জানি, কিন্তু ভুল

কাক মানুষের অতিপরিচিত এক পাখি। প্রকৃতিতে কাক ও মানুষের সহাবস্থান। তাই কাক নিয়ে মানুষের মাঝে প্রচলিত আছে নানা গল্প, বিশ্বাস। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে যার কিছু কিছু লোক মুখ থেকে উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রায় সময়েই কাক নিয়ে একটি তথ্য প্রচার হতে দেখা

বিয়ের আংটি কেন বাম হাতের চতুর্থ আঙুলে পরানো হয় তা নিয়ে ইন্টারনেটে একটি ধারণা দীর্ঘদিন ধরে প্রচারিত হয়ে আসছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হচ্ছে, এটিই একমাত্র আঙুল, যার স্নায়ু সরাসরি মানুষের হৃদয়ের সঙ্গে অর্থাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত। 

সাপ নিয়ে মানুষের ভীতি স্বভাবজাত। মানুষের এ ভয় আরও পাকাপোক্ত হয়েছে সমাজে বিদ্যমান নানা সংস্কার ও আচার থেকে। এমনই এক বিশ্বাস— কেউ সাপ হত্যা করলে বা মারলে অন্য সঙ্গী এসে তার প্রতিশোধ নেয়। আসলেই কি তাই? সাপ কি জোড় বেঁধে চলে, সঙ্গী হত্যার প্রতিশোধ নেয়? 

ছোটবেলায় একদম সামনে বসে টিভি দেখতে গিয়ে বাবা-মার বকা শুনেছেন অনেকে। কারণ, খুব কাছে বসে টেলিভিশন দেখা চোখের জন্য খারাপ বা দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি করে। শুধু আপনার বাবা-মা নয়, পৃথিবীজুড়েই এই ধারণা প্রচলিত। 

মুঘল সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি তাজমহল। তাঁর নির্দেশেই প্রয়াত স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিতে এই সৌধ নির্মিত হয়। এটাকে অতুলনীয় রাখতে অর্থাৎ একই ধরনের সৌধ নির্মাণ যাতে হয়, সে জন্য শ্রমিক ও কারিগরদের হাত বা হাতের আঙুল কেটে দেওয়া হয়—এমন একটি দাবি বহুল প্রচারিত। কিন্তু এর কি কোনো ভিত্তি আছে?

সদ্য কৈশোর পেরোনো ছেলেরা যেসব বিষয় নিয়ে সবচেয়ে উদ্বিগ্ন থাকে, তার মধ্যে অন্যতম দাড়ি–গোঁফ না ওঠা। আবার কারও মুখে দাড়ি উঠলেও দাড়ির ঘনত্ব এবং আকার আশানুরূপ হয় না। প্রচলিত সংস্কার হলো, বারবার শেভ করলে দাড়ি ওঠে এবং ঘন হয়। এ নিয়ে অনেককে বেশ কসরত করতে দেখা যায়।

মাত্রাতিরিক্ত চিনি নানা স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগের সঙ্গে চিনির সম্পর্ক কি? চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়- এমন ধারণা কমবেশি প্রচলিত। আসলে কি চিনি খাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হয়?

বহুল প্রচলিত একটি ধারণা, ‘মানুষ গড়ে মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে থাকে। আর বাকি ৯০ শতাংশ আমৃত্যু অব্যবহৃতই থেকে যায়।’ এই ধারণা জায়গা পেয়েছে হলিউডের সিনেমাতেও। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লুসি’ সিনেমাতেও বিখ্যাত অভিনেতা মরগ্যান ফ্রিম্যানকে বলতে দেখা যায়

শৈশব-কৈশোরে লুকিয়ে লুকিয়ে রাতের বেলা ঘুমের সময় কাঁথা-কম্বল মুড়ে গল্পের বই পড়েছেন নিশ্চয়ই। আবার এভাবে পড়তে গিয়ে ধরা খেয়ে মা-বাবার কাছে বোকা শুনেছেন, ‘কম আলোতে পড়লে চোখ নষ্ট হয়ে যায় বা চোখের পাওয়ার কমে যায়।’ শুধু আপনার বাবা-মা নয়, পৃথিবীজুড়েই এই ধারণা প্রচলিত। আসলেই কি কম আলোতে বই পড়া চোখের ক্ষতি করে?

মাথা ন্যাড়া করলে চুল গাঢ় বা ঘন হয়- এমন ধারণা বহুকাল থেকে প্রচলিত। আবার এতে চুলের মান উন্নত হয় এবং টাক হওয়া ঠেকানো যায়- এমনটাও অনেকে বিশ্বাস করেন। আর এ কারণে তরুণদের মধ্যে মাথা ন্যাড়ার ধারণাও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আসলেই কি এভাবে চুল গাঢ় বা ঘন হয়? মাথা ন্যাড়া করলে টাক হওয়া ঠেকানো যায়? নাকি এটি কেবলই

ফেসবুকে প্রায় সময়ই একটি বিশাল আকারের ক্যামেরার ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়, এটি ১৮১৪ সালে নির্মিত পৃথিবীর সর্বপ্রথম ক্যামেরার ছবি। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ক্যামেরার এ ছবিটি পৃথিবীর সর্বপ্রথম ক্যামেরার নয় এবং এটি ১৮১৪ সালেও নির্মাণ করা হয়নি। 

সুস্বাস্থ্যের জন্য পানি আবশ্যক। কিন্তু দিনে মানুষের কতটুকু পানি প্রয়োজন? দিনে ৮ গ্লাস পানি পান প্রয়োজন বলে একটা কথা চালু আছে। এর কি কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? আসলেই কি একজন মানুষের এই পরিমাণ পানি পান করতে হয়, নাকি ব্যক্তিভেদে তা ভিন্ন হয়?

‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’—এই বাংলা প্রবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে উপকার করে বা আদর-যত্নে বড় করে তোলার পর সেই ব্যক্তিই যখন আপনার ক্ষতি করে বসে, সে পরিস্থিতিকে ‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’ হিসেবে বলা হয়। আবার বাংলা সিনেমার নানা দৃশ্যে দেখা যায়, সাপ দুধের পেয়ালা থেকে দুধ পান

হাসনাহেনা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম সেস্ট্রাম নক্টার্নাম। এটি আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ফুল জাতীয় উদ্ভিদ। তবে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও ফুলটি দেখা যায়। এই উদ্ভিদের ফুল সন্ধ্যায় ফোটে এবং ভোরের আলো ফোটার পরে ঝরে যায়। 

এ সময় অতি সূক্ষ্ম অদৃশ্য কোনো কিছু তাদের বাধা দিয়ে ঠেলে পেছনে সরিয়ে দেয় এবং এ কারণেই ওই মৃতদেহ পানিতে পড়ে যায় বলে দাবি করা হচ্ছে ফেসবুক পোস্টগুলোতে। মৃতদেহকে পুকুরে পড়ে যেতে দেখে আশপাশের সবাই আহাজারি করতে থাকেন।

ফেসবুকে ফেসবুক-সংক্রান্ত এক পোস্টের ঝড় চলছে! ছেলে-বুড়ো সবাই মিলে কপি-পোস্ট করে চলেছেন দেদারসে। ওই পোস্টগুলোতে লেখা হচ্ছে, ‘আগামীকাল থেকে নতুন ফেসবুক/ মেটা নিয়ম শুরু হবে যেখানে তারা আপনার ছবি ব্যবহার করতে পারবে­।’

ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি নামে কোনো চিকিৎসকের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি গুগলে এই নামে অন্য কোনো চিকিৎসকের প্রোফাইলও খুঁজে পাওয়া যায়নি