাপ্ত পরিকল্পনার প্রয়োজন হবে। সাত কলেজের স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া অনেক দিক থেকেই জরুরি। প্রথমত, এটি শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কলেজগুলোর নিজস্ব প্রশাসনিক স্বাধীনতা থাকলে তারা তাদের নিজস্ব নীতি এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করতে পারবে। দ্বিতীয়ত, এটি শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়ক হবে।

তবে, এই পদক্ষেপের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা, সরকারের প্রশাসনিক জটিলতা এবং সাত কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা কিছু বিষয়—যা বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে ফেডারেটেড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে, যেমন ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টো বা ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের মতো সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এই ধরনের মডেলটি কলেজগুলোর স্বাধীনতা এবং স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামো বজায় রেখে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একযোগে কার্যকরী হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সাত কলেজের মধ্যে প্রতিটি কলেজ নিজস্ব শিক্ষাক্রম, গবেষণা কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা পাবে, তবে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে থাকবে, যা তাদের সুরক্ষা এবং উন্নয়নের জন্য একটি সাধারণ কাঠামো প্রদান করবে।

যদি শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করবে। তাদের শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে। কারণ, কলেজগুলো নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠ্যক্রম এবং পাঠদান পদ্ধতি উন্নত করতে পারবে। একইভাবে, শিক্ষকদের জন্য একটি উন্নত কর্মপরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে তাঁরা তাঁদের পেশাদারি দক্ষতা এবং গবেষণায় মনোনিবেশ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মান আরও উন্নত হবে এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে সাত কলেজ। তবে, এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে একটি সুদৃঢ় পরিকল্পনা এবং একযোগী প্রয়াস প্রয়োজন, যাতে এই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চলতে থাকে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়: হাসি গল্প গানের মিলনমেলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৪
পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সদস্যদের সঙ্গে আরপিএসইউ শাখার সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সদস্যদের সঙ্গে আরপিএসইউ শাখার সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম। ঠিক এমনই ভিন্নধর্মী এক আড্ডার আয়োজন করেছে পাঠকবন্ধু আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয় (আরপিএসইউ) শাখা। এটি ছিল পাঠকবন্ধুর দ্বিতীয় পর্বের প্রাণবন্ত ‘ক্যাম্পাস আড্ডা’, যেখানে হাসি, গল্প ও সৃজনশীলতায় মিলিত হয়েছে এক মধুর মিলনক্ষেত্র।

২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরঘেঁষা সবুজ ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে বসে এই প্রাণবন্ত আড্ডা। এতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন কুইজ প্রতিযোগিতা, রম্য বিতর্ক, মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা এবং সুরের তালে তালে গান।

মঞ্চে বসে বন্ধুদের আয়োজন উপভোগ করছেন আরপিএসইউর উপাচার্য। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
মঞ্চে বসে বন্ধুদের আয়োজন উপভোগ করছেন আরপিএসইউর উপাচার্য। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন আরপিএসইউ পাঠকবন্ধু শাখার সদস্যরা। পরে নুসরাত আহমেদ কণার সঞ্চালনায় শুরু হয় আড্ডার আলোচনা। শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়। পাশাপাশি বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান, আজকের পত্রিকার পক্ষে হেড অব ডিজিটাল অ্যাড সেলস মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন, পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মো. আব্দুর রাজ্জাক খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন এবং পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা।

আরপিএসইউর উপাচার্যকে উপহার তুলে দিচ্ছেন পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
আরপিএসইউর উপাচার্যকে উপহার তুলে দিচ্ছেন পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একটি সুন্দর পৃথিবী আমরা গড়ে তুলতে চাইলে শুধু পরিবেশ সুন্দর করাই যথেষ্ট নয়। প্রথমে আমাদের মনের ভেতরটি পরিষ্কার ও সুন্দর করতে হবে। প্রতিটি ভালো কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে। তখন শরীর-মন সুস্থ থাকবে, রোগ-বালাই কমবে। মানবিকতা গড়ে তোলা, সুন্দরভাবে বাঁচা—এই প্রত্যয় আমাদের রাখতে হবে।’

প্রযুক্তির এই যুগে আমরা ধীরে ধীরে বই পড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তবে পাঠকবন্ধু চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে এবং তাদের পাঠাভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে। এ ছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের বাইরে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখেছে। সেই অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরা—এটিই আজকের ক্যাম্পাস আড্ডার মূল উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন।

রম্য বিতর্কে অংশ নিয়েছেন পাঠকবন্ধুর সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
রম্য বিতর্কে অংশ নিয়েছেন পাঠকবন্ধুর সদস্যরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘আমরা এমন এক আড্ডার আয়োজন করেছি, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে বসে তাদের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিচারণা ও স্বপ্নগুলো ভাগাভাগি করবেন। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারব।’

মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন বলেন, ‘আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আমরা সামাজিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সক্ষম হই এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ও আন্তসম্পর্ক গড়ে তুলি।’

ক্যাম্পাস আড্ডা উপভোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
ক্যাম্পাস আড্ডা উপভোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস আড্ডা একটি অনন্য মঞ্চ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠপ্রেমীরা একত্র হয়ে জ্ঞান, চিন্তা ও মানবিকতার সুন্দর বন্ধনে মিলিত হন। পাঠ শুধুই বিদ্বান বানায় না, মানুষও গড়ে তোলে।’

আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় রম্য বিতর্ক ‘পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন নয়, শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তিই ভয়ংকর!’। এতে অংশ নেন তামান্না আক্তার, আফরিন আক্তার, জাকিয়া সুলতানা ও এশা ইসলাম। প্রথম স্থান অধিকার করেন জাকিয়া সুলতানা।

সনদ ও পুরস্কার নিচ্ছেন এক বন্ধু। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়
সনদ ও পুরস্কার নিচ্ছেন এক বন্ধু। ছবি: তৈয়বুর রহমান তন্ময়

এরপর শুরু হয় মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা, যেখানে মিউজিকের তালে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেন খেলার আনন্দ। প্রথম হন মেহেরুনেছা মেরি। এরপর মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আরপিএসইউ কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের আগের দিন অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রথম স্থান অধিকার করেন নাদিয়া আক্তার।

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাফল্যের মুখ দেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত থেকে তরুণদের এই সৃষ্টিশীল উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক সাবরিন সুলতানা উর্বরা জানান, আরপিএসইউ ক্যাম্পাসে এক অনন্য বিকেল কাটল পাঠপ্রেমী তরুণদের সঙ্গে। বই শুধুই পড়ার বস্তু নয়, এটি একটি সেতুবন্ধন, যা মানুষকে মানুষে যুক্ত করে, ভাবনায় গভীরতা আনে এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে।’

অনুষ্ঠান শেষে পাঠকবন্ধুর অতিথি ও সদস্যরা পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। হাসি, গল্প আর গানে গানে এক আনন্দঘন দিন কাটে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠকবন্ধুদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাঠকবন্ধু ক্যাম্পাস আড্ডা /নিজের ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে

অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৯
পাঠকবন্ধুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন আরপিএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়
পাঠকবন্ধুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন আরপিএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়

আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’। এর সঙ্গে যোগ করতে চাই ‘মোবাইল ডিমোরালাইজড’। যদিও এই উক্তি নিয়ে বিতর্ক আছে, তবু সত্যি হলো, মোবাইল জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও এর অপব্যবহার ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।

আজকাল ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময়ও হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এক পরিবারের তিনজন সদস্য একসঙ্গে বসলেও প্রত্যেকে ব্যস্ত নিজের মোবাইলের মধ্যে, কথাবার্তা প্রায় নেই। অথচ মোবাইলের মধ্যে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। এটি দিয়ে তুমি প্রজেক্ট, থিসিস বা যেকোনো একাডেমিক গবেষণা করতে পারো। আমাদের সময়ে এই ধরনের সুযোগ ছিল না। এখন ইন্টারনেট তোমার হাতের মুঠোয়। জ্ঞান আহরণ করতে চাইলে তুমি পুরো বিশ্ব জয় করতে পারো। মনে রাখতে হবে, মোবাইলের দুটি দিক আছে—একটি সুফল, অন্যটি কুফল। সুফল কাজে লাগাতে হবে। নেতিবাচক ব্যবহার আমাদের যুবসমাজে বিভিন্ন আসক্তি, হতাশা এবং দুঃখজনক আত্মহত্যার মতো প্রবণতা তৈরি করছে। তাই তোমরা মোবাইল ব্যবহার করবে এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগিয়ে।

জীবনে সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। আমি নিজে খারাপ থাকলেও বলি, ‘আমি খুব ভালো আছি’। এই মানসিক ইতিবাচকতা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর স্বপ্ন থাকতে হবে—স্বপ্ন ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন সেটা নয়, যা আমরা ঘুমিয়ে দেখি; স্বপ্ন সেটাই, যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না।’

তোমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছ ‘আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়’, এর প্রতিষ্ঠাতা আর পি সাহাও ছিলেন একজন মহান স্বপ্নদ্রষ্টা। মাত্র সাত বছর বয়সে মাকে হারিয়ে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘আমি যদি কখনো সম্পদশালী হই, তাহলে একটি মাতৃসদন হাসপাতাল গড়ে তুলব, যেন কোনো মা বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।’ ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করা, দারিদ্র্যপীড়িত সেই মানুষটি ফুটপাতে ঘুমিয়েছে, সংবাদপত্র বিক্রি করেছে, গাড়ি মুছেছে। কিন্তু অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র ছয় বছরে তিনি ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেন। কয়লা, জুট, চামড়া, লবণ, নৌপরিবহন—সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।

তবে সেই সম্পদ নিজের জন্য নয়, তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের কল্যাণে। প্রতিষ্ঠা করেছেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী কলেজ, দেবেন্দ্র কলেজ—সবই মানবতার সেবায় নিবেদিত।

তোমাদেরও তাই স্বপ্ন দেখতে হবে, নিজের ভেতরে ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং সমাজ পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে হবে।

অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়, উপাচার্য, আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
ঢাবির আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৯ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আইবিএ ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত। আবেদন শেষে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগেপর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন শুরু ৭ নভেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ওরিয়েন্টেশন, রেজিস্ট্রেশন ও শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১ হাজার ১০৯টি আসনে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও নিয়মাবলি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৩২০, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩০৩ এবং কোটায় ১৭। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ২০২২-২৩ ও এইচএসসি ২০২৪-২৫ পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০। ভর্তি পরীক্ষা ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত অঙ্কন পরীক্ষা থাকবে।

‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ২৮১, যার মধ্যে সাধারণ আসন ২৬৬ ও কোটায় ১৫। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো সম্মিলিত জিপিএ ন্যূনতম ৮.০০। পরীক্ষা পদ্ধতি ‘এ’ ইউনিটের মতো হবে। ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা ও চারুকলা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৪১৫, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩৯১ ও কোটায় ২৪।

আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৭ পেতে হবে। চারুকলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত লিখিত ও অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘ডি’ ইউনিটের (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৮৮, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৮৩ ও কোটায় ৫।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত