অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের ওপর রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও ভারতের ওপর এর পরিমাণ ২৬ শতাংশ। আর এই কম শুল্কের ফায়দা নিয়ে বাংলাদেশকে হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের বাজার ধরতে চায় ভারত।
কোয়েম্বাটোরভিত্তিক ইন্ডিয়ান টেক্সপ্রেনিউয়ার্স ফেডারেশনের (আইটিএফ) আহ্বায়ক প্রভু দামোদরন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পাল্টাপাল্টি শুল্ককাঠামো বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে একটি ন্যায্য প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির লক্ষ্যে করা হয়েছে। তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বিজনেসলাইনকে বলেন, এটি মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ তৈরি করবে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় টেক্সটাইল ও পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধিতে।
যুক্তরাষ্ট্র অন্য যেসব দেশের ওপর উল্লেখযোগ্য পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছে, তার মধ্যে চীনরে ওপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, বাংলাদেশে ৩৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ।
ট্রাম্প আরোপিত নতুন শুল্ক কাঠামোর অধীনে ভারতের শুল্ক হার ২৬ শতাংশ, যা তৈরি পোশাক শিল্প খাতে ভারতের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম (৪৬ শতাংশ), শ্রীলঙ্কা (৪৪ শতাংশ), বাংলাদেশ (৩৭ শতাংশ) ও চীনের (৩৪ শতাংশ) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তিনি বলেন, এটি ভারতকে ব্যয়ের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট সুবিধা দেবে।
অতীতে, ভারত, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম তুলার পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে একই ধরনের শুল্ককাঠামোর মুখোমুখি ছিল। তবে, সাম্প্রতিক পরিবর্তনের ফলে ভারত এখন তুলনামূলকভাবে এসব প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের চেয়ে শুল্কে কিছুটা সুবিধা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দামোদরন বলেন, এই নতুন শুল্ককাঠামো মার্কিন বাজারে ভারতীয় পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে এর প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে পারে।
দামোদরন বলেন, এই শুল্কসুবিধার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজের অংশীদারত্ব বাড়াতে ভারত ভালোভাবেই প্রস্তুত। চলমান বাণিজ্য আলোচনা ভারতের অবস্থান আরও জোরদার করতে পারে—বিশেষ করে যদি ভারত বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানিতে নির্দিষ্ট কিছু সুবিধার বিনিময়ে তুলা আমদানিতে শূন্য শুল্কের প্রস্তাব দেয়। তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপ শিল্পটির জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে।’
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, তবে পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মার্কিন ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়া, যার মধ্যে তাদের মনোভাব ও ভোগের আচরণ স্বল্পমেয়াদি রপ্তানি প্রবণতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সম্পূর্ণভাবে শুল্ক কার্যকর করা হলে খুচরা পর্যায়ে কিছু অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, যা প্রত্যাশিত। প্রতিটি দেশ যেভাবে এর প্রতিশোধ নেবে এবং প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা-ও বাণিজ্য গতিশীলতার পরবর্তী পর্যায়কে প্রভাবিত করবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং রপ্তানিকারক দেশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৭ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ৪২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের ওপর রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও ভারতের ওপর এর পরিমাণ ২৬ শতাংশ। আর এই কম শুল্কের ফায়দা নিয়ে বাংলাদেশকে হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের বাজার ধরতে চায় ভারত।
কোয়েম্বাটোরভিত্তিক ইন্ডিয়ান টেক্সপ্রেনিউয়ার্স ফেডারেশনের (আইটিএফ) আহ্বায়ক প্রভু দামোদরন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পাল্টাপাল্টি শুল্ককাঠামো বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে একটি ন্যায্য প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির লক্ষ্যে করা হয়েছে। তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বিজনেসলাইনকে বলেন, এটি মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুযোগ তৈরি করবে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় টেক্সটাইল ও পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধিতে।
যুক্তরাষ্ট্র অন্য যেসব দেশের ওপর উল্লেখযোগ্য পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছে, তার মধ্যে চীনরে ওপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, বাংলাদেশে ৩৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ।
ট্রাম্প আরোপিত নতুন শুল্ক কাঠামোর অধীনে ভারতের শুল্ক হার ২৬ শতাংশ, যা তৈরি পোশাক শিল্প খাতে ভারতের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম (৪৬ শতাংশ), শ্রীলঙ্কা (৪৪ শতাংশ), বাংলাদেশ (৩৭ শতাংশ) ও চীনের (৩৪ শতাংশ) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তিনি বলেন, এটি ভারতকে ব্যয়ের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট সুবিধা দেবে।
অতীতে, ভারত, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম তুলার পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে একই ধরনের শুল্ককাঠামোর মুখোমুখি ছিল। তবে, সাম্প্রতিক পরিবর্তনের ফলে ভারত এখন তুলনামূলকভাবে এসব প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের চেয়ে শুল্কে কিছুটা সুবিধা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দামোদরন বলেন, এই নতুন শুল্ককাঠামো মার্কিন বাজারে ভারতীয় পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে এর প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে পারে।
দামোদরন বলেন, এই শুল্কসুবিধার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজের অংশীদারত্ব বাড়াতে ভারত ভালোভাবেই প্রস্তুত। চলমান বাণিজ্য আলোচনা ভারতের অবস্থান আরও জোরদার করতে পারে—বিশেষ করে যদি ভারত বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানিতে নির্দিষ্ট কিছু সুবিধার বিনিময়ে তুলা আমদানিতে শূন্য শুল্কের প্রস্তাব দেয়। তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপ শিল্পটির জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে।’
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, তবে পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মার্কিন ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়া, যার মধ্যে তাদের মনোভাব ও ভোগের আচরণ স্বল্পমেয়াদি রপ্তানি প্রবণতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সম্পূর্ণভাবে শুল্ক কার্যকর করা হলে খুচরা পর্যায়ে কিছু অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, যা প্রত্যাশিত। প্রতিটি দেশ যেভাবে এর প্রতিশোধ নেবে এবং প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা-ও বাণিজ্য গতিশীলতার পরবর্তী পর্যায়কে প্রভাবিত করবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং রপ্তানিকারক দেশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৭ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ৪২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
মে মাসে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের রপ্তানি আগের মাস এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মে মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৭৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের থেকে ৪৮ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার বেশি এবং শতকরা হিসাবে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবিদায়ী মে মাসে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। মে মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ১২ শতাংশ। আর গত বছরের মে মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
৫ ঘণ্টা আগেবিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য ব্যাগেজ রুলে বড় পরিবর্তন এনেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এত দিন শুল্ক ছাড়াই বছরে একাধিকবার সোনা আনার সুযোগ থাকলেও এখন থেকে সেটি সীমিত করা হচ্ছে বছরে মাত্র একবার। একই সঙ্গে ১০ হাজার ডলারের বেশি বহন করলে তা নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। সংগঠনটি মনে করছে, বাজেটের কিছু বিধান দেশের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং সৎ করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
১০ ঘণ্টা আগে