
সাম্প্রতিক সময়ে পরপর অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। এই হঠাৎ কম্পন-মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। ভূমিকম্পের প্রস্তুতি গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক খান।
আব্দুর রাজ্জাক খান

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে পরপর কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ধারাবাহিক ভূমিকম্পগুলোকে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
বাংলাদেশের আশপাশে ভূমিকম্পের প্রায় ছয়টি উৎপত্তিস্থল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি মিয়ানমার থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত। তবে আরেকটি নোয়াখালী থেকে সিলেট পর্যন্ত; এটি হলো প্লেট বাউন্ডারি ২। সম্প্রতি হওয়া ভূমিকম্পগুলো এই প্লেট বাউন্ডারিতে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখানে অনেক শক্তি জমা হয়ে থাকায় ভবিষ্যতে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এ ছাড়া তৃতীয় এলাকা হলো প্লেট বাউন্ডারি ৩, যেটি সিলেট থেকে ভারতের দিকে চলে গেছে। এখানে এ পর্যন্ত দুটি ভূমিকম্প হয়েছে ৭ ও ৭.৫ মাত্রার। একটি ১৯১৮ সালে, শ্রীমঙ্গলে; আরেকটি ১৮৬৯ সালে, কাছাড় ভূমিকম্প। চতুর্থ উৎস হলো ডাউকি ফল্ট, যেখানে ১৮৯৭ সালে ৮.১ মাত্রার গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক হয়েছে। এতে ঢাকার আহসান মঞ্জিল ও সোনামসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া মধুপুর ফল্ট, যমুনা সেতুর কাছে বগুড়া ও শেরপুরে ১৮৮৫ সালে ৭.১ মাত্রার বেঙ্গল আর্থকোয়েক হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায়, সামনে আরও ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর মানে কি বড় কোনো ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছেন?
হ্যাঁ। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির ইতিহাস অনুযায়ী ৭ মাত্রার ভূমিকম্প পাঁচ-ছয়বার ঘটেছে, ৮ মাত্রার দুবার। তাই ঝুঁকি সব সময় আছে। ভূমিকম্প এখন না এলেও ভবিষ্যতে আসবে এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
ঢাকার ভবনগুলোর গুণগত মান দুর্বল হওয়ার কারন কী?
নকশা ভালো হলেও মাঠপর্যায়ে নির্মাণে অনেক সময় তা ঠিকভাবে মেনে চলা হয় না। সারা বিশ্বে সাধারণত যে ব্যক্তি নকশা করেন, তিনি নিজেই কনস্ট্রাকশনের সময় তা সুপারভাইজ করেন। কিন্তু আমাদের দেশে নকশা যিনি তৈরি করেন, তিনি প্রায়ই সুপারভিশনে অংশ নেন না। সে কারণে সুপারভিশনের অভাবে ভবনের গুণগত মান সন্তোষজনক থাকে না।
কোন ভবনে কী ধরনের দুর্বলতা দেখা দেয়? সমাধানের উপায় কী?
আমাদের ভবন মূলত দুই ধরনের। একটি ইটের ভবন, আরেকটি বিম-কলাম পদ্ধতির ভবন। ইটের দেয়াল পুরো ভবনের ভার বহন করে। অর্থাৎ, দেয়ালে কোনো ক্ষতি হলে পুরো ভবন অচল হয়ে পড়তে পারে। তাই ইটের দেয়ালে ক্র্যাক দেখামাত্র মজবুত করতে হবে। বিম-কলাম পদ্ধতির ভবনে লোড প্রথমে স্ল্যাবে আসে, তারপর বিমে এবং শেষে কলামে পৌঁছায়। কলাম যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে পুরো ভবন ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। তাই কলামকে কোনোভাবেই ক্র্যাক হতে দেওয়া যাবে না। যদি ক্র্যাক দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই সেটি দ্রুত মজবুত করতে হবে।
ভূমিকম্প হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদভাবে সরিয়ে নিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
ভূমিকম্প হলে ভয় পেয়ে হঠাৎ বের হওয়া যাবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত দিয়ে নিরাপদ অবস্থান নিতে হবে। পরবর্তী সময়ে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে বের হয়ে ফাঁকা জায়গায় নিরাপদে অবস্থান করতে হবে।
ভূমিকম্পের পরে কীভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে? আমাদের দেশে ভূমিকম্প-সহনীয় ভবন নির্মাণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোন প্রযুক্তি বা কৌশল ব্যবহার জরুরি?
তুরস্কে ভূমিকম্পে ভবন ধসে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। পরে উদ্ধারকাজে যে খরচ হয়েছিল, তার গড় হিসাব করে দেখা যায়, একজনকে উদ্ধারে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশে যদি একটি পাঁচ কাঠার প্লটে ১০টি ফ্ল্যাট থাকে এবং সেখানে ৫০ জন মানুষ থাকে, ভূমিকম্প-সহনীয় করার খরচ মাত্র ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ তিনজন মানুষকে উদ্ধার করার খরচের পরিবর্তে একই অর্থে পুরো ভবনকে মজবুত করা সম্ভব। আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্পে ১০ বছর ধরে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, সেটি ব্যবহার করলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ভূমিকম্পে উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত ও কার্যকর করতে ফায়ার সার্ভিস কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে পারে? সরঞ্জাম, মহড়া এবং ভলান্টিয়ার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কী উদ্যোগ নেওয়া দরকার?
আমাদের ফায়ার সার্ভিস যথেষ্ট সক্ষম; তাদের প্রশিক্ষণ আছে এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও যথেষ্ট। তবে জরুরি বিষয় হলো ভুমিকম্প-সহনীয় ভবন তৈরি করা, নিয়মিত মহড়ার আয়োজন করা, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সহযোগী একটি ফোর্স গঠন এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার তৈরি করা। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় দেখা গেছে, ছোটখাটো সরঞ্জাম নিয়ে ভলান্টিয়াররাই উদ্ধারকাজে বেশি সহায়তা করেছিল।
সুতরাং, আমাদের মূল মনোযোগ দেওয়া উচিত ভলান্টিয়ার তৈরির দিকে। ফায়ার সার্ভিসে আরও বেশি লোকবল প্রয়োজন। ঢাকায় প্রায় ১৮টি ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রকে ভিত্তি করে, যদি প্রতিটিতে ১ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার তৈরি করা যায়, তাহলে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করা সম্ভব।
ভূমিকম্প-আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ ধরনের আতঙ্ক থেকে রক্ষা পেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারে এবং মহড়া আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে?
জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি মাসে না হলেও প্রতি দুই মাস পর একটি মহড়া হয়। আগুনের বেল বাজিয়ে দেয়, অথবা ভূমিকম্পের বেল বাজানো হয়। শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কোথায় দাঁড়াতে হবে, কীভাবে বের হতে হবে, তা চিহ্নিত করা থাকে। অর্থাৎ হঠাৎ করে ভূমিকম্প হলে সাইকোলজিক্যাল ট্রমা হয়। এ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মহড়া করতে হবে। সবার মাথায় ঢুকিয়ে ফেলা যে ভূমিকম্প আসতে পারে, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখতে হবে। এর বিকল্প নেই।
দেশে ভূমিকম্পে শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত

এখনই কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক আমাদের রাজধানী ঢাকায় সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। ঢাকা শহরের পুরোনো দালান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ও অসংখ্য বহুতল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। ভূতত্ত্ববিদেরা জানাচ্ছেন, ৮ মাত্রার ভূমিকম্প শহরের জন্য বিপজ্জনক। রাজউক বলছে, ৬.৯ মাত্রার কম্পনে ৪০ শতাংশ ভবন ধসে প্রায় ২ লাখ মানুষ নিহত হতে পারে। নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৩০০ ভবনকে ‘রেড অ্যালার্ট’ ঘোষণা করেছে। নদীমাতৃক এই দেশে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা পরিণত হতে পারে বিপর্যয়ের কেন্দ্রে। নিরাপদ ভবন এবং প্রস্তুতির জন্য এখনই সবার কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।

অজানা এক ভয়ের মুখোমুখি
মুজাহিদ আল রিফাত
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ ভূ-কম্পন মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। শহর ঘনবসতি, নরম মাটি, পুরোনো ও নকশাবহির্ভূত ভবন বড় বিপদের ইঙ্গিত দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করা হয় না এবং উদ্ধারকারী সংস্থার সক্ষমতা বড় দুর্যোগের তুলনায় সীমিত। মানুষও মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়; জরুরি ব্যাগ, নিরাপদ স্থান বা মহড়া নেই। আইন থাকলেও প্রয়োগ দুর্বল। বড় কোনো কম্পনে দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হবে কি না সন্দেহজনক। তাই ঢাকা এখন অজানা এক ভয়ের মুখোমুখি, যেখানে পরবর্তী কম্পন শুধু নাড়াবে না, বরং অপ্রস্তুতির কঠিন বাস্তবতাও প্রকাশ করবে।

শহরে খোলা জায়গার অভাব
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও দুর্বল ভবন নির্মাণ ঢাকার ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। খোলা মাঠ ও নিরাপদ স্থান কমে যাওয়ায় জরুরি আশ্রয় নেওয়া কঠিন হচ্ছে। অধিকাংশ ভবন ভূমিকম্প সহনশীল নয় এবং সাধারণ মানুষও করণীয় জানে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধারকারী দলের সক্ষমতা বাড়ানো, খোলা স্থান সংরক্ষণ ও বিল্ডিং কোড কার্যকর করা জরুরি। অবৈধ উচ্ছেদ ও সঠিক নগরায়ণ ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে শক্তিশালী ভূমিকম্প দেশের জন্য অপ্রতিরোধ্য মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। সম্মিলিত প্রস্তুতিই একমাত্র নিরাপত্তার পথ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে পরপর কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ধারাবাহিক ভূমিকম্পগুলোকে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
বাংলাদেশের আশপাশে ভূমিকম্পের প্রায় ছয়টি উৎপত্তিস্থল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি মিয়ানমার থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত। তবে আরেকটি নোয়াখালী থেকে সিলেট পর্যন্ত; এটি হলো প্লেট বাউন্ডারি ২। সম্প্রতি হওয়া ভূমিকম্পগুলো এই প্লেট বাউন্ডারিতে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখানে অনেক শক্তি জমা হয়ে থাকায় ভবিষ্যতে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এ ছাড়া তৃতীয় এলাকা হলো প্লেট বাউন্ডারি ৩, যেটি সিলেট থেকে ভারতের দিকে চলে গেছে। এখানে এ পর্যন্ত দুটি ভূমিকম্প হয়েছে ৭ ও ৭.৫ মাত্রার। একটি ১৯১৮ সালে, শ্রীমঙ্গলে; আরেকটি ১৮৬৯ সালে, কাছাড় ভূমিকম্প। চতুর্থ উৎস হলো ডাউকি ফল্ট, যেখানে ১৮৯৭ সালে ৮.১ মাত্রার গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক হয়েছে। এতে ঢাকার আহসান মঞ্জিল ও সোনামসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া মধুপুর ফল্ট, যমুনা সেতুর কাছে বগুড়া ও শেরপুরে ১৮৮৫ সালে ৭.১ মাত্রার বেঙ্গল আর্থকোয়েক হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায়, সামনে আরও ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর মানে কি বড় কোনো ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছেন?
হ্যাঁ। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির ইতিহাস অনুযায়ী ৭ মাত্রার ভূমিকম্প পাঁচ-ছয়বার ঘটেছে, ৮ মাত্রার দুবার। তাই ঝুঁকি সব সময় আছে। ভূমিকম্প এখন না এলেও ভবিষ্যতে আসবে এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
ঢাকার ভবনগুলোর গুণগত মান দুর্বল হওয়ার কারন কী?
নকশা ভালো হলেও মাঠপর্যায়ে নির্মাণে অনেক সময় তা ঠিকভাবে মেনে চলা হয় না। সারা বিশ্বে সাধারণত যে ব্যক্তি নকশা করেন, তিনি নিজেই কনস্ট্রাকশনের সময় তা সুপারভাইজ করেন। কিন্তু আমাদের দেশে নকশা যিনি তৈরি করেন, তিনি প্রায়ই সুপারভিশনে অংশ নেন না। সে কারণে সুপারভিশনের অভাবে ভবনের গুণগত মান সন্তোষজনক থাকে না।
কোন ভবনে কী ধরনের দুর্বলতা দেখা দেয়? সমাধানের উপায় কী?
আমাদের ভবন মূলত দুই ধরনের। একটি ইটের ভবন, আরেকটি বিম-কলাম পদ্ধতির ভবন। ইটের দেয়াল পুরো ভবনের ভার বহন করে। অর্থাৎ, দেয়ালে কোনো ক্ষতি হলে পুরো ভবন অচল হয়ে পড়তে পারে। তাই ইটের দেয়ালে ক্র্যাক দেখামাত্র মজবুত করতে হবে। বিম-কলাম পদ্ধতির ভবনে লোড প্রথমে স্ল্যাবে আসে, তারপর বিমে এবং শেষে কলামে পৌঁছায়। কলাম যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে পুরো ভবন ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। তাই কলামকে কোনোভাবেই ক্র্যাক হতে দেওয়া যাবে না। যদি ক্র্যাক দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই সেটি দ্রুত মজবুত করতে হবে।
ভূমিকম্প হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদভাবে সরিয়ে নিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
ভূমিকম্প হলে ভয় পেয়ে হঠাৎ বের হওয়া যাবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত দিয়ে নিরাপদ অবস্থান নিতে হবে। পরবর্তী সময়ে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে বের হয়ে ফাঁকা জায়গায় নিরাপদে অবস্থান করতে হবে।
ভূমিকম্পের পরে কীভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে? আমাদের দেশে ভূমিকম্প-সহনীয় ভবন নির্মাণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোন প্রযুক্তি বা কৌশল ব্যবহার জরুরি?
তুরস্কে ভূমিকম্পে ভবন ধসে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। পরে উদ্ধারকাজে যে খরচ হয়েছিল, তার গড় হিসাব করে দেখা যায়, একজনকে উদ্ধারে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশে যদি একটি পাঁচ কাঠার প্লটে ১০টি ফ্ল্যাট থাকে এবং সেখানে ৫০ জন মানুষ থাকে, ভূমিকম্প-সহনীয় করার খরচ মাত্র ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ তিনজন মানুষকে উদ্ধার করার খরচের পরিবর্তে একই অর্থে পুরো ভবনকে মজবুত করা সম্ভব। আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্পে ১০ বছর ধরে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, সেটি ব্যবহার করলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ভূমিকম্পে উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত ও কার্যকর করতে ফায়ার সার্ভিস কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে পারে? সরঞ্জাম, মহড়া এবং ভলান্টিয়ার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কী উদ্যোগ নেওয়া দরকার?
আমাদের ফায়ার সার্ভিস যথেষ্ট সক্ষম; তাদের প্রশিক্ষণ আছে এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও যথেষ্ট। তবে জরুরি বিষয় হলো ভুমিকম্প-সহনীয় ভবন তৈরি করা, নিয়মিত মহড়ার আয়োজন করা, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সহযোগী একটি ফোর্স গঠন এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার তৈরি করা। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় দেখা গেছে, ছোটখাটো সরঞ্জাম নিয়ে ভলান্টিয়াররাই উদ্ধারকাজে বেশি সহায়তা করেছিল।
সুতরাং, আমাদের মূল মনোযোগ দেওয়া উচিত ভলান্টিয়ার তৈরির দিকে। ফায়ার সার্ভিসে আরও বেশি লোকবল প্রয়োজন। ঢাকায় প্রায় ১৮টি ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রকে ভিত্তি করে, যদি প্রতিটিতে ১ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার তৈরি করা যায়, তাহলে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করা সম্ভব।
ভূমিকম্প-আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ ধরনের আতঙ্ক থেকে রক্ষা পেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারে এবং মহড়া আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে?
জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি মাসে না হলেও প্রতি দুই মাস পর একটি মহড়া হয়। আগুনের বেল বাজিয়ে দেয়, অথবা ভূমিকম্পের বেল বাজানো হয়। শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কোথায় দাঁড়াতে হবে, কীভাবে বের হতে হবে, তা চিহ্নিত করা থাকে। অর্থাৎ হঠাৎ করে ভূমিকম্প হলে সাইকোলজিক্যাল ট্রমা হয়। এ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মহড়া করতে হবে। সবার মাথায় ঢুকিয়ে ফেলা যে ভূমিকম্প আসতে পারে, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখতে হবে। এর বিকল্প নেই।
দেশে ভূমিকম্পে শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত

এখনই কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক আমাদের রাজধানী ঢাকায় সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। ঢাকা শহরের পুরোনো দালান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ও অসংখ্য বহুতল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। ভূতত্ত্ববিদেরা জানাচ্ছেন, ৮ মাত্রার ভূমিকম্প শহরের জন্য বিপজ্জনক। রাজউক বলছে, ৬.৯ মাত্রার কম্পনে ৪০ শতাংশ ভবন ধসে প্রায় ২ লাখ মানুষ নিহত হতে পারে। নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৩০০ ভবনকে ‘রেড অ্যালার্ট’ ঘোষণা করেছে। নদীমাতৃক এই দেশে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা পরিণত হতে পারে বিপর্যয়ের কেন্দ্রে। নিরাপদ ভবন এবং প্রস্তুতির জন্য এখনই সবার কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।

অজানা এক ভয়ের মুখোমুখি
মুজাহিদ আল রিফাত
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ ভূ-কম্পন মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। শহর ঘনবসতি, নরম মাটি, পুরোনো ও নকশাবহির্ভূত ভবন বড় বিপদের ইঙ্গিত দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করা হয় না এবং উদ্ধারকারী সংস্থার সক্ষমতা বড় দুর্যোগের তুলনায় সীমিত। মানুষও মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়; জরুরি ব্যাগ, নিরাপদ স্থান বা মহড়া নেই। আইন থাকলেও প্রয়োগ দুর্বল। বড় কোনো কম্পনে দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হবে কি না সন্দেহজনক। তাই ঢাকা এখন অজানা এক ভয়ের মুখোমুখি, যেখানে পরবর্তী কম্পন শুধু নাড়াবে না, বরং অপ্রস্তুতির কঠিন বাস্তবতাও প্রকাশ করবে।

শহরে খোলা জায়গার অভাব
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও দুর্বল ভবন নির্মাণ ঢাকার ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। খোলা মাঠ ও নিরাপদ স্থান কমে যাওয়ায় জরুরি আশ্রয় নেওয়া কঠিন হচ্ছে। অধিকাংশ ভবন ভূমিকম্প সহনশীল নয় এবং সাধারণ মানুষও করণীয় জানে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধারকারী দলের সক্ষমতা বাড়ানো, খোলা স্থান সংরক্ষণ ও বিল্ডিং কোড কার্যকর করা জরুরি। অবৈধ উচ্ছেদ ও সঠিক নগরায়ণ ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে শক্তিশালী ভূমিকম্প দেশের জন্য অপ্রতিরোধ্য মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। সম্মিলিত প্রস্তুতিই একমাত্র নিরাপত্তার পথ।

সাম্প্রতিক সময়ে পরপর অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। এই হঠাৎ কম্পন-মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। ভূমিকম্পের প্রস্তুতি গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক খান।
আব্দুর রাজ্জাক খান

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে পরপর কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ধারাবাহিক ভূমিকম্পগুলোকে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
বাংলাদেশের আশপাশে ভূমিকম্পের প্রায় ছয়টি উৎপত্তিস্থল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি মিয়ানমার থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত। তবে আরেকটি নোয়াখালী থেকে সিলেট পর্যন্ত; এটি হলো প্লেট বাউন্ডারি ২। সম্প্রতি হওয়া ভূমিকম্পগুলো এই প্লেট বাউন্ডারিতে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখানে অনেক শক্তি জমা হয়ে থাকায় ভবিষ্যতে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এ ছাড়া তৃতীয় এলাকা হলো প্লেট বাউন্ডারি ৩, যেটি সিলেট থেকে ভারতের দিকে চলে গেছে। এখানে এ পর্যন্ত দুটি ভূমিকম্প হয়েছে ৭ ও ৭.৫ মাত্রার। একটি ১৯১৮ সালে, শ্রীমঙ্গলে; আরেকটি ১৮৬৯ সালে, কাছাড় ভূমিকম্প। চতুর্থ উৎস হলো ডাউকি ফল্ট, যেখানে ১৮৯৭ সালে ৮.১ মাত্রার গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক হয়েছে। এতে ঢাকার আহসান মঞ্জিল ও সোনামসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া মধুপুর ফল্ট, যমুনা সেতুর কাছে বগুড়া ও শেরপুরে ১৮৮৫ সালে ৭.১ মাত্রার বেঙ্গল আর্থকোয়েক হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায়, সামনে আরও ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর মানে কি বড় কোনো ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছেন?
হ্যাঁ। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির ইতিহাস অনুযায়ী ৭ মাত্রার ভূমিকম্প পাঁচ-ছয়বার ঘটেছে, ৮ মাত্রার দুবার। তাই ঝুঁকি সব সময় আছে। ভূমিকম্প এখন না এলেও ভবিষ্যতে আসবে এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
ঢাকার ভবনগুলোর গুণগত মান দুর্বল হওয়ার কারন কী?
নকশা ভালো হলেও মাঠপর্যায়ে নির্মাণে অনেক সময় তা ঠিকভাবে মেনে চলা হয় না। সারা বিশ্বে সাধারণত যে ব্যক্তি নকশা করেন, তিনি নিজেই কনস্ট্রাকশনের সময় তা সুপারভাইজ করেন। কিন্তু আমাদের দেশে নকশা যিনি তৈরি করেন, তিনি প্রায়ই সুপারভিশনে অংশ নেন না। সে কারণে সুপারভিশনের অভাবে ভবনের গুণগত মান সন্তোষজনক থাকে না।
কোন ভবনে কী ধরনের দুর্বলতা দেখা দেয়? সমাধানের উপায় কী?
আমাদের ভবন মূলত দুই ধরনের। একটি ইটের ভবন, আরেকটি বিম-কলাম পদ্ধতির ভবন। ইটের দেয়াল পুরো ভবনের ভার বহন করে। অর্থাৎ, দেয়ালে কোনো ক্ষতি হলে পুরো ভবন অচল হয়ে পড়তে পারে। তাই ইটের দেয়ালে ক্র্যাক দেখামাত্র মজবুত করতে হবে। বিম-কলাম পদ্ধতির ভবনে লোড প্রথমে স্ল্যাবে আসে, তারপর বিমে এবং শেষে কলামে পৌঁছায়। কলাম যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে পুরো ভবন ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। তাই কলামকে কোনোভাবেই ক্র্যাক হতে দেওয়া যাবে না। যদি ক্র্যাক দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই সেটি দ্রুত মজবুত করতে হবে।
ভূমিকম্প হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদভাবে সরিয়ে নিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
ভূমিকম্প হলে ভয় পেয়ে হঠাৎ বের হওয়া যাবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত দিয়ে নিরাপদ অবস্থান নিতে হবে। পরবর্তী সময়ে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে বের হয়ে ফাঁকা জায়গায় নিরাপদে অবস্থান করতে হবে।
ভূমিকম্পের পরে কীভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে? আমাদের দেশে ভূমিকম্প-সহনীয় ভবন নির্মাণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোন প্রযুক্তি বা কৌশল ব্যবহার জরুরি?
তুরস্কে ভূমিকম্পে ভবন ধসে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। পরে উদ্ধারকাজে যে খরচ হয়েছিল, তার গড় হিসাব করে দেখা যায়, একজনকে উদ্ধারে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশে যদি একটি পাঁচ কাঠার প্লটে ১০টি ফ্ল্যাট থাকে এবং সেখানে ৫০ জন মানুষ থাকে, ভূমিকম্প-সহনীয় করার খরচ মাত্র ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ তিনজন মানুষকে উদ্ধার করার খরচের পরিবর্তে একই অর্থে পুরো ভবনকে মজবুত করা সম্ভব। আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্পে ১০ বছর ধরে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, সেটি ব্যবহার করলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ভূমিকম্পে উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত ও কার্যকর করতে ফায়ার সার্ভিস কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে পারে? সরঞ্জাম, মহড়া এবং ভলান্টিয়ার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কী উদ্যোগ নেওয়া দরকার?
আমাদের ফায়ার সার্ভিস যথেষ্ট সক্ষম; তাদের প্রশিক্ষণ আছে এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও যথেষ্ট। তবে জরুরি বিষয় হলো ভুমিকম্প-সহনীয় ভবন তৈরি করা, নিয়মিত মহড়ার আয়োজন করা, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সহযোগী একটি ফোর্স গঠন এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার তৈরি করা। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় দেখা গেছে, ছোটখাটো সরঞ্জাম নিয়ে ভলান্টিয়াররাই উদ্ধারকাজে বেশি সহায়তা করেছিল।
সুতরাং, আমাদের মূল মনোযোগ দেওয়া উচিত ভলান্টিয়ার তৈরির দিকে। ফায়ার সার্ভিসে আরও বেশি লোকবল প্রয়োজন। ঢাকায় প্রায় ১৮টি ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রকে ভিত্তি করে, যদি প্রতিটিতে ১ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার তৈরি করা যায়, তাহলে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করা সম্ভব।
ভূমিকম্প-আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ ধরনের আতঙ্ক থেকে রক্ষা পেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারে এবং মহড়া আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে?
জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি মাসে না হলেও প্রতি দুই মাস পর একটি মহড়া হয়। আগুনের বেল বাজিয়ে দেয়, অথবা ভূমিকম্পের বেল বাজানো হয়। শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কোথায় দাঁড়াতে হবে, কীভাবে বের হতে হবে, তা চিহ্নিত করা থাকে। অর্থাৎ হঠাৎ করে ভূমিকম্প হলে সাইকোলজিক্যাল ট্রমা হয়। এ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মহড়া করতে হবে। সবার মাথায় ঢুকিয়ে ফেলা যে ভূমিকম্প আসতে পারে, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখতে হবে। এর বিকল্প নেই।
দেশে ভূমিকম্পে শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত

এখনই কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক আমাদের রাজধানী ঢাকায় সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। ঢাকা শহরের পুরোনো দালান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ও অসংখ্য বহুতল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। ভূতত্ত্ববিদেরা জানাচ্ছেন, ৮ মাত্রার ভূমিকম্প শহরের জন্য বিপজ্জনক। রাজউক বলছে, ৬.৯ মাত্রার কম্পনে ৪০ শতাংশ ভবন ধসে প্রায় ২ লাখ মানুষ নিহত হতে পারে। নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৩০০ ভবনকে ‘রেড অ্যালার্ট’ ঘোষণা করেছে। নদীমাতৃক এই দেশে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা পরিণত হতে পারে বিপর্যয়ের কেন্দ্রে। নিরাপদ ভবন এবং প্রস্তুতির জন্য এখনই সবার কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।

অজানা এক ভয়ের মুখোমুখি
মুজাহিদ আল রিফাত
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ ভূ-কম্পন মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। শহর ঘনবসতি, নরম মাটি, পুরোনো ও নকশাবহির্ভূত ভবন বড় বিপদের ইঙ্গিত দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করা হয় না এবং উদ্ধারকারী সংস্থার সক্ষমতা বড় দুর্যোগের তুলনায় সীমিত। মানুষও মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়; জরুরি ব্যাগ, নিরাপদ স্থান বা মহড়া নেই। আইন থাকলেও প্রয়োগ দুর্বল। বড় কোনো কম্পনে দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হবে কি না সন্দেহজনক। তাই ঢাকা এখন অজানা এক ভয়ের মুখোমুখি, যেখানে পরবর্তী কম্পন শুধু নাড়াবে না, বরং অপ্রস্তুতির কঠিন বাস্তবতাও প্রকাশ করবে।

শহরে খোলা জায়গার অভাব
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও দুর্বল ভবন নির্মাণ ঢাকার ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। খোলা মাঠ ও নিরাপদ স্থান কমে যাওয়ায় জরুরি আশ্রয় নেওয়া কঠিন হচ্ছে। অধিকাংশ ভবন ভূমিকম্প সহনশীল নয় এবং সাধারণ মানুষও করণীয় জানে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধারকারী দলের সক্ষমতা বাড়ানো, খোলা স্থান সংরক্ষণ ও বিল্ডিং কোড কার্যকর করা জরুরি। অবৈধ উচ্ছেদ ও সঠিক নগরায়ণ ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে শক্তিশালী ভূমিকম্প দেশের জন্য অপ্রতিরোধ্য মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। সম্মিলিত প্রস্তুতিই একমাত্র নিরাপত্তার পথ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে পরপর কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ধারাবাহিক ভূমিকম্পগুলোকে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
বাংলাদেশের আশপাশে ভূমিকম্পের প্রায় ছয়টি উৎপত্তিস্থল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি মিয়ানমার থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত। তবে আরেকটি নোয়াখালী থেকে সিলেট পর্যন্ত; এটি হলো প্লেট বাউন্ডারি ২। সম্প্রতি হওয়া ভূমিকম্পগুলো এই প্লেট বাউন্ডারিতে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখানে অনেক শক্তি জমা হয়ে থাকায় ভবিষ্যতে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এ ছাড়া তৃতীয় এলাকা হলো প্লেট বাউন্ডারি ৩, যেটি সিলেট থেকে ভারতের দিকে চলে গেছে। এখানে এ পর্যন্ত দুটি ভূমিকম্প হয়েছে ৭ ও ৭.৫ মাত্রার। একটি ১৯১৮ সালে, শ্রীমঙ্গলে; আরেকটি ১৮৬৯ সালে, কাছাড় ভূমিকম্প। চতুর্থ উৎস হলো ডাউকি ফল্ট, যেখানে ১৮৯৭ সালে ৮.১ মাত্রার গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক হয়েছে। এতে ঢাকার আহসান মঞ্জিল ও সোনামসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া মধুপুর ফল্ট, যমুনা সেতুর কাছে বগুড়া ও শেরপুরে ১৮৮৫ সালে ৭.১ মাত্রার বেঙ্গল আর্থকোয়েক হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায়, সামনে আরও ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর মানে কি বড় কোনো ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছেন?
হ্যাঁ। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির ইতিহাস অনুযায়ী ৭ মাত্রার ভূমিকম্প পাঁচ-ছয়বার ঘটেছে, ৮ মাত্রার দুবার। তাই ঝুঁকি সব সময় আছে। ভূমিকম্প এখন না এলেও ভবিষ্যতে আসবে এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
ঢাকার ভবনগুলোর গুণগত মান দুর্বল হওয়ার কারন কী?
নকশা ভালো হলেও মাঠপর্যায়ে নির্মাণে অনেক সময় তা ঠিকভাবে মেনে চলা হয় না। সারা বিশ্বে সাধারণত যে ব্যক্তি নকশা করেন, তিনি নিজেই কনস্ট্রাকশনের সময় তা সুপারভাইজ করেন। কিন্তু আমাদের দেশে নকশা যিনি তৈরি করেন, তিনি প্রায়ই সুপারভিশনে অংশ নেন না। সে কারণে সুপারভিশনের অভাবে ভবনের গুণগত মান সন্তোষজনক থাকে না।
কোন ভবনে কী ধরনের দুর্বলতা দেখা দেয়? সমাধানের উপায় কী?
আমাদের ভবন মূলত দুই ধরনের। একটি ইটের ভবন, আরেকটি বিম-কলাম পদ্ধতির ভবন। ইটের দেয়াল পুরো ভবনের ভার বহন করে। অর্থাৎ, দেয়ালে কোনো ক্ষতি হলে পুরো ভবন অচল হয়ে পড়তে পারে। তাই ইটের দেয়ালে ক্র্যাক দেখামাত্র মজবুত করতে হবে। বিম-কলাম পদ্ধতির ভবনে লোড প্রথমে স্ল্যাবে আসে, তারপর বিমে এবং শেষে কলামে পৌঁছায়। কলাম যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে পুরো ভবন ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। তাই কলামকে কোনোভাবেই ক্র্যাক হতে দেওয়া যাবে না। যদি ক্র্যাক দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই সেটি দ্রুত মজবুত করতে হবে।
ভূমিকম্প হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদভাবে সরিয়ে নিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
ভূমিকম্প হলে ভয় পেয়ে হঠাৎ বের হওয়া যাবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত দিয়ে নিরাপদ অবস্থান নিতে হবে। পরবর্তী সময়ে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে বের হয়ে ফাঁকা জায়গায় নিরাপদে অবস্থান করতে হবে।
ভূমিকম্পের পরে কীভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে? আমাদের দেশে ভূমিকম্প-সহনীয় ভবন নির্মাণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোন প্রযুক্তি বা কৌশল ব্যবহার জরুরি?
তুরস্কে ভূমিকম্পে ভবন ধসে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। পরে উদ্ধারকাজে যে খরচ হয়েছিল, তার গড় হিসাব করে দেখা যায়, একজনকে উদ্ধারে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশে যদি একটি পাঁচ কাঠার প্লটে ১০টি ফ্ল্যাট থাকে এবং সেখানে ৫০ জন মানুষ থাকে, ভূমিকম্প-সহনীয় করার খরচ মাত্র ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ তিনজন মানুষকে উদ্ধার করার খরচের পরিবর্তে একই অর্থে পুরো ভবনকে মজবুত করা সম্ভব। আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্পে ১০ বছর ধরে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, সেটি ব্যবহার করলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ভূমিকম্পে উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত ও কার্যকর করতে ফায়ার সার্ভিস কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে পারে? সরঞ্জাম, মহড়া এবং ভলান্টিয়ার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কী উদ্যোগ নেওয়া দরকার?
আমাদের ফায়ার সার্ভিস যথেষ্ট সক্ষম; তাদের প্রশিক্ষণ আছে এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও যথেষ্ট। তবে জরুরি বিষয় হলো ভুমিকম্প-সহনীয় ভবন তৈরি করা, নিয়মিত মহড়ার আয়োজন করা, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সহযোগী একটি ফোর্স গঠন এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার তৈরি করা। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় দেখা গেছে, ছোটখাটো সরঞ্জাম নিয়ে ভলান্টিয়াররাই উদ্ধারকাজে বেশি সহায়তা করেছিল।
সুতরাং, আমাদের মূল মনোযোগ দেওয়া উচিত ভলান্টিয়ার তৈরির দিকে। ফায়ার সার্ভিসে আরও বেশি লোকবল প্রয়োজন। ঢাকায় প্রায় ১৮টি ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রকে ভিত্তি করে, যদি প্রতিটিতে ১ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভলান্টিয়ার তৈরি করা যায়, তাহলে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করা সম্ভব।
ভূমিকম্প-আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ ধরনের আতঙ্ক থেকে রক্ষা পেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারে এবং মহড়া আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে?
জাপান, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি মাসে না হলেও প্রতি দুই মাস পর একটি মহড়া হয়। আগুনের বেল বাজিয়ে দেয়, অথবা ভূমিকম্পের বেল বাজানো হয়। শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কোথায় দাঁড়াতে হবে, কীভাবে বের হতে হবে, তা চিহ্নিত করা থাকে। অর্থাৎ হঠাৎ করে ভূমিকম্প হলে সাইকোলজিক্যাল ট্রমা হয়। এ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মহড়া করতে হবে। সবার মাথায় ঢুকিয়ে ফেলা যে ভূমিকম্প আসতে পারে, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখতে হবে। এর বিকল্প নেই।
দেশে ভূমিকম্পে শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত

এখনই কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন
সামিহা সিরাজী লাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক আমাদের রাজধানী ঢাকায় সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। ঢাকা শহরের পুরোনো দালান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ও অসংখ্য বহুতল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। ভূতত্ত্ববিদেরা জানাচ্ছেন, ৮ মাত্রার ভূমিকম্প শহরের জন্য বিপজ্জনক। রাজউক বলছে, ৬.৯ মাত্রার কম্পনে ৪০ শতাংশ ভবন ধসে প্রায় ২ লাখ মানুষ নিহত হতে পারে। নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৩০০ ভবনকে ‘রেড অ্যালার্ট’ ঘোষণা করেছে। নদীমাতৃক এই দেশে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা পরিণত হতে পারে বিপর্যয়ের কেন্দ্রে। নিরাপদ ভবন এবং প্রস্তুতির জন্য এখনই সবার কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।

অজানা এক ভয়ের মুখোমুখি
মুজাহিদ আল রিফাত
শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ ভূ-কম্পন মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। শহর ঘনবসতি, নরম মাটি, পুরোনো ও নকশাবহির্ভূত ভবন বড় বিপদের ইঙ্গিত দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করা হয় না এবং উদ্ধারকারী সংস্থার সক্ষমতা বড় দুর্যোগের তুলনায় সীমিত। মানুষও মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়; জরুরি ব্যাগ, নিরাপদ স্থান বা মহড়া নেই। আইন থাকলেও প্রয়োগ দুর্বল। বড় কোনো কম্পনে দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হবে কি না সন্দেহজনক। তাই ঢাকা এখন অজানা এক ভয়ের মুখোমুখি, যেখানে পরবর্তী কম্পন শুধু নাড়াবে না, বরং অপ্রস্তুতির কঠিন বাস্তবতাও প্রকাশ করবে।

শহরে খোলা জায়গার অভাব
সাজিয়া রহমান ঈশি
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও দুর্বল ভবন নির্মাণ ঢাকার ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। খোলা মাঠ ও নিরাপদ স্থান কমে যাওয়ায় জরুরি আশ্রয় নেওয়া কঠিন হচ্ছে। অধিকাংশ ভবন ভূমিকম্প সহনশীল নয় এবং সাধারণ মানুষও করণীয় জানে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধারকারী দলের সক্ষমতা বাড়ানো, খোলা স্থান সংরক্ষণ ও বিল্ডিং কোড কার্যকর করা জরুরি। অবৈধ উচ্ছেদ ও সঠিক নগরায়ণ ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে শক্তিশালী ভূমিকম্প দেশের জন্য অপ্রতিরোধ্য মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। সম্মিলিত প্রস্তুতিই একমাত্র নিরাপত্তার পথ।

সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি...
২ ঘণ্টা আগে
দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
৩ ঘণ্টা আগে
জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব সিফাত উদ্দিন।
অফিস আদেশে বলা হয়, সোমবার দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষা–২০২৫ গ্রহণ–সংক্রান্ত এবং পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতির তথ্য বেলা ১২টার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া তথ্য চাওয়ার বিষয়টিকে জরুরি বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের একাংশ আজ থেকে চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন বিদ্যালয় গত বৃহস্পতিবারই নোটিশ দিয়ে আজকের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানিয়েছে।

সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব সিফাত উদ্দিন।
অফিস আদেশে বলা হয়, সোমবার দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষা–২০২৫ গ্রহণ–সংক্রান্ত এবং পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতির তথ্য বেলা ১২টার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া তথ্য চাওয়ার বিষয়টিকে জরুরি বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের একাংশ আজ থেকে চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন বিদ্যালয় গত বৃহস্পতিবারই নোটিশ দিয়ে আজকের পরীক্ষা স্থগিত করার কথা জানিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পরপর অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। এই হঠাৎ কম্পন-মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
৩ ঘণ্টা আগে
জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আজ সোমবার অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে জারি করা অফিস আদেশ জারি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেন অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
অফিস আদেশে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা ২০ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর, এবং নির্বাচনী পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে মাউশির পূর্ববর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।
এতে পরীক্ষাগুলো যথাসময়ে ও নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং সব বিদ্যালয়ের প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়, পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক বা কর্মকর্তার যেকোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিটি সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ দফা দাবিতে আজ থেকে সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে একযোগে কর্মবিরতি ও বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা। এর বিপরীতে এবার সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হলো।

দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আজ সোমবার অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে জারি করা অফিস আদেশ জারি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেন অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
অফিস আদেশে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা ২০ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর, এবং নির্বাচনী পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে মাউশির পূর্ববর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।
এতে পরীক্ষাগুলো যথাসময়ে ও নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং সব বিদ্যালয়ের প্রধানদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়, পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক বা কর্মকর্তার যেকোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিটি সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ দফা দাবিতে আজ থেকে সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে একযোগে কর্মবিরতি ও বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা। এর বিপরীতে এবার সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হলো।

সাম্প্রতিক সময়ে পরপর অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। এই হঠাৎ কম্পন-মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি...
২ ঘণ্টা আগে
জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। যেসব শিক্ষার্থী জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী, তাঁদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা একাডেমিক উৎকর্ষ, উন্নত গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। কিয়োটো, ওসাকা ও শিগা—এই তিনটি অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অবস্থিত। রিটসুমেইকান তার সমৃদ্ধ গবেষণা অবকাঠামো, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও বৈচিত্র্যময় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমিউনিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে তুলেছে একটি গ্লোবাল লার্নিং এনভায়রনমেন্ট।
সুযোগ-সুবিধা
রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তি নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের রয়েছে সম্পূর্ণ ফান্ডেড উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ১ লাখ ৪৩ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার জাপানিজ ইয়েন। শুধু তা-ই নয়, প্রোগ্রামের শুরুতে ও শেষে জাপানে আসা-যাওয়ার জন্য ইকোনমি ক্লাস বিমানভাড়াও বহন করা হবে।
এমইএক্সটি বৃত্তির পরিচিতি
জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সংক্ষেপে এমইএক্সটি বলা হয়। এই এমইএক্সটি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। এই বৃত্তির আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
আবেদনের যোগ্যতা
এমইএক্সটি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, প্রার্থীর জাপানের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। প্রার্থীর দেশের সঙ্গে জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে। প্রার্থীর জন্মসাল ১৯৯১ সালের ২ এপ্রিলের পর হতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে জাপানে পৌঁছাতে সক্ষম হতে হবে। বিগত শিক্ষাজীবনে সিজিপিএ-৩ স্কেলে অন্তত ২.৩০ থাকতে হবে।
ভাষাগত যোগ্যতা
বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। প্রার্থীদের টোয়েফল আইবিটি স্কোর ৭২ বা তার বেশি হতে হবে। অথবা আইইএলটিএসে স্কোর ৫.৫ বা তার বেশি হতে হবে। তবে যেসব শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী ডিগ্রির পাঠদান পদ্ধতি ইংরেজি মাধ্যমের ছিল, তাঁরা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ইংরেজি দক্ষতা সনদ জমা দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আলাদা ভাষা পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫।

জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। যেসব শিক্ষার্থী জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী, তাঁদের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা একাডেমিক উৎকর্ষ, উন্নত গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। কিয়োটো, ওসাকা ও শিগা—এই তিনটি অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অবস্থিত। রিটসুমেইকান তার সমৃদ্ধ গবেষণা অবকাঠামো, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও বৈচিত্র্যময় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমিউনিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে তুলেছে একটি গ্লোবাল লার্নিং এনভায়রনমেন্ট।
সুযোগ-সুবিধা
রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তি নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের রয়েছে সম্পূর্ণ ফান্ডেড উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। এই বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি মাসে থাকছে ১ লাখ ৪৩ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার জাপানিজ ইয়েন। শুধু তা-ই নয়, প্রোগ্রামের শুরুতে ও শেষে জাপানে আসা-যাওয়ার জন্য ইকোনমি ক্লাস বিমানভাড়াও বহন করা হবে।
এমইএক্সটি বৃত্তির পরিচিতি
জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সংক্ষেপে এমইএক্সটি বলা হয়। এই এমইএক্সটি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। এই বৃত্তির আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
আবেদনের যোগ্যতা
এমইএক্সটি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, প্রার্থীর জাপানের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। প্রার্থীর দেশের সঙ্গে জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে। প্রার্থীর জন্মসাল ১৯৯১ সালের ২ এপ্রিলের পর হতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে জাপানে পৌঁছাতে সক্ষম হতে হবে। বিগত শিক্ষাজীবনে সিজিপিএ-৩ স্কেলে অন্তত ২.৩০ থাকতে হবে।
ভাষাগত যোগ্যতা
বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। প্রার্থীদের টোয়েফল আইবিটি স্কোর ৭২ বা তার বেশি হতে হবে। অথবা আইইএলটিএসে স্কোর ৫.৫ বা তার বেশি হতে হবে। তবে যেসব শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী ডিগ্রির পাঠদান পদ্ধতি ইংরেজি মাধ্যমের ছিল, তাঁরা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ইংরেজি দক্ষতা সনদ জমা দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আলাদা ভাষা পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সাম্প্রতিক সময়ে পরপর অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। এই হঠাৎ কম্পন-মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি...
২ ঘণ্টা আগে
দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ভর্তি কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনপ্রক্রিয়া শেষে ১৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টা হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে যে পাঠ্যসূচি ছিল, প্রধানত তার ওপর এবং ফাংশনাল ইংলিশের ওপর ভিত্তি করে ৩ ঘণ্টাব্যাপী সর্বমোট ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মুক্তহস্ত অংকন অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মেধাক্রমের তালিকা, বিভাগ পছন্দ প্রদানের নির্দেশনা, ভর্তির নিয়মাবলি ও ভর্তির তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা [email protected] লিংকে গিয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ভর্তি কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনপ্রক্রিয়া শেষে ১৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টা হতে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে যে পাঠ্যসূচি ছিল, প্রধানত তার ওপর এবং ফাংশনাল ইংলিশের ওপর ভিত্তি করে ৩ ঘণ্টাব্যাপী সর্বমোট ৫০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মুক্তহস্ত অংকন অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মেধাক্রমের তালিকা, বিভাগ পছন্দ প্রদানের নির্দেশনা, ভর্তির নিয়মাবলি ও ভর্তির তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা [email protected] লিংকে গিয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সাম্প্রতিক সময়ে পরপর অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। এই হঠাৎ কম্পন-মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
১ দিন আগে
সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল ও কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি...
২ ঘণ্টা আগে
দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
৩ ঘণ্টা আগে
জাপানের রিটসুমেইকান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএক্সটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৫ ঘণ্টা আগে