Ajker Patrika

আবেদন থেকে ভর্তি সবকিছু মেইলেই করা যায়

পারিসা ইসলাম অর্থী
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ৪৭
আবেদন থেকে ভর্তি সবকিছু মেইলেই করা যায়

মালয়েশিয়ায় সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পড়াশোনা করছেন পারিসা ইসলাম অর্থী। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সেখানকার পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধা ও বৃত্তি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।

বৃত্তির পরিচিতি
এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বেশ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। মালয়েশিয়ার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বেশি। মালয়েশিয়ানদের পাশাপাশি এসএসসি-এইচএসসির ফলাফল বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। IELTS-এর স্কোর ন্যূনতম 5.5 হতে হবে। স্কলারশিপ-সংক্রান্ত আরও কিছু জানতে ভিজিট করুন- [email protected] or [email protected].

কীভাবে আবেদন করা যাবে 
অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এরা সাধারণত বছরে তিনটা সময়ে শিক্ষার্থী নেয়। সবকিছু মেইলের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। সব ডকুমেন্ট পাওয়ার পর ১০-১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অফার লেটার ও ভিসাসংক্রান্ত যাবতীয় জিনিস মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেগুলো হলো– এসএসসি ও এইসএসসির মার্কসশিট, সার্টিফিকেট, আইইএলটিএস স্কোর। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পরবর্তী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। এ জন্য আপনার কোনো এজেন্সির প্রয়োজন হবে না। আপনি নিজেই সবকিছু অনলাইনে ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে করতে পারবেন। আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://www.easyuni.com/malaysia/asia-pacific-university-of-technology-and-innovation-apu-8/

কোন কোন বিষয়ে পড়া যাবে
যেহেতু আমি সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পড়ালেখা করছি, সেহেতু আমার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল আইটি-সংক্রান্ত ভালো কোনো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া। এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট আইটি বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি মালয়েশিয়া ব্যবসায় শিক্ষা-সম্পর্কিত বিষয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইত্যাদির জন্য খুবই ভালো। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা UK, GERMANY, JAPAN, USA-এর সঙ্গে কোলাবরেশন করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে মেডিকেলের জন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে; যেখানে বাংলাদেশের মেডিকেলের খরচের তুলনায় কম। 

কেন সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পড়ছি
যেহেতু এখন সবকিছুই অনলাইনভিত্তিক হয়ে গেছে, তাই সাইবার ক্রাইমও বেড়েছে। অনলাইনে মানুষকে বিরক্ত করা এখন নতুন কোনো ঘটনা নয়। ডিজিটাল চিন্তা করতে গেলে আমাদের সব জায়গায় অনলাইনটা নিরাপদ হওয়া প্রয়োজন। সে কথা মাথায় রেখেই এই সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পড়তে চাওয়া। যাতে বাংলাদেশে একটি হ্যাসলমুক্ত সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের জন্য কাজ করতে পারি।

নিজস্ব মতামত
আপনি যদি বাংলাদেশের কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান, সে ক্ষেত্রে যেমন খরচ হবে, মালয়েশিয়াতে ঠিক তেমনি খরচ হবে। এ ছাড়া তাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও অন্যান্য কো-কারিকুলামের মাধ্যমে আপনি অন্য দেশের মানুষের সম্পর্কেও জানতে পারবেন। এ ছাড়া আপনি চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মে থাকতে পারেন অথবা বন্ধু বা আত্মীয় থাকলে একসঙ্গে বাসা নিয়ে থাকতে পারেন। যার খরচ বাংলাদেশি টাকায় ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। শিক্ষার্থী অ্যাপার্টমেন্টের ব্যবস্থাও রয়েছে। যার খরচ বাংলাদেশি ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। যাতায়াতের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।

তাই আমার বলব, উচ্চশিক্ষার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করে বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

লেখক: শিক্ষার্থী,সাইবার সিকিউরিটি, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন, মালয়েশিয়া।

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিজের ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে

অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়
পাঠকবন্ধুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন আরপিএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়
পাঠকবন্ধুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন আরপিএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়

আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’। এর সঙ্গে যোগ করতে চাই ‘মোবাইল ডিমোরালাইজড’। যদিও এই উক্তি নিয়ে বিতর্ক আছে, তবু সত্যি হলো, মোবাইল জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও এর অপব্যবহার ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।

আজকাল ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময়ও হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এক পরিবারের তিনজন সদস্য একসঙ্গে বসলেও প্রত্যেকে ব্যস্ত নিজের মোবাইলের মধ্যে, কথাবার্তা প্রায় নেই। অথচ মোবাইলের মধ্যে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। এটি দিয়ে তুমি প্রজেক্ট, থিসিস বা যেকোনো একাডেমিক গবেষণা করতে পারো। আমাদের সময়ে এই ধরনের সুযোগ ছিল না। এখন ইন্টারনেট তোমার হাতের মুঠোয়। জ্ঞান আহরণ করতে চাইলে তুমি পুরো বিশ্ব জয় করতে পারো। মনে রাখতে হবে, মোবাইলের দুটি দিক আছে—একটি সুফল, অন্যটি কুফল। সুফল কাজে লাগাতে হবে। নেতিবাচক ব্যবহার আমাদের যুবসমাজে বিভিন্ন আসক্তি, হতাশা এবং দুঃখজনক আত্মহত্যার মতো প্রবণতা তৈরি করছে। তাই তোমরা মোবাইল ব্যবহার করবে এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগিয়ে।

জীবনে সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। আমি নিজে খারাপ থাকলেও বলি, ‘আমি খুব ভালো আছি’। এই মানসিক ইতিবাচকতা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর স্বপ্ন থাকতে হবে—স্বপ্ন ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন সেটা নয়, যা আমরা ঘুমিয়ে দেখি; স্বপ্ন সেটাই, যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না।’

তোমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছ ‘আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়’, এর প্রতিষ্ঠাতা আর পি সাহাও ছিলেন একজন মহান স্বপ্নদ্রষ্টা। মাত্র সাত বছর বয়সে মাকে হারিয়ে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘আমি যদি কখনো সম্পদশালী হই, তাহলে একটি মাতৃসদন হাসপাতাল গড়ে তুলব, যেন কোনো মা বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।’ ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করা, দারিদ্র্যপীড়িত সেই মানুষটি ফুটপাতে ঘুমিয়েছে, সংবাদপত্র বিক্রি করেছে, গাড়ি মুছেছে। কিন্তু অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র ছয় বছরে তিনি ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেন। কয়লা, জুট, চামড়া, লবণ, নৌপরিবহন—সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।

তবে সেই সম্পদ নিজের জন্য নয়, তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের কল্যাণে। প্রতিষ্ঠা করেছেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী কলেজ, দেবেন্দ্র কলেজ—সবই মানবতার সেবায় নিবেদিত।

তোমাদেরও তাই স্বপ্ন দেখতে হবে, নিজের ভেতরে ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং সমাজ পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে হবে।

অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়, উপাচার্য, আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাবির আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
ঢাবির আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৯ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আইবিএ ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত। আবেদন শেষে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগেপর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন শুরু ৭ নভেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ওরিয়েন্টেশন, রেজিস্ট্রেশন ও শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১ হাজার ১০৯টি আসনে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও নিয়মাবলি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৩২০, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩০৩ এবং কোটায় ১৭। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ২০২২-২৩ ও এইচএসসি ২০২৪-২৫ পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০। ভর্তি পরীক্ষা ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত অঙ্কন পরীক্ষা থাকবে।

‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ২৮১, যার মধ্যে সাধারণ আসন ২৬৬ ও কোটায় ১৫। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো সম্মিলিত জিপিএ ন্যূনতম ৮.০০। পরীক্ষা পদ্ধতি ‘এ’ ইউনিটের মতো হবে। ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা ও চারুকলা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৪১৫, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩৯১ ও কোটায় ২৪।

আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৭ পেতে হবে। চারুকলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত লিখিত ও অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘ডি’ ইউনিটের (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৮৮, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৮৩ ও কোটায় ৫।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের অপেক্ষায় যারা

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের অপেক্ষায় যারা

আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড (আইআরও)। যেখানে অংশ নেবে বাংলাদেশেরও একটি প্রতিনিধিদল। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে দেশের উজ্জ্বল রোবোটিকস প্রতিভাবান ১০ শিক্ষার্থী।

২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলো মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঁঞা, ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা, উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা, স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী এবং আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের উদ্যোগে এ বছরের জাতীয় বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে। ২৯-৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাইপর্ব এবং ১২-১৩ সেপ্টেম্বর ‘আইআরও বাংলাদেশ ওপেন ২০২৫’ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্বের মাধ্যমে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিভা যাচাই করা হয়। জাতীয় পর্বের ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্প। এখানে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও পারফরম্যান্স বিভিন্ন মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক দলের জন্য সদস্য নির্বাচন করা হয়।

প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কোচ থাকবেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের কোচ মিশাল ইসলাম ও সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস। দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামালও অংশ নেবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশের দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৭৩টি পদক জিতেছে।

দেশি শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্য শুধু তাদের নিজস্ব প্রতিভা ও পরিশ্রমের ফল নয়, বরং দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমাদৃত করার দৃষ্টান্ত। অস্ট্রেলিয়ার মঞ্চে বাংলাদেশের রোবোটিকস প্রতিভা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে, এটাই প্রত্যাশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত