মো. তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন
আমি ১৬ জুলাই থেকেই এই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। ১৮ জুলাই ২০২৪। দেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রায় থমকে গিয়েছিল। কিন্তু সেদিনই রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আন্দোলনে নতুন গতি আনেন। বসুন্ধরা গেটসংলগ্ন যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়ক প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে। আন্দোলন পায় নতুন গতি।
১৮ জুলাই সকাল ১০টায় এআইইউবির ফটকে জড়ো হই আমরা। স্লোগান দিয়ে মিছিল করি কুড়াতলী, কুড়িল, কাজীবাড়ি হয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত। নর্থ সাউথ ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও স্লোগানে যোগ দেন। তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রে স্লোগান দিই, ‘কোটা না মেধা? মেধা!’ ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে পারে না!’ মাঠে বক্তৃতা, প্রতিবাদ—সবই শান্তিপূর্ণ। দুপুর ১২টার দিকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়, যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। বেলা দুইটার দিকে খবর পাই, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। ৪০-৫০ জন মিলে আমরা নতুন বাজারের দিকে রওনা দিই।
নর্দ্দা পার হওয়ার পর হঠাৎ আশপাশের গলি থেকে হামলা চালানো হয়। পদদলিত হয়ে আমি আহত হই, পরে গলিতে ঢুকে আবার মারধরের শিকার হই। সহপাঠীরা আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
ভাটারা হয়ে কুড়িলে ফিরে দেখি, পুরো এলাকা যেন যুদ্ধক্ষেত্র। পুলিশ গুলি ছুড়ছে, চারপাশে আতঙ্ক। বন্ধুরা আমাকে কুড়িলের গলি থেকে নিরাপদে বের করে সামাউনের বাসায় আশ্রয় দেয়।
বন্ধুদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে ভেঙে না পড়ে বরং আরও দৃঢ় হই। সাংবাদিকদের জানাই, শিক্ষকেরা খোঁজ নেন। বিকেলে বন্ধু নোমান বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হলে আমি ও হামিম ঝুঁকি নিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করি।
আমি ১৬ জুলাই থেকেই এই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। ১৮ জুলাই ২০২৪। দেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রায় থমকে গিয়েছিল। কিন্তু সেদিনই রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আন্দোলনে নতুন গতি আনেন। বসুন্ধরা গেটসংলগ্ন যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়ক প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে। আন্দোলন পায় নতুন গতি।
১৮ জুলাই সকাল ১০টায় এআইইউবির ফটকে জড়ো হই আমরা। স্লোগান দিয়ে মিছিল করি কুড়াতলী, কুড়িল, কাজীবাড়ি হয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত। নর্থ সাউথ ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও স্লোগানে যোগ দেন। তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রে স্লোগান দিই, ‘কোটা না মেধা? মেধা!’ ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে পারে না!’ মাঠে বক্তৃতা, প্রতিবাদ—সবই শান্তিপূর্ণ। দুপুর ১২টার দিকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়, যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। বেলা দুইটার দিকে খবর পাই, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। ৪০-৫০ জন মিলে আমরা নতুন বাজারের দিকে রওনা দিই।
নর্দ্দা পার হওয়ার পর হঠাৎ আশপাশের গলি থেকে হামলা চালানো হয়। পদদলিত হয়ে আমি আহত হই, পরে গলিতে ঢুকে আবার মারধরের শিকার হই। সহপাঠীরা আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
ভাটারা হয়ে কুড়িলে ফিরে দেখি, পুরো এলাকা যেন যুদ্ধক্ষেত্র। পুলিশ গুলি ছুড়ছে, চারপাশে আতঙ্ক। বন্ধুরা আমাকে কুড়িলের গলি থেকে নিরাপদে বের করে সামাউনের বাসায় আশ্রয় দেয়।
বন্ধুদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে ভেঙে না পড়ে বরং আরও দৃঢ় হই। সাংবাদিকদের জানাই, শিক্ষকেরা খোঁজ নেন। বিকেলে বন্ধু নোমান বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হলে আমি ও হামিম ঝুঁকি নিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করি।
২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে
১ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
৭ ঘণ্টা আগেবুটেক্সে আমাদের ব্যাচের ক্লাস শুরু হয় ২০০৭ সালের এপ্রিলে। এরপর থেকেই নিয়মিত ক্লাস-ল্যাব করা, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছি। বুটেক্সে পড়াকালে আমার বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় গণজাগরণ, যা ২০২৪ সালের ১ জুলাই শুরু হয়ে ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে। ৩৬ দিনের এই আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি, যেখানে প্রতিদিন নিরবচ্ছিন্ন কর্মসূচি পালন
৭ ঘণ্টা আগে