নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার পালাবদলের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, তাতে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে দেশের পুঁজিবাজারের দৈনন্দিন লেনদেনে। প্রতিদিনই উড়ন্ত সূচনার পর শেয়ারের দাম এবং সূচক ওঠানামা করলেও সেটি ফের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় অব্যাহত থাকছে দিন শেষেও। গতকাল রোববারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দিন শেষে সূচক বেড়েছে ৯১ পয়েন্ট। আর লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। এ পরিমাণ লেনদেন গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশায় আস্থা বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। মূলত তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণেই এমন ঊর্ধ্বমুখী ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে পুঁজিবাজারে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক কমিশনার আরিফ খান দাবি করেছেন, পুঁজিবাজারে এমন উত্থান অনেক দিন দেখা যায়নি। এটা সম্ভব হয়েছে বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই। মানুষ মনে করে, অর্থনীতিতে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার সামাল দিতে পারবে। অর্থনীতি ভালো হবে। কোম্পানিগুলো ভালো ব্যবসা করবে। সেই কারণে এই উত্থান।’
এ ছাড়াও ভালো কোম্পানির শেয়ারদর কমে যাওয়ায় (অবমূল্যায়িত) এখন ক্রেতা তৈরি হয়েছে। এ কারণেও লেনদেন বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কার্যদিবস ছিল। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি ৮ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৪০৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ওই দিন লেনদেন হয় ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের।
সরকার পতনের পর প্রথম কর্মদিবসেই (মঙ্গলবার) সূচক বাড়ে ১৯৭ পয়েন্ট, পরের দিন বুধবার ১৯২ পয়েন্ট এবং বৃহস্পতিবার রেকর্ড ৩০৬ পয়েন্ট। ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের যাত্রা শুরু হওয়ার পর কখনোই এক দিনে এত বড় উত্থান হয়নি। এরপর গতকালও লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। একপর্যায়ে সূচক বাড়ে ২৯১ পয়েন্ট। তবে বিক্রির চাপে তা স্থায়ী হয়নি। শেষ পর্যন্ত লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির, কমেছে ২০৭টির এবং আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে ২০টির। এর প্রভাবে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ৯১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এতে করে সরকার পতনের পর চার দিনে সূচকে যোগ হলো ৭৮৬ পয়েন্ট। ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৫ পয়েন্টে। এর মধ্য দিয়ে প্রায় পাঁচ মাস পরে সূচক ফের ৬ হাজার পয়েন্টের ঘরে পৌঁছাল। চলতি বছরের ১৩ মার্চ সূচক ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে। তবে সূচকের অবস্থান গতকালের চেয়ে বেশি ছিল ১১ মার্চ, ৬ হাজার ৫৮ পয়েন্ট।
এদিকে, কয়েক ধাপে তুলে নেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট ছয় কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) প্রত্যাহারের নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। তবে গতকাল রোববার সেটি স্থগিত করা হয়েছে। ওই স্থগিত আদেশে সই করেছেন বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার পালাবদলের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, তাতে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে দেশের পুঁজিবাজারের দৈনন্দিন লেনদেনে। প্রতিদিনই উড়ন্ত সূচনার পর শেয়ারের দাম এবং সূচক ওঠানামা করলেও সেটি ফের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় অব্যাহত থাকছে দিন শেষেও। গতকাল রোববারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দিন শেষে সূচক বেড়েছে ৯১ পয়েন্ট। আর লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। এ পরিমাণ লেনদেন গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশায় আস্থা বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। মূলত তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণেই এমন ঊর্ধ্বমুখী ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে পুঁজিবাজারে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক কমিশনার আরিফ খান দাবি করেছেন, পুঁজিবাজারে এমন উত্থান অনেক দিন দেখা যায়নি। এটা সম্ভব হয়েছে বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই। মানুষ মনে করে, অর্থনীতিতে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকার সামাল দিতে পারবে। অর্থনীতি ভালো হবে। কোম্পানিগুলো ভালো ব্যবসা করবে। সেই কারণে এই উত্থান।’
এ ছাড়াও ভালো কোম্পানির শেয়ারদর কমে যাওয়ায় (অবমূল্যায়িত) এখন ক্রেতা তৈরি হয়েছে। এ কারণেও লেনদেন বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কার্যদিবস ছিল। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি ৮ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ১ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৪০৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ওই দিন লেনদেন হয় ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের।
সরকার পতনের পর প্রথম কর্মদিবসেই (মঙ্গলবার) সূচক বাড়ে ১৯৭ পয়েন্ট, পরের দিন বুধবার ১৯২ পয়েন্ট এবং বৃহস্পতিবার রেকর্ড ৩০৬ পয়েন্ট। ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের যাত্রা শুরু হওয়ার পর কখনোই এক দিনে এত বড় উত্থান হয়নি। এরপর গতকালও লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। একপর্যায়ে সূচক বাড়ে ২৯১ পয়েন্ট। তবে বিক্রির চাপে তা স্থায়ী হয়নি। শেষ পর্যন্ত লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির, কমেছে ২০৭টির এবং আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে ২০টির। এর প্রভাবে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ৯১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এতে করে সরকার পতনের পর চার দিনে সূচকে যোগ হলো ৭৮৬ পয়েন্ট। ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৫ পয়েন্টে। এর মধ্য দিয়ে প্রায় পাঁচ মাস পরে সূচক ফের ৬ হাজার পয়েন্টের ঘরে পৌঁছাল। চলতি বছরের ১৩ মার্চ সূচক ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে। তবে সূচকের অবস্থান গতকালের চেয়ে বেশি ছিল ১১ মার্চ, ৬ হাজার ৫৮ পয়েন্ট।
এদিকে, কয়েক ধাপে তুলে নেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট ছয় কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) প্রত্যাহারের নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। তবে গতকাল রোববার সেটি স্থগিত করা হয়েছে। ওই স্থগিত আদেশে সই করেছেন বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী।
রাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে ঘোষিত নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই তেল শোধনাগারটি পরিচালনা করে নায়ারা এনার্জি লিমিটেড, যার মালিকানার বড় একটি অংশ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রসনেফটের।
১৩ ঘণ্টা আগেরপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
১৪ ঘণ্টা আগেটানা ৯ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ে প্রতিবছর কিছুটা প্রবৃদ্ধি থাকলেও তা পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে থাকছে। প্রস্তাবিত ও সংশোধিত, উভয় লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে বড় ফারাক। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের পর থেকে কোনো বছরই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি...
১ দিন আগে১১ বছরের সফল যাত্রা সম্পন্ন করল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। দেশের অন্যতম বেসরকারি এই বিমান সংস্থা গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ বছরে পা রাখল। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা আজ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে বাংলাদেশের আকাশে একটি নির্ভরতার নাম হয়ে উঠেছে।
১ দিন আগে