Ajker Patrika

কানাডাপ্রবাসী নারী হত্যা: স্বামীর বাবা-ভাইসহ তিনজন রিমান্ডে

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
কানাডাপ্রবাসী নারী হত্যা: স্বামীর বাবা-ভাইসহ তিনজন রিমান্ডে

রাজধানীর দক্ষিণখানে কানাডা প্রবাসী আফরোজা বেগমকে (৪০) হত্যা করে বাড়ির আঙিনায় লাশ গুমের চেষ্টার ঘটনায় স্বামীর বাবা-ভাইসহ তিনজনকে এক দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রেজিয়া খাতুন আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, কানাডা প্রবাসী আফরোজা বেগমকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া কানাডায় পলাতক স্বামীর বাবা শামছুদ্দিন আহম্মেদ (৭৯), ভাই সজিব আলম (৪৪), ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা বাসার (৪২) ও খালা পান্না চৌধুরীকে (৫২) শুক্রবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে  বিচারক শাকিল আহমেদ শুনানি শেষে বাবা শামছুদ্দিন আহম্মেদ, ভাই সজিব আলম ও ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা বাশারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। স্বামীর খালা পান্না চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

এর আগে দক্ষিণপাড়ার শামছুদ্দিন সরকারের বাসার আঙিনা খুঁড়ে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর পরই স্বামী আশরাফুল আলমের বাবা শামছুদ্দিন আহম্মেদ, ভাই সজিব আলম, ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা বাসার ও খালা পান্না চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার নিহত নারীর ভাইয়ের করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

নিহত নারী হলেন, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার নীজভোগডাবুড়ি গ্রামের মো. আতাউল্লাহ মণ্ডলের মেয়ে। আশরাফুল ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্বামী। আফরোজা বেগমের প্রথম সংসারে এক ছেলে অন্তু (২৩) ও এক মেয়ে অন্নেছা (১৬) রয়েছে। নিহত নারী ও তাঁর স্বামী ও নিহতের দুই সন্তান কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন।

নিহতের স্বজনেরা জানান, গত শুক্রবার নিহতের বাবা তাঁর মেয়েকে দেখতে আসেন। ওই দিন থেকেই আফরোজা বেগম নিখোঁজ হন। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে গত রোববার বিকেলে নিহতের মেয়ে অন্নেছাকে নিয়ে তাঁর স্বামী কানাডায় চলে যান। পরে সোমবার এ ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় একটি জিডি করেন আফরোজার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম। জিডির দুই দিন পর স্বামীর বাড়ির আঙিনা থেকে আফরোজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের বাবা মো. আতাউল্লাহ মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছর আগে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক আমার মেয়ের সঙ্গে আশরাফুল আলমের কানাডায় বিয়ে হয়। গত তিন মাস আগে তাঁরা নাতনি অন্নেছাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। পরে তাঁদের কাবিন নামা করা হয়। বাংলাদেশে এসে মেয়ে আশরাফুলের সঙ্গে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার জামাইয়ের বাসায় থাকত। সব সময়ই জামাই আফরোজার সঙ্গে থাকত। যার কারণে আমার মেয়ে আমাদের সঙ্গে ঠিকমতো সুখ দুঃখের কথাও বলতে পারত না। গত শুক্রবার মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন সে জানায় কয়েক দিন পর তাঁরা সবাই কানাডা চলে যাবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত