ঢাকা কলেজের ২০১০-১১ সেশনের বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তানজীমুল ইসলাম। একসময় সরকারি চাকরি না পেয়ে হতাশ হন। শুরু করেন বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি। সফলতাও পেয়েছেন তানজীম। আইইএলটিএস পরীক্ষায় পেয়েছেন ৭.৫। বর্তমানে তানজীম যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ওয়েবস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাখাওয়াত হোসাইন।
সাখাওয়াত হোসাইন
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য কবে থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছেন?
তানজীম: ২০১৬ সালে ব্যাচেলর সম্পন্ন করার পর সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। কয়েকটিতে ভাইভা পর্যন্ত পৌঁছালেও চাকরি না হওয়ায় মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়ি। তখন সিদ্ধান্ত নিই, ক্যারিয়ার উন্নত করতে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার চেষ্টা করব। এরপর থেকে আইইএলটিএসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি।
প্রশ্ন: নিজেকে প্রস্তুত করেছেন কীভাবে?
তানজীম: দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া ছিল। বিশেষ করে ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধির দরকার ছিল। আমরা জানি, বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আইইএলটিএস বা সমমানের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথমবার ২০২১ সালে আইইএলটিএস দিয়ে ৬ স্কোর করি; কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট ছিলাম না। এরপর কয়েক মাস কঠোর পরিশ্রম করে আবার পরীক্ষা দিয়ে ৭.৫ স্কোর অর্জন করি। এটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনপ্রক্রিয়া কেমন ছিল?
তানজীম: যুক্তরাষ্ট্রে আবেদনপ্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। প্রথমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেঁটে পছন্দের প্রোগ্রামগুলো বাছাই করি। তবে পুরো প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি কনসালট্যান্সির সাহায্য নিই, যারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে। এই কনসালট্যান্সি আমাকে যেসব বিষয়ে সাহায্য করেছে:
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য কী কী প্রয়োজন?
তানজীম: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইইএলটিএস, টোয়েফল বা সমমানের স্কোর; আর্থিক প্রস্তুতি, অর্থাৎ টিউশন ফি ও জীবিকা নির্বাহের খরচের জন্য ফান্ড দেখানো এবং একাডেমিক যোগ্যতা। স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি): পড়াশোনার উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে হয় এবং শিক্ষক বা কাজের সুপারভাইজারের কাছ থেকে লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)।
প্রশ্ন: বিদেশে যোগ্যতা ও দক্ষতা কেমন ছিল?
তানজীম: বিদেশে পড়াশোনা ও কাজের জন্য দক্ষতা ও যোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার উন্নয়ন ও একাডেমিক প্রোফাইল মজবুত করা জরুরি ছিল।
প্রশ্ন: দূতাবাসের সাক্ষাৎকার কীভাবে ফেস করেছেন?
তানজীম: দূতাবাসের সাক্ষাৎকারের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ডিএস-১৬০ ফরমে দেওয়া তথ্য পড়েছিলাম; যেখানে যাব, সেখানকার আবহাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিয়েছিলাম। সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাগত প্রোফাইল, কেন এই প্রোগ্রাম বেছে নিয়েছি এবং পড়াশোনা শেষে দেশে ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলেছি।
প্রশ্ন: ভিসা পাওয়ার পর অনুভূতি কেমন ছিল?
তানজীম: ভিসার প্রক্রিয়া ও আবেদন সফল হওয়ার পর অনুভূতি ছিল অসাধারণ। তবে কিছুটা দুশ্চিন্তা ও উত্তেজনা ছিল। কারণ, নতুন দেশ ও পরিবেশ সবকিছু সামলানোর প্রস্তুতি নিতে হচ্ছিল।
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রে আপনার আবাসনের ব্যবস্থা কেমন?
তানজীম: বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি একটি শেয়ারড অ্যাপার্টমেন্টে থাকার ব্যবস্থা করেছি। নতুন জায়গায় মানিয়ে নেওয়ার জন্য শুরুর দিকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ করায় অনেক সাহায্য পেয়েছি। তারা আমাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
প্রশ্ন: যাঁরা আপনার মতো যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাঁদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
তানজীম: আমি বলব, যদি কেউ দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য আসতে চায়, তাহলে এতটা সংগ্রাম করতে হবে না, যেটা আমরা সরকারি চাকরির জন্য করি। কিছু রিকয়ারমেন্ট ফিলাপ করলে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য আসা যাবে, যেমন ইংরেজি ভাষার দক্ষতা; ডকুমেন্ট সঠিকভাবে প্রস্তুত এসওপি এবং এলওআর; ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি; আর্থিক পরিকল্পনা—টিউশন ফি ও দৈনন্দিন খরচের জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড; স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হোন, তাতে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে।
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য কবে থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছেন?
তানজীম: ২০১৬ সালে ব্যাচেলর সম্পন্ন করার পর সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। কয়েকটিতে ভাইভা পর্যন্ত পৌঁছালেও চাকরি না হওয়ায় মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়ি। তখন সিদ্ধান্ত নিই, ক্যারিয়ার উন্নত করতে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার চেষ্টা করব। এরপর থেকে আইইএলটিএসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি।
প্রশ্ন: নিজেকে প্রস্তুত করেছেন কীভাবে?
তানজীম: দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া ছিল। বিশেষ করে ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধির দরকার ছিল। আমরা জানি, বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আইইএলটিএস বা সমমানের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথমবার ২০২১ সালে আইইএলটিএস দিয়ে ৬ স্কোর করি; কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট ছিলাম না। এরপর কয়েক মাস কঠোর পরিশ্রম করে আবার পরীক্ষা দিয়ে ৭.৫ স্কোর অর্জন করি। এটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনপ্রক্রিয়া কেমন ছিল?
তানজীম: যুক্তরাষ্ট্রে আবেদনপ্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। প্রথমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেঁটে পছন্দের প্রোগ্রামগুলো বাছাই করি। তবে পুরো প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি কনসালট্যান্সির সাহায্য নিই, যারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে। এই কনসালট্যান্সি আমাকে যেসব বিষয়ে সাহায্য করেছে:
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য কী কী প্রয়োজন?
তানজীম: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইইএলটিএস, টোয়েফল বা সমমানের স্কোর; আর্থিক প্রস্তুতি, অর্থাৎ টিউশন ফি ও জীবিকা নির্বাহের খরচের জন্য ফান্ড দেখানো এবং একাডেমিক যোগ্যতা। স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি): পড়াশোনার উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে হয় এবং শিক্ষক বা কাজের সুপারভাইজারের কাছ থেকে লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)।
প্রশ্ন: বিদেশে যোগ্যতা ও দক্ষতা কেমন ছিল?
তানজীম: বিদেশে পড়াশোনা ও কাজের জন্য দক্ষতা ও যোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার উন্নয়ন ও একাডেমিক প্রোফাইল মজবুত করা জরুরি ছিল।
প্রশ্ন: দূতাবাসের সাক্ষাৎকার কীভাবে ফেস করেছেন?
তানজীম: দূতাবাসের সাক্ষাৎকারের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ডিএস-১৬০ ফরমে দেওয়া তথ্য পড়েছিলাম; যেখানে যাব, সেখানকার আবহাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিয়েছিলাম। সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাগত প্রোফাইল, কেন এই প্রোগ্রাম বেছে নিয়েছি এবং পড়াশোনা শেষে দেশে ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলেছি।
প্রশ্ন: ভিসা পাওয়ার পর অনুভূতি কেমন ছিল?
তানজীম: ভিসার প্রক্রিয়া ও আবেদন সফল হওয়ার পর অনুভূতি ছিল অসাধারণ। তবে কিছুটা দুশ্চিন্তা ও উত্তেজনা ছিল। কারণ, নতুন দেশ ও পরিবেশ সবকিছু সামলানোর প্রস্তুতি নিতে হচ্ছিল।
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রে আপনার আবাসনের ব্যবস্থা কেমন?
তানজীম: বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি একটি শেয়ারড অ্যাপার্টমেন্টে থাকার ব্যবস্থা করেছি। নতুন জায়গায় মানিয়ে নেওয়ার জন্য শুরুর দিকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ করায় অনেক সাহায্য পেয়েছি। তারা আমাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
প্রশ্ন: যাঁরা আপনার মতো যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাঁদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
তানজীম: আমি বলব, যদি কেউ দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য আসতে চায়, তাহলে এতটা সংগ্রাম করতে হবে না, যেটা আমরা সরকারি চাকরির জন্য করি। কিছু রিকয়ারমেন্ট ফিলাপ করলে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য আসা যাবে, যেমন ইংরেজি ভাষার দক্ষতা; ডকুমেন্ট সঠিকভাবে প্রস্তুত এসওপি এবং এলওআর; ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি; আর্থিক পরিকল্পনা—টিউশন ফি ও দৈনন্দিন খরচের জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড; স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হোন, তাতে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে।
লেখাপড়ায় ভালো করতে হলে সবচেয়ে জরুরি হলো মনোযোগ ধরে রাখা। কিন্তু নানা কারণে পড়ার সময় অনেকের মন বসে না। নিচে কিছু কার্যকর উপায় দেওয়া হলো, যা অনুসরণ করলে লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়বে।
১৩ ঘণ্টা আগেডেনমার্কে ডেনিশ ডেটা সায়েন্স একাডেমি (ডিডিএসএ) ভিজিট গ্রান্ট স্কলারশিপ-২০২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এক যুগ পূর্ণ হতে চলেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়; বরং বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি কেন্দ্রীয় কাঠামোয় এনে নৈতিকতা, জ্ঞান ও গবেষণার পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়াস।
১৩ ঘণ্টা আগেহাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আয়োজনে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী (১৮ ও ১৯ জুলাই) ‘আইইইই সিএস বিডিসি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে