Ajker Patrika

ব্ল্যাকমেল চক্রের সদস্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৮: ১২
ব্ল্যাকমেল চক্রের সদস্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে চক্রটি। পরে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ভুক্তভোগীদের হেনস্তা ও ব্ল্যাকমেল করে। এসব কর্মকাণ্ডে তারা ভুয়া সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। 

গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার বেলা ১টা পর্যন্ত রাজধানীর ফার্মগেট ও মহাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এক ট্রান্সজেন্ডারকে (বিউটি ভ্লগার) যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার মামলায় মূল হোতা ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদসহ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বিকেল ৪টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—   ফুয়াদ আমিন ইশতিয়াক সানি (২১), সাইমা শিকদার নিরা আরজে নিরা (২৩) ও আবদুল্লাহ আফিফ সাদমান রিশু (১৯)। তাঁদের কাছ থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, খেলনা পিস্তল জব্দ করা হয়।

খন্দকার মঈন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তাঁদের মধ্যে ইশতিয়াক এই চক্রের মূল হোতা। আরজে নীরা ও অপর সদস্য সাদমান আফিফ রিশু তাঁর অন্যতম সহযোগী। চক্রটি দুই বছর ধরে নানাবিধ কৌশলে জিম্মি, ব্ল্যাকমেল ও প্রতারণা করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।’

ফুয়াদ আমিন ইশতিয়াকর‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘চক্রটি বাসা ভাড়া নিয়ে জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করত। অনলাইনেও ভিকটিমদের ফাঁদে ফেলত তারা। চক্রের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসে তাঁদের পরস্পরের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরই মধ্যে তাঁরা প্রতারণায় হাত পাকিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের সঙ্গে সাদমান আফিফ রিশুর পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্রে ভাটারা এলাকার (বসুন্ধরা) একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি রেস্টুরেন্টের সামনে রিশুর সঙ্গে ভুক্তভোগী সাক্ষাৎ করেন। পরে সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলে তাঁকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইশতিয়াকের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। ওই সময় ইশতিয়াক, নিরা ও রিশু ভুক্তভোগীকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়ন করার পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করেন।’

তাঁরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ভুক্তভোগীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রামপুরায় নামিয়ে দেন। গ্রেপ্তার আসামি ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে রাজধানীর দুই থানায় প্রতারণাসহ ভুয়া পরিচয়ের কারণে দুটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তিনি কারাভোগ করেছেন বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত