Ajker Patrika

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া

জুবায়ের আহম্মেদ
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০৯: ০৭
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে  ভর্তির প্রক্রিয়া

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার্স, পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরাল–এই চার লেভেলের ভর্তি প্রক্রিয়া ভিন্ন। আজ আমি আলোচনা করব আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে।

বৃত্তির পরিচিতি
স্ট্যানফোর্ডে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীরা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করলে স্ট্যানফোর্ড তা দিয়ে থাকে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি গত কয়েক বছরে আর্থিক সহায়তা নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে যার যতটুকু খরচ বহন করা সম্ভব, ততটুকু স্ট্যানফোর্ড দিতে বলে। বাকি খরচ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সহায়তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। তবে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্ট্যানফোর্ডের আর্থিক সহায়তার আবেদনের প্রক্রিয়াটা নিড ব্লাইন্ড না। নিড ব্লাইন্ড বলতে আমেরিকার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে বাংলাদেশিরা যদি আবেদন করেন, তাহলে তাঁদের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আনবে না। প্রথমে তাঁদের ভর্তি নেবে কি না, সেটা নির্ধারণ করবে। ভর্তির পর শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুসারে অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি নিড ব্লাইন্ড দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় এবং বলে, আমি বছরে ১০ হাজার টাকার খরচ বহন করতে পারব, তাহলে বাকি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে দেবে। এটা হচ্ছে নিড ব্লাইন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা। তবে স্ট্যানফোর্ড বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য নিড ব্লাইন্ড না। কেউ যদি আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করে, তাহলে ওই সামর্থ্যের বিষয়টাকেও তারা বিবেচনায় আনে ভর্তির সময়। তার মানে হচ্ছে, আপনি যদি আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার ভর্তির সুযোগের সম্ভাবনা কিছুটা কমে যাবে। তবে আমি এবং আমার মতো কয়েকজন বাংলাদেশি আর্থিক সহায়তার স্কলারশিপ নিয়ে স্ট্যানফোর্ডে পড়াশোনা করছি। সুতরাং এটা অসম্ভব না, তবে একটু কঠিন।
 
আবেদনের প্রক্রিয়া
স্ট্যানফোর্ড বা আমেরিকার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। প্রথমে থাকে কিছু পরীক্ষা, যেমন স্যাট, টোফেল, আইইএলটিএস, স্যাট-সাবজেক্ট টেস্ট পরীক্ষা। দ্বিতীয়ত, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের নম্বরপত্র জমা দিতে হয়। তৃতীয়ত, কমন অ্যাপ্লিকেশনে একসঙ্গে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। কমন অ্যাপে স্ট্যানফোর্ডে আবেদন করতে গেলে বেশ কয়েকটা নিবন্ধ লিখতে হবে। দুই-তিনজন শিক্ষকের রেফারেন্স লেটার জমা দিতে হবে। এ ছাড়া সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে এমন কিছু দেখাতে হবে যা আপনাকে অন্য আবেদনকারী থেকে আলাদা করবে। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে স্বতন্ত্র কিছু কার্যক্রম থাকতে হবে। আর এগুলোর মাধ্যমে আপনার প্রোফাইলটি সমৃদ্ধ হবে। কেউ যদি আরও বিস্তারিত জানতে চায় তাদের বলব, গুগল হচ্ছে সবচেয়ে ভালো অপশন। 
কী কী কাগজপত্র লাগবে?

১। স্যাট, টোফেল, আইইএলটিএসসহ বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বরপত্র।
২। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বরপত্র।
৩। শিক্ষকের রেফারেন্স।
৪। নিবন্ধ।
৫। ফাইন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টস।
৬। বাবা-মায়ের ইনকাম ডকুমেন্টস।
৭। ট্যাক্স পেয়ার কাগজপত্র (যদি থাকে)।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-মেইল করে জানা যাবে কী কী কাগজপত্র তারা চায়।

সুযোগ-সুবিধা
বৃত্তি পেলে কী সুযোগ-সুবিধা, এটা আসলে নির্ভর করে আপনি কতটুকু বৃত্তি পেয়েছেন তার ওপর। আমি শতাভাগ বৃত্তি পেয়েছি। তাই আমার পড়াশোনায় কোনো খরচ হয় না। আমার টিউশন ফি দেওয়া লাগে না, থাকা-খাওয়ার খরচ লাগে না। তা ছাড়া স্ট্যানফোর্ড বছরে বাংলাদেশে আসার একটা রাউন্ড ট্রিপ টিকিট দেয়। পাশাপাশি আমাকে ল্যাপটপ দিয়ে সাহায্য করেছে। আমার আসলে আমেরিকায় কোনো খরচ নেই। এমনকি আমার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত খরচটিও স্ট্যানফোর্ড দিয়ে থাকে। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে এসব সুবিধা স্ট্যানফোর্ড থেকে পাচ্ছি।

তবে এটা আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। যারা বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করে না, তাদের নিজেদেরই খরচ চালাতে হয়। যারা আংশিক বৃত্তি পায়, তাদের কিছু কিছু সুবিধা স্ট্যানফোর্ড দিয়ে থাকে আর কিছু কিছু খরচ নিজেদের বহন করতে হয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট- stanford.edu/admission/

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিজের ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে

অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়
পাঠকবন্ধুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন আরপিএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়
পাঠকবন্ধুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন আরপিএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়

আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’। এর সঙ্গে যোগ করতে চাই ‘মোবাইল ডিমোরালাইজড’। যদিও এই উক্তি নিয়ে বিতর্ক আছে, তবু সত্যি হলো, মোবাইল জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও এর অপব্যবহার ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।

আজকাল ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময়ও হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এক পরিবারের তিনজন সদস্য একসঙ্গে বসলেও প্রত্যেকে ব্যস্ত নিজের মোবাইলের মধ্যে, কথাবার্তা প্রায় নেই। অথচ মোবাইলের মধ্যে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। এটি দিয়ে তুমি প্রজেক্ট, থিসিস বা যেকোনো একাডেমিক গবেষণা করতে পারো। আমাদের সময়ে এই ধরনের সুযোগ ছিল না। এখন ইন্টারনেট তোমার হাতের মুঠোয়। জ্ঞান আহরণ করতে চাইলে তুমি পুরো বিশ্ব জয় করতে পারো। মনে রাখতে হবে, মোবাইলের দুটি দিক আছে—একটি সুফল, অন্যটি কুফল। সুফল কাজে লাগাতে হবে। নেতিবাচক ব্যবহার আমাদের যুবসমাজে বিভিন্ন আসক্তি, হতাশা এবং দুঃখজনক আত্মহত্যার মতো প্রবণতা তৈরি করছে। তাই তোমরা মোবাইল ব্যবহার করবে এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগিয়ে।

জীবনে সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। আমি নিজে খারাপ থাকলেও বলি, ‘আমি খুব ভালো আছি’। এই মানসিক ইতিবাচকতা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর স্বপ্ন থাকতে হবে—স্বপ্ন ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন সেটা নয়, যা আমরা ঘুমিয়ে দেখি; স্বপ্ন সেটাই, যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না।’

তোমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছ ‘আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়’, এর প্রতিষ্ঠাতা আর পি সাহাও ছিলেন একজন মহান স্বপ্নদ্রষ্টা। মাত্র সাত বছর বয়সে মাকে হারিয়ে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘আমি যদি কখনো সম্পদশালী হই, তাহলে একটি মাতৃসদন হাসপাতাল গড়ে তুলব, যেন কোনো মা বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।’ ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করা, দারিদ্র্যপীড়িত সেই মানুষটি ফুটপাতে ঘুমিয়েছে, সংবাদপত্র বিক্রি করেছে, গাড়ি মুছেছে। কিন্তু অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র ছয় বছরে তিনি ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেন। কয়লা, জুট, চামড়া, লবণ, নৌপরিবহন—সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।

তবে সেই সম্পদ নিজের জন্য নয়, তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের কল্যাণে। প্রতিষ্ঠা করেছেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী কলেজ, দেবেন্দ্র কলেজ—সবই মানবতার সেবায় নিবেদিত।

তোমাদেরও তাই স্বপ্ন দেখতে হবে, নিজের ভেতরে ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং সমাজ পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে হবে।

অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়, উপাচার্য, আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাবির আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
ঢাবির আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৯ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আইবিএ ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত। আবেদন শেষে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগেপর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন শুরু ৭ নভেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ওরিয়েন্টেশন, রেজিস্ট্রেশন ও শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১ হাজার ১০৯টি আসনে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও নিয়মাবলি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৩২০, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩০৩ এবং কোটায় ১৭। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ২০২২-২৩ ও এইচএসসি ২০২৪-২৫ পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০। ভর্তি পরীক্ষা ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত অঙ্কন পরীক্ষা থাকবে।

‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ২৮১, যার মধ্যে সাধারণ আসন ২৬৬ ও কোটায় ১৫। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো সম্মিলিত জিপিএ ন্যূনতম ৮.০০। পরীক্ষা পদ্ধতি ‘এ’ ইউনিটের মতো হবে। ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা ও চারুকলা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৪১৫, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩৯১ ও কোটায় ২৪।

আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৭ পেতে হবে। চারুকলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত লিখিত ও অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘ডি’ ইউনিটের (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৮৮, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৮৩ ও কোটায় ৫।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের অপেক্ষায় যারা

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের অপেক্ষায় যারা

আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড (আইআরও)। যেখানে অংশ নেবে বাংলাদেশেরও একটি প্রতিনিধিদল। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে দেশের উজ্জ্বল রোবোটিকস প্রতিভাবান ১০ শিক্ষার্থী।

২৭তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলো মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জুবাইদাহ জাফরিন ও নাফিয়া বাসার সুহানী, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জারিফ বিন সালেক, খোন্দকার মুশফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মাশরুর আরেফিন ভূঁঞা, ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসাইবা তাজরিন তানিশা, উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা, স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাস, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রিদোয়ান রাব্বানী এবং আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল টিটু।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের উদ্যোগে এ বছরের জাতীয় বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে। ২৯-৩০ আগস্ট অনলাইন বাছাইপর্ব এবং ১২-১৩ সেপ্টেম্বর ‘আইআরও বাংলাদেশ ওপেন ২০২৫’ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্বের মাধ্যমে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিভা যাচাই করা হয়। জাতীয় পর্বের ক্রিয়েটিভ মুভি, ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি এবং ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ক্যাটাগরির বিজয়ীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্প। এখানে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও পারফরম্যান্স বিভিন্ন মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করে চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক দলের জন্য সদস্য নির্বাচন করা হয়।

প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কোচ থাকবেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের কোচ মিশাল ইসলাম ও সহকারী কোচ এম তানজিম আল ইসলাম দিবস। দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সভাপতি এ এ মুনির হাসান। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামালও অংশ নেবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। গত সাত বছরে বাংলাদেশের দল আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১৪টি গোল্ড মেডেলসহ মোট ৭৩টি পদক জিতেছে।

দেশি শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্য শুধু তাদের নিজস্ব প্রতিভা ও পরিশ্রমের ফল নয়, বরং দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমাদৃত করার দৃষ্টান্ত। অস্ট্রেলিয়ার মঞ্চে বাংলাদেশের রোবোটিকস প্রতিভা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে, এটাই প্রত্যাশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত