নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন ও গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় অভিযুক্ত সেই পুলিশ সদস্য ৫ লাখ টাকায় ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে মীমাংসা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে দুই পক্ষের পরিবারের মধ্যে এই মীমাংসা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট টি আর খান বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করে বলেন, বিবাদী পক্ষ বিষয়টি নিয়ে আপসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরে উভয় পক্ষে সম্মতিতে মীমাংসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের স্বামী-স্ত্রী মধ্যে তালাক হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাদী দেনমোহরের টাকাসহ আনুষঙ্গিক মিলিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হাতে পেয়েছেন। শিগগিরই বাদী ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নারীর ভাই ফিরোজ মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাঁদের (বিবাদীদের) আপসের প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়েছি। একদিকে আমাদের সংসার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অন্যদিকে সঠিক বিচার পাব কিনা এই সন্দেহসহ নানা কারণে আমরা আপসে গিয়েছি। আমরা এটা নিয়ে আর কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না।’
এর আগে মো. ইব্রাহিম নামে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগে করা মামলায় পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশেরই পৃথক দুটি তদন্ত দল। এর মধ্যে একটি তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। আর অন্য তদন্তে ওই পুলিশ সদস্যের অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথক দুটি তদন্ত কার্যক্রম চালায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)।
গত বছর ২ জুন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ আনেন স্ত্রী আমেনা জাহান (২১)। অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলায়। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তাঁদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কয়েক মাস না যেতেই ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন ইব্রাহিম। শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধেও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে ২০২০ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর মৃত সন্তান প্রসব করেন আমেনা জাহান।
এ সময় পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিম খাগড়াছড়িতে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ২০ জুন ঊর্ধ্বতনের নির্দেশে অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পান খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পরিদর্শক উত্তম চন্দ্র দেব। চার মাস তদন্ত করে পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় মারধর ও জখম করার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন উত্তর চন্দ্র। ওই বছরই ২০ অক্টোবর প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতনের কাছে জমা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের এমন আচরণ, নৈতিক স্খলন ও অমানবিক। এটি বিভাগীয় নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় শাস্তি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে বলেও উল্লেখ করেন।
অভিযোগের সত্যতা পেয়েও পুলিশ দপ্তর থেকে অভিযুক্ত ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় গত বছর ৭ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল–৩ এ মামলাটি করেন ভুক্তভোগী আমেনা জাহান। এ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিমের পাশাপাশি তাঁর বাবা হেলাল উদ্দিন ও মা মোমেনা বেগমকেও বিবাদী করা হয়। আদালতের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। গত ৩১ জানুয়ারি পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই উপপরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণের সপক্ষে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি বাদী নিজেও অপরাধ প্রমাণের সপক্ষে উপযুক্ত কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির ধার্য তারিখ ছিল গত ৫ এপ্রিল। ওই দিন আদালতে পিটিআইএর প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেয় বাদীপক্ষের আইনজীবী। একইদিন বিবাদীপক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে আপসের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন ও গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় অভিযুক্ত সেই পুলিশ সদস্য ৫ লাখ টাকায় ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে মীমাংসা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে দুই পক্ষের পরিবারের মধ্যে এই মীমাংসা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট টি আর খান বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করে বলেন, বিবাদী পক্ষ বিষয়টি নিয়ে আপসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরে উভয় পক্ষে সম্মতিতে মীমাংসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের স্বামী-স্ত্রী মধ্যে তালাক হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাদী দেনমোহরের টাকাসহ আনুষঙ্গিক মিলিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হাতে পেয়েছেন। শিগগিরই বাদী ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নারীর ভাই ফিরোজ মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাঁদের (বিবাদীদের) আপসের প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়েছি। একদিকে আমাদের সংসার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অন্যদিকে সঠিক বিচার পাব কিনা এই সন্দেহসহ নানা কারণে আমরা আপসে গিয়েছি। আমরা এটা নিয়ে আর কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না।’
এর আগে মো. ইব্রাহিম নামে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগে করা মামলায় পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশেরই পৃথক দুটি তদন্ত দল। এর মধ্যে একটি তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। আর অন্য তদন্তে ওই পুলিশ সদস্যের অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথক দুটি তদন্ত কার্যক্রম চালায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)।
গত বছর ২ জুন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ আনেন স্ত্রী আমেনা জাহান (২১)। অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলায়। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তাঁদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কয়েক মাস না যেতেই ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন ইব্রাহিম। শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধেও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে ২০২০ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর মৃত সন্তান প্রসব করেন আমেনা জাহান।
এ সময় পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিম খাগড়াছড়িতে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ২০ জুন ঊর্ধ্বতনের নির্দেশে অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পান খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পরিদর্শক উত্তম চন্দ্র দেব। চার মাস তদন্ত করে পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় মারধর ও জখম করার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন উত্তর চন্দ্র। ওই বছরই ২০ অক্টোবর প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতনের কাছে জমা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের এমন আচরণ, নৈতিক স্খলন ও অমানবিক। এটি বিভাগীয় নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় শাস্তি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে বলেও উল্লেখ করেন।
অভিযোগের সত্যতা পেয়েও পুলিশ দপ্তর থেকে অভিযুক্ত ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় গত বছর ৭ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল–৩ এ মামলাটি করেন ভুক্তভোগী আমেনা জাহান। এ মামলায় পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিমের পাশাপাশি তাঁর বাবা হেলাল উদ্দিন ও মা মোমেনা বেগমকেও বিবাদী করা হয়। আদালতের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। গত ৩১ জানুয়ারি পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই উপপরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণের সপক্ষে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি বাদী নিজেও অপরাধ প্রমাণের সপক্ষে উপযুক্ত কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির ধার্য তারিখ ছিল গত ৫ এপ্রিল। ওই দিন আদালতে পিটিআইএর প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেয় বাদীপক্ষের আইনজীবী। একইদিন বিবাদীপক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে আপসের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪