Ajker Patrika

সরকারি ক্রয়ে চুক্তি ব্যবস্থাপনা ই-জিপির মাধ্যমে হচ্ছে: আইএমইডি সচিব

বিজ্ঞপ্তি  
Thumbnail image
ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালায় অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি ক্রয়ে চুক্তি ব্যবস্থাপনা এখন ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্টের (ই-জিপি) মাধ্যমে হচ্ছে। বাংলাদেশে ই-জিপির অগ্রগতি বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ পর্যন্ত ১১ দেশ ও ৫ আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা ই-জিপি সিস্টেমের সফলতা সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ পরিদর্শন করেছে। ই-জিপি সিস্টেম চার আন্তর্জাতিক আইএসও সনদও পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন।

আজ বৃহস্পতিবার বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) আয়োজনে বিপিপিএয়ের কার্যাবলী এবং ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে সচিব আবুল কাশেম মহিউদ্দীন এসব কথা তুলে ধরেন।

বিপিপিএয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দীন, পৌর প্রশাসক এসএম মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু তালেবসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধি, দরপত্রদাতা, ব্যাংক প্রতিনিধি ও সাংবাদিকেরা।

আশফাকুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৬৫ শতাংশ ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় ৮৭ দশমিক ৭ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে। ১০০ শতাংশ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশ করা হচ্ছে।

আশফাকুর রহমান আরও বলেন, ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে। আর ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে। ১ দশমিক ৫৪ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমেছে।

আইএমইডি সচিব বলেন, আইন ও বিধিমালার সংস্কার আনা সরকারের প্রধান দায়িত্ব। প্রতিটি সেক্টরে সংস্কার করা প্রয়োজন। প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতির নিরবচ্ছিন্ন তদারকির জন্য ইলেকট্রনিক প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা ই-পিএমএস পোর্টাল চালু করেছে আইএমইডি।

ই-জিপি সিস্টেম প্রবর্তনের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে আইএমইডি সচিব বলেন, এই সিস্টেমটি পূর্বন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) অধীনে চালু ছিল যা এখন বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশব্যাপী সামগ্রিক ক্রয় কার্যক্রম তদারকি করার জন্য বিপিপিএকে বর্ধিত শক্তি ও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিপিপিএয়ের উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু বিগত শাসনামলে কোন অগ্রগতি হয়নি এবং এখন তা করব।’

মির্জা আশফাকুর রহমান আইন সংশোধনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট (পিপিএ), ২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ২০০৮-এর কিছু বিধি সংশোধনের বিষয়ে অবহিত করেন।

বাজেট অর্থায়নে সরকারকে সহায়তা করার জন্য বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি সংশোধনের জন্য ১১টি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছে এবং তিনটি বিপিপিএয়ের-এর সাথে সম্পর্কিত। এ বিষয়ে বিপিপিএর বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিপিপিএ ওটিএম থেকে ১০ শতাংশ ক্যাপ তুলতে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত