Ajker Patrika

দেশে বসেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ বাড়ছে

আব্দুর রাজ্জাক খান, ঢাকা
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮: ৫৯
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখায় ভর্তি কার্যক্রম চলছে। ছবি: সংগৃহীত
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখায় ভর্তি কার্যক্রম চলছে। ছবি: সংগৃহীত

গত দুই দশকে উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বেড়েছে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন বা আন্তদেশীয় শিক্ষার চাহিদা। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশে থেকেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন। শাখা ক্যাম্পাস, অনলাইন শিক্ষা, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব—এসব মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে যাচ্ছে বিশ্বমানের শিক্ষার দরজা।

সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কয়েক গুণ বেড়েছে। যদিও ভারত ও শ্রীলঙ্কার তুলনায় এটি এখনো পিছিয়ে। গবেষণার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক স্টিফেন ফোর্বসসহ অনেকে। গবেষণাটি পরিচালনা করেন বিয়েট্রিস সেগুরা হারভে ও জ্যাক সুলেভান।

ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার নানা ধরন

  • শাখা ক্যাম্পাস: বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি অন্য দেশে শাখা ক্যাম্পাস স্থাপন করে। এখানে মূল ক্যাম্পাসের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে শিক্ষা দেওয়া হয় এবং ডিগ্রি দেওয়া হয় মূল ক্যাম্পাস থেকেই।
  • ফ্র্যাঞ্চাইজি পার্টনারশিপ: স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা ঘরেই বসে বিদেশি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পান।
  • ভ্যালিডেশন পার্টনারশিপ: স্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রোগ্রাম চালালেও মূল ডিগ্রিদাতা বিশ্ববিদ্যালয় তা স্বীকৃতি দেয়।
  • যৌথ বা দ্বৈত ডিগ্রি: দুটি বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে কোর্স পরিচালনা করে এবং অধ্যয়নকারী শিক্ষার্থীদের যৌথভাবে ডিগ্রি দিয়ে থাকে।
  • দূরশিক্ষা বা অনলাইন শিক্ষা: এটি সম্পূর্ণ অনলাইনে পরিচালিত হয়, কখনো কখনো স্থানীয় টিউশন বা স্টাডি সেন্টারের সহায়তায়ও থাকে।

আন্তদেশীয় শিক্ষায় আগ্রহ যে কারণে বাড়ছে

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ধরনের শিক্ষার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই প্রবণতার পেছনের কয়েকটি প্রধান কারণ তুলে ধরেছে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি করে বৈশ্বিক অংশীদারত্বে যুক্ত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও জ্ঞান স্থানান্তর আগের চেয়ে সহজ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি নিজেদের আন্তর্জাতিক প্রোফাইল ও অবস্থান আরও দৃঢ় করতে চায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বিষয়টি শুধুই ব্যবসায়িক নয়। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতা বা পারিবারিক কারণে বিদেশ যেতে না পারলেও দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এখন তাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে উচ্চশিক্ষা আর শুধু সীমিত কিংবা বিদেশ গমননির্ভর নয়, হয়ে উঠছে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বাস্তবসম্মত। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের পথ সহজ করছে।’

বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থী বনাম ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার্থী

ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন। সবচেয়ে বেশি গেছেন আমেরিকা; এরপর আছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও মালয়েশিয়া। বাংলাদেশে এখনো উচ্চশিক্ষায় ভর্তির হার বছরে মাত্র ২৩ শতাংশ, যেখানে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে এই হার ৪২ শতাংশ এবং উন্নত দেশে ৭৯ শতাংশ। ফলে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষাই হয়ে উঠছে একটি সম্ভাবনাময় সমাধান।

ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে আন্তদেশীয় শিক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। এরপরই আছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রসবর্ডার এডুকেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

  • ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি: ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি ২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রথম সরকার অনুমোদিত বিদেশি শাখা ক্যাম্পাস চালু করে। এই বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু করেছে। ২০২৫ সালের কিউএস র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার অবস্থান ২৬৫তম, যা বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ পান।
  • অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ কলেজ: ২০২১ সালে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ কলেজ দেশে চালু করে তাদের ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম সরাসরি পরিচালিত হয় মোনাশ ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়া এবং মোনাশ ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার তত্ত্বাবধানে।
  • এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধীন ইউটিএস কলেজও বাংলাদেশে অনুরূপ কার্যক্রম চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে।
  • আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত তিনটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে দেশে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলো হলো ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) এবং সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটি।

বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল শিক্ষার চাহিদা দিন দিন যে হারে বাড়ছে, তা দেশের উচ্চশিক্ষার অঙ্গনে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। আর্থিক, সামাজিক ও ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসেই আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহজলভ্য। বিশেষ করে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি, মোনাশ কলেজসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বাংলাদেশে শিক্ষার নতুন দিক উন্মোচন করেছে। একই সঙ্গে এটি দেশের সামগ্রিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ গঠন এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৌশলগত প্রস্তুতিই এনে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্কোর

শ্রেয়া ঘোষ
কৌশলগত প্রস্তুতিই এনে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্কোর

আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।

নিয়মিত ইংরেজি শোনার অভ্যাস করুন

লিসনিং অংশে বিভিন্ন উচ্চারণ (ব্রিটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান) বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ইংরেজি খবর, পডকাস্ট বা সিনেমার সংলাপ শুনলে কানে স্বাভাবিকভাবে শব্দ ধরার ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত অনুশীলন আপনাকে অডিওর গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন আগে পড়ে নিন ও মনোযোগ দিন

লিসনিং অংশে অডিও শুরু হওয়ার আগে প্রশ্নগুলো একবার পড়ে নিন। এতে করে কোন তথ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, তা আগে থেকে বুঝে যাবেন এবং উত্তর মিস হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

বানানের দিকে খেয়াল রাখুন

লিসনিং অংশে অনেক সময় সঠিক উত্তর লিখলেও বানান ভুল হলে নম্বর কাটা যায়। সাধারণ শব্দগুলোর সঠিক বানান আয়ত্ত করুন এবং উত্তর লেখার সময় সতর্ক থাকুন।

স্কিমিং ও স্ক্যানিং কৌশল শিখুন

রিডিং অংশে পুরো প্যাসেজ শব্দ ধরে পড়ে সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। স্কিমিং (মূল ভাব বোঝা) ও স্ক্যানিং (নির্দিষ্ট তথ্য খোঁজা) কৌশল ব্যবহার করলে দ্রুত উত্তর বের করতে পারবেন।

কি-ওয়ার্ড চিহ্নিত করুন

প্রশ্নে দেওয়া কি-ওয়ার্ডগুলো আন্ডারলাইন করুন। প্যাসেজে সেই শব্দ বা তার সমার্থক শব্দ খুঁজে বের করুন। এতে সময় বাঁচবে এবং ভুলের হার কমবে।

সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হোন

লিসনিং অংশে প্রতিটি সেকশন শেষে যে কয়েক সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়, তা কাজে লাগান। রিডিং অংশে প্রতিটি প্যাসেজের জন্য নির্দিষ্ট সময় (প্রায় ২০ মিনিট) বেঁধে নিন। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সময় বণ্টনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ভিন্ন ধরনের প্রশ্নে অভ্যস্ত হোন

রিডিং অংশে True/False/Not Given, Matching, Fill in the blanks, Multiple choice—এমন নানা ধরনের প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি ফরম্যাটের আলাদা কৌশল রয়েছে। যেমন True/False/Not Given প্রশ্নে যুক্তি বিশ্লেষণ প্রয়োজন হয়, আর Matching প্রশ্নে সঠিক শব্দ বা ধারণা মেলাতে হয়। তাই প্রতিটি ধরনের প্রশ্নে আলাদাভাবে অনুশীলন করুন।

মক টেস্ট দিন

পরীক্ষার আগে আসল পরীক্ষার পরিবেশে বসে মক টেস্ট দিন। এতে সময় ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নের ধরন এবং মনোযোগ ধরে রাখার অভ্যাস তৈরি হয়। নিয়মিত মক টেস্ট আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সহায়ক হয়।

লেখক: শিক্ষার্থী, হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ আন্তর্জাতিক বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ আন্তর্জাতিক বৃত্তি

দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই তহবিলের সুযোগটি কেবল ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটির দায়েগু শহরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। আধুনিক গবেষণাগার, উন্নত অবকাঠামো ও বহুভাষিক শিক্ষাব্যবস্থার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।

সুযোগ-সুবিধা

বৃত্তিটির আওতায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। তবে প্রতি সেমিস্টার শেষে শিক্ষার্থীর একাডেমিক পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। একাডেমিক পারফরম্যান্সের ওপর পরবর্তী সেমিস্টারে বৃত্তি নবায়ন করা হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ও পিএইচডি (ডক্টরাল) প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের মেয়াদ দুই বছর এবং যৌথ মাস্টার্স-পিএইচডি প্রোগ্রামের মেয়াদ চার বছর। যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী, আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে এবং কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামে ভর্তির অফার থাকতে হবে।

আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য

আবেদনপত্র, স্টেটমেন্ট অব পারপাস ও স্টাডি প্ল্যান, সুপারিশপত্র (অবশ্যই অধ্যাপকের মাধ্যমে সরাসরি জমা দিতে হবে অথবা সিল করা খামে সংযুক্ত থাকতে হবে), পূর্বে অধ্যয়ন করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি সনদ, অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, ভাষাগত দক্ষতার সনদ, কোরিয়ান ভাষা ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত থাকলে ভর্তি সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্টের কপি ও জন্মসনদ।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়

৩১ অক্টোবর ২০২৫।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কালই শ্রেণিকক্ষে ফিরছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’

এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।

‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশেষ কোটায় ঢাকা কলেজে একাদশে ভর্তির সুযোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।

সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।

এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত