যৌন অপরাধে দণ্ডিত প্রয়াত মার্কিন ধনকুবের জেফরে এপস্টেইনের কাছ থেকে আর্থিক লেনদেনে সহায়তা নিয়েছিলেন নোয়াম চমস্কি। বিশ্বখ্যাত এই ভাষাবিজ্ঞানী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ম্যাসাচুয়েটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) ভাষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক নোয়াম চমস্কি ২ লাখ ৭০ হাজার ডলারের তহবিল স্থানান্তরে জেফরে এপস্টেইনের সহায়তা নেন। আর নিউ ইয়র্কের বার্ড কলেজের প্রেসিডেন্ট লিওন বটস্টেইন এপস্টেইনের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়েছিলেন।
প্রয়াত এই যৌন নিপীড়ক ও অর্থলগ্নীকারীর সঙ্গে ওই দুই শিক্ষাবিদের শুধু আর্থিক লেনদেনই হয়নি তাদের মধ্যে একাধিকবার সাক্ষাৎও হয়েছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তাঁরা নিশ্চিত করেছেন।
এ অভিযোগের ব্যাপারে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল চমস্কির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ইমেইলের মাধ্যমে বলেন, ‘প্রথমত, এটা আপনার মাথা ঘামানোর বিষয় নয়। দ্বিতীয়ত, আমি তাঁকে চিনতাম এবং মাঝে মাঝে দেখা করতাম।’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যৌন অভিযোগে এপস্টেইন দণ্ডিত ছিলেন। কারাবন্দী অবস্থায় ২০১৯ সালে তিনি আত্মহত্যা করেন।
চমস্কি বলেছেন, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের দিকে চমস্কি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্টিন নোভাকের মতো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এপস্টেইন বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন। ওই সব বৈঠকে ভূরাজনীতি এবং স্নায়ুবিজ্ঞানের মতো একাডেমিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বেশ কয়েকবার ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাকের সঙ্গেও এ ধরনের গুরুগম্ভীর আলোচনা হয়েছিল।
দণ্ডিত যৌন অপরাধী জেনেও এপস্টেইনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন চমস্কি। ‘যেহেতু এপস্টেইন সাজা ভোগ করেছেন’ তাই তার সঙ্গে সাক্ষাতে কোনো বাধা মনে করেননি তিনি।
রাজনৈতিক কর্মী চমস্কি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক ও অ্যাকাডেমিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মাঝে মাঝে এপস্টেইনের সঙ্গে দেখা করতেন। ২০১৮ সালে একটি প্রযুক্তিগত বিষয়ে এপস্টেইনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন চমস্কি।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে এপস্টেইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি অ্যাকাউন্ট থেকে চমস্কির অ্যাকাউন্টে কাছে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছিল বলে স্বীকার করেছেন চমস্কি। কিন্তু ওই অর্থের ‘একটা পয়সাও’ এস্টেইনের নয়, তাকে মাধ্যম হিসেব ব্যবহার করে নিজের এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করেছেন।
এবিষয়ে গার্ডিয়ানকে চমস্কি বলেন, ‘আমার প্রয়াত স্ত্রী ক্যারল ও আমার ৬০ বছরের দাম্পত্যজীবন ছিল। আমরা অর্থকড়ি নিয়ে কখনোই মাথা ঘামাইনি। আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল। আমরা এসব অর্থকড়িতে মনোযোগ দেওয়ার সময় পাইনি। তাঁর মৃত্যুর পর আমি এসবে মনোযোগ দেই। তখন এপস্টেইনের পরামর্শ চেয়েছিলাম। তবে একথা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমার এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্ট ছাড়া কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি।’
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসকে বার্ড কলেজের এক মুখপাত্র বলেন, প্রায় চার বছর ধরে এপস্টেইন ও বটস্টেইন অন্তত ২৪ বার বৈঠক করেছেন। এপস্টেইনের অপরাধের মাত্রা ও ভয়াবহতা জানা থাকলে বার্ড কলেজ কখনোই তাঁর সহযোগিতা নিত না।
যৌন অপরাধে দণ্ডিত প্রয়াত মার্কিন ধনকুবের জেফরে এপস্টেইনের কাছ থেকে আর্থিক লেনদেনে সহায়তা নিয়েছিলেন নোয়াম চমস্কি। বিশ্বখ্যাত এই ভাষাবিজ্ঞানী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ম্যাসাচুয়েটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) ভাষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক নোয়াম চমস্কি ২ লাখ ৭০ হাজার ডলারের তহবিল স্থানান্তরে জেফরে এপস্টেইনের সহায়তা নেন। আর নিউ ইয়র্কের বার্ড কলেজের প্রেসিডেন্ট লিওন বটস্টেইন এপস্টেইনের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়েছিলেন।
প্রয়াত এই যৌন নিপীড়ক ও অর্থলগ্নীকারীর সঙ্গে ওই দুই শিক্ষাবিদের শুধু আর্থিক লেনদেনই হয়নি তাদের মধ্যে একাধিকবার সাক্ষাৎও হয়েছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তাঁরা নিশ্চিত করেছেন।
এ অভিযোগের ব্যাপারে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল চমস্কির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ইমেইলের মাধ্যমে বলেন, ‘প্রথমত, এটা আপনার মাথা ঘামানোর বিষয় নয়। দ্বিতীয়ত, আমি তাঁকে চিনতাম এবং মাঝে মাঝে দেখা করতাম।’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যৌন অভিযোগে এপস্টেইন দণ্ডিত ছিলেন। কারাবন্দী অবস্থায় ২০১৯ সালে তিনি আত্মহত্যা করেন।
চমস্কি বলেছেন, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের দিকে চমস্কি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্টিন নোভাকের মতো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এপস্টেইন বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন। ওই সব বৈঠকে ভূরাজনীতি এবং স্নায়ুবিজ্ঞানের মতো একাডেমিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বেশ কয়েকবার ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাকের সঙ্গেও এ ধরনের গুরুগম্ভীর আলোচনা হয়েছিল।
দণ্ডিত যৌন অপরাধী জেনেও এপস্টেইনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন চমস্কি। ‘যেহেতু এপস্টেইন সাজা ভোগ করেছেন’ তাই তার সঙ্গে সাক্ষাতে কোনো বাধা মনে করেননি তিনি।
রাজনৈতিক কর্মী চমস্কি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক ও অ্যাকাডেমিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মাঝে মাঝে এপস্টেইনের সঙ্গে দেখা করতেন। ২০১৮ সালে একটি প্রযুক্তিগত বিষয়ে এপস্টেইনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন চমস্কি।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে এপস্টেইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি অ্যাকাউন্ট থেকে চমস্কির অ্যাকাউন্টে কাছে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছিল বলে স্বীকার করেছেন চমস্কি। কিন্তু ওই অর্থের ‘একটা পয়সাও’ এস্টেইনের নয়, তাকে মাধ্যম হিসেব ব্যবহার করে নিজের এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করেছেন।
এবিষয়ে গার্ডিয়ানকে চমস্কি বলেন, ‘আমার প্রয়াত স্ত্রী ক্যারল ও আমার ৬০ বছরের দাম্পত্যজীবন ছিল। আমরা অর্থকড়ি নিয়ে কখনোই মাথা ঘামাইনি। আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল। আমরা এসব অর্থকড়িতে মনোযোগ দেওয়ার সময় পাইনি। তাঁর মৃত্যুর পর আমি এসবে মনোযোগ দেই। তখন এপস্টেইনের পরামর্শ চেয়েছিলাম। তবে একথা নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমার এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্ট ছাড়া কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি।’
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসকে বার্ড কলেজের এক মুখপাত্র বলেন, প্রায় চার বছর ধরে এপস্টেইন ও বটস্টেইন অন্তত ২৪ বার বৈঠক করেছেন। এপস্টেইনের অপরাধের মাত্রা ও ভয়াবহতা জানা থাকলে বার্ড কলেজ কখনোই তাঁর সহযোগিতা নিত না।
পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানীসহ সারা দেশে আরও ১ হাজার ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৮৪৮ এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৩৩২ জন।
১ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৯ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
১১ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
১২ দিন আগে