নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না—এই মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
ব্র্যাক ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
গত ২৩ নভেম্বর চেক ডিজঅনার মামলা করা যাবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল বাকী।
এদিকে হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি আজ প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, ব্যাংকের টাকা জনগণের। জনগণের টাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কাকে দিচ্ছে তা জনগণের জানার অধিকার আছে। তাই প্রত্যেক ঋণ মঞ্জুরের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্জুরের অনুমতিপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আর এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ে বলা হয়, প্রতিটি ঋণের বিপরীতে ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা জারি করবে। আর খেলাপি ঋণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কী পদ্ধতিতে আদায় করবে তার বিষয়ে অনুমতিপত্রে বিস্তারিত বর্ণনা দিতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সব ঋণ প্রদানে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও আধুনিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেবে এবং নিয়মিত তা তদারকি করবে।
রায়ে আরও বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে গৃহীত চেক বিনিময়যোগ্য দলিল নয়, তাই এমন চেক ডিজঅনারের (প্রত্যাখ্যান) মামলা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আর যদি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা করে, তবে তা বিচারিক আদালতকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়।
হাইকোর্ট বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩-কে পাশ কাটিয়ে ঋণ গ্রহীতা থেকে তাদের খেয়ালখুশি মতো বেআইনিভাবে জামানতস্বরূপ ব্লাঙ্ক চেক গ্রহণ করছে। আর ওই চেকে টাকার অঙ্ক বসিয়ে চেক প্রত্যাখ্যান করে ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা করে জেলে পাঠাচ্ছে। যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থঋণ আদালতে ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিতে পারে, তাই চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা করার কোনো সুযোগ নেই।
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না—এই মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
ব্র্যাক ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
গত ২৩ নভেম্বর চেক ডিজঅনার মামলা করা যাবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল বাকী।
এদিকে হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি আজ প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, ব্যাংকের টাকা জনগণের। জনগণের টাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কাকে দিচ্ছে তা জনগণের জানার অধিকার আছে। তাই প্রত্যেক ঋণ মঞ্জুরের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্জুরের অনুমতিপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আর এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ে বলা হয়, প্রতিটি ঋণের বিপরীতে ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা জারি করবে। আর খেলাপি ঋণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কী পদ্ধতিতে আদায় করবে তার বিষয়ে অনুমতিপত্রে বিস্তারিত বর্ণনা দিতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সব ঋণ প্রদানে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও আধুনিকীকরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেবে এবং নিয়মিত তা তদারকি করবে।
রায়ে আরও বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে গৃহীত চেক বিনিময়যোগ্য দলিল নয়, তাই এমন চেক ডিজঅনারের (প্রত্যাখ্যান) মামলা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আর যদি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা করে, তবে তা বিচারিক আদালতকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়।
হাইকোর্ট বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩-কে পাশ কাটিয়ে ঋণ গ্রহীতা থেকে তাদের খেয়ালখুশি মতো বেআইনিভাবে জামানতস্বরূপ ব্লাঙ্ক চেক গ্রহণ করছে। আর ওই চেকে টাকার অঙ্ক বসিয়ে চেক প্রত্যাখ্যান করে ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা করে জেলে পাঠাচ্ছে। যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থঋণ আদালতে ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিতে পারে, তাই চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা করার কোনো সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম বন্দর চলতি অর্থবছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতায় চমক সৃষ্টি করেছে। এখনো ১৩ দিন বাকি থাকতেই, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৬ জুন পর্যন্ত হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬০ টিইইউস, যা আগের বছরের পুরো হিসাবকে ছাড়িয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিদেশি এজেন্ট বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের বিল পরিশোধে নিয়ম শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে এ ধরনের লেনদেনে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমতি নিতে হবে না।
৩ ঘণ্টা আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে ঢাকায় ঢুকতে শুরু করেছে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া। ভালো দামের প্রত্যাশায় বিক্রেতারা আশাবাদী; আর আড়তদারেরা বলছেন, বাজারে চাহিদা এখন বেশ ভালো। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চামড়া নিয়ে ব্যাপারীরা রাতের গাড়িতে রওনা দিয়েছেন রাজধানীর দিকে।
৩ ঘণ্টা আগেমোংলা বন্দরে খালাস চলছে ভারত থেকে আমদানি করা ৩২ হাজার ৫৯৩ টন সরকারি চাল। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বন্দরের হাড়বাড়িয়া-১-এ অবস্থানরত এমভি হোয়াং এনহ-০৯ এবং বেসক্রিক-৫ নম্বরে থাকা এমভি ট্রাংক এন-০৮ নামক দুটি জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হয়।
১০ ঘণ্টা আগে