আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হোসেন হঠাৎ পদত্যাগ করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে ব্যাংকটির নেতৃত্ব দিয়ে আসা এই অভিজ্ঞ ব্যাংকারের আকস্মিক বিদায় ব্যাংক খাতে নানা প্রশ্ন ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি এবং পর্ষদ তা গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। সেলিম আর এফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগের কারণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। আপাতত কোথাও যোগ দিচ্ছি না। ছুটি কাটাব।’
মেয়াদপূর্তির আগেই পদত্যাগের কারণে তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেলিম হোসেনের পদত্যাগের পেছনে কিছু জটিল বিষয় কাজ করেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বলে আলোচনা আছে।
সেলিম হোসেনকে উদ্ধৃত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম লিখেছে, ‘এখানে কাজ করার কোনো পরিস্থিতি ছিল না। তাই পদত্যাগ করেছি। আর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে দেওয়া একটি বিদায়ী চিঠিতে সেলিম আর এফ হোসেন লেখেন, ‘সব ভালো জিনিসেরই শেষ আছে এবং ব্র্যাক ব্যাংকে আমার সময়ের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।’
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করা ছিল আমার জন্য একটি বিরাট সম্মান ও সুযোগ। আমরা একসঙ্গে অসাধারণ একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে প্রথম আলো লিখেছে, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে, যার প্রভাব পড়ে ব্র্যাক ব্যাংক পরিচালনায়।’
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এর জের ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের কিছু কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ ব্যাংক; ফাইল আটকে রাখে এবং নজরদারি জোরদার করে। এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন পরিচালকের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ এবং অপর এক পরিচালকের নিয়মিত অফিসে উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গেছে, তিনি আজ বুধবার কানাডায় যাচ্ছেন তাঁর একমাত্র সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে। কবে দেশে ফিরবেন, তা এখনো ঠিক করেননি।
সেলিম আর এফ হোসেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ছয় বছর কাজ করেছেন। ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত।
তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ছিলেন। ফলে ব্যাংকিং নীতি-নির্ধারণে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহেরিয়ার এম হাসান কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং করপোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হোসেন হঠাৎ পদত্যাগ করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে ব্যাংকটির নেতৃত্ব দিয়ে আসা এই অভিজ্ঞ ব্যাংকারের আকস্মিক বিদায় ব্যাংক খাতে নানা প্রশ্ন ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি এবং পর্ষদ তা গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। সেলিম আর এফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগের কারণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। আপাতত কোথাও যোগ দিচ্ছি না। ছুটি কাটাব।’
মেয়াদপূর্তির আগেই পদত্যাগের কারণে তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেলিম হোসেনের পদত্যাগের পেছনে কিছু জটিল বিষয় কাজ করেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বলে আলোচনা আছে।
সেলিম হোসেনকে উদ্ধৃত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম লিখেছে, ‘এখানে কাজ করার কোনো পরিস্থিতি ছিল না। তাই পদত্যাগ করেছি। আর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে দেওয়া একটি বিদায়ী চিঠিতে সেলিম আর এফ হোসেন লেখেন, ‘সব ভালো জিনিসেরই শেষ আছে এবং ব্র্যাক ব্যাংকে আমার সময়ের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।’
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করা ছিল আমার জন্য একটি বিরাট সম্মান ও সুযোগ। আমরা একসঙ্গে অসাধারণ একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে প্রথম আলো লিখেছে, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে, যার প্রভাব পড়ে ব্র্যাক ব্যাংক পরিচালনায়।’
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এর জের ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের কিছু কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ ব্যাংক; ফাইল আটকে রাখে এবং নজরদারি জোরদার করে। এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন পরিচালকের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ এবং অপর এক পরিচালকের নিয়মিত অফিসে উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গেছে, তিনি আজ বুধবার কানাডায় যাচ্ছেন তাঁর একমাত্র সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে। কবে দেশে ফিরবেন, তা এখনো ঠিক করেননি।
সেলিম আর এফ হোসেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ছয় বছর কাজ করেছেন। ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত।
তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ছিলেন। ফলে ব্যাংকিং নীতি-নির্ধারণে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহেরিয়ার এম হাসান কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং করপোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এই খবর জনসাধারণের জন্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে করমুক্ত আয়সীমার বাইরে থাকা করদাতাদের জন্য। নতুন বাজেটে বিভিন্ন স্তরে করহার বাড়ানোর প্রস্তাব আসছে। নতুন করদাতাদের ছাড় দিলেও পুরোনোদের ওপর বাড়ানো...
২ ঘণ্টা আগেবিদেশি ঋণের চুক্তি ও অর্থছাড়ের গতি কমলেও বেড়েছে আগের ঋণ পরিশোধের চাপ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ৩৫০ কোটি ৭১ লাখ ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার ২১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু আসল টাকা ফেরত দিতে হয়েছে ২৬ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা...
২ ঘণ্টা আগেমোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শ্যামল বি দাস পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার তিনি ডাক বিভাগের কাছে মালিকানা, শেয়ার এবং সব ধরনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। একই দিনে ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে পরিচালক...
২ ঘণ্টা আগেনতুন করে আরও ৫২ প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার ৮০০ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি করতে পারবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ১০০-২০০ টন করে চাল রপ্তানি করতে পারবে। এ ব্যাপারে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়...
৫ ঘণ্টা আগে