জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
করোনার প্রভাবে গত বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা কমেছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট মুনাফা কমেছে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। তবে করোনার আগে বছরে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৮২৪ কোটি ২০ লাখ। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেই মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ১৮৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সেই হিসাবে ব্যাংকটির এক বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা কমেছে ৩৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, করোনা ব্যতীত অন্যান্য সময়ে দেশের আর্থিক মন্দার সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুনাফা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব প্রতিবেদনে কোনো লোকসান দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্বের সব কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত মুনাফা করে। সেই হিসাবে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় মুনাফা করে। এখন পর্যন্ত কখনো লোকসান হয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। আর সাধারণত দেশের আর্থিক সূচকের মন্দা বা খারাপ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধি পায়।
আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। বিশেষ করে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ বাড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আয় বাড়ে, যা মুনাফা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া ডলারের দাম বাড়লে তখন মুনাফা বাড়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে ঋণ দেয়, সেখান থেকে যে মুনাফা হয়, তা সামগ্রিক মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে যে ঋণ দেয়, সেখান থেকেও সুদ বাবদ আয় করে এবং মুনাফা করে। কলমানি অন্যদের ধার দেওয়া অর্থ থেকেও বাংলাদেশ ব্যাংক লাভ করে।
দেশের মন্দ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধি পায়—এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ভালো থাকলে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে তখন ঋণ নেয় খুব কম। এ সময় অন্যান্য ব্যাংকও ঋণ নেয় না। এসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদ বাবদ আয় কমে যায় এবং মুনাফা কমে যায়। আবার ডলারের দাম বাড়লে রিজার্ভ থেকে আয় বাড়ে এবং বিপরীতক্রমে ডলারের দাম কমলে রিজার্ভ থেকে আয় কমে। কিন্তু ডলারের দাম বাড়লে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অথচ তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশি মুনাফার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথা-উপাত্তে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মুনাফা করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে ২০১০-১১ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। এ সময় নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮ হাজার ৮৪২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ও ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আবার সবচেয় কম মুনাফা করেছে ২০১২-১৩ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে। এ দুই অর্থবছরে যথাক্রমে আয় করেছে ২৯৬ কোটি ৪৮ লাখ ও ৩৯৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের বিপরীতে সুদ, পুনঃ অর্থায়ন বাবদ মুনাফা এবং রেপো থেকে মুনাফা করে। বিশেষ করে সরকারকে দেওয়া ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফার অন্যতম উৎস। দেশের অবস্থা ভালো থাকলে সরকার সাধারণত ঋণ কম নেয়। আবার ডলারের দাম বাড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করে এবং বেশি মুনাফা অর্জন করে। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কম দামে ডলার কেনে ও বেশি দামে তা বিক্রি করে। এর প্রভাব পড়ে মুদ্রাস্ফীতির ওপর। যা বাজারব্যবস্থার জন্য নেতিবাচক। কারণ, দেশের পুরো জনগোষ্ঠী মূল্যস্ফীতির শিকার হয়। কিন্তু মুষ্টিমেয় কিছু রপ্তানিকারক ডলারের বাড়তি মূল্যের সুবিধা পায়। সেই হিসেবে বলা যায়, অর্থনীতির সূচক খারাপ থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বেশি হয়। কিন্তু এমনটা ঢালাওভাবে না বলাই শ্রেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কম দামে কেনে ও বেশি দামে বিক্রয় করে। ডলারের দাম বাড়লে মুনাফা বেশি হয়।
করোনার প্রভাবে গত বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা কমেছে। দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট মুনাফা কমেছে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। তবে করোনার আগে বছরে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৮২৪ কোটি ২০ লাখ। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেই মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ১৮৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সেই হিসাবে ব্যাংকটির এক বছরের ব্যবধানে নিট মুনাফা কমেছে ৩৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, করোনা ব্যতীত অন্যান্য সময়ে দেশের আর্থিক মন্দার সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুনাফা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব প্রতিবেদনে কোনো লোকসান দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্বের সব কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত মুনাফা করে। সেই হিসাবে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় মুনাফা করে। এখন পর্যন্ত কখনো লোকসান হয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। আর সাধারণত দেশের আর্থিক সূচকের মন্দা বা খারাপ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধি পায়।
আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। বিশেষ করে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ বাড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আয় বাড়ে, যা মুনাফা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া ডলারের দাম বাড়লে তখন মুনাফা বাড়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে ঋণ দেয়, সেখান থেকে যে মুনাফা হয়, তা সামগ্রিক মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে যে ঋণ দেয়, সেখান থেকেও সুদ বাবদ আয় করে এবং মুনাফা করে। কলমানি অন্যদের ধার দেওয়া অর্থ থেকেও বাংলাদেশ ব্যাংক লাভ করে।
দেশের মন্দ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধি পায়—এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ভালো থাকলে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে তখন ঋণ নেয় খুব কম। এ সময় অন্যান্য ব্যাংকও ঋণ নেয় না। এসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদ বাবদ আয় কমে যায় এবং মুনাফা কমে যায়। আবার ডলারের দাম বাড়লে রিজার্ভ থেকে আয় বাড়ে এবং বিপরীতক্রমে ডলারের দাম কমলে রিজার্ভ থেকে আয় কমে। কিন্তু ডলারের দাম বাড়লে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অথচ তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশি মুনাফার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথা-উপাত্তে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মুনাফা করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে ২০১০-১১ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। এ সময় নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮ হাজার ৮৪২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ও ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আবার সবচেয় কম মুনাফা করেছে ২০১২-১৩ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে। এ দুই অর্থবছরে যথাক্রমে আয় করেছে ২৯৬ কোটি ৪৮ লাখ ও ৩৯৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের বিপরীতে সুদ, পুনঃ অর্থায়ন বাবদ মুনাফা এবং রেপো থেকে মুনাফা করে। বিশেষ করে সরকারকে দেওয়া ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফার অন্যতম উৎস। দেশের অবস্থা ভালো থাকলে সরকার সাধারণত ঋণ কম নেয়। আবার ডলারের দাম বাড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করে এবং বেশি মুনাফা অর্জন করে। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কম দামে ডলার কেনে ও বেশি দামে তা বিক্রি করে। এর প্রভাব পড়ে মুদ্রাস্ফীতির ওপর। যা বাজারব্যবস্থার জন্য নেতিবাচক। কারণ, দেশের পুরো জনগোষ্ঠী মূল্যস্ফীতির শিকার হয়। কিন্তু মুষ্টিমেয় কিছু রপ্তানিকারক ডলারের বাড়তি মূল্যের সুবিধা পায়। সেই হিসেবে বলা যায়, অর্থনীতির সূচক খারাপ থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা বেশি হয়। কিন্তু এমনটা ঢালাওভাবে না বলাই শ্রেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কম দামে কেনে ও বেশি দামে বিক্রয় করে। ডলারের দাম বাড়লে মুনাফা বেশি হয়।
চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১২ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ঋণখেলাপিদের বিষয়ে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে হালনাগাদ করা হচ্ছে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ডেটা। এতে বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও সিআইবির
১২ ঘণ্টা আগেমাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩২ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা লাফিয়ে গিয়ে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।
১ দিন আগেকয়েক বছর আগেও গাড়ি আমদানিতে দেশের রেকর্ড গড়েছিল মোংলা বন্দর। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রামকেও ছাড়িয়ে এখানে ঢুকেছিল ২১ হাজারের বেশি গাড়ি। তখন সবাই তাকিয়ে ছিল মোংলার দিকে। কিন্তু সেই গতির ছন্দ এখন অনেকটাই ম্লান। টানা তিন অর্থবছর ধরে কমছে আমদানির সংখ্যা। ডলার-সংকট, দাম বেড়ে যাওয়া আর ক্রেতার আগ্রহ কমে...
২ দিন আগে