আজকের পত্রিকা ডেস্ক
অবশেষে কার্যকর হলো বহুল প্রতীক্ষিত যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক হ্রাস চুক্তি। এই চুক্তি কার্যকর হওয়ায় ব্রিটিশ গাড়ি নির্মাতারা এখন বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে বিশেষ সুবিধা নিয়ে প্রবেশাধিকার পেলেন। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য প্রতি বছর ১ লাখ পর্যন্ত গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করতে পারবে মাত্র ১০ শতাংশ শুল্কে—যা আগে ছিল ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পাশাপাশি, যুক্তরাজ্যের মহাকাশ শিল্পের ওপর আরোপিত সব ধরনের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চুক্তির বিপরীতে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের ইথানল আমদানির ওপর বিদ্যমান ১৯ শতাংশ শুল্ক বাতিল করেছে। পাশাপাশি গরুর মাংস আমদানির কোটা বাড়িয়ে উন্নীত করেছে ১৩ হাজার টনে। ফলে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন লিটার পর্যন্ত মার্কিন ইথানল এখন ব্রিটেনে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারবে। তবে, দেশটির বায়ো ইথানল শিল্প সংস্থাগুলো অভিযোগ করছে, এই সিদ্ধান্ত তাদের ঘরোয়া উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
চলতি মাসে জি৭ সম্মেলনে চূড়ান্ত হওয়ার এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শিল্পকে সুরক্ষা দেবে।’ ব্রিটিশ বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস বলেন, ‘শুল্ক হ্রাসের ফলে গাড়ি ও মহাকাশ শিল্প প্রতিবছর শত শত মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় করবে। পাশাপাশি বেঁচে যাবে হাজার হাজার মানুষের চাকরি।
তবে চুক্তির বাইরে থেকে গেছে যুক্তরাজ্যের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম খাত। এসব পণ্যের ওপর এখনো ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বলবৎ রয়েছে। এই হার ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কোনো চুক্তিতে না পৌঁছালে দ্বিগুণ হয়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি এই সময়সীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা করছেন না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রায় সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই আলোচনার সুযোগ রেখে সেগুলো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন তিনি। এরপর থেকে বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পৃথক চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনায় ব্যস্ত রয়েছে।
এদিকে, কানাডার সঙ্গে আলোচনা বাতিলের ঘোষণা দিলেও, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ডিজিটাল সার্ভিস কর প্রত্যাহার করেছে, যাতে বাণিজ্য আলোচনা ফের এগিয়ে নেওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে ২০২৪ সালে ৯০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাণিজ্য হয়েছে।
এ ছাড়া, থাইল্যান্ডও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক হ্রাস চুক্তির আশায় আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পিচাই নারিপথাফান জানিয়েছেন, তারা মার্কিন বাজারে থাই পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য আলোচনা চালাবেন।
অবশেষে কার্যকর হলো বহুল প্রতীক্ষিত যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক হ্রাস চুক্তি। এই চুক্তি কার্যকর হওয়ায় ব্রিটিশ গাড়ি নির্মাতারা এখন বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে বিশেষ সুবিধা নিয়ে প্রবেশাধিকার পেলেন। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য প্রতি বছর ১ লাখ পর্যন্ত গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করতে পারবে মাত্র ১০ শতাংশ শুল্কে—যা আগে ছিল ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পাশাপাশি, যুক্তরাজ্যের মহাকাশ শিল্পের ওপর আরোপিত সব ধরনের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চুক্তির বিপরীতে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের ইথানল আমদানির ওপর বিদ্যমান ১৯ শতাংশ শুল্ক বাতিল করেছে। পাশাপাশি গরুর মাংস আমদানির কোটা বাড়িয়ে উন্নীত করেছে ১৩ হাজার টনে। ফলে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন লিটার পর্যন্ত মার্কিন ইথানল এখন ব্রিটেনে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারবে। তবে, দেশটির বায়ো ইথানল শিল্প সংস্থাগুলো অভিযোগ করছে, এই সিদ্ধান্ত তাদের ঘরোয়া উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
চলতি মাসে জি৭ সম্মেলনে চূড়ান্ত হওয়ার এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শিল্পকে সুরক্ষা দেবে।’ ব্রিটিশ বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস বলেন, ‘শুল্ক হ্রাসের ফলে গাড়ি ও মহাকাশ শিল্প প্রতিবছর শত শত মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় করবে। পাশাপাশি বেঁচে যাবে হাজার হাজার মানুষের চাকরি।
তবে চুক্তির বাইরে থেকে গেছে যুক্তরাজ্যের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম খাত। এসব পণ্যের ওপর এখনো ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বলবৎ রয়েছে। এই হার ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কোনো চুক্তিতে না পৌঁছালে দ্বিগুণ হয়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি এই সময়সীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা করছেন না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রায় সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই আলোচনার সুযোগ রেখে সেগুলো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন তিনি। এরপর থেকে বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পৃথক চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনায় ব্যস্ত রয়েছে।
এদিকে, কানাডার সঙ্গে আলোচনা বাতিলের ঘোষণা দিলেও, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ডিজিটাল সার্ভিস কর প্রত্যাহার করেছে, যাতে বাণিজ্য আলোচনা ফের এগিয়ে নেওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে ২০২৪ সালে ৯০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাণিজ্য হয়েছে।
এ ছাড়া, থাইল্যান্ডও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক হ্রাস চুক্তির আশায় আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পিচাই নারিপথাফান জানিয়েছেন, তারা মার্কিন বাজারে থাই পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য আলোচনা চালাবেন।
রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাড়তি চাপের মুখে অপরিশোধিত তেলের নতুন উৎস খুঁজছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় অবস্থিত মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শীর্ষ পরিশোধনাগারগুলো।
১২ ঘণ্টা আগেনাভরাতিল এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। নেসলেকেও আরও দ্রুত বদলাতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার মধ্যে আগামী দুই বছরে কর্মীর সংখ্যা কমানো হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায় করেছে ৯০ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা, যা এযাবৎকালের যেকোনো অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়। আজ শুক্রবার এনবিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেদেশে এখন আর ডলারের সংকট নেই। ফলে আমদানির ওপর কড়াকড়িও অনেকটা কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। ভোগ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট দুই মাসে আমদানির জন্য ১১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে..
১ দিন আগে