উপসম্পাদকীয়

অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহসী কৌশল চাপ সামলাতে অবশ্যই সহায়ক হতে পারে যদি কাজের ওপর কর্তার প্রকৃত দক্ষতা থাকে। তাই বলতে হয়, দক্ষ কর্মীর নিরাপদ হাত মানেই একটি বিজয়ী হাত।

অন্ধ বাউল আর অন্ধ সুন্দরী–শোনামাত্র কানে লাগে। বাউল, কল্পনায় সাদা আলখাল্লা অথবা জোব্বা পরা, হাতে একতারা, মাথায় নারীদের মতো একরাশ চুল, পেছনে খোঁপা বাঁধা।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি এবং সংস্কৃতি বিকাশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মানুষের সম্মিলিত স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যেই সার্কের প্রতিষ্ঠা। এসব উদ্দেশ্য সাধনে সদস্য-দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আস্থার সম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন। বাস্তবে অবশ্য এর উল্টো ঘটনা ঘটছে। আঞ্চলিক বি

লি কুয়ানের সাফল্যের পেছনের একটি বড় কারণ তিনি একদল বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সহকর্মী পেয়েছিলেন। তাঁদের সমর্থন-সহযোগিতা তাঁর পথচলায় শক্তি জুগিয়েছিল। 

একনায়ক, স্বৈরশাসক বা সন্ত্রাসবাদীরা হয়তো জামাল খাশোগি বা ডাফনে কারুয়ানা গালিজিয়ার মতো সাংবাদিকদের হত্যা করতে পারে, কিন্তু তারা এই সাংবাদিকদের সেই সব গল্পকে হত্যা করতে পারে না, যা তাঁরা বিশ্বকে জানাতে চেয়েছেন।

স্বামী-সংসার, পরিবার-পরিজন হারিয়ে রহিমা বেগম আজ দিশেহারা। চারদিকে যেন অন্ধকার আর অন্ধকার, কোথাও আলো নেই। কীভাবে দিন যাবে, তার কোনো কূলকিনারা নেই।

কয়েক বছর পরেই মানুষ ভিআর হেডসেট পরে অফিস করবেন। বাসে ঝুলে ও হেঁটে আর অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। ভার্চুয়াল জগৎকে বাস্তবতার আরও কাছাকাছি আনবে মেটাভার্স দুনিয়া। ফলে মিটিং, প্রেজেন্টেশন ও অফিসের কাজ করতে জুম, মাইক্রোসফট টিমস ও টিম ভিউয়ার অ্যাপের প্রয়োজন হবে না।

‘কথার কথা?’ অবাক হয়ে গেলাম বন্ধুটির মন্তব্যে। প্রগতিশীল বলে তাঁর নামডাক আছে, পড়াশোনার ব্যাপ্তিও তাঁর কম নয়, সাহিত্য-সমাজ নিয়েও তিনি চিন্তাভাবনা করেন। এহেন ব্যক্তিটি যে এমন একটা উৎকট মন্তব্য করবেন, ভাবতেই পারিনি।

জামায়াত-বিএনপির সমর্থন, অর্থ ও নেতাকর্মীদের নিয়ে যে দলের আবির্ভাব, সেটি দ্বারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ইত্যাদি কতটা অর্জিত হবে, তা ২০০১-০৬ শাসনকালে অনেকটাই দেখা গেছে। 

একজন দায়িত্বশীল ও প্রকৃত ইমানদার ব্যক্তির কাজ হলো, প্রাপ্ত কোনো সংবাদ সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে তার সত্যতা নিশ্চিত করা এবং তা অন্যের জন্য কল্যাণকর হলে সমাজে প্রচার করা। 

আমরা দাঁড়িয়ে আছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে। আর মাত্র কয়েক দিন পর বিজয়েরও সুবর্ণজয়ন্তী। স্বাধীনতাযুদ্ধের শুরু থেকে বিজয় অর্জনের প্রতি পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম।

একত্রিশ বছর আগের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের আবাসিক ছাত্র আমি। মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হতে তখনো দুই মাস দেরি। অনার্সের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরিপ্রাপ্তির প্রস্তুতি নিতে গিয়ে একটি প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে চূড়ান্ত নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে গেলাম।

আমি বাল্যবন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়েই বুঝলাম এই মন খারাপ তার মা-বাবার জন্য। বন্ধুর মতো আগলে রাখা ভাই-বোনের জন্য। পরিবারের আদুরে ছোট্ট সদস্যটার জন্য। তাঁদের ছেড়ে একদম অপরিচিত একটা পরিবারে অজানা আশঙ্কায় মন বেঁধেই তাকে যেতে হবে। আমার বন্ধুর যে ভালোলাগা-মন্দলাগার এক মিশ্র অনুভূতি হচ্ছিল, সেটা বুঝতে পারছিলা

বিসিএসসহ সব পরীক্ষা পদ্ধতিতে একটা বড় ধরনের সংকট দেখা দিচ্ছে। ব্যাংক, অডিটসহ সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় লাখ লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং একটি এমসিকিউর নিয়মে এই পরীক্ষাগুলো হয়ে থাকে। প্রাথমিক যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাগুলোর একটি সহজ উপায় বের করা হয়েছে। কিন্তু এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে লা

বিরোধটা মোটেই সামান্য নয়; অতি পুরোনো, চলমান ও ক্রমবর্ধমান একটি দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে বঞ্চিত মানুষের জেতার সম্ভাবনা না দেখা দিলে অচিরেই ঘোর অরাজকতা দেখা দেবে। সেটা সামলাবে এমন সাধ্য কারোরই থাকবে না।

তখন দেশে এরশাদের শাসনকাল চলছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে একদিন পল্টি খেয়ে এরশাদের দলে ভিড়ে মন্ত্রীও হয়ে গেলেন। চারদিকে সবাই ছি ছি করতে লাগল।

আমরা যারা আশিতে জন্মে নব্বইয়ের দশকে বড় হয়েছি কিংবা নব্বই বা তার পরে জন্মে আজও বড় হচ্ছে যে প্রজন্ম, তাদের শৈশব-কৈশোরের মহামূল্যবান সব স্মৃতি জমা করে রেখেছে একেকটা শুক্রবার। শুক্রবারের বিকল্প কোন বার/দিন/দিবস আমাদের জীবনে আসলে আসেনি।