Ajker Patrika

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য পছন্দের তালিকার শীর্ষে যুক্তরাজ্য। প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী দেশটিতে পড়তে যান। দেশটিতে পড়তে যাওয়া বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ভর্তি হওয়া কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। মোটামুটি একাডেমিক রেজাল্ট ও ভর্তি-নির্ধারিত বিষয়ে ভালো জ্ঞান এবং ইংরেজিতে দক্ষ হলে সহজে অক্সফোর্ডে ভর্তি হওয়া যায়।

যুক্তরাজ্যে রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ২০২৫-এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় দেশটিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।

সুযোগ-সুবিধা: রিচ অক্সফোর্ড আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ২০২৫-এর জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন: ডিগ্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফি মওকুফ করা হবে। প্রতিবছর দেশে ঘুরতে যাওয়ার বিমান টিকিটের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া জীবনযাত্রার সব ধরনের খরচ এ বৃত্তির আওতায় থাকবে।

অধ্যয়নের বিষয়সমূহ: প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব, জৈব রসায়ন, জীববিদ্যা, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, রসায়ন, শাস্ত্রীয় প্রত্নতত্ত্ব ও প্রাচীন ইতিহাস, কম্পিউটার সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ফিলোসফি, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, চারুকলা, ভূগোল, ইতিহাস ও রাজনীতি, আইন (আইনশাস্ত্র), পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, আধুনিক ভাষা এবং ভাষাবিজ্ঞান, সংগীত ইত্যাদি।

আবেদনযোগ্য দেশের তালিকা: আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, বেলারুশ, ভুটান, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চীন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, আইভরি কোস্ট, কিউবা, জিবুতি, ইকুয়েডর, মিসর, ঘানা, হাইতি, হন্ডুরাস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, জ্যামাইকা, জর্ডান, কেনিয়া, কসোভো, লেবানন, লাইবেরিয়া, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, নেপাল, নাইজেরিয়া ও জিম্বাবুয়ে।

আবেদনের যোগ্যতা: উল্লিখিত দেশ ছাড়াও আরও নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই সর্বোচ্চ একাডেমিক যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে। তুলনামূলক কম জিপিএর শিক্ষার্থীদের আবেদনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের এ লিংকের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আইইইই এসটিআই ৫.০ কনফারেন্স ২০২৫ শুরু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (জিইউবি) ক্যাম্পাসে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে সপ্তম আইইইই এসটিআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন—সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৫.০ (এসটিআই-২০২৫)। ঢাকার পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশি ও আন্তর্জাতিক গবেষক, একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করছেন। তাঁরা উদ্ভাবন, টেকসই প্রযুক্তি এবং এআই ও ভবিষ্যতের কর্মবাজারে তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব। সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন জিইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য—‘এআই যুগে প্রযুক্তিগত বিপ্লব এবং কর্মহীনতার আশঙ্কা।’

উদ্বোধনী বক্তব্যে অর্গানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ জানান, এবারের এসটিআই-২০২৫ সম্মেলনে রেকর্ড ৪৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়েছে, যা সম্মেলনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ছয়জন রিভিউয়ার, যার মধ্যে তিনজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, কঠোর মূল্যায়নের পর মাত্র ১১৮টি প্রবন্ধ গ্রহণ করা হয়েছে, অর্থাৎ গ্রহণযোগ্যতার হার মাত্র ২৭ শতাংশ। তিনি বলেন, এটি প্রমাণ করে যে এসটিআই গবেষণার মানে কোনো ছাড় দেয় না।

সম্মেলনের জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ৫.০ হলো মানবকেন্দ্রিক শিল্পায়ন—যেখানে প্রযুক্তি মানুষের সৃজনশীলতা, দক্ষতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হবে। তিনি ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাক্ষেত্র হিসেবে সেমান্টিক কমিউনিকেশন, রোবোটিকস এবং শক্তি-দক্ষ প্রযুক্তি চিহ্নিত করেন।

অধ্যাপক ড. ইমামুল হাসান ভূঁইয়া, আইইইই বাংলাদেশের সেকশন চেয়ার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘টেকসই শক্তি ছাড়া প্রযুক্তির প্রকৃত অগ্রগতি সম্ভব নয়। এআই, রোবটিকস, আইওটি—এসব প্রযুক্তির মূল চালিকাশক্তি হলো এনার্জি। বাংলাদেশে তরুণ গবেষকদের দ্রুত অগ্রগতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করছে।’

প্রধান অতিথি শিষ হায়দার চৌধুরী টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজ প্রযুক্তি, সার্কুলার ইকোনমি এবং মানবিক মূল্যবোধ-নির্ভর এআই ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এআই যুগে প্রযুক্তি শুধু গতি বৃদ্ধি করবে না, বরং নিশ্চিত করবে যে প্রতিটি উদ্ভাবন মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বহু বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মাধ্যমে তাদের সরকারকে সহায়তা করছে। বাংলাদেশেও গভর্নমেন্ট-একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটিসহ দেশের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উদ্ভাবনে অগ্রগতি অর্জন করছে এবং আইসিটি বিভাগ এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘উদ্ভাবন তখনই অর্থবহ হয় যখন তা মানবকল্যাণ, নৈতিকতা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে চলে। জিইউবি টেকসই উন্নয়ন এবং দায়িত্বশীল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমরা আমাদের গবেষক, শিক্ষার্থী এবং স্টার্টআপ উদ্যোগগুলোকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও উদ্ভাবনের দিকে পরিচালিত করছি, যাতে নতুন প্রযুক্তি শুধু উন্নততর হয় না, বরং মানুষের জীবনমানও উন্নত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি ৫.০-এর এই যাত্রায়, মানুষই প্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের লক্ষ্য হলো এমন গবেষণা ও প্রযুক্তি তৈরি করা যা শিল্প, শিক্ষা এবং সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

সকাল ৯টায় জিইউবির মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ড. কে এম আজহারুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার, বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও চেয়ারপারসন এবং দেশি-বিদেশি গবেষক ও অতিথিরা।

জিইউবির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাব উদ্দিন জানান, এবারের সম্মেলনে সাতটি কি-নোট সেশন, তিনটি ওয়ার্কশপ, একটি প্যানেল ডিসকাশন এবং ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচিত ১১৮টি প্রবন্ধ আইইইই এক্সপ্লোর ও স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হবে।

সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ডিজিটাল লটারিতে দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন শিক্ষার্থী।

তাদের মধ্যে ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন ও ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন নির্বাচিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্কুলে ভর্তির লটারিপ্রক্রিয়া শুরু হয়।

লটারিপ্রক্রিয়া শেষ হলে বেলা পৌনে ৩টায় অনুষ্ঠানস্থলে ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক ইউনুস ফারুকী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ঘোষণা করেন।

ইউনুস ফারুকী বলেন, এখন দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হবে।

ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফল নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) এবং যেকোনো টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে বলেও তুলে ধরেন এ কর্মকর্তা।

সরকারি স্কুলে ফাঁকা ১৪ হাজার আসন

৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল, ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন শিক্ষার্থীকে লটারিতে নির্বাচনের পর এ স্কুলগুলোর ১৪ হাজার ৭৫টি আসন ফাঁকা থাকছে।

বেসরকারি স্কুলে ৮ লক্ষাধিক আসন খালি

মহানগর এবং জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনে ভর্তির আবেদন করেছিল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী, তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জনকে নির্বাচনের পর ৮ লাখ ৪৩ হাজার ১৬০টি আসন খালি আছে।

ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর

লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবে বলে উল্লেখ করে ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ইউনুস ফারুকী আরও বলেন, এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে গতবারের মতো দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।

স্কুলে ভর্তির কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে আসেননি শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, যদিও মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছিল, তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন।

সকালে সরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারিপ্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়া এবং উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার। পরে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারিপ্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান।

ডিজিটাল লটারিপ্রক্রিয়ায় সহায়তা দেওয়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিফোন অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেলা পৌনে ৩টায় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ইউনুস ফারুকীর হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আব্দুল হান্নান, মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক জাহিদ মো. ফিরোজ, টেলিটক ডিজিটাল সার্ভিসের ম্যানেজার জাহিদুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে প্রথমবার স্কুলে ভর্তির জন্য লটারি পদ্ধতি চালু করা হয়। এর পর থেকে প্রতিবছর এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সূচি ও আবেদন-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এবং চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির সচিব অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, লিখিত ভর্তি পরীক্ষা তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে—ইউনিট ‘এ’ (বিজ্ঞান), ইউনিট ‘বি’ (মানবিক) ও ইউনিট ‘সি’ (ব্যবসায় শিক্ষা)। ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বছরের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু ১০ ডিসেম্বর থেকে, যা চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগামী বছরের ২৭ মার্চ, ৩ ও ১০ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ৩ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট ও ১০ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ভুলে জারি’ হওয়া গণভোট নির্দেশনা বাতিল করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫২
‘ভুলে জারি’ হওয়া গণভোট নির্দেশনা বাতিল করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘গণভোট’কে কেন্দ্র করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা জারির পর বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় দ্রুত সরে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

গতকাল বুধবার বিকেলে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠানো সেই নির্দেশনাকে ‘ভুলে জারি’ হয়েছে বলে দাবি করেছে অধিদপ্তর। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে—নির্দেশনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হবে।

জানতে চাইলে অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক (সংস্থাপন) এ এস এম সিরাজুদ্দোহা বলেন, এ বিষয়ে এখনো সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সরকারের অবস্থানই আমাদের অবস্থান, তাই নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এটি ‘ভুলে জারি’ হয়েছে এবং দ্রুত নতুন আদেশে তা বাতিল করা হবে।

এর আগে বুধবার প্রশাসন শাখার পরিচালক মো. মাসুদ হোসেনের স্বাক্ষরে পাঠানো এক আদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণভোটের প্রচার-প্রচারণা চালাতে ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল—বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ব্যানার টানানো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গণভোটের ধারণা ও সাংবিধানিক ভিত্তি সম্পর্কে অবহিত করা, জুলাই জাতীয় সনদ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো, নাগরিক অধিকার-দায়িত্ব তুলে ধরা, ভুল তথ্য প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা, এমনকি অভিভাবকদের গণভোটে ভোট দিতে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে উৎসাহিত করার নির্দেশনাও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত