Ajker Patrika

মহান বিজয় দিবসে পাঠকবন্ধুর শ্রদ্ধা

ইলিয়াস শান্ত
বিজয় দিবসে পাঠকবন্ধুর ফুল নিবেদন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজয় দিবসে পাঠকবন্ধুর ফুল নিবেদন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৬ ডিসেম্বর এক গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দিনে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, আর পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় নতুন এক রাষ্ট্র—বাংলাদেশ। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, লাখো মা-বোনের সম্ভ্রম এবং দীর্ঘ ৯ মাসের দুর্বিষহ যুদ্ধ শেষে আমরা পেয়েছি বিজয়ের স্বাদ। তাই এই দিন শুধু স্বাধীনতার স্মারক নয়, এটি আমাদের আত্মত্যাগ, বীরত্ব এবং জাতির সম্মিলিত চেতনার প্রতীক।

বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম ‘পাঠকবন্ধু’ জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। তাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার সদস্যরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. সৈয়দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, সানজিদা জান্নাত পিংকি, তানজিল কাজীসহ অনেকে।

বিজয় দিবসে পাঠকবন্ধুর ফুল নিবেদন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজয় দিবসে পাঠকবন্ধুর ফুল নিবেদন। ছবি: আজকের পত্রিকা


আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এটি আমাদের অনুপ্রাণিত করে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে।’ তাঁর বক্তব্যে ফুটে ওঠে, এই দিনটি শুধু অতীত স্মরণ নয়, এটি ভবিষ্যৎ গড়ার চেতনার উৎস।

তরুণ প্রজন্মের প্রতিশ্রুতি ও আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে এলিন খান বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন পর্যন্ত তরুণদের ভূমিকা ছিল অসাধারণ। আমাদের প্রজন্ম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, সকল বাধাবিপত্তি পেরিয়ে এই দেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবে।’

বিজয় দিবসে পাঠকবন্ধুর ফুল নিবেদন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজয় দিবসে পাঠকবন্ধুর ফুল নিবেদন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই আমাদের এখনো শেষ হয়নি। জাতির এই ঐতিহাসিক বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত, সকল স্তরে সমতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করা। আশা করি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্য ও মানবাধিকারের রোল মডেল হবে।’

গণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য আফরা রুমালী সুপ্তি স্মৃতিসৌধে এসে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘এ বছর আমাদের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন বিশেষ কারণবশত ভিন্ন। স্বৈরাচারের পতনের পর প্রথমবারের মতো দলমত-নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছে। এ বিজয়ের আনন্দ সত্যিই অন্যরকম।’

স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকলে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান জানান।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত