Ajker Patrika

হঠাৎ পদত্যাগ করে আলোচনায় ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, ১৭: ২৬
সেলিম আর. এফ. হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
সেলিম আর. এফ. হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হোসেন হঠাৎ পদত্যাগ করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে ব্যাংকটির নেতৃত্ব দিয়ে আসা এই অভিজ্ঞ ব্যাংকারের আকস্মিক বিদায় ব্যাংক খাতে নানা প্রশ্ন ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি এবং পর্ষদ তা গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। সেলিম আর এফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগের কারণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। আপাতত কোথাও যোগ দিচ্ছি না। ছুটি কাটাব।’

মেয়াদপূর্তির আগেই পদত্যাগের কারণে তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেলিম হোসেনের পদত্যাগের পেছনে কিছু জটিল বিষয় কাজ করেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বলে আলোচনা আছে।

সেলিম হোসেনকে উদ্ধৃত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম লিখেছে, ‘এখানে কাজ করার কোনো পরিস্থিতি ছিল না। তাই পদত্যাগ করেছি। আর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে দেওয়া একটি বিদায়ী চিঠিতে সেলিম আর এফ হোসেন লেখেন, ‘সব ভালো জিনিসেরই শেষ আছে এবং ব্র্যাক ব্যাংকে আমার সময়ের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।’

চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করা ছিল আমার জন্য একটি বিরাট সম্মান ও সুযোগ। আমরা একসঙ্গে অসাধারণ একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে প্রথম আলো লিখেছে, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে, যার প্রভাব পড়ে ব্র্যাক ব্যাংক পরিচালনায়।’

ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এর জের ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের কিছু কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ ব্যাংক; ফাইল আটকে রাখে এবং নজরদারি জোরদার করে। এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন পরিচালকের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ এবং অপর এক পরিচালকের নিয়মিত অফিসে উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

জানা গেছে, তিনি আজ বুধবার কানাডায় যাচ্ছেন তাঁর একমাত্র সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে। কবে দেশে ফিরবেন, তা এখনো ঠিক করেননি।

সেলিম আর এফ হোসেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ছয় বছর কাজ করেছেন। ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত।

তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ছিলেন। ফলে ব্যাংকিং নীতি-নির্ধারণে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহেরিয়ার এম হাসান কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং করপোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এর জবাব দেশে দিইনি, জাপানে দিলে বিপদ হবে: পদত্যাগ প্রশ্নে ড. ইউনূস

চট্টগ্রামে নারীকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া ‘শিবিরের লোক’ আকাশ চৌধুরীকে ধরছে না পুলিশ

‘বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তানের কোনো লাভ হবে না’

চারটি গুলির পর নিরস্ত্র মেজর সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল

আলিপুরদুয়ার থেকে মোদির ‘মিশন বেঙ্গল’, নজর বাংলাদেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত