Ajker Patrika

দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১১
Thumbnail image

গত বছরের তুলনায় এবার দিনাজপুরে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। এ বছর এসএসসিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৫৭৮ জন, যেখানে গত বছর পাসের ছিল ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১২ হাজার ৮৬ জন। 

আজ বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর সকালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিদর্শক ফারাজ উদ্দীন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

ফারাজ উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ দুটোই বেড়েছে। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করেছে। ছাত্রীদের পাসের হার এবার ৯৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রীর সংখ্যা ৮ হাজার ৯০৬। অন্যদিকে জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রের সংখ্যা ৮ হাজার ৬৭২।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর মোট ২ হাজার ৬৭৬টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৯৬ হাজার ২২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে শতভাগ পাস করেছে এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৯৩। এ বছর কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। 

ফলাফলে দেখা যায়, এ বছর মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলেও বিজ্ঞানে পাসের হার বেশি। বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেছে ৯৬ দশমিক ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী আর মানবিকে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আট জেলার জেলাভিত্তিক পাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পাসের হারে এগিয়ে লালমনিরহাট জেলা। এখানে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুর জেলা। এ জেলায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৯৪ দশমিক ৯৭ ভাগ পাসের হারে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নীলফামারী জেলা। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রংপুর জেলা। এখানে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এরপর ৯৪ দশমিক ৭২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পঞ্চগড় জেলা। গাইবান্ধা জেলা রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে। গাইবান্ধায় পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সপ্তম অবস্থানে কুড়িগ্রামে পাসের হার ৯৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। ৯৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ পাসের হার নিয়ে সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এ বছর ১ হাজার ৯৭২ জন নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। এদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। তিনি জানান, বাল্যবিবাহ ও অর্থাভাবে বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়া অনুপস্থিতির অন্যতম কারণ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত