প্রতিনিধি
জাবি (সাভার): অনলাইনে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ৬ জন অস্থায়ী প্রভাষক নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে এ আবেদন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, আবদুস ছাত্তার ও জাকির হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার চার শিক্ষকের পক্ষে হাই কোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট ড. সৈয়দা নাসরিন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আদলতে রিট ফাইল হয়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ রিটের শুনানি হবে বলে আশা করছি। এ ছাড়াও নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, জাবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং দর্শন বিভাগের সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এভাবে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা বিভাগে নজিরবিহীন। এ ছাড়া অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোনো নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ নেই। এ রকম অস্পষ্টতার মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে না।’
এ ব্যাপারে বিভাগের সভাপতি মোস্তফা নাজমুল মানছুর বলেন, ‘২০১১ সালের পর থেকে বিভাগে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন অবসরে এবং শিক্ষা ছুটিতে গিয়েছেন। ফলে বর্তমান কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা ১৭ জন। এই সংখ্যক শিক্ষক দিয়ে পাঠদান সম্ভব নয় বলেই নতুন করে চাহিদার কথা জানানো হয়।’
কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিভাগটিতে এখন দুইটি পক্ষ আছে। আমার জন্য এখানে বিষয়টিতে পক্ষ-বিপক্ষ নেওয়া খুব কঠিন। আর বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ডিনের কোনো ভূমিকা থাকে না। যেহেতু বিষয়টি প্রশাসনিক, প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।’
সম্প্রতি তিনটি বিজ্ঞাপনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ জন শিক্ষক ও ১০ জন কর্মকর্তা নিয়োগের খবর প্রকাশিত হয়। এর একটি বিজ্ঞাপন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ প্রকাশ হয়। যেখানে দর্শন বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৬ জন প্রভাষকসহ মোট ২৬ জন শিক্ষক নিয়োগের আবেদন আহ্বান করা হয়।
এর আগে, মহামারির মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়েছেন দর্শন বিভাগের আট শিক্ষক।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এক স্মারকলিপিতে এ কথা উল্লেখ করেন তাঁরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ১ বছর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার পরিস্থিতিতে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ কেবল অপ্রয়োজনীয় নয় দুরভিসন্ধিমূলক। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই অনলাইনে এ পর্যন্ত কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি, এর মাধ্যমে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। এ ছাড়া অনলাইন কানেকশন সমস্যার কারণে কোনো যোগ্য প্রার্থী অবমূল্যায়নের শিকার হতে পারে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জাবি (সাভার): অনলাইনে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ৬ জন অস্থায়ী প্রভাষক নিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে এ আবেদন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, আবদুস ছাত্তার ও জাকির হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার চার শিক্ষকের পক্ষে হাই কোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট ড. সৈয়দা নাসরিন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আদলতে রিট ফাইল হয়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ রিটের শুনানি হবে বলে আশা করছি। এ ছাড়াও নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, জাবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং দর্শন বিভাগের সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এভাবে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা বিভাগে নজিরবিহীন। এ ছাড়া অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কোনো নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ নেই। এ রকম অস্পষ্টতার মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে না।’
এ ব্যাপারে বিভাগের সভাপতি মোস্তফা নাজমুল মানছুর বলেন, ‘২০১১ সালের পর থেকে বিভাগে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন অবসরে এবং শিক্ষা ছুটিতে গিয়েছেন। ফলে বর্তমান কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা ১৭ জন। এই সংখ্যক শিক্ষক দিয়ে পাঠদান সম্ভব নয় বলেই নতুন করে চাহিদার কথা জানানো হয়।’
কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিভাগটিতে এখন দুইটি পক্ষ আছে। আমার জন্য এখানে বিষয়টিতে পক্ষ-বিপক্ষ নেওয়া খুব কঠিন। আর বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ডিনের কোনো ভূমিকা থাকে না। যেহেতু বিষয়টি প্রশাসনিক, প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।’
সম্প্রতি তিনটি বিজ্ঞাপনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ জন শিক্ষক ও ১০ জন কর্মকর্তা নিয়োগের খবর প্রকাশিত হয়। এর একটি বিজ্ঞাপন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ প্রকাশ হয়। যেখানে দর্শন বিভাগে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৬ জন প্রভাষকসহ মোট ২৬ জন শিক্ষক নিয়োগের আবেদন আহ্বান করা হয়।
এর আগে, মহামারির মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়েছেন দর্শন বিভাগের আট শিক্ষক।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এক স্মারকলিপিতে এ কথা উল্লেখ করেন তাঁরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ১ বছর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার পরিস্থিতিতে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ কেবল অপ্রয়োজনীয় নয় দুরভিসন্ধিমূলক। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই অনলাইনে এ পর্যন্ত কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি, এর মাধ্যমে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। এ ছাড়া অনলাইন কানেকশন সমস্যার কারণে কোনো যোগ্য প্রার্থী অবমূল্যায়নের শিকার হতে পারে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
১৫ জুলাই, ২০২৪, সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে গিয়ে দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলা চালিয়েছে। মনে হলো, এত দিন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে অংশ নিয়েছি যেসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, আর এখন সেসব শিক্ষার্থীরাই নির্যাতিত; তাদের পাশে দাঁড়ানোই হবে সত্যিকারের
৩৪ মিনিট আগে২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে
২ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
৮ ঘণ্টা আগেবুটেক্সে আমাদের ব্যাচের ক্লাস শুরু হয় ২০০৭ সালের এপ্রিলে। এরপর থেকেই নিয়মিত ক্লাস-ল্যাব করা, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছি। বুটেক্সে পড়াকালে আমার বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
৮ ঘণ্টা আগে