কলকাতা প্রতিনিধি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রপ্তানির ওপর যে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা কার্যকর হবে আগামীকাল বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত ১২টা ০১ মিনিট থেকে। এর ফলে ভারত থেকে আমদানি করা বহু পণ্যের ওপর মোট শুল্কহার দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধ চালাতে অর্থ পাচ্ছে, আর তারই শাস্তি হিসেবে এই অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। এর আগে ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া ২৫ শতাংশ শুল্কের ওপর এ নতুন শুল্ক যোগ হবে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, এ সিদ্ধান্ত শুধু ভারত নয়, বৈশ্বিক তেলের বাজারেও অস্থিরতা ডেকে আনবে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়েছে। নয়াদিল্লির যুক্তি, ভারত তার জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ অনুযায়ী তেল আমদানি করে থাকে এবং এর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধকে যুক্ত করা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বিশ্লেষণ। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের প্রায় ৮৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি এ শুল্কে সরাসরি প্রভাবিত হবে, যা দেশের জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে এ শুল্কে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বস্ত্র, রত্ন ও অলংকার, চামড়া, রাসায়নিক এবং অটো যন্ত্রাংশ খাত। বিশ্লেষকদের ধারণা, এর ফলে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশসহ অন্যান্য এশীয় দেশ মার্কিন বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার সুযোগ পাবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, যত চাপই আসুক, ভারত মাথা নত করবে না। গতকাল আহমেদাবাদে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মনির্ভরতার শক্তি আরও বাড়িয়ে এগিয়ে যাব এবং কৃষক, পশুপালক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বার্থ কখনো বিসর্জন দেব না।’ এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, মোদির বার্তায় এটা স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে তিনি রাজনৈতিকভাবে অভ্যন্তরীণ শক্তিতে রূপান্তরিত করতে চাইছেন। ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে’ নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে এ শুল্ককাণ্ডকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
অন্যদিকে অর্থনৈতিক মহল বলছে, আপাতত ভারত প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের পথে যাচ্ছে না, বরং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে চাইছে। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারত ‘খোলা মনে’ এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যেমন—রয়টার্স বলছে, এ পদক্ষেপ ভারতের ভেতরে মার্কিনবিরোধী মনোভাব বাড়াতে পারে এবং ভারতকে আরও বেশি রাশিয়া ও চীনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ পদক্ষেপ সাময়িকভাবে ভারতীয় অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করলেও দীর্ঘ মেয়াদে এর প্রভাব উল্টোও হতে পারে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস তাদের এক বিশ্লেষণে উল্লেখ করেছে, ভারত যদি এ পরিস্থিতিকে শিল্প সংস্কার ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে, তবে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। ইতিমধ্যে ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বাজারের দিকে নজর দিচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসনের কঠোর সিদ্ধান্তকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে ভিন্নমত শোনা যাচ্ছে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বিশ্লেষণ করেছে, বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিকে এভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে। ভারতের বাজার মার্কিন বিনিয়োগকারীদের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুরোপুরি ভেঙে পড়বে না, কিন্তু এই অচলাবস্থা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থায় ফাটল ধরাতে পারে।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। ভারত আপাতত ধৈর্য ধরে কূটনৈতিক পথে এগোচ্ছে, তবে একই সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক বাণিজ্যনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি করবে। ভারতের সামনে তাৎক্ষণিক ধাক্কা এলেও মোদির বক্তব্যে উঠে এসেছে, দেশটি আত্মনির্ভরতার পথেই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায়। আর আগামী কয়েক মাসেই বোঝা যাবে, ভারত আসলেই কতটা শক্ত হাতে এ চাপ সামাল দিতে সক্ষম হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রপ্তানির ওপর যে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা কার্যকর হবে আগামীকাল বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত ১২টা ০১ মিনিট থেকে। এর ফলে ভারত থেকে আমদানি করা বহু পণ্যের ওপর মোট শুল্কহার দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধ চালাতে অর্থ পাচ্ছে, আর তারই শাস্তি হিসেবে এই অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। এর আগে ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া ২৫ শতাংশ শুল্কের ওপর এ নতুন শুল্ক যোগ হবে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, এ সিদ্ধান্ত শুধু ভারত নয়, বৈশ্বিক তেলের বাজারেও অস্থিরতা ডেকে আনবে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়েছে। নয়াদিল্লির যুক্তি, ভারত তার জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ অনুযায়ী তেল আমদানি করে থাকে এবং এর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধকে যুক্ত করা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বিশ্লেষণ। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের প্রায় ৮৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি এ শুল্কে সরাসরি প্রভাবিত হবে, যা দেশের জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে এ শুল্কে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বস্ত্র, রত্ন ও অলংকার, চামড়া, রাসায়নিক এবং অটো যন্ত্রাংশ খাত। বিশ্লেষকদের ধারণা, এর ফলে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশসহ অন্যান্য এশীয় দেশ মার্কিন বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার সুযোগ পাবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, যত চাপই আসুক, ভারত মাথা নত করবে না। গতকাল আহমেদাবাদে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মনির্ভরতার শক্তি আরও বাড়িয়ে এগিয়ে যাব এবং কৃষক, পশুপালক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বার্থ কখনো বিসর্জন দেব না।’ এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, মোদির বার্তায় এটা স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে তিনি রাজনৈতিকভাবে অভ্যন্তরীণ শক্তিতে রূপান্তরিত করতে চাইছেন। ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে’ নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে এ শুল্ককাণ্ডকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
অন্যদিকে অর্থনৈতিক মহল বলছে, আপাতত ভারত প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের পথে যাচ্ছে না, বরং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে চাইছে। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারত ‘খোলা মনে’ এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যেমন—রয়টার্স বলছে, এ পদক্ষেপ ভারতের ভেতরে মার্কিনবিরোধী মনোভাব বাড়াতে পারে এবং ভারতকে আরও বেশি রাশিয়া ও চীনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ পদক্ষেপ সাময়িকভাবে ভারতীয় অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করলেও দীর্ঘ মেয়াদে এর প্রভাব উল্টোও হতে পারে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস তাদের এক বিশ্লেষণে উল্লেখ করেছে, ভারত যদি এ পরিস্থিতিকে শিল্প সংস্কার ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে, তবে ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। ইতিমধ্যে ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বাজারের দিকে নজর দিচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসনের কঠোর সিদ্ধান্তকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে ভিন্নমত শোনা যাচ্ছে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বিশ্লেষণ করেছে, বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিকে এভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে। ভারতের বাজার মার্কিন বিনিয়োগকারীদের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুরোপুরি ভেঙে পড়বে না, কিন্তু এই অচলাবস্থা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থায় ফাটল ধরাতে পারে।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। ভারত আপাতত ধৈর্য ধরে কূটনৈতিক পথে এগোচ্ছে, তবে একই সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক বাণিজ্যনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি করবে। ভারতের সামনে তাৎক্ষণিক ধাক্কা এলেও মোদির বক্তব্যে উঠে এসেছে, দেশটি আত্মনির্ভরতার পথেই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায়। আর আগামী কয়েক মাসেই বোঝা যাবে, ভারত আসলেই কতটা শক্ত হাতে এ চাপ সামাল দিতে সক্ষম হয়।
নতুন করে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে দেশে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক, অফিসবিহীন ব্যাংকিং সেবা চালু হবে। সেই লক্ষ্যে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাত্র এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশিদের বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ধরনে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। এত দিন শীর্ষ স্থানে থাকা ভারত এখন তালিকার নিচের দিকে নেমে গেছে, আর সেই জায়গা দখল করেছে চীন।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হচ্ছে আজ বুধবার থেকে। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার শাস্তি হিসেবে ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার দৃশ্যত এখন পর্যন্ত মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে পাত্তা দিচ্ছে না।
৩ ঘণ্টা আগেভারত একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ায় ভারত রাশিয়ার তেল আমদানি করছে। এখন আমরা যদি রাশিয়ার তেল না কিনি, তবে আমাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৪ ঘণ্টা আগে