Ajker Patrika

অপহরণ মামলা নিষ্পত্তি করতে পুলিশ কর্মকর্তার চাপ, এসপির কাছে অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৩, ২১: ১৯
অপহরণ মামলা নিষ্পত্তি করতে পুলিশ কর্মকর্তার চাপ, এসপির কাছে অভিযোগ

অপহরণ মামলা নিষ্পত্তির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই মামলার বাদী আমজাদ আলী। অভিযুক্ত কর্মকর্তা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ এইচ এম কামরুল ইসলাম। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেওয়া হচ্ছে।’ 

লিখিত অভিযোগ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ মার্চ রাতে বাড়ি যাওয়ার সময় আখাউড়ার খালাজুড়া-আনোয়ারপুর সড়কে তিন-চারজন লোক অটোরিকশার গতিরোধ করে আমজাদ আলী ও অটোচালককে মারধর করেন। একপর্যায়ে আমজাদ আলীকে টানাহেঁচড়া করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেন। 

এ সময় হত্যার ভয় দেখিয়ে তিনটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পকেট থেকে ৩৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয় ওই ব্যক্তিরা। শেষ রাতের দিকে তারা আখাউড়া-সিলেট রেললাইনের পূর্ব পাশে বাইপাস এলাকায় রশি দিয়ে হাত বেঁধে তাঁকে ফেলে চলে যায়। 

হাঁটতে হাঁটতে তিনি সিএনজি স্ট্যান্ডে গেলে সেখানকার নৈশপ্রহরী এবং অন্য লোকেরা তাঁর মুখের স্কচটেপ এবং হাতের বাঁধন খুলে দেন। তাঁদের সহায়তায় আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন। পরে (২১ মার্চ) এই ঘটনায় তিনি তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি রিপন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য বাদী আমজাদ আলীকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে বসিয়ে রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ এইচ এম কামরুল ইসলাম। তিনি মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বাদীকে চাপ দেন। 

বুধবার (২১ জুন) জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এ-সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দেন আমজাদ আলী।

আমজাদ আলী বলেন, ‘গ্রেপ্তার রিপন ভূঁইয়া আমাকে বিদেশে পাঠিয়ে প্রতারণা করে। আমি দেশে ফিরে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। মামলা করার পর তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জেরে আমাকে অপহরণ করে মারধর করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এই মামলার আসামিদের পক্ষ নিয়ে নিষ্পত্তি করার জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে চাপ দেন।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ এইচ এম কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। পরে এসপিকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা জানালে তিনি তখন বলেন, ‘আমি কেন বাদীর সঙ্গে কথা বলতে যাব? আমি কথা বলব ওসি ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সঙ্গে!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত